শিশুস্বাস্থ্য: শীতকালে শিশুর যত্ন
, ০৮ জুমাদাল ঊখরা শরীফ, ১৪৪৫ হিজরী সন, ২৩ সাবি’ ১৩৯১ শামসী সন , ২২ ডিসেম্বর, ২০২৩ খ্রি:, ০৭ পৌষ, ১৪৩০ ফসলী সন, ইয়াওমুল জুমুয়াহ (শুক্রবার) মহিলাদের পাতা
শীতে শিশুদের নিরাপদ রাখার প্রধান শর্ত হলো গরম কাপড় পরানো। তবে না বুঝে অস্বস্তিকর গরম কাপড় পরাবেন না। যেহেতু বড়দের চেয়ে শিশুদের শীতের অনুভূতি বেশি থাকে, তাই শীতের তীব্রতা বুঝে শিশুকে শীতের কাপড় পরাতে হবে।
শীতে শিশুর ডায়রিয়া:
শীতকালে শিশুর ডায়রিয়ার মূল কারণ খাদ্যনালিতে রোটাভাইরাসের অবস্থান। এটি মুখের মাধ্যমে শিশুর পাকস্থলীতে খুব সহজেই প্রবেশ করে। শিশুকে পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন রাখা জরুরি। এ সময় শিশুর স্বাভাবিক খাবার বন্ধ করা যাবে না। ছয় মাসের কম বয়সী শিশুদের ক্ষেত্রে ২-৩ ঘণ্টা পরপর মায়ের বুকের দুধ খাওয়াতে হবে। ছোট ইসতিনজার পরিমাণ কমে গেলে, হঠাৎ জ্বর বাড়লে কিংবা খেতে অনীহা প্রকাশ করলে দ্রুত চিকিৎসকের পরামর্শ নিতে হবে।
শিশুর ডায়াপার:
শীতকালে শিশুর ডায়াপার লিক করে বা ভিজে ঠা-া লেগে যেতে পারে। শিশুকে শুষ্ক ও পরিচ্ছন্ন রাখতে প্রতি ৬ ঘণ্টা পরপর ডায়াপার পাল্টে দিতে হবে। বেছে নিতে হবে বেশি শোষণক্ষমতাযুক্ত ডায়াপার।
শিশুর গোসল:
গোসল করালে শিশু অসুস্থ হয়ে পড়বে এ ভয়ে অনেক বাবা-মা শিশুকে শীতে গোসল করাতে চান না। কিন্তু বাচ্চাদের গোসল না করালে উল্টোটিও ঘটতে পারে। ঈষদুষ্ণ পানি দিয়ে শিশুকে নিয়মিত গোসল করানো জরুরি। গোসল করানোর পর নরম সুতি কাপড় দিয়ে গা মুছে দিন।
ত্বকের যত্ন:
শীতকালে বাতাসের আর্দ্রতা কমে যাওয়ার ফলে শিশুর ত্বক হয়ে যায় রুক্ষ ও খসখসে। এ সময় শিশুর কোমল ত্বকের যতেœ ব্যবহার করতে হবে সুন্নাতী যাইতুনের তেল অথবা সরিষার তেল অথবা গ্লিসারিন অথবা সুন্নাতী শামউন নাহল অথবা সুন্নাতী আদ্দাহীন।
শীতে শিশুর খাদ্য:
শীতকালে শিশুদের খাওয়ার প্রবণতা কমে যায়। ফলে শরীর খারাপ হয়। এ সময় শিশুর খাবারে উপস্থিত থাকা চাই পর্যাপ্ত ভিটামিন সি। এক্ষেত্রে মাল্টা, লেবু ও কমলার মতো সাইট্রাসজাতীয় ফল বেছে নিতে পারেন। যেসব বাচ্চা চিবিয়ে খেতে পারে না, তাদের ডিমের কুসুম, সবজির স্যুপ, খিচুড়ি, ফলের রস খাওয়ান। মোটকথা, শীতের এ সময়ে শিশুকে তার বয়স ও চাহিদা অনুযায়ী পুষ্টিসমৃদ্ধ খাবার, শাকসবজি ও ফলমূল খাওয়াতে হবে।
শিশুর শরীর মালিশ:
শিশুর দেহে রক্ত চলাচল বৃদ্ধির ক্ষেত্রে মালিশ অত্যন্ত উপকারী। এতে শরীর প্রয়োজনীয় ভিটামিন ডিও পায়।
টিকাদান:
শিশুর রোগ প্রতিরোধক্ষমতা বৃদ্ধিতে নির্ধারিত টিকাগুলো দেয়া যেতে পারে।।
শরীর খারাপের লক্ষণ জানুন:
শীতকালে শিশুদের শারীরিক পরিবর্তনগুলো খুব দ্রুত হয়ে থাকে। ফলে অনেক সময় আমাদের চোখ এড়িয়ে যায়। অথচ এসব পরিবর্তনের মধ্যে লুকিয়ে থাকতে পারে বড় কোনো রোগের লক্ষণ। বাচ্চাদের এ অসুস্থতা ভালোভাবে খেয়াল করলে বাইরে থেকেই বোঝা যায়। যেমন নাক, কান, পায়ের পাতা, আঙুল ফ্যাকাশে হয়ে গেলে বুঝতে হবে শিশু ঠা-াজনিত সমস্যায় ভুগছে। বাচ্চার কথা বলতে অসুবিধা হলে কিংবা কাঁপতে থাকলে বুঝতে হবে হাইপোথারমিয়া। যেটি শীতকালে শিশুদের ক্ষেত্রে পরিচিত সমস্যা। রোগের উপসর্গ বুঝে মা-বাবাকে শিশুর জন্য দ্রুত চিকিৎসকের পরামর্শ নিতে হবে।
সৌন্দর্য চর্চা: দাঁতের দাগ দূর করার উপায়
বিভিন্ন কারণে দাঁতে দাগ হতে পারে। কখনও তা হলদেটে বর্ণও ধারণ করে। দাঁতে দাগ থাকলে তা অনেকের কাছেই অস্বস্তির কারণ হয়ে দাঁড়ায়। সবার সামনে তখন তিনি হাসতে বা কথা বলতে দ্বিধা বোধ করেন। আসুন জেনে নেই দাঁতের দাগ দূর করতে কয়েকটি অব্যর্থ ঘরোয়া পদ্ধতি-
১. এক চা চামচ বেকিং সোডার মধ্যে অর্ধেক করে কাটা একটি লেবুর রস মিশিয়ে দিন। এবার চামচে করে এই দু’টি উপাদান ভালোভাবে মিশিয়ে নিন। কিছুক্ষণ পরেই দেখা যাবে মিশ্রণটির আকার ঘন তরলের মতো হয়েছে। এবার এই মিশ্রণ আঙুলে করে তুলে দাঁতের উপরে শুধু লাগিয়ে দিন, ঘষার প্রয়োজন নেই। তিন মিনিট পরে কুলকুচি করে মুখ ধুয়ে ফেলুন। এতে দাঁত সাদা দেখাবে।
২. লবণ দিয়ে দাঁত পরিষ্কার করা একটি প্রাচীন পদ্ধতি। লেবুর খোসাতে এক চিমটি লবণ দিয়ে তা দাঁতে ঘষুন, এতে দাঁতের দাগ চলে যাবে। লেবুতে থাকা ভিটামিন সি এবং লবণ ময়লা পরিষ্কার করতে সাহায্য করে।
৩. পোড়া কাঠকয়লা দিয়ে দাঁত পরিষ্কার করাও একটি পুরনো পদ্ধতি। এটা দিয়ে ঘষলেও দ্রুত দাঁত পরিষ্কার হয়।
৪. সরিষার তেল এবং লবণ মিশ্রিত করে এটি ব্রাশের মতো ঘষলে দাঁত পরিষ্কার হয়। আপনার দাঁত হলদেটে হলে এটি খুবই উপকারী হতে পারে।
৫. দাঁতের দাগ দূর করতে গাজর বেশ কার্যকরী। এতে উপ¯ি’ত ফাইবার দাঁত পুরোপুরি পরিষ্কার করতে ভূমিকা রাখে।
এ সম্পর্কিত আরো সংবাদ
-
সন্তানদের ও পরিবারের সকলকে সালাম দেয়া শিক্ষা দান করুন
২৩ নভেম্বর, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুছ সাবত (শনিবার) -
হযরত উম্মাহাতুল মু’মিনীন আলাইহিন্নাস সালাম উনাদের বেমেছাল দানশীলতা মুবারক (৪)
২৩ নভেম্বর, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুছ সাবত (শনিবার) -
কাফের বিশ্বে নারীরা শুধু কি এখন নির্যাতনের শিকার হচ্ছে?
২২ নভেম্বর, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল জুমুয়াহ (শুক্রবার) -
একজন দ্বীনদার পরহেযগার আল্লাহওয়ালী মহিলা উনার পর্দা পালনের বেমেছাল দৃষ্টান্ত
২২ নভেম্বর, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল জুমুয়াহ (শুক্রবার) -
প্রসঙ্গ মহিলা জামাত নাজায়িজ
২১ নভেম্বর, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল খমীছ (বৃহস্পতিবার) -
পিতা-মাতার প্রতি সন্তানের দায়িত্ব-কর্তব্য
২১ নভেম্বর, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল খমীছ (বৃহস্পতিবার) -
শৈশবকাল থেকেই সন্তানকে দ্বীনদার হওয়ার শিক্ষা দান করতে হবে
২০ নভেম্বর, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল আরবিয়া (বুধবার) -
সম্মানিতা মহিলা আউলিয়া-ই কিরাম উনাদের পরিচিতি
১৯ নভেম্বর, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুছ ছুলাছা (মঙ্গলবার) -
স্বচক্ষে দেখা কিছু কথা
১৯ নভেম্বর, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুছ ছুলাছা (মঙ্গলবার) -
পারিবারিক তা’লীমের গুরুত্ব ও তারতীব
১৮ নভেম্বর, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল ইছনাইনিল আযীম (সোমবার) -
সুন্নতী খাবার সম্পর্কিত হাদীছ শরীফ : মেথি
১৮ নভেম্বর, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল ইছনাইনিল আযীম (সোমবার) -
খাবার বিষয়ে মহান আল্লাহ পাক তিনি ইরশাদ মুবারক করেন
১৮ নভেম্বর, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল ইছনাইনিল আযীম (সোমবার)