শিশুস্বাস্থ্য: শিশুর ডায়রিয়ায় খাওয়ার স্যালাইনের গুরুত্ব
, ০২ জুমাদাল উলা শরীফ, ১৪৪৫ হিজরী সন, ১৯ সাদিস ১৩৯১ শামসী সন , ১৭ নভেম্বর, ২০২৩ খ্রি:, ০১ অগ্রহায়ণ কার্তিক, ১৪৩০ ফসলী সন, ইয়াওমুল জুমুয়াহ (শুক্রবার) মহিলাদের পাতা
শিশুদের ক্ষেত্রে অন্যতম একটি রোগ হচ্ছে ডায়রিয়া। ডায়রিয়া অনেক সুপরিচিত একটি রোগ। একটি শিশু এই রোগ সম্পর্কে তো জানবে না এটাই স্বাভাবিক। কিন্তু, বড়দের মধ্যে এই সম্পর্কে সচেতনতার অভাব হওয়ার ফলে শিশুরা বেশি অসুস্থ হয় বা কষ্ট পায়।
সবাই জানে, ডায়রিয়া হলে ওরস্যালাইন খাওয়াতে হয়। কিন্তু, সঠিক সময়ে স্যালাইন খাওয়ানো হয় না। সঠিক উপায়ে অনেকে স্যালাইন তৈরি করতে পারে না। যেভাবে স্যালাইন খাওয়ানো উচিত, সেভাবে খাওয়ানো হয় না।
কখন একটি শিশুকে বাসায় স্যালাইন খাওয়ানো উচিত এবং কখন হাসপাতালে বা চিকিৎসকের শরণাপন্ন হতে হবে। এটা সম্পর্কে অনেক অভিভাবকরা জানেন না। এ বিষয়ে সরকারের পক্ষ থেকে গণমাধ্যমে প্রচার করা হচ্ছে। তবুও অধিকাংশ মানুষ গুরুত্ব দিচ্ছে না। তারা চিন্তা করে, ডায়রিয়া হলে ওরস্যালাইন খাওয়াতে হবে। আবার অনেক ওরস্যালাইনকে গুরত্ব না দিয়ে চিকিৎসকের পরামর্শ ব্যতীত ফার্মেসি থেকে অ্যান্টিবায়োটিক ওষুধ কিনে খাওয়ান।
ডায়রিয়ার প্রধান জীবাণু হচ্ছে রোটা ভাইরাস। এই ভাইরাসের ক্ষেত্রে কোনো অ্যান্টিবায়োটিক কাজ করে না। এই ভাইরাস খুব দ্রুত শিশুকে পানিশূন্যতা করে দেয়। এক্ষেত্রে শিশু যতো ছোট হবে, পানিশূন্যতার হার ততো বেশি হবে। ডায়রিয়া হলে একটি শিশু দ্রুত পানি হারায়। এই দ্রুত পানি হারানো কমানোর জন্য ওরস্যালাইন খুবই উপযোগী।
ডায়রিয়া ব্যবস্থাপনায় ওরস্যালাইনের গুরুত্ব অপরিসীম। ডায়রিয়ায় পানিশূন্যতা মৃদু থেকে মারাত্মক পর্যায়ে হতে পারে। তাই কোনো পর্যায়ের পানিশূন্যতাকে অবহেলা করার সুযোগ নেই। মৃদু অবস্থায় ডায়রিয়ার সঠিক চিকিৎসা দিয়ে নিরাময় করা সম্ভব। তাহলে সে মাঝারি আকারে যাবে না। মাঝারিকে বাড়তে না দিলে মারাত্মক আকারের পানিশূন্যতায় পৌঁছাবে না। এ সময় অনেক অভিভাবকরা চিকিৎসকের কাছে শরণাপন্ন হয়ে শিশুর বড় ইসতিন্জা বন্ধ করার অনুরোধ জানান। আসলে বড় ইসতিন্জা বন্ধ করা ডায়রিয়ার প্রকৃত চিকিৎসা নয়।
বর্তমানে শিশুর ডায়রিয়া চিকিৎসায় হাসপাতালগুলোতে কোনো অ্যান্টিবায়োটিক প্রয়োগ করছে না। বরং, ওসব হাসপাতালের চিকিৎসকরা শুধু স্যালাইন খাওয়ার পরামর্শ দেন। অথবা শিশুর প্রয়োজন অনুযায়ী স্যালাইনের বিভিন্ন ভ্যারিয়েন্ট দেওয়া হচ্ছে। বিশেষ করে ডায়রিয়া মরাত্মক আকার ধারণ করলে, আইভি স্যালাইন দিতে হবে।
এ সম্পর্কিত আরো সংবাদ
-
হযরত উম্মে সুরাইকা দাওসিয়া রদ্বিয়াল্লাহু তা’য়ালা আনহা
১৬ ডিসেম্বর, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুছ ছুলাছা (মঙ্গলবার) -
মহাসম্মানিত মহাপবিত্র হযরত আহলু বাইত শরীফ আলাইহিমুস সালাম উনারা বেমেছাল ফযীলত মুবারকের অধিকারী
১৬ ডিসেম্বর, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুছ ছুলাছা (মঙ্গলবার) -
সর্বক্ষেত্রে নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনাকে প্রাধান্য দিতে হবে
১৫ ডিসেম্বর, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল ইছনাইনিল আযীম (সোমবার) -
নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি সৃষ্টির শুরুতেই মহান আল্লাহ পাক উনার কুদরত মুবারক উনার মধ্যে ছিলেন, আছেন এবং অনন্তকাল থাকবেন
১৫ ডিসেম্বর, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল ইছনাইনিল আযীম (সোমবার) -
মহান আল্লাহ পাক তিনি তওবাকারীকে পছন্দ করেন (৩)
১৪ ডিসেম্বর, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল আহাদ (রোববার) -
ক্বলবী যিকির জারী না থাকলে শয়তানের ওয়াসওয়াসা থেকে বেঁচে থাকা সম্ভব নয়
১৪ ডিসেম্বর, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল আহাদ (রোববার) -
দোযখে বেপর্দা হওয়া নারীদের শাস্তির বর্ণনা (১০)
১৩ ডিসেম্বর, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুছ সাবত (শনিবার) -
জামায়াতের জন্য মহিলাদের মসজিদে ও ঈদগাহে যাওয়া হারাম ও কুফরী (৪)
১৩ ডিসেম্বর, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুছ সাবত (শনিবার) -
নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনাকে সম্বোধন মুবারক করার ক্ষেত্রে সর্বোচ্চ আদব-শরাফত বজায় রাখতে হবে
১৩ ডিসেম্বর, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুছ সাবত (শনিবার) -
পিতা-মাতার প্রতি সন্তানের দায়িত্ব-কর্তব্য
১১ ডিসেম্বর, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল খমীছ (বৃহস্পতিবার) -
তিন ধরনের লোক বেহেশতে প্রবেশ করবে না
১১ ডিসেম্বর, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল খমীছ (বৃহস্পতিবার) -
সর্বাবস্থায় আজল বা তাড়াহুড়া না করে সতর্কতা অবলম্বন করা উচিত
১০ ডিসেম্বর, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল আরবিয়া (বুধবার)












