শিশুস্বাস্থ্য: শিশুর আঁকাবাঁকা দাঁত
, ২৪ জুমাদাল উলা শরীফ, ১৪৪৫ হিজরী সন, ১০ সাবি’ ১৩৯১ শামসী সন , ০৯ডিসেম্বর, ২০২৩ খ্রি:, ২৩ অগ্রহায়ণ, ১৪৩০ ফসলী সন, ইয়াওমুছ সাবত (শনিবার) মহিলাদের পাতা
অর্থ্যাৎ নির্দিষ্ট অ্যালাইনমে না উঠে অন্যভাবে উঠেছে। অথবা দাঁতটি নির্দিষ্ট সময় পরেও মুখে রয়ে গেছে। সেক্ষেত্রে এলোমেলো দাঁত উঠার শংকা খুব বেশি থাকে। এজন্য অভিভাবকদের জানতে হবে কোন দাঁতটি কখন পড়বে।
আঁকাবাঁকা দাঁতের কারণ জানতে হবে।
শিশুর আঁকাবাঁকা দাঁতের প্রধান কারণ হচ্ছে দুধদাঁত পড়ে যাওয়ার নির্দিষ্ট সময়ের পরবর্তী সময় পর্যন্ত রয়ে যাওয়া বা নির্দিষ্ট সময়ের আগেই দাঁত নষ্ট হয়ে যাওয়া বা ভেঙ্গে যাওয়া বা ফেলে দেওয়া। এসব ক্ষেত্রে দাঁত আঁকাবাঁকা হতে পারে।
এছাড়া যাদের চোয়ালের সাইজ বড়, দাঁত ছোট অথবা উল্টোটা যেমন চোয়াল ছোট, দাঁত বড় হচ্ছে তাদের দাঁত বাঁকা বা উচু নিচু হতে পারে।
এছাড়াও শিশুদের লম্বা সময় ধরে আঙুল চোষার অভ্যাস থাকলে তাদেরও দাঁত এলোমেলো, ফাঁকা বা চোয়ালের গঠন পরিবর্তন হয়ে যেতে পারে। এক সময় ধারণা ছিল আঁকাবাঁকা দাঁত, এলোমেলো বা উচু হয়ে গেলে কোনো চিকিৎসা নেই। মানুষ তার চেহারা ও হাসি নিয়ে লজ্জাবোধ করতো। কিন্তু বর্তমানে আধুনিক অর্থোডেন্টিক চিকিৎসার মাধ্যমে সুন্দর হাসি ও মুখায়বব তৈরি করা সম্ভব।
শিশুর দুধদাঁত ওঠার পর থেকেই যতœ প্রয়োজন। দাঁতে যেন গর্ত না হয় এবং আগেই ফেলে দিতে না হয় তার জন্য ছয় মাস বয়স থেকেই দাঁত পরিষ্কার রাখতে হবে। নিয়মিত দাত ওঠা এবং পড়ার সময় নিকটস্থ ডেন্টাল সার্জনের কাছে পরীক্ষার জন্য নিয়ে যাওয়াও খুব গুরুত্বপূর্ণ। কোনো চিকিৎসা প্রয়োজন হলে যথা সময়ে তা করাতে হবে। এজন্য সব সময় বাবা-মায়ের ভূমিকা খুবই গুরুত্বপূর্ণ। দুধ দাঁত ওঠার সময় ও পড়ার সময় বাবা-মাকে সেটা খেয়াল রাখতে হবে। অনেক বাবা-মা যে সময়ে শিশুর দাঁত পড়ার কথা সেসময়ে ফেলেন না। আবার অনেক সময় দেখা যায় একটি দুধ দাঁত ক্ষয়ে গেছে, তখন মা-বাবা মনে করেন এই ক্ষয় ঠিক করার দরকার নেই। কয়দিন পর তো পড়েই যাবে। বাচ্চাদের এই ক্ষয় বা ক্যারিজ সাধারণত দুই দাঁতের মাঝেই হয়। পরবর্তীতে নতুন দাঁত এলে সেটি মাঝখানে কাত হয়ে যায়। তখন নিচে যে দাঁত থাকে সেটি উঠার জন্য আর জায়গা পায় না। তখনই দাঁত আঁকাবাঁকা হতে শুরু করে। এজন্য বাচ্চাদের দাঁত ক্ষয় হলে তা দ্রুত ঠিক করে ফেলতে হবে। এছাড়াও আঙুল চোষা, সুতা কাটা, দাঁত কাটা এসব অভ্যাস থেকেও বাচ্চাদের দূরে রাখতে হবে।
বর্তমানে আঁকাবাঁকা দাঁত সোজা করার বিভিন্ন চিকিৎসা পদ্ধতি রয়েছে। সবচেয়ে জনপ্রিয় হচ্ছে ব্রেসেস। এছাড়াও এলাইনারের ব্যবহার সাম্প্রতিক সময়ে অনেক বেড়েছে। দাঁতের ও চোয়ালের সমস্যা অনুযায়ী বিভিন্ন সার্জারির মাধ্যমেও এসব সমস্যার যথাযথ চিকিৎসা করা সম্ভব। এজন্য দাঁত আঁকাবাঁকা, উচু বা ফাঁকা যেকোনো সমস্যা দেখা দিলে নিকটস্থ ডেন্টাল সার্জনের কাছে গেলে শিশুর সমস্যা অনুযায়ী উপযুক্ত চিকিৎসা পরামর্শ পাওয়া সম্ভব।
এ সম্পর্কিত আরো সংবাদ
-
হযরত উম্মে সুরাইকা দাওসিয়া রদ্বিয়াল্লাহু তা’য়ালা আনহা
১৬ ডিসেম্বর, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুছ ছুলাছা (মঙ্গলবার) -
মহাসম্মানিত মহাপবিত্র হযরত আহলু বাইত শরীফ আলাইহিমুস সালাম উনারা বেমেছাল ফযীলত মুবারকের অধিকারী
১৬ ডিসেম্বর, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুছ ছুলাছা (মঙ্গলবার) -
সর্বক্ষেত্রে নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনাকে প্রাধান্য দিতে হবে
১৫ ডিসেম্বর, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল ইছনাইনিল আযীম (সোমবার) -
নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি সৃষ্টির শুরুতেই মহান আল্লাহ পাক উনার কুদরত মুবারক উনার মধ্যে ছিলেন, আছেন এবং অনন্তকাল থাকবেন
১৫ ডিসেম্বর, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল ইছনাইনিল আযীম (সোমবার) -
মহান আল্লাহ পাক তিনি তওবাকারীকে পছন্দ করেন (৩)
১৪ ডিসেম্বর, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল আহাদ (রোববার) -
ক্বলবী যিকির জারী না থাকলে শয়তানের ওয়াসওয়াসা থেকে বেঁচে থাকা সম্ভব নয়
১৪ ডিসেম্বর, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল আহাদ (রোববার) -
দোযখে বেপর্দা হওয়া নারীদের শাস্তির বর্ণনা (১০)
১৩ ডিসেম্বর, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুছ সাবত (শনিবার) -
জামায়াতের জন্য মহিলাদের মসজিদে ও ঈদগাহে যাওয়া হারাম ও কুফরী (৪)
১৩ ডিসেম্বর, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুছ সাবত (শনিবার) -
নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনাকে সম্বোধন মুবারক করার ক্ষেত্রে সর্বোচ্চ আদব-শরাফত বজায় রাখতে হবে
১৩ ডিসেম্বর, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুছ সাবত (শনিবার) -
পিতা-মাতার প্রতি সন্তানের দায়িত্ব-কর্তব্য
১১ ডিসেম্বর, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল খমীছ (বৃহস্পতিবার) -
তিন ধরনের লোক বেহেশতে প্রবেশ করবে না
১১ ডিসেম্বর, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল খমীছ (বৃহস্পতিবার) -
সর্বাবস্থায় আজল বা তাড়াহুড়া না করে সতর্কতা অবলম্বন করা উচিত
১০ ডিসেম্বর, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল আরবিয়া (বুধবার)












