শিক্ষা খাতে বাজেটে নিম্নবিত্ত-মধ্যবিত্তদের জন্য কোনো সুখবর নেই শিক্ষার্থীরা যাতে ঝড়ে না পড়ে- শিক্ষা উপকরণের দাম কমিয়ে সরকারকে তা নিশ্চিত করতে হবে ইনশাআল্লাহ
, ০৩ যিলহজ্জ শরীফ, ১৪৪৫ হিজরী সন, ১২ আউওয়াল, ১৩৯২ শামসী সন , ১০ জুন, ২০২৪ খ্রি:, ২৭ জৈষ্ঠ্য, ১৪৩১ ফসলী সন, ইয়াওমুল ইছনাইনিল আযীম (সোমবার) সম্পাদকীয়
সব প্রশংসা মুবারক খালিক্ব মালিক রব মহান আল্লাহ পাক উনার জন্য; যিনি সকল সার্বভৌম ক্ষমতার মালিক। সাইয়্যিদুল মুরসালীন, ইমামুল মুরসালীন, নবী আলাইহিমুস সালাম উনাদের নবী, রসূল আলাইহিমুস সালাম উনাদের রসূল, নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার প্রতি অফুরন্ত দুরূদ শরীফ ও সালাম মুবারক।
প্রস্তাবিত বাজেট যতটা কথিত ব্যবসাবান্ধব, ততটা কিছুই শিক্ষাসহায়ক নয়। সরকার তার প্রতিশ্রুতি থেকে ধীরে ধীরে সরে যাচ্ছে। বাজেটে এবারও শিক্ষা খাতে কোনো সুখবর নেই।
সব শিক্ষা উপকরণের দাম বেড়েছে। ব্যবসায়ীরা সিন্ডিকেট করে বাড়িয়েছেন আরো বেশি। বেশির ভাগ বেসরকারি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বিভিন্ন অজুহাতে বেতন বাড়িয়েছে। মধ্যবিত্ত ও নিম্নবিত্ত পরিবারগুলো শিক্ষার খরচ জোগাড় করতে হিমশিম খাচ্ছে।
অর্থনীতির চলমান টানাপোড়েনের মধ্যে মধ্যবিত্ত ও নিম্নবিত্ত পরিবারের অভিভাবকদের বেতন বাড়েনি বললেই চলে, সাধারণ ব্যবসায়ে লাভের খবরও শোনা যায় না। সন্তানের শিক্ষার খরচ জোগাতে অভিভাবকদের আয়ের বড় অংশই যাচ্ছে। খরচের সঙ্গে মিলিয়ে আয় না বাড়ায় শিক্ষা খাতের অনেক প্রয়োজনীয় খরচ কমাতে হচ্ছে। এতে শিক্ষার্থীদের গুণগত মান কতটা ধরে রাখা সম্ভব হচ্ছে, সে প্রশ্ন করুণভাবে উপহাস করছে।
শিক্ষার্থীদের পড়ালেখার জন্য যে উপকরণ গুলো দরকার তার মধ্যে অন্যতম হচ্ছে কাগজ। বর্তমানে প্রতি রিম মোটামুটি মানের কাগজের মূল্য প্রায় ৬০০ টাকা বছর খানেক আগে যেখানে দাম ছিল ৪০০-৪৫০ টাকা। প্রতি দিস্তা কাগজ পূর্ব ২০-২৫ টাকা বিক্রি হলেও বর্তমানে বিক্রি হচ্ছে ৩০ টাকা করে। এছাড়া পূর্বে যে ছোট ছোট ১০ টাকা দামে সাদা খাতা পাওয়া যেতো এখন আর তাও পাওয়া যাচ্ছে না। পূর্বে যে কলমটি ছিল ৫ টাকা বর্তমানে সেটি বিক্রি হচ্ছে ৭ টাকা দামে। একইভাবে কালার পেন আর জেল পেন গুলো পূর্বে ১০ টাকায় বিক্রি হলেও বর্তমানে হচ্ছে ১৫ টাকা করে। কলমেও ভ্যাট বসানো হয়েছে।
রাজধানীর বিভিন্ন স্টেশনারি দোকান থেকে প্রাপ্ত তথ্যে জানা যায়, অতীতের যেকোনো সময়ের তুলনায় খাতা, কলম, বই, পেন্সিল, রাবার, স্কেল, রং পেন্সিল, স্কুলের ব্যাগসহ প্রায় সব ধরনের শিক্ষা উপকরণের দাম এখন অনেক বেশি।
কাগজের দাম বাড়ার কারণে ফটোকপির খরচও বেড়েছে। আগে ফটোকপি উভয় পেজ দেড় টাকা ছিল। এখন তা বেড়ে হয়েছে ২ টাকা। ২৪০ টাকার এক প্যাকেট কাগজ বেড়ে হয়েছে ৪৬০ টাকা।
শিক্ষা খাতে ব্যয় বাড়ায় বিষয়টি এ রকম হয়ে গেল যার টাকা আছে সে পড়তে পারবে, যার টাকা নেই সে পড়ালেখা করতে পারবে না। যারা নিম্নমধ্যবিত্ত পরিবার থেকে পড়ালেখা করছে, তাদের জন্য বিষয়টি খুবই কষ্টকর। শিক্ষা উপকরণের দাম বাড়তে থাকলে অল্প আয়ের পরিবার বাধ্য হয়েই তাদের সন্তানদের শিক্ষা থেকে সরিয়ে নেবে। এতে অনেক শিক্ষার্থী ঝরে পড়তে পারে।
শিক্ষা খাতে যে বাজেট ঘোষণা করা হয়েছে তা আসলেই গতানুগতিক। এখানে নতুনত্ব আনা জরুরি। যত কিছুই করি না কেন, শিক্ষার উপকরণে সুলভ না হওয়া ব্যাতিত শিক্ষার প্রসার সম্ভব নয়। আর শিক্ষার বিস্তার ছাড়া দেশের সার্বিক উন্নয়ন সম্ভব না। শিক্ষা ও মানবসম্পদ উন্নয়নে বিনিয়োগ না করলে সরকারের উন্নয়নের ধারাবাহিকতা রক্ষা করা আদৌ সম্ভব হবে না। সঙ্গতকারণেই উন্নয়নের দাবীদার সরকারকে শিক্ষা উপকরণের দাম কমাতে সর্বাগ্রে সচেষ্ট হতে হবে ইনশাআল্লাহ।
ছহিবে সাইয়্যিদি সাইয়্যিদিল আ’ইয়াদ শরীফ, রাজারবাগ শরীফ উনার মামদূহ মুর্র্শিদ ক্বিবলা সাইয়্যিদুনা হযরত সুলত্বানুন নাছীর আলাইহিস সালাম উনার নেক ছোহবত মুবারক-এ কেবলমাত্র তা লাভ করা সম্ভব। খালিক্ব মালিক রব মহান আল্লাহ পাক তিনি আমাদেরকে তা নছীব করুন। আমীন।
এ সম্পর্কিত আরো সংবাদ
-
পাঁচ হাজার পৃষ্ঠার বিশাল নথিতে ২ লাখ ৫৭ হাজার একর বনভূমি দখলদার ১ লাখ ৬০ হাজার নাম এসেছে শুধু নাম সর্বস্ব না করে বনভূমি উদ্ধারের বাস্তব নজীর চাই
০৬ নভেম্বর, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল আরবিয়া (বুধবার) -
ফুটপাতের প্রান্তিক হকারদের কাছ থেকে অসৎ ও লুটেরা মহল প্রতি মাসে চাঁদা আদায় করছে শত শত কোটি টাকা; অথচ সরকারি ব্যবস্থাপনায় এ অর্থ দিয়ে বারবার উচ্ছেদ হওয়া হকারদের পুনর্বাসন সম্ভব; অন্যদিকে এই অর্থ যোগ হতে পারে জাতীয় অর্থনীতিতে। সরকারের আশু নজর কাম্য।
০৬ নভেম্বর, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল আরবিয়া (বুধবার) -
দ্রব্যমূল্যের আগুনে ঝলসে যাচ্ছে মানুষ। মূল্যস্ফীতির চাপে পিষ্ট হচ্ছে জনসাধারণ। সরকারের কর্তাব্যক্তিদের রকমফের চটকদার কথার পরিবর্তে এক্ষনি মূল্যস্ফীতিকে সংকুচিত করে দেশবাসীকে বাঁচাতে হবে ইনশাআল্লাহ।
০৫ নভেম্বর, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুছ ছুলাছা (মঙ্গলবার) -
৭ হাজার ৮০০ মিলিয়ন টন কয়লা মজুদের দেশে কয়লার ঘাটতিতে বিদ্যুৎ উৎপাদন কেন্দ্র বন্ধ কেন? বিগত মাফিয়া সরকারের পথ থেকে সরে এসে কয়লা উত্তোলন শুরু করুন।
০৫ নভেম্বর, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুছ ছুলাছা (মঙ্গলবার) -
প্রসঙ্গঃ মোবাইল ফোনের ব্যবহার ও অপব্যবহার।
০৪ নভেম্বর, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল ইছনাইনিল আযীম (সোমবার) -
হোল্ডিং ট্যাক্স ছাড়, তাপ মুক্তি নিরাপদ ফল-সবজি প্রাপ্তি, পরিবেশ উন্নয়ন প্রক্রিয়ায় শহরের প্রতিটি বাড়ির ছাদ হোক একটুকরো বাগান
০৪ নভেম্বর, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল ইছনাইনিল আযীম (সোমবার) -
৪০ শতাংশের বেশি ক্ষুদ্র ও কুটির শিল্প বন্ধ হয়েছে যথাযথ পৃষ্ঠপোষকতা করলে ইনশাআল্লাহ ঘুরে দাঁড়াবে ক্ষুদ্র ও কুটির শিল্প
০৩ নভেম্বর, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল আহাদ (রোববার) -
মুদি দোকান, স্টেশনারি দোকান, শপিং মল, পার্লার, সুপার শপ সবখানেই ভেজাল কসমেটিক্স। মারাত্মক ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে ব্যবহারকারীরা। সরকারের কঠোর নজরদারী ও নিয়ন্ত্রণ প্রয়োজন।
০২ নভেম্বর, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুছ সাবত (শনিবার) -
দেশের ৪ কোটি মানুষ না খেয়ে থাকে। অথচ দেশে মাথাপিছু খাদ্য অপচয় হয় প্রায় ৯০ কেজি। বছরে ক্ষতির পরিমাণ প্রায় ৩৫ হাজার কোটি টাকা।
০২ নভেম্বর, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুছ সাবত (শনিবার) -
আজ মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র ২৮শে রবীউছ ছানী শরীফ! সাইয়্যিদাতুনা উম্মুর রদ্বাআহ আল ঊলা আলাইহাস সালাম উনার সম্মানিত আওলাদ, আখু রসূলিল্লাহ মিনার রদ্বাআহ সাইয়্যিদুনা হযরত মাসরূহ্ আলাইহিস সালাম উনার বিছালী শান মুবারক প্রকাশ দিবস। সুবহানাল্লাহ!
০১ নভেম্বর, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল জুমুয়াহ (শুক্রবার) -
শিক্ষা খাতে পতিত সরকারের বাজেটে নিম্নবিত্ত-মধ্যবিত্তদের স্বার্থ সংরক্ষিত হয়নি শিক্ষার্থীরা যাতে ঝরে না পড়ে- শিক্ষা উপকরণের দাম কমিয়ে বর্তমান সরকারকে তা নিশ্চিত করতে হবে ইনশাআল্লাহ
৩১ অক্টোবর, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল খমীছ (বৃহস্পতিবার) -
শব্দ দূষণ এখন শব্দ সন্ত্রাস ও নীরব ঘাতকে পরিণত হয়েছে। নারিকেল দ্বীপ নয় শব্দ দূষণে বিপর্যস্থ ঢাকাকে উপযোগী করার জন্য ঢাকার জনযট সারাদেশে ছড়িয়ে দিতে হবে।
৩১ অক্টোবর, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল খমীছ (বৃহস্পতিবার)