শিক্ষার্থীদের মাঝে ব্যাপক আত্মহত্যা প্রবনতারোধে সরকারকে কার্যকরী পদক্ষেপ নিতে হবে
, ০৯ যিলক্বদ শরীফ, ১৪৪৫ হিজরী সন, ১৯ ছানী আশার, ১৩৯১ শামসী সন , ১৮ মে, ২০২৪ খ্রি:, ০৪ জৈষ্ঠ্য, ১৪৩১ ফসলী সন, ইয়াওমুছ সাবত (শনিবার) সম্পাদকীয়
সব প্রশংসা মুবারক খালিক্ব মালিক রব মহান আল্লাহ পাক উনার জন্য; যিনি সকল সার্বভৌম ক্ষমতার মালিক। সাইয়্যিদুল মুরসালীন, ইমামুল মুরসালীন, নবী আলাইহিমুস সালাম উনাদের নবী, রসূল আলাইহিমুস সালাম উনাদের রসূল, নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার প্রতি অফুরন্ত দুরূদ শরীফ ও সালাম মুবারক।
মহান আল্লাহ পাক তিনি পবিত্র কুরআন শরীফে ইরশাদ মুবারক করেছেন, ‘তোমরা নিজেদের হত্যা কোরো না, নিশ্চয়ই মহান আল্লাহ পাক তিনি তোমাদের প্রতি পরম দয়ালু এবং যে কেউ সীমালঙ্ঘন করে অন্যায়ভাবে তা (আত্মহত্যা) করবে, তাকে অগ্নিতে দগ্ধ করব, এটা মহান আল্লাহ পাক উনার পক্ষে সহজ’ (পবিত্র সূরা আন নিসা শরীফ, পবিত্র আয়াত শরীফ ২৯, ৩০)। পবিত্র কুরআন শরীফে সুস্পষ্ট নিষেধাজ্ঞা ঘোষিত হয়েছে, ‘তোমরা নিজের হাতে নিজেদের জীবনকে ধ্বংসের মধ্যে নিক্ষেপ কোরো না। (পবিত্র সূরা আল বাক্বারা শরীফ, পবিত্র আয়াত শরীফ ১৯৫)
মহান আল্লাহ পাক তিনি মানুষকে একবারই নির্দিষ্ট সময়ের জন্য পৃথিবীতে পাঠান। মহান আল্লাহ পাক উনার নেয়ামত এ জীবনটাকে মানুষ নিজে শেষ করে দেবে, তা মহান আল্লাহ পাক তিনি মোটেও পছন্দ করেন না। মানুষের জীবনে দুঃখ-কষ্ট, হতাশা, সুখ-শান্তি, সাফল্য ঘুরে ফিরে আসবেই। দুঃখ-কষ্ট ও হতাশা, খারাপ সময় ইত্যাদি ধৈর্য্যরে সঙ্গে অতিবাহিত করে মহান আল্লাহ পাক উনার সাহায্য চাইতে হবে। আত্মহত্যা তো দূরের কথা, দুঃখ-কষ্টের কারণে মহান আল্লাহ পাক উনার কাছে মৃত্যু কামনা করাও যাবে না। নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি ইরশাদ মুবারক করেন, তোমাদের কেউ যেন (নির্ধারিত সময়ের আগে) মৃত্যু কামনা না করে। কারণ, (মৃত্যু বিলম্বিত হলে) সে যদি নেককার হয়, তাহলে হয়তো তার নেক কাজের পরিমাণ বেড়ে যেতে পারে। আর যদি গুনাহগার হয়, তাহলে সম্ভবত সে তার কৃত পাপ (তওবার মাধ্যমে) সংশোধনের সুযোগ পাবে। (বুখারি, মুসলিম)
দুঃখজনক হলেও ৯৮ ভাগ জনগোষ্ঠী মুসলমানের দেশ হওয়া সত্ত্বেও বাংলাদেশেও আত্মহত্যার প্রবণতা আশঙ্কাজনক হারে বাড়ছে।
বিশেষ করে শিক্ষার্থীদের মধ্যে মহামারি আকারে ছড়িয়ে পড়ছে আত্মহত্যার প্রবণতা। গেল বছর দেশে আত্মহননের পথ বেছে নিয়েছে ৫১৩ শিক্ষার্থী।
পরিসংখ্যান বলছে, ৫১৩ জন শিক্ষার্থীর মধ্যে ৬৭ শতাংশের বয়স ১৩-১৯ বছর। আত্মহত্যার হারে শীর্ষে ঢাকা বিভাগ। এর পেছনে সবচেয়ে বড় কারণ সম্পর্কের টানপোড়েন ও অভিমানই নয়।
অনুসন্ধানে জানা গেছে, সমাজ ও রাষ্ট্র সম্পর্কে নেতিবাচক তথ্যই তাদেরকে জীবন সম্পর্কে হতাশ করে দিচ্ছে।
তরুণরা স্পষ্টতই দেখতে পাচ্ছে তাদের পিতা-মাতারা যে রাষ্ট্র স্বাধীন করেছেন এবং যে রাষ্ট্র তারা তৈরি করেছেন সেই রাষ্ট্রই তাদের পক্ষে নয়। রাষ্ট্র তাদের পক্ষে কোনো কাজ করছে না। তরুণরা দেখছে তাদের কোনো প্রোডাক্টিভিটি নেই, নেই তাদের কোনো ট্রেনিং। তরুণরা এমন কোনো সাবজেক্টে পড়তে পারছে না যেখান থেকে পাশ করে বের হয়ে সে তার প্রোডাক্টিভিটি দেখাতে পারবে। এমন কোনো পন্থা তার সামনে নেই যেখান থেকে সে একটা মোটামুটি নিশ্চিত জীবন কাটাতে পারবে। এভাবে তরুণরা হতাশার মধ্যে নিমজ্জিত হচ্ছে।
রাষ্ট্রের বেশিরভাগ সুবিধা এবং অর্থ ভোগ করছে রাষ্ট্রের ৫ থেকে ১০ শতাংশ মানুষ। বাকি ৯০ শতাংশ মানুষ কোনো না কোনোভাবে স্ট্রাগল করছেন। বেকারত্ব, দ্রব্যের উচ্চমূল্য, অর্থনৈতিক সংকট, সুশাসনের অভাব সবকিছুই প্রভাব ফেলছে তরুণদের মানসিকতার ওপর। বিশ্বায়নের চাপ, দ্রুত নগরায়ণের চাপ, দ্রুত শিল্পায়নের চাপ, সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমের মারাত্মক ব্যবহার এসব কিছুই তরুণদের ওপর নেতিবাচক প্রভাব ফেলছে। তারা আত্মহত্যার দিকে ঝুকছে।
অভিজ্ঞমহল মনে করছে, ব্যাপক মূল্যস্ফীতি ও বেকারত্ব এবং ব্যবসায়ীদের বাধাগ্রস্থ করার মাধ্যমে দেশে ব্যাপক অস্থিতিশীল ও অরাজক অবস্থা তৈরী হচ্ছে। তাই সরকারকে এ বিষয়ে সচেতন হয়ে দেশের পরিস্থিতি স্বাভাবিক করতে হবে। কর্মসংস্থানে গুরুত্ব প্রদান করতে হবে। দ্রব্যমূল্য কমাতে হবে। সমাজে ইসলামী মূল্যবোধের বিস্তার ঘটাতে হবে। সরকার যদি তা না করে তাহলে প্রতিকূল পরিবেশে শিক্ষার্থীদের মাঝে আত্মহত্যার মিছিল বাড়তেই থাকবে। নাউযুবিল্লাহ!
ছহিবে সাইয়্যিদি সাইয়্যিদিল আ’ইয়াদ শরীফ, রাজারবাগ শরীফ উনার মামদূহ মুর্র্শিদ ক্বিবলা সাইয়্যিদুনা হযরত সুলত্বানুন নাছীর আলাইহিস সালাম উনার নেক ছোহবত মুবারক-এ কেবলমাত্র তা লাভ করা সম্ভব। খালিক্ব মালিক রব মহান আল্লাহ পাক তিনি আমাদেরকে তা নছীব করুন। আমীন।
এ সম্পর্কিত আরো সংবাদ
-
পাঁচ হাজার পৃষ্ঠার বিশাল নথিতে ২ লাখ ৫৭ হাজার একর বনভূমি দখলদার ১ লাখ ৬০ হাজার নাম এসেছে শুধু নাম সর্বস্ব না করে বনভূমি উদ্ধারের বাস্তব নজীর চাই
০৬ নভেম্বর, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল আরবিয়া (বুধবার) -
ফুটপাতের প্রান্তিক হকারদের কাছ থেকে অসৎ ও লুটেরা মহল প্রতি মাসে চাঁদা আদায় করছে শত শত কোটি টাকা; অথচ সরকারি ব্যবস্থাপনায় এ অর্থ দিয়ে বারবার উচ্ছেদ হওয়া হকারদের পুনর্বাসন সম্ভব; অন্যদিকে এই অর্থ যোগ হতে পারে জাতীয় অর্থনীতিতে। সরকারের আশু নজর কাম্য।
০৬ নভেম্বর, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল আরবিয়া (বুধবার) -
দ্রব্যমূল্যের আগুনে ঝলসে যাচ্ছে মানুষ। মূল্যস্ফীতির চাপে পিষ্ট হচ্ছে জনসাধারণ। সরকারের কর্তাব্যক্তিদের রকমফের চটকদার কথার পরিবর্তে এক্ষনি মূল্যস্ফীতিকে সংকুচিত করে দেশবাসীকে বাঁচাতে হবে ইনশাআল্লাহ।
০৫ নভেম্বর, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুছ ছুলাছা (মঙ্গলবার) -
৭ হাজার ৮০০ মিলিয়ন টন কয়লা মজুদের দেশে কয়লার ঘাটতিতে বিদ্যুৎ উৎপাদন কেন্দ্র বন্ধ কেন? বিগত মাফিয়া সরকারের পথ থেকে সরে এসে কয়লা উত্তোলন শুরু করুন।
০৫ নভেম্বর, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুছ ছুলাছা (মঙ্গলবার) -
প্রসঙ্গঃ মোবাইল ফোনের ব্যবহার ও অপব্যবহার।
০৪ নভেম্বর, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল ইছনাইনিল আযীম (সোমবার) -
হোল্ডিং ট্যাক্স ছাড়, তাপ মুক্তি নিরাপদ ফল-সবজি প্রাপ্তি, পরিবেশ উন্নয়ন প্রক্রিয়ায় শহরের প্রতিটি বাড়ির ছাদ হোক একটুকরো বাগান
০৪ নভেম্বর, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল ইছনাইনিল আযীম (সোমবার) -
৪০ শতাংশের বেশি ক্ষুদ্র ও কুটির শিল্প বন্ধ হয়েছে যথাযথ পৃষ্ঠপোষকতা করলে ইনশাআল্লাহ ঘুরে দাঁড়াবে ক্ষুদ্র ও কুটির শিল্প
০৩ নভেম্বর, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল আহাদ (রোববার) -
মুদি দোকান, স্টেশনারি দোকান, শপিং মল, পার্লার, সুপার শপ সবখানেই ভেজাল কসমেটিক্স। মারাত্মক ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে ব্যবহারকারীরা। সরকারের কঠোর নজরদারী ও নিয়ন্ত্রণ প্রয়োজন।
০২ নভেম্বর, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুছ সাবত (শনিবার) -
দেশের ৪ কোটি মানুষ না খেয়ে থাকে। অথচ দেশে মাথাপিছু খাদ্য অপচয় হয় প্রায় ৯০ কেজি। বছরে ক্ষতির পরিমাণ প্রায় ৩৫ হাজার কোটি টাকা।
০২ নভেম্বর, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুছ সাবত (শনিবার) -
আজ মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র ২৮শে রবীউছ ছানী শরীফ! সাইয়্যিদাতুনা উম্মুর রদ্বাআহ আল ঊলা আলাইহাস সালাম উনার সম্মানিত আওলাদ, আখু রসূলিল্লাহ মিনার রদ্বাআহ সাইয়্যিদুনা হযরত মাসরূহ্ আলাইহিস সালাম উনার বিছালী শান মুবারক প্রকাশ দিবস। সুবহানাল্লাহ!
০১ নভেম্বর, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল জুমুয়াহ (শুক্রবার) -
শিক্ষা খাতে পতিত সরকারের বাজেটে নিম্নবিত্ত-মধ্যবিত্তদের স্বার্থ সংরক্ষিত হয়নি শিক্ষার্থীরা যাতে ঝরে না পড়ে- শিক্ষা উপকরণের দাম কমিয়ে বর্তমান সরকারকে তা নিশ্চিত করতে হবে ইনশাআল্লাহ
৩১ অক্টোবর, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল খমীছ (বৃহস্পতিবার) -
শব্দ দূষণ এখন শব্দ সন্ত্রাস ও নীরব ঘাতকে পরিণত হয়েছে। নারিকেল দ্বীপ নয় শব্দ দূষণে বিপর্যস্থ ঢাকাকে উপযোগী করার জন্য ঢাকার জনযট সারাদেশে ছড়িয়ে দিতে হবে।
৩১ অক্টোবর, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল খমীছ (বৃহস্পতিবার)