শিক্ষকদের জাল সনদ ধরতে মাঠে ডিপিই
-প্রমাণ মিললে মিলবে শাস্তি
, ০৮ রমাদ্বান শরীফ, ১৪৪৪ হিজরী সন, ৩১ ‘আশির, ১৩৯০ শামসী সন , ৩১ মার্চ, ২০২৩ খ্রি:, ১৭ চৈত্র, ১৪২৯ ফসলী সন, ইয়াওমুল জুমুয়াহ (শুক্রবার) দেশের খবর
সারাদেশে ৬৫ হাজারের বেশি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে কর্মরত চার লাখ ৪৩ হাজারের বেশি শিক্ষক। তাদের একাডেমিক ও পেশাভিত্তিক সনদ যাচাইয়ে উদ্যোগ নিয়েছে প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তর (ডিপিই)। শিক্ষকদের অনেকেই জাল সনদে চাকরি এবং উচ্চতর গ্রেড নিয়েছেন- এমন অভিযোগের প্রমাণ পাওয়ায় মাঠে নেমেছে প্রাথমিক স্কুলের নিয়ন্ত্রণকারী এ সংস্থা।
ডিপিই সূত্রে জানা গেছে, শিক্ষকদের সনদ দুই ধাপে যাচাই হবে। প্রথম ধাপে ২০১৩ সাল থেকে এখন পর্যন্ত জাতীয়করণ হওয়া শিক্ষকদের একাডেমিক ও ‘ব্যাচেলর অব এডুকেশন’ (বিএড) কোর্স, দ্বিতীয় ধাপে একাডেমিকসহ অন্যান্য সনদ যাচাই করা হবে। একাডেমিক ও পেশাভিত্তিক সনদ যাচাইয়ে উভয়ক্ষেত্রে বেসরকারি ও উন্মুক্ত বিশ্ববিদ্যালয়ের সনদগুলো আগে বিবেচনায় আনা হবে। বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের ক্ষেত্রে দারুল ইহসান, এশিয়ান ইউনিভার্সিটি, শান্ত-মরিয়ম ইউনিভার্সিটি ও রয়েল ইউনিভার্সিটির সনদগুলো আগে যাচাই করা হবে।
তবে, বিশাল সংখ্যক শিক্ষকদের সনদ কোন পদ্ধতিতে যাচাই করা হবে তা এখনও ঠিক করতে পারেনি দপ্তর।
জানতে চাইলে ডিপিই প্রশাসন শাখার উপপরিচালক (তদন্ত ও শৃঙ্খলা) ড. নাছিমা বেগম বলেন, ‘বেশকিছু শিক্ষকের বিএড ও একাডেমিক সনদ জাল প্রমাণ পাওয়ার পর সারাদেশের জেলা শিক্ষা কর্মকর্তাদের সনদ যাচাইয়ের জন্য চিঠি দিয়েছি। প্রথম ধাপে বিএড বা সমতুল্য সনদগুলো সংগ্রহ করে তা অধিদপ্তরে পাঠাতে বলা হয়েছে।’ এর মধ্যে কোন সনদ জাল, তা কীভাবে চিহ্নিত করবেনÍ এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, ‘সনদ প্রদানকারী কর্তৃপক্ষের কাছে চিঠি দিয়ে এর সত্যতা যাচাই করা হবে।’
মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিক পর্যায়ে কাজটি করেন শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের পরিদর্শন ও নিরীক্ষা অধিদপ্তর (ডিআইএ)। এ দপ্তরের কর্মকর্তারা বলেন, জাল সনদ চিহ্নিত করা খুবই জটিল কাজ। কারণ, যে প্রতিষ্ঠান তার সনদ ইস্যু করেছে তারা কখনই জাল বলবে না। এজন্য বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশনসহ আরও কিছু সংস্থার সহযোগিতা নিয়ে তা চিহ্নিত করতে হয়। এ সক্ষমতা ডিপিই’র আছে কি না, তা নিয়ে যথেষ্ট সন্দেহ আছে। তারপরও এ উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে, এ কারণে তাদের সাধুবাদ জানাই।
ডিআইএ’র এক পরিদর্শক বলেন, মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিক স্তরে প্রতিষ্ঠান পরিদর্শনের সময় সব শিক্ষকের সনদ সংগ্রহ করে আনা হয়। প্রাথমিক যাচাইয়ের পর কারও সনদ সন্দেহ হলে তা নিয়ন্ত্রণকারী সংস্থা ইউজিসি ও সনদ প্রদানকারী কর্তৃপক্ষের কাছে পাঠানো হয়। দুই জায়গা থেকে যাচাই হলে প্রকৃত তথ্যটি পাওয়া যায়। একপক্ষীয় যাচাইয়ে কখনও প্রকৃত তথ্য আসে না বলেও জানান তিনি।
গত ২২ মার্চ ডিপিই উপপরিচালক ড. নাছিমা বেগম সারাদেশের জেলা শিক্ষা অফিসারদের কাছে পাঠানো এক চিঠিতে উল্লেখ করেন, ২০১৩ সাল এবং এরপর বিভিন্ন ধাপে জাতীয়করণ হওয়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষক যারা উন্মুক্ত বিশ্ববিদ্যালয়, বিভিন্ন বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয় থেকে বিএড/সিএড, সিইনএড সনদ নিয়েছেন, তাদের কেউ কেউ জাল সনদ গ্রহণ করেছেন। এ সনদ দিয়ে প্রশিক্ষণপ্রাপ্ত স্কেলের বেতন-ভাতাদি গ্রহণ করছেন। এতে সারাদেশে প্রাথমিক শিক্ষার ভাবমর্যাদা ক্ষুণœ হওয়ার আশঙ্কা দেখা দিয়েছে। বিভিন্ন মাধ্যম থেকে আরও জানা যায় যে দেশব্যাপী এ জাল সনদ প্রদানে বিভিন্ন সিন্ডিকেট রয়েছে।
এক্ষেত্রে সারাদেশের জাতীয়করণ করা শিক্ষকদের সনদ যাচাইয়ে আপনার আওতাধীন সব উপজেলা শিক্ষা অফিসারকে জাতীয়করণ করা শিক্ষকদের সনদের সত্যায়িত কপি আগামী ১৫ এপ্রিলের মধ্যে ডিপিই উপপরিচালক, তদন্ত ও শৃঙ্খলা শাখায় পাঠাতে অনুরোধ করা গেল।
প্রমাণ মিললে মিলবে যেসব শাস্তি:
কোনো শিক্ষকের বিরুদ্ধে জাল সনদে চাকরি বা উচ্চতর গ্রেড নেওয়ার প্রমাণ মিললে দুই ধরনের শাস্তির বিধান রয়েছে। চাকরিতে প্রবেশের যোগ্যতা হিসেবে যেসব সনদ প্রয়োজন হয় যেমন- স্নাতক সনদ, এগুলো জাল প্রমাণিত হলে তাকে চাকরিচ্যুত করার বিধান রয়েছে। এক্ষেত্রে প্রথমে তাকে কারণ দর্শানোর নোটিশ দেওয়ার পর বিভাগীয় মামলা হবে। এসব প্রক্রিয়া শেষ করতে দীর্ঘসময় লেগে যায়।
অন্যদিকে, চাকরিতে উচ্চতর গ্রেডে যাওয়ার জন্য বিএড বা সমজাতীয় সনদের প্রয়োজন হয়। এসব সনদ জাল প্রমাণিত হলে দুই ধরনের শাস্তি দিতে পারে প্রশাসন। প্রথমত, সনদের বিপরীতে যে পরিমাণ অর্থ গ্রহণ করেছেন তা রাষ্ট্রীয় কোষাগারে জমা দেওয়া এবং দ্বিতীয়ত, তাকে চাকরিচ্যুত করা। এক্ষেত্রে অতিরিক্ত অর্থ ফেরত নেওয়ার শাস্তিটি বেশি প্রয়োগ করা হয় বলে প্রশাসন শাখার কর্মকর্তারা বলছেন।
এ সম্পর্কিত আরো সংবাদ
-
মেক্সিকোতে ভূমিধসে ৯ জনের মৃত্যু
১৯ সেপ্টেম্বর, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল খমীছ (বৃহস্পতিবার) -
সারাদেশে নার্সিং ও মিডওয়াইফারি সংস্কার চেয়ে আলটিমেটাম
১৯ সেপ্টেম্বর, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল খমীছ (বৃহস্পতিবার) -
‘ভুয়া’ পে অর্ডার দিয়েছিলো এস আলমের দুই পুত্র
১৯ সেপ্টেম্বর, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল খমীছ (বৃহস্পতিবার) -
ট্রাফিক আইন অমান্য করায় একদিনে ২৯২ মামলা
১৯ সেপ্টেম্বর, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল খমীছ (বৃহস্পতিবার) -
ফ্যাসিবাদে জড়িত কবি, সাহিত্যিক, সাংবাদিকদের বিচারের আওতায় আনা হবে -তথ্য উপদেষ্টা
১৯ সেপ্টেম্বর, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল খমীছ (বৃহস্পতিবার) -
অন্তর্বর্তী সরকারকে সব সংস্কার করতে হবে কেন -নজরুল
১৯ সেপ্টেম্বর, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল খমীছ (বৃহস্পতিবার) -
সেনাবাহিনীকে ম্যাজিস্ট্রেসি ক্ষমতা, যা বললেন জনপ্রশাসন সচিব
১৯ সেপ্টেম্বর, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল খমীছ (বৃহস্পতিবার) -
আ.লীগের মতো আচরণ করলে আমাদের পরিণতিও একই হবে -ফখরুল
১৯ সেপ্টেম্বর, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল খমীছ (বৃহস্পতিবার) -
অনুপস্থিত পুলিশ সদস্যদের চাকরিতে যোগদান করতে দেয়া হবে না -স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা
১৯ সেপ্টেম্বর, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল খমীছ (বৃহস্পতিবার) -
দেশ ছেড়েছে আওয়ামী লীগের অনেকেই
১৯ সেপ্টেম্বর, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল খমীছ (বৃহস্পতিবার) -
কর্মী নিচ্ছে মালয়েশিয়া, বাংলাদেশিদের বড় সুযোগ
১৯ সেপ্টেম্বর, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল খমীছ (বৃহস্পতিবার) -
রপ্তানি নেই, তবু ইলিশের দাম কমছে না কেন?
১৯ সেপ্টেম্বর, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল খমীছ (বৃহস্পতিবার)