লাখ লাখ কোটি টাকা গচ্চা দিয়ে কুইন্টাল বিদ্যুৎকেন্দ্র আর ২৭ হাজার মেগাওয়াট বিদ্যুৎ উৎপাদন সক্ষমতার পরও গ্রামাঞ্চলে ১০-১৬ ঘন্টা লোডশেডিং আলোর ফেরিওয়ালার প্রচারণার পরিবর্তে বাস্তবে মিথ্যার কালো পাহাড়কেই প্রতিভাত করছে
, ০১ মুহররমুল হারাম শরীফ, ১৪৪৬ হিজরী সন, ১০ ছানী, ১৩৯২ শামসী সন , ০৮ জুলাই, ২০২৪ খ্রি:, ২৪ আষাঢ়, ১৪৩১ ফসলী সন, ইয়াওমুল ইছনাইনিল আযীম (সোমবার) সম্পাদকীয়
সব প্রশংসা মুবারক খালিক্ব মালিক রব মহান আল্লাহ পাক উনার জন্য; যিনি সকল সার্বভৌম ক্ষমতার মালিক। সাইয়্যিদুল মুরসালীন, ইমামুল মুরসালীন, নবী আলাইহিমুস সালাম উনাদের নবী, রসূল আলাইহিমুস সালাম উনাদের রসূল, নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার প্রতি অফুরন্ত দুরূদ শরীফ ও সালাম মুবারক।
প্রতিবেদন অনুযায়ী, বাংলাদেশ পল্লী বিদ্যুতায়ন বোর্ড চাহিদার তুলনায় ৩০ শতাংশ কম বিদ্যুৎ পাওয়ায় জুন-জুলাই মাসে দিনে ৮-১০ ঘণ্টা পর্যন্ত লোডশেডিং দিয়েছে, বিশেষ করে গ্রামে। এতে সাধারণ মানুষের, বিশেষ করে গ্রামাঞ্চলের মানুষের দৈনন্দিন জীবনে ব্যাপক প্রভাব পড়েছে।
শহরের তুলনায় গ্রামে লোডশেডিং অনেক বেশি দেওয়া হচ্ছে। এর বহুবিধ কারণও রয়েছে। শহরে গুরুত্বপূর্ণ মানুষদের আবাসন, শিল্পকারখানা, বড় বড় অফিস-আদালত-তাই শহরে বিদ্যুৎ সরবরাহও বেশি। বড় শহরের কোনো একটি অংশে কয়েক ঘণ্টা বিদ্যুৎ না থাকলে বিদ্যুৎ সরবরাহ অফিসে অনেক জায়গা থেকে ফোন আসে। সরকার দলীয় নেতারাও এসব অফিসে ফোন করেন দ্রুত বিদ্যুৎ দেওয়াও তাগাদা দিতে। অনেক সময় মানুষ প্রতিবাদে রাস্তায় নেমে আসেন, বিদ্যুৎ অফিসে হামলার ঘটনাও ঘটে।
বিপরীতে, গ্রামে লোডশেডিং হলে এমন কিছু হয় না। বরং তারা বিদ্যুৎ আসার অপেক্ষায় থাকেন। বিকল্প ব্যবস্থা না থাকায় শহরের তুলনায় গ্রামে লোডশেডিংয়ে দুর্ভোগ অনেক বেশি হয়। বিদ্যুতের বিকল্প হিসেবে শহরের বেশিরভাগ অফিস-আদালত, শিল্পকারখানা, আবাসিক এলাকা, বাড়িতে জেনারেটর কিংবা আইপিএস থাকে। কিন্তু গ্রামের বেশিরভাগ বাড়িতে এসব নেই। কারণ, এসব বিকল্প ব্যবস্থা করার সামর্থ্য বেশিরভাগ মানুষের নেই।
বিদ্যুতে দেশ স্বয়ংসম্পূর্ণতা অর্জন করেছে, ঘরে ঘরে বিদ্যুৎ পৌঁছে দিয়েছে তথা আলোর ফেরীওয়ালা সরকার- ইত্যাকার অনেক কথাই বলা হয়েছে। এসব কথা অন্তঃসারশূন্যতায় পর্যবসিত হয়েছে। বিদ্যুতের সংকট থেকে গ্রাহকরা কখনোই মুক্ত হতে পারেনি। কমবেশি লোড শেডিংয়ের শিকার তাদের হতেই হয়েছে। আলোর ফেরিওয়ালা সরকার এখন গ্রামের জনগণের কাছে অন্ধকার কালো পাহাড় হিসেবে পর্যবশিত হয়েছে। সব মিলে বিদ্যুতের সংস্থান আগের তুলনায় তিন-চারগুণ বাড়লেও তা গ্রাহক চাহিদা মেটাতে সক্ষম হচ্ছে না। সরকারি পরিসংখ্যান মতে, বিদ্যুৎ উৎপাদনের সক্ষমতা ২৭ হাজার মেগাওয়াটের ওপরে দাঁড়িয়েছে। এখন দৈনিক চাহিদা ১৫ থেকে ১৬ হাজার মেগাওয়াট। এর বিপরীতে উৎপাদিত হচ্ছে ১৩ থেকে ১৪ হাজার মেগাওয়াট। ফলে কমবেশি ৩ হাজার মেগাওয়াট ঘাটতি থাকছে। লোড শেডিংয়ের মাধ্যমে এই ঘাটতি মোকাবিলা করা হচ্ছে।
বিদ্যুৎ কর্তৃপক্ষ লোড ম্যানেজমেন্টের যে নীতি অবলম্বন করেছে বলে প্রতীয়মান হয়, তা হলো, রাজধানীসহ বড় শহরগুলোতে বিদ্যুৎ সরবরাহ যতটা সম্ভব স্বাভাবিক রেখে গ্রামে যথেচ্ছ লোড শেডিং করা। সেটাই হচ্ছে। এই বিষম লোড ম্যানেজমেন্টের বিরূপ প্রভাব পড়ছে মারাত্মকভাবে। মধ্য আষাঢ় পার হয়ে গেলেও দেশের কোথাও কোথাও বৃষ্টির দেখা নেই। সেই সঙ্গে অসহনীয় গরম। মানুষ চিন্তিত। আমনের আবাদ ক্ষতিগ্রস্ত হতে পারে পানির অভাবে। সেচ দিতে হলে উৎপাদন ব্যয় বাড়বে। গ্রামে অনেক ছোটখাটো শিল্পকারখানা, খামার ও ব্যবসা প্রতিষ্ঠান গড়ে উঠেছে। বিদ্যুতের অভাবে সে সব ব্যাপকভাবে ক্ষতির শিকার হচ্ছে। বিদ্যুতের অনিয়মিত আসা-যাওয়া ও ভোল্টজের রকমফেরে গ্রামের স্বল্প আয়ের মানুষের কষ্টে-সৃষ্টে কেনা ইলেক্ট্রনিক সামগ্রী নষ্ট হয়ে যাচ্ছে। দ্বিতীয়বার কেনা তাদের অনেকের পক্ষেই হয়তো সম্ভব হবে না। বলার অপেক্ষা রাখে না, গ্রামীণ অর্থনীতি জাতীয় অর্থনীতির সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ অংশ। এ মুহূর্তে গ্রামে ব্যাপক কর্মবিস্তার ও আয়বর্ধক উদ্যোগ অপরিহার্য। তখন বিদ্যুতের সংকট ও লোড শেডিং অত্যন্ত দুর্ভাগ্যজনক। বিদ্যুৎ নিয়ে বিভিন্ন মহলের প্রতিক্রিয়ার প্রেক্ষাপটে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা জাতীয় সংসদে বাজেট অধিবেশনের সমাপনীভাষণে বলেছেন, আমি বলে দিয়েছি, গ্রামে লোড শেডিং যেন না দেয়। গুলশান, বনানী, বারিধারা-এসব বড় লোকেদের এলাকায় ২ হাজার মেগাওয়াট লোড শেডিং দিয়ে তাদের মনে করিয়ে দিতে হবে, এয়ারকন্ডিশন, গাড়ি ইত্যাদি আরাম-আয়েশ আসমান থেকে পড়েনি।
পর্যবেক্ষক মহল মনে করে, লোড শেডিং গ্রামে না দিয়ে রাজধানীর বড় লোকের এলাকায় দিলেই সমস্যার সমাধান হয়ে যাবে না। সমাধান হলো বিদ্যুৎ আমদানির নামে, আদানির বিদ্যুতের নামে, কুইক রেন্টালের নামে মহা লুট বন্ধ হওয়া এবং উৎপাদিত বিদ্যুৎ যথাযথ বিতরণ করা।
ছহিবে সাইয়্যিদি সাইয়্যিদিল আ’ইয়াদ শরীফ, রাজারবাগ শরীফ উনার মামদূহ মুর্র্শিদ ক্বিবলা সাইয়্যিদুনা হযরত সুলত্বানুন নাছীর আলাইহিস সালাম উনার নেক ছোহবত মুবারক-এ কেবলমাত্র তা লাভ করা সম্ভব। খালিক্ব মালিক রব মহান আল্লাহ পাক তিনি আমাদেরকে তা নছীব করুন। আমীন!
এ সম্পর্কিত আরো সংবাদ
-
বাজারে বিদেশী পণ্যের আধিপত্য। সরকারের উচিত বাজারে শত ভাগ দেশীয় পণ্যের নিয়ন্ত্রণ নিশ্চিত করা।
০৬ অক্টোবর, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল আহাদ (রোববার) -
জনসংখ্যা বোঝা নয় বরং জনসম্পদ জনশক্তিকে আরও দক্ষ করতে হবে।
০৬ অক্টোবর, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল আহাদ (রোববার) -
প্রশিক্ষিত শিক্ষকের অভাবে দেশের শিক্ষার্থীরা বিষয়ভিত্তিক দুর্বলই থেকে যাচ্ছে। দেশের শিক্ষক সমাজকে অপ্রশিক্ষিত রেখে সরকারের শিক্ষার উন্নয়নের কর্মপরিকল্পনা কখনই সফল হবেনা।
০৫ অক্টোবর, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুছ সাবত (শনিবার) -
দেশের প্রায় ৬০ ভাগ শিশুদের পুষ্টিহীনতা ও রক্তশূন্যতা ক্রমান্বয়ে বাড়ছে। শিশুদের পুষ্টি সুরক্ষায় সরকারকে সক্রিয় হতে হবে।
০৫ অক্টোবর, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুছ সাবত (শনিবার) -
শুধু শস্য উৎপাদন নয় শস্য বহুমুখীকরণের উপর বিশেষ জোর দিতে হবে
০৪ অক্টোবর, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল জুমুয়াহ (শুক্রবার) -
উন্নয়নের জোয়ারের প্রচারনার বিপরীতে অল্প বয়সী বিধবা, স্বামী পরিত্যক্তা, তালাক্বপ্রাপ্তা লাখো-কোটি মহিলা মানবেতর জীবন-যাপন করছে। দেশের অসহায় মহিলাদের প্রতি সরকারের বিশেষ হস্তক্ষেপ একান্ত জরুরী।
০৪ অক্টোবর, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল জুমুয়াহ (শুক্রবার) -
প্রসঙ্গ: রাষ্ট্রদ্বীন ইসলাম মুসলমানের দ্বীনি অধিকার, পবিত্র দ্বীন ইসলাম পালনে আবহ এবং রাষ্ট্রযন্ত্রের দায়
০৩ অক্টোবর, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল খমীছ (বৃহস্পতিবার) -
উন্নয়নের প্রচারণার বিপরীতে অতি উচ্চ ঋণ গ্রহণের তথ্যই বাস্তব সত্যি মাথাপিছু ঋণ দেড় লাখ টাকা- জনগণ নিজেদের ঋণী হিসেবে দেখতে চায় না
০৩ অক্টোবর, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল খমীছ (বৃহস্পতিবার) -
আজ সাইয়্যিদু সাইয়্যিদিশ শুহূরিল আ’যম শরীফ, মহাসম্মানিত মহাপবিত্র ২৮ রবীউল আউওয়াল শরীফ সাইয়্যিদাতু নিসায়িল আলামীন, হযরত উম্মুল মু’মিনীন আত তাসিয়াহ আলাইহাস সালাম উনার পবিত্র বিলাদতী শান মুবারক প্রকাশ দিবস। সুবহানাল্লাহ!
০২ অক্টোবর, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল আরবিয়া (বুধবার) -
আজ সাইয়্যিদু সাইয়্যিদিশ শুহূরিল আ’যম শরীফ, মহাসম্মানিত মহাপবিত্র রবীউল আউওয়াল শরীফ উনার ২৭ তারিখ। যা সাইয়্যিদাতুনা হযরত উম্মুল মু’মিনীন আল খ্বমিসাহ আলাইহাস সালাম উনার মহাপবিত্র বিছালী শান মুবারক প্রকাশ দিবস। সুবহানাল্লাহ!
০১ অক্টোবর, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুছ ছুলাছা (মঙ্গলবার) -
দেশের ফসলী জমিতে কমছে জৈবসারের ব্যবহার, বাড়ছে রাসায়নিক সার। সরকারের উচিত আইন করে জৈবসার ব্যবহার ও জৈবসারের জন্য প্রয়োজনীয় ভর্তুকি-প্রণোদনা প্রদান করা।
৩০ সেপ্টেম্বর, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল ইছনাইনিল আযীম (সোমবার) -
শিক্ষার্থীদের মাঝে ব্যাপক আত্মহত্যা প্রবনতারোধে সরকারকে কার্যকরী পদক্ষেপ নিতে হবে
৩০ সেপ্টেম্বর, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল ইছনাইনিল আযীম (সোমবার)