রূপপুর পারমাণবিক বিদ্যুৎ প্রকল্পের গ্রোয়েনে বাধা, নতুন গতিপথে পদ্মার ভয়াল আগ্রাসন
, ২৩ রবীউছ ছানী শরীফ, ১৪৪৬ হিজরী সন, ২৯ খ্বমিস , ১৩৯২ শামসী সন , ২৭ অক্টোবর , ২০২৪ খ্রি:, ১১ কার্তিক, ১৪৩১ ফসলী সন, ইয়াওমুল আহাদ (রোববার) দেশের খবর
রূপপুর পারমাণবিক বিদ্যুৎ প্রকল্পের গ্রোয়েনে বাধা পেয়ে নতুন গতিপথের সন্ধানে পদ্মার ভয়াল আগ্রাসনে ভাঙছে নদীর ডান পাড়, ফলে বর্তমানে বিপন্ন হয়ে পড়েছে ওই জনপদ। ইতোমধ্যে সরকারি বেসরকারি জনগুরুত্বপূর্ণ স্থাপনা ও অবকাঠামো বিলীন হয়েছে পদ্মায়। পদ্মার ডানপাড়স্থ কুষ্টিয়া মিরপুর উপজেলার বহলবাড়িয়া ও তালবাড়িয়া দুই ইউনিয়নের ৭ কিলোমিটার এলাকায় প্রবল ভাঙনে কৃষিজমি, বাড়িঘর, শিক্ষা প্রতিষ্ঠান বিলীন হয়েছে ইতোমধ্যে।
স¤প্রতি জাতীয় বিদ্যুৎ সঞ্চালন লাইনের কয়েকটি টাওয়ার ভেঙে পড়েছে নদীতে। এছাড়া উত্তরবঙ্গ ও দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলের ২১ জেলার সঙ্গে সংযুক্ত একমাত্র মহাসড়কটিও চরম ঝুঁকিতে। ক্ষতিগ্রস্ত এলাকাবাসীর দাবি অবিলম্বে এই ভাঙন ঠেকাতে স্থায়ী তীররক্ষা বাঁধ নির্মাণ প্রকল্প বাস্তবায়নসহ মনুষ্যসৃষ্ট এই বিপর্যয়ের জন্য দায়ী কথিত বিশেষজ্ঞদের জবাবদিহিতার আওতায় নিয়ে আসার দাবিও তাদের।
তবে সংশ্লিষ্ট পানি উন্নয়ন বোর্ড বলছে, নদীর পানি কমার সঙ্গে সঙ্গেই প্রকল্প বাস্তবায়নে ঠিকাদার প্রতিষ্ঠান কাজ শুরু করবে।
খোঁজ নিয়ে জানা যায়, বাংলাদেশ পানি উন্নয়ন বোর্ডের সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাদের অদূরদর্শী, অবহেলা ও অদক্ষতায় দেশের অন্যতম বৃহত্তম পদ্মা নদীর গতিপথ পরিবর্তনের ঘটনা ঘটেছে। এর ফলে নদীর ডান পাড়ের এলাকায় পরিবেশ বিপর্যয়সহ গোটা জনপদ চরম ঝুঁকির মুখে দাঁড়িয়েছে।
হার্ডিঞ্জ রেলসেতু ও লালন শাহ সড়ক সেতুর লাগোয়া ভাটিতে রূপপুর পারমাণবিক বিদ্যুৎকেন্দ্র প্রকল্পের পোর্ট নির্মাণে পদ্মা নদীর বাম তীর থেকে মূল প্রবাহ চ্যানেলের মধ্যে প্রায় ৫শ মিটার দৈর্ঘ্যের গ্রোয়েন (বাঁধ) নির্মাণের কারণে নদী হারিয়েছে প্রকৃত গতিপথ। এতে পদ্মা নদীর ডান তীরে দেখা দেয় তীব্র ভাঙন।
বাংলাদেশ পানি উন্নয়ন বোর্ড কুষ্টিয়া কর্তৃপক্ষের দাবি, রূপপুর গ্রোয়েনের কারণে পদ্মা নদীর ডান তীরে সৃষ্ট ভাঙন এলাকার সুরক্ষা বা তীর রক্ষায় প্রায় ৯ কিলোমিটার দৈর্ঘ্যের অনুমোদিত উন্নয়ন প্রস্তাবনা বাস্তবায়নে দরপত্র প্রক্রিয়া ও কার্যচুক্তি পূর্ব কার্যক্রম চলছে। তবে অনুমোদিত প্রকল্প এলাকা বহির্ভূত উজানে আরও প্রায় ৫ কিলোমিটার এলাকায় আবার নতুন করে ভাঙন দেখা দিয়েছে।
পানি উন্নয়ন বোর্ড কুষ্টিয়া নির্বাহী প্রকৌশলী রাশিদুর রহমান জানান, পদ্মার ডান তীরের এই অংশে পুরো স্রোত প্রবাহিত হচ্ছে এবং ঘুর্ণনের ফলে ভাঙন দেখা দিচ্ছে। ইতোমধ্যে আমরা ভাঙন রোধে জিও এবং টিউব দিয়ে প্রাথমিক ভাঙন রোধে চেষ্টা করছি। স্রোত ও গভীরতা বেশি হওয়ায় জিও বস্তা ও টিউব দিয়ে ভাঙন রোধ দুরূহ হচ্ছে।
১২ (ছবি
ড্রাগনের ক্ষেতে মড়ক, আতঙ্কে গাছ কাটছেন চাষিরা
ঝিনাইদহ সংবাদদাতা:
‘ড্রাগন ফলের রাজধানী’ হিসেবে পরিচিত ঝিনাইদহে মড়ক লেগে উজাড় হচ্ছে ড্রাগন ফলের ক্ষেত। কোনোভাবেই এ রোগ নিয়ন্ত্রণে আনতে পারছেন না চাষিরা। নামি-দামি কোম্পানির ছত্রাক ও ব্যাকটেরিয়ানাশক ব্যবহার করেও প্রতিকার না পাওয়ায় অনেকে গাছ কেটে ফেলছেন। মড়ক আতঙ্কে দুশ্চিন্তায় রয়েছেন তারা।
জানা গেছে, জেলায় প্রায় দুই হাজার হেক্টর জমিতে ড্রাগন ফলের চাষ হচ্ছে। জেলাব্যাপী পাঁচ-ছয় হাজার চাষি ড্রাগন চাষ করেন এবং এর সঙ্গে প্রায় ২৫-৩০ হাজার মানুষ জড়িত আছেন। চাষিদের দেওয়া তথ্য মতে, প্রায় এক পঞ্চমাংশ জমির ড্রাগন গাছ মারাত্মক মড়ক রোগে আক্রান্ত হয়েছে এবং নিরাময় করতে না পারায় কমপক্ষে ৫০ বিঘা জমির গাছ ইতোমধ্যে কেটে ফেলা হয়েছে।
জেলার কালীগঞ্জ উপজেলার ত্রিলোচনপুর ইউনিয়নের চাষি কুতুব উদ্দিন জানান, তিনি রোগ প্রতিরোধ ও প্রতিকারে সব ধরনের ছত্রাকনাশক, কীটনাশক, ব্যাকটেরিয়া নাশক ও মাকড়নাশক ব্যবহার করেও প্রতিকার পাননি। তাই প্রায় দুই বিঘা জমির ড্রাগন গাছ কেটে ফেলেছেন। একই উপজেলার বালিয়াডাঙ্গা গ্রামের আমিরুল ইসলাম ১৫ কাঠা জমির গাছ কেটে ফেলেছেন।
ক্ষতিগ্রস্ত চাষিদের অধিকাংশের অভিযোগ, এ ব্যাপারে কৃষি অফিসের কার্যকর কোনও পরামর্শ পাচ্ছেন না। তাই নিরুপায় হয়ে বিভিন্ন চাষির পরামর্শে হাজার হাজার টাকার ওষুধ প্রয়োগ করে আর্থিকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছেন এবং শেষে তারা গাছ কেটে ফেলার সিদ্ধান্ত নিচ্ছেন।
এ ব্যাপারে কথা হয় ঝিনাইদহ ড্রাগন চাষি কল্যাণ সমিতির সেক্রেটারি আহসানুল ইসলাম ডনের সঙ্গে। তিনি জানান, এরকম সমস্যায় গত বছর তিনিও পড়েছিলেন। তিনি বিভিন্ন ছত্রাকনাশক ও ওষুধ প্রয়োগ করে উপকৃত হয়েছিলেন বলে জানান।
কালীগঞ্জ উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা মাহবুব আলম রনি বলেন, ‘নতুন এ রোগ গত বছর থেকে ড্রাগনে ছড়িয়েছে। আমরা বাগান পরিদর্শন করে পরামর্শ দিচ্ছি। এতে ভালো কাজ হচ্ছে। তাই চাষিদের গাছ না কাটার অনুরোধ করছি।’
এ ব্যাপারে ঝিনাইদহ কৃষি স¤প্রসারণ অধিদফতরের উপপরিচালক ষষ্টি চন্দ্র রায় জানায়, ড্রাগনের গাছ কেটে ফেলা হচ্ছে এমন তথ্য তার কাছে নেই। বাংলাদেশে ড্রাগন ফলের চাষ নতুন। বর্তমানে গাছে নতুন নতুন রোগবালাই হচ্ছে। তারা সাধ্যমতো চাষিদের পরামর্শ দিয়ে যাচ্ছেন।
এ সম্পর্কিত আরো সংবাদ
-
৯ দিনেও মুক্তি মেলেনি অপহৃত ৪ জেলের
২৩ নভেম্বর, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুছ সাবত (শনিবার) -
অফিস করেন না ৮১ মাস, নিচ্ছেন নিয়মিত বেতন ভাতা
২৩ নভেম্বর, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুছ সাবত (শনিবার) -
১৬ হাজার টাকার জন্য খুন হলেন মুদি দোকানি
২৩ নভেম্বর, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুছ সাবত (শনিবার) -
কুকুরের কামড়ে আহত শিশুসহ ৩২ জন
২৩ নভেম্বর, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুছ সাবত (শনিবার) -
ডেইলি স্টারের সামনে কর্মসূচি, বিপুল পুলিশ মোতায়েন
২৩ নভেম্বর, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুছ সাবত (শনিবার) -
জীবিত স্বামীকে মৃত দেখিয়ে শেখ হাসিনার বিরুদ্ধে হত্যা মামলা করা বাদী গ্রেফতার
২৩ নভেম্বর, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুছ সাবত (শনিবার) -
পাসপোর্ট কর্মকর্তার ‘বহুরূপী’ পাসপোর্ট
২৩ নভেম্বর, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুছ সাবত (শনিবার) -
ফ্রিজ করা অ্যাকাউন্টে ১৪ হাজার ৫০০ কোটি টাকা
২৩ নভেম্বর, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুছ সাবত (শনিবার) -
‘জাতির কাছে ক্ষমা চাইতে প্রস্তুত আ.লীগ’
২৩ নভেম্বর, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুছ সাবত (শনিবার) -
ফ্যাসিবাদ বারবার ফিরে আসবে, প্রতিহত করতে হবে -উপদেষ্টা আদিলুর
২৩ নভেম্বর, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুছ সাবত (শনিবার) -
ফ্যাসিবাদ বারবার ফিরে আসবে, প্রতিহত করতে হবে -উপদেষ্টা আদিলুর
২৩ নভেম্বর, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুছ সাবত (শনিবার) -
কোনো রাজনৈতিক দল নিষিদ্ধ চায় না জাতীয় পার্টি
২৩ নভেম্বর, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুছ সাবত (শনিবার)