রুপিতে ভারতের সঙ্গে লেনদেনে আগ্রহী নয় রাশিয়া কিন্তু বাংলাদেশ জুন থেকে ভারতের সঙ্গে রুপিতে লেনদেন শুরু করলে বাংলাদেশের ব্যবসায়ীরা ঝুঁকিতে পড়বে, জনগণ শোষিত হবে, রুপীতেই লেনদেনে বাধ্য হয়ে বিপর্যস্ত হবে সার্বভৌমত্ব।
এ চুক্তি মুক্তিযুদ্ধের চেতনার খেলাফ সরকারকে অবিলম্বে এ আত্মঘাতী প্রক্রিয়া থেকে সরে আসতে হবে। জনগণকে প্রতিহত করতে হবে ইনশাআল্লাহ।
, ১৭ শাওওয়াল শরীফ, ১৪৪৪ হিজরী সন, ০৮ ছানী ‘আশির, ১৩৯০ শামসী সন , ০৮ মে, ২০২৩ খ্রি:, ২৫ বৈশাখ, ১৪৩০ ফসলী সন, ইয়াওমুল ইছনাইনিল আযীম (সোমবার) সম্পাদকীয়
সব প্রশংসা মুবারক খালিক্ব মালিক রব মহান আল্লাহ পাক উনার জন্য; যিনি সকল সার্বভৌম ক্ষমতার মালিক। সাইয়্যিদুল মুরসালীন, ইমামুল মুরসালীন, নবী আলাইহিমুস সালাম উনাদের নবী, রসূল আলাইহিমুস সালাম উনাদের রসূল, নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার প্রতি অফুরন্ত দুরূদ শরীফ ও সালাম মুবারক।
বাংলাদেশ ব্যাংকের তথ্যানুযায়ী, বাংলাদেশ থেকে ভারতে রপ্তানির পরিমাণ প্রায় দুই বিলিয়ন ডলার। এর বিপরীতে বাংলাদেশ ভারত থেকে পণ্য আমদানি করেছে ১৩.৬৯ বিলিয়ন ডলারের। দুই বিলিয়ন ডলারের যে রপ্তানি করছে বাংলাদেশ, সে পরিমাণ বাণিজ্য ভারতীয় মুদ্রায় করার কথা ভাবা হচ্ছে। ফলে বাংলাদেশকে আমদানি মূল্যের বাকি অংশ আমদানি ব্যয় আগের মতো মার্কিন ডলারে পরিশোধ করতে হবে।
সূত্র জানায়, এই সিদ্ধান্ত কার্যকরের জন্য ভারতীয় স্টেট ব্যাংক অব ইন্ডিয়া ও আইসিআইসিআই ব্যাংকে লেনদেন হিসাব খোলার প্রক্রিয়া শুরু করেছে সোনালী ব্যাংক ও ইস্টার্ন ব্যাংক। একইভাবে বাংলাদেশের এ দুটি ব্যাংকে হিসাব খুলছে ভারতীয় দুই ব্যাংক।
বাংলাদেশ ব্যাংক জানিয়েছে, ব্যাংকগুলো রুপিতে এলসি করতে চাইলে বাংলাদেশ ব্যাংক তাতে অনুমতি দেবে। বাংলাদেশের কোনো ব্যবসায়ী আমদানি বা রপ্তানির ক্ষেত্রে রুপিতে এলসি খুলতে চাইলে তা করতে পারবেন।
প্রক্রিয়াগত কাজ শেষ করে জুন মাস থেকে টাকা ও রুপিতে এই লেনদেন শুরু করা হবে। তৃতীয় কোনো মুদ্রার সংশ্লিষ্টতা ছাড়া সরাসরি টাকা ও রুপি ব্যবহার করে আমদানি-রপ্তানির মূল্য বিনিময় করবে দুই দেশ।
বিশ্লেষকদের মত, বাংলাদেশ ও ভারতের মধ্যে বড় ধরণের বাণিজ্য ঘাটতি থাকায় রুপিতে লেনদেনে বাংলাদেশ ঝুঁকিতে পড়তে পারে।
রুপি যেহেতু বৈশ্বিক মুদ্রা হিসেবে স্বীকৃত না এ কারণে ডলারের বিপরীতে ভারতীয় মুদ্রার দর ঘন ঘন ওঠানামা করবে যা প্রভাব পড়বে বাংলাদেশের সাথে লেনদেনে।
ভারতে এমন অনেক পণ্য আছে যার কাঁচামাল তাকে ডলারে অন্য দেশ থেকে আমদানি করতে হয়। ওই ধরণের পণ্য বাংলাদেশে রপ্তানি করতে গেলে রপ্তানিকারকরা বেশি দাম নির্ধারণ করতে পারে।
এতে বাংলাদেশের ব্যবসায়ীদের জন্য এই লেনদেন ঝুঁকিপূর্ণ হয়ে উঠবে।
ফলে ডলার সংকটের কারণে যে উদ্দেশ্যে ভারতীয় মুদ্রায় লেনদেনের কথা বলা হচ্ছে সেটি দিনশেষে বাংলাদেশের ব্যবসায়ীদের জন্য লাভের পরিবর্তে বিশেষ ক্ষতির কারণ হয়ে দাঁড়ায়।
এছাড়া একবার রূপি-টাকায় লেনদেনে গেলে এক পর্যায়ে সেটি একপক্ষীয় মুদ্রা বা রূপি-ভিত্তিক বিনিময় কাঠামোয় উপনীত হতে পারে বলেও আশঙ্কা অভিজ্ঞমহলের।
আর এমনটা হলে বাংলাদেশের ওপর অধিক হারে ভারতীয় মুদ্রা ব্যবহারের চাপ তৈরি হবে।
বাণিজ্যিক ঘাটতি থাকা অবস্থায় লেনদেনে গেলে ভারতের ওপর নির্ভরশীলতা বেড়ে যেতে পারে। বাংলাদেশে যেহেতু চাহিদা মাত্র ১২ থেকে ১৩ শতাংশ রুপি আছে। সেক্ষেত্রে ভারত থেকে ঋণ করে কিংবা অন্যদেশের সাথে বাণিজ্য কমিয়ে অথবা ডলারকে রুপিতে রূপান্তর করে ওই বাণিজ্য অব্যাহত রাখার প্রবণতা দেখা যাবে। তখন দেখা যাবে ভারত থেকে ঋণের সুদের চাপ থাকবে আবার ডলার ভাঙালে লোকসান হবে।
অভিজ্ঞমহল আরো আশঙ্কা করছেন, যদি রুপি-টাকায় লেনদেন একবার শুরু হয় তাহলে এটি শুধুমাত্র স্থানীয় পণ্যের বাণিজ্যের ক্ষেত্রে সীমাবদ্ধ থাকবে না বরং বিভিন্ন সেবামূলক বাণিজ্য যেমন ভ্রমণ, চিকিৎসা, শিক্ষা ইত্যাদি ক্ষেত্রেও ছড়িয়ে পড়বে, যা বাংলাদেশকে ঝুঁকিতে ফেলবে।
নিজস্ব মুদ্রা রুপিতে রাশিয়ার সঙ্গে বাণিজ্য করার আগ্রহ প্রকাশ করেছিল ভারত। এ নিয়ে মস্কোর সঙ্গে আলোচনাও করেছিল দিল্লি। তবে রাশিয়া আগ্রহী না হওয়ায় দুই দেশ এ নিয়ে আলোচনা বন্ধ করে দিয়েছে।
বিশ্বে রুপি পুরোপুরি বিনিময়যোগ্য নয়। বিশ্বব্যাপী যত পণ্য রপ্তানি হয় এরমধ্যে মাত্র ২ শতাংশ পণ্য হলো ভারতের। ফলে বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভে রুপি রাখার প্রয়োজন মনে করে না বেশিরভাগ দেশ।
সব চেষ্টার পরও রাশিয়া রুপিতে বাণিজ্য করতে আগ্রহী না হওয়ায় ভারত এখন এ আলোচনা বন্ধ করে দিয়েছে ভারতীয় কর্মকর্তা।
কিন্তু কথা হলো যে বিষয়ে রাশিয়া ভারতকে প্রত্যাখান করছে যে একই বিষয়ে রাশিয়ার চেয়েও অনেক বেশী ঝুকিপূর্ণ এবং আশঙ্কাজনক অবস্থানে থাকার পরেও বাংলাদেশ সরকার কেন এখনও স্পষ্টভাবে না করছে না। পর্যবেক্ষক মহল মনে করেন সরকারের কর্তাব্যক্তিদের সততা, স্বদেশের প্রতি মুহব্বত, দায়বদ্ধতার চরম অভাব রয়েছে। তাদের আমানতদারিতার ছিটেফোটা নেই। দেশের স্বার্থ বিরোধী কাজ করবে ব্যক্তি স্বার্থে লাভবান হতে তারা বিন্দুমাত্র কুন্ঠাবোধ করে না। অমুসলিম রাশিয়ার জনগণ ও সরকার তাদের স্বদেশের বিষয়ে সচেতন। অথচ মুসলিম দাবীদার হয়েও সে দায়িত্ববোধ সরকারের কর্তাব্যক্তিদের মধ্যে নেই। এসব কর্তাব্যক্তিরা মুক্তিযুদ্ধের চেতনার দাবীদার হতে পারে না। মুক্তিযুদ্ধের চেতনার, স্বাধীনতার পক্ষের শক্তি ও জনগণ এরুপ আত্মঘাতী ও সার্বভৌমত্ব বিপন্নকারী অর্থনৈতিক লেনদেনের প্রত্রিয়া বরদাশত করতে পারে না। মুক্তিযুদ্ধের পক্ষের সরকারকে এ বিষয়ে সক্রিয় তৎপর হতে হবে। ইনশাআল্লাহ।
ছহিবে সাইয়্যিদি সাইয়্যিদিল আ’ইয়াদ শরীফ, রাজারবাগ শরীফ উনার মামদূহ মুর্র্শিদ ক্বিবলা সাইয়্যিদুনা হযরত সুলত্বানুন নাছীর আলাইহিস সালাম উনার নেক ছোহবত মুবারক-এ কেবলমাত্র তা লাভ করা সম্ভব। খালিক্ব মালিক রব মহান আল্লাহ পাক তিনি আমাদেরকে তা নছীব করুন। (আমীন)
এ সম্পর্কিত আরো সংবাদ
-
খাবারে ঢুকছে প্লাস্টিক কণা, বিপর্যয়ের মুখে জনস্বাস্থ্য। স্থায়ী বিকলাঙ্গতা ও স্বাস্থ্যহানির শঙ্কায় দেশের জনগণ। বিষয়টি ভয়াবহ- সত্বর গুরুত্বের সাথে নজর দিন।
২২ ডিসেম্বর, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল আহাদ (রোববার) -
নাটক-সিনেমার মাধ্যমে মুসলিম প্রজন্মকে দ্বীন ইসলাম থেকে দূরে সরিয়ে দেয়া হচ্ছে। পরকালের কথা স্বরণ করে মুসলিম উম্মাহকে বিধর্মীদের এসব ষড়যন্ত্র থেকে বের হয়ে আসতে হবে।
২২ ডিসেম্বর, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল আহাদ (রোববার) -
গৎবাঁধা আবহে আবদ্ধ থাকার কারণে অতীতের মত বর্তমান সরকারও রপ্তানী বহুমুখীকরণের উদ্যোগ নিচ্ছে না। কেবলমাত্র খিলাফত আলা মিনহাজিন নুবুওওয়াহ্র পরিক্রমায় রপ্তানী বহুমূখীকরণের প্রজ্ঞা নেয়া সম্ভব ইনশাআল্লাহ।
২১ ডিসেম্বর, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুছ সাবত (শনিবার) -
বর্তমান সরকারের অরাজাকতায় মধ্যবিত্তরাও এখন পুষ্টি সঙ্কটে ভূগছে মহান আল্লাহ পাক উনার রহমতমূখী প্রবণতার অভাবই এর মূল কারণ কেবলমাত্র খিলাফত আলা মিনহাজিন নুবুওওয়াহ্র পরিক্রমায় খোদায়ী রহমতে সব কিছুতে সচ্ছলতা হাছিল সম্ভব ইনশাআল্লাহ
২১ ডিসেম্বর, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুছ সাবত (শনিবার) -
দেশের ১০ কোটিরও বেশী শীতার্ত দরিদ্র জনসাধারণের জন্য মাত্র ১৫ কোটি টাকার কম্বল বরাদ্দ করা চরম বৈষম্য এবং মানবাধিকার লঙ্ঘন পাশাপাশি বৈষম্য বিরোধী ছাত্র জনতার আন্দোলনের চেতনার সাথে চরম সাংঘর্ষিক খিলাফত আলা মিনহাজিন নুবুওওয়াহ্র চেতনা ও জজবা ধারণ করে এর অবসান ঘটাতে হবে ইনশাআল্লাহ
২০ ডিসেম্বর, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল জুমুয়াহ (শুক্রবার) -
ঢাকা শহরে ২ কোটি ভাড়াটিয়া বাড়ি ভাড়া বৃদ্ধির জুলুমে জর্জরিত তন্ত্র-মন্ত্রের সরকারের পর অন্তর্বর্তী সরকারও নীরব দর্শক কেবলমাত্র খিলাফত আলা মিনহাজিন নুবুওওয়াহ্র পরিক্রমায়ই বাড়ি ভাড়া বৃদ্ধির জুলুমবাজি বন্ধ হওয়া সম্ভব ইনশাআল্লাহ
২০ ডিসেম্বর, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল জুমুয়াহ (শুক্রবার) -
মহা ভুল পরিকল্পনার এবং মহা বিড়ম্বনার উড়াল সেতু বা ফ্লাইওভার নির্মাণেরও বিচার করতে হবে এবং শাস্তি দিতে হবে। কেবলমাত্র খিলাফত আলা মিনহাজিন নুবুওওয়াহ্র চেতনায়ই সঠিক পরিকল্পনা সম্ভব। সে পথেই চলতে হবে ইনশাআল্লাহ
১৯ ডিসেম্বর, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল খমীছ (বৃহস্পতিবার) -
নিজেদের ক্যাশিয়ারদের সুযোগ করে দেয়ার জন্য পতিত সরকার দেশের চিনি শিল্পকে ধ্বংস করেছিল। (নাউযুবিল্লাহ) যথাযথ পৃষ্ঠপোষকতা করলে অতীতের মত চিনি রফতানী করা যাবে ইনশাআল্লাহ খিলাফত আলা মিনহাজিন নুবুওওয়াহ্র পরিক্রমায় চললেই সে প্রজ্ঞা পাওয়া সম্ভব ইনশাআল্লাহ
১৯ ডিসেম্বর, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল খমীছ (বৃহস্পতিবার) -
বাজারে বিদেশী পণ্যের আধিপত্য। সরকারের উচিত বাজারে শতভাগ দেশীয় পণ্যের নিয়ন্ত্রণ নিশ্চিত করা।
১৮ ডিসেম্বর, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল আরবিয়া (বুধবার) -
শিক্ষার্থীদের মাঝে ব্যাপক আত্মহত্যা প্রবণতারোধে সরকারকে কার্যকরী পদক্ষেপ নিতে হবে
১৮ ডিসেম্বর, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল আরবিয়া (বুধবার) -
মহান বিজয় দিবসে মুক্তিযুদ্ধের চেতনার সত্যিকার উপলব্ধি জাগ্রত হোক সবার অন্তরে। সংস্কারের দাবীদার সরকারকে উপলব্ধিতে সক্ষমতা আনতেই হবে- যে, সত্যিকার ইসলামী অনুপ্রেরণাই মুক্তিযুদ্ধের চেতনা এবং সংস্কারের পরিক্রমা
১৬ ডিসেম্বর, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল ইছনাইনিল আযীম (সোমবার) -
সাইয়্যিদু সাইয়্যিদিশ শুহূরিল আ’যম, মহাসম্মানিত রবীউল আউওয়াল শরীফ মাস উনার মহিমান্বিত, মহাপবিত্র ১২ তারিখ উনার সাথে সম্পর্কযুক্ত মহাসম্মানিত ১২ই জুমাদাল উখরা শরীফ আজ। সাইয়্যিদুনা হযরত সুলত্বানুন নাছীর আলাইহিস সালাম উনার শান মান মুবারক অনুভব করা, মর্যাদা-মর্তবা মুবারক জানা, দয়া-ইহসান মুবারক উপলব্ধি করা সর্বোপরি নেক ছায়াতলে উপনীত হওয়া বর্তমান যামানায় সবার জন্যই ফরজ।
১৫ ডিসেম্বর, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল আহাদ (রোববার)