রাজধানীর যানজট-জনজটসহ সব ভোগান্তি দুর হওয়ার একমাত্র সমাধান ‘বিকেন্দ্রীকরণ’।
তা না করে ক্ষুদ্র শহর ও মেগাপ্রকল্প নামধারী কর্মসূচি হাতে নেয়া হলে সেগুলো একদিকে হবে সম্পূর্ণই নিস্ফল আত্মঘাতী অপরদিকে হবে দুর্নীতির আখড়া। বিকেন্দ্রীকরণে সরকারের সত্ত্বর সঠিক ও সক্রিয় পদক্ষেপ কাম্য।
, ৩০ শাওওয়াল শরীফ, ১৪৪৪ হিজরী সন, ২১ ছানী ‘আশার, ১৩৯০ শামসী সন , ২১ মে, ২০২৩ খ্রি:, ০৮ জ্যৈষ্ঠ, ১৪৩০ ফসলী সন, ইয়াওমুল আহাদ (রোববার) সম্পাদকীয়
বছরে মোট দেশজ উৎপাদনের (জিডিপি) প্রায় ৩ শতাংশ ক্ষতি করছে যানজট। টাকার অংকে যা প্রায় ১ লাখ কোটি। ঢাকা শহরের ১২৮ কিলোমিটার সড়কের যানজটে মূলত এই ক্ষতি হয় দেশে।
রাজধানীর যানজট নিরসনে কৌশলগত পরিবহন পরিকল্পনা (এসটিপি) অনুযায়ী, ২০১৬-১৭ সালে যাত্রী পরিবহনে ঢাকা ও এর পার্শ্ববর্তী এলাকায় দৈনিক গড়ে তিন কোটি ট্রিপ বা লোক চলাচল ছিল (একজন লোক যতবার চলাচল করে ততটা ট্রিপ তৈরি হয়)। বাড়তি যাত্রীর চাপ সামলাতে ২০২৫ সালে ৪ কোটি এবং ২০৩৫ সালে পাঁচ কোটি ট্রিপ (বা লোক চলাচলের অবস্থা) তৈরি হবে। এর বাইরেও আছে পণ্য পরিবহন।
সরকার যানজট নিরসন ও নির্বিঘেœ যানচলাচলের জন্য এক্সপ্রেসওয়ের মতো বেশ কয়েকটি মেগা প্রকল্প হাতে নিয়েছে। ৬টি ম্যাস র্যাপিড ট্রানজিট বা মেট্রোরেল রুট নির্মাণ; ২টি বাস র্যাপিড ট্রানজিট বা বিআরটি সড়ক নির্মাণ, ইনার, মিডল এবং আউটার নামে ৩টি রিং রোড নির্মাণ; ইনার ও আউটার রিং রোডকে সংযোগকারী ৮টি রেডিয়াল সড়ক নির্মাণ, ঢাকা-আশুলিয়া এক্সপ্রেসওয়ে বাদেও আরো ৫টি এক্সপ্রেসওয়ে নির্মাণ-(ঢাকা এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ে, ঢাকা-চট্টগ্রাম এক্সপ্রেসওয়ে, ঢাকা-সিলেট এক্সপ্রেসওয়ে, ঢাকা-মাওয়া এক্সপ্রেসওয়ে, ঢাকা-ময়মনসিংহ এক্সপ্রেসওয়ে); ২১টি ট্রান্সপোর্টেশন হাব বা টার্মিনাল নির্মাণ ইত্যাদি প্রকল্প হাতে নিয়েছে এবং কিছু প্রকল্পের নির্মাণকাজ ইতিমধ্যে শেষও হয়েছে।
প্রসঙ্গত আমরা মনে করি, সরকারের এসব মেগা প্রজেক্ট যানজট নিরসনে শুধু নিস্ফলই হবেনা পাশাপাশি হবে সাগর চুরি মতো দুর্নীতির মচ্ছব।
বিশেষজ্ঞদের মতে, সরকারের এই ছোট ছোট শহর গড়ে তোলার পরিকল্পনার ফলে রাজধানীর বসবাসব্যবস্থা ও ভোগান্তি দুর করা যাবে না। কারণ, প্রধানমন্ত্রী বলেছে যে, রাজধানীর পাশে ছোট ছোট শহর গড়ে তোলা হলে সেখান থেকে মানুষ প্রতিদিন রাজধানীতে এসে কাজ শেষে আবার ফিরে যাবে। অথচ এর মাধ্যমে রাজধানীর জটবাধা পরিবেশ ও যানজটের কোনো নিরসন হবেনা। উল্টো এই ছোট শহরগুলোতে বসবাস করার জন্য দেশের বিভিন্ন জায়গা থেকে মানুষ আসবে এবং উল্টো রাজধানীতে প্রতিদিন মানুষের গমন আরো বেড়ে যাবে। পাশাপাশি সরকার যদি ঢাকা শহরের আশেপাশে ছোট শহর নির্মাণ করবে তাহলে সেটা গাজীপুর, নারায়নগঞ্জ কিংবা ঢাকার সীমান্তবর্তী এলাকাগুলোর পাশেই করবে। এতে করে রাজধানীর পরিধি উল্টো বেড়ে যাবে। অর্থাৎ এই ছোট শহর নির্মাণ প্রকল্প অন্যান্য প্রকল্পগুলোর মতো ব্যর্থই থেকে যাবে। মূলত; এগুলার সব সমাধান একটিই। তা হলো রাজধানীর মূল ক্ষমতাকেন্দ্রীক প্রাতিষ্ঠানিক অবকাঠামোগুলোরও বিকেন্দ্রীকরণ। সরকার নিশ্চয়ই স্বীকার করছে রাজধানীতে ভোগান্তি বেড়েছে। এর প্রধান কারণ হচ্ছে জনজট। প্রতিদিন দেশের বিভিন্ন জায়গা থেকে লাখ লাখ মানুষ রাজধানীতে আসছে নিত্যনতুন চাহিদা পূরণে। কিন্তু রাজধানীর আয়তনে প্রতিদিন এই বিপুল পরিমাণ জনজট সহ্য করার ক্ষমতা নেই। ফলে এই বিপুল পরিমাণ জনজটে রাজধানী দিন দিন বসবাসের অযোগ্য হিসেবে তৈরী হচ্ছে।
প্রসঙ্গত, সরকারের যতপ্রকার উন্নয়নমূলক কর্মকান্ড ও বাজেট সবই কেন্দ্রীভূত তথা রাজধানীকেন্দ্রিক হয়ে গিয়েছে। সেইসাথে দেশের জনগনের চাহিদার ক্ষেত্রগুলোও রাজধানীতেই স্থাপন করা হয়েছে। দেশের প্রধান আইনি কার্যালয়গুলো রাজধানীতেই তৈরী করা হয়েছে। এমনকি আইনি কার্যালয়গুলোর উপশাখাগুলোও রাজধানীর ভেতরেই স্থাপন করা হয়েছে। সচিবালয়, দেশের প্রধান প্রধান হাসপাতাল, বড় বড় কলকারখানা, শিক্ষা প্রতিষ্ঠা, চাকুরে প্রতিষ্ঠান সবকিছুই রাজধানী কেন্দ্রিক গড়ে উঠেছে। ফলে প্রতিদিন হাজার হাজার লোক রাজধানীতে আসছে। অনেক ক্ষেত্রে আবার রাজধানীতে চাহিদার তাগিদে স্থায়ী হয়ে যাচ্ছে। ফলে প্রতিবছর রাজধানীতে ৫ লাখ করে লোক বৃদ্ধি পাচ্ছে। গুমোট পরিস্থিতির সৃষ্টি হচ্ছে। কিন্তু এর বিপরীতে সরকার যদি উন্নয়ন ও ক্ষমতার বিকেন্দ্রীকরণ সাধন করে তাহলে অবিলম্বে রাজধানীই শুধু নয় সারাদেশই উন্নত ও বসবাসের জন্য সাবলীল হয়ে উঠবে। সরকার যদি রাজধানীকে বিকেন্দ্রীকরণ করে, তাহলে এই জনজট তথা যানজট বা শব্দজট সারাদেশে ভাগ হয়ে যায়। যদি রাজধানীর বড় বড় হাসপাতাল, কলকারখানা, চাকরিকেন্দ্রিক প্রতিষ্ঠান, সরকারি বিভিন্ন কার্যালয়, আইনি কার্যালয় ইত্যাদি দেশের প্রত্যেকটি জেলায় ছড়িয়ে দেয়, তাহলে মানুষ শুধু রাজধানীকেন্দ্রিক না হয়ে সেসব জেলাগুলোতেও ছুটবে। এতে করে চাপ কমে আসবে রাজধানীর উপর এবং যানবাহন সংখ্যাও কমে গিয়ে রাজধানীর জন্য সহনীয় হবে। এতে আর সরকারের সড়ক উন্নয়ন ও যানজট নিরসনের অপ্রয়োজনীয় প্রকল্পগুলোর জন্য আলাদাভাবে প্রতি বছর বাজেটে লাখো কোটি টাকা বরাদ্দ রাখতে হবে না।
একইসাথে, জেলায় জেলায় সব হাসপাতাল, কলকারখানা ও শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানসহ সব সরকারিপ্রতিষ্ঠান ভাগ হয়ে গেলে সেসব জেলাগুলোতেও সরকারের উন্নয়নমূলক কর্মকান্ডগুলো ভাগ হয়ে যাবে। রাজধানীর পাশাপাশি ৬৪ জেলাও সম্প্রসারিত ও উন্নত হবে। সেসব জেলায় ব্যাপক কর্মসংস্খানের সুযোগ সৃষ্টি হবে। মোটকথা তখন এক্ষেত্রে সারাদেশই উন্নত হবে।
বহিঃবিশ্বে বিশেষ করে ইউরোপ, আমেরিকা বর্তমানে বিকেন্দ্রীকরণ করেই পরিচালিত হচ্ছে। আমেরিকা ও ইউরোপের প্রায় অনেক দেশই তাদের সব কর্মপরিকল্পনা বিভিন্ন প্রদেশভিত্তিক করে গড়ে তুলছে। আমেরিকায় প্রধান প্রধান অনেক সরকারি কার্যালয় বা রাজধানীতে নয় বরং ক্যালিফোর্নিয়া, টেক্সাসের মতো প্রদেশগুলোতে তৈরী করা হয়েছে। ফলে মানুষ প্রতিদিনই ভাগ হয়ে যাচ্ছে সারাদেশে। তাই সরকার যদি রাজধানীকে বিকেন্দ্রীকরণ করে কেবল রাজধানীকে সকল ভোগান্তিমুক্ত মেগাসিটিতে রূপ প্রদান করা সম্ভব। পাশাপাশি সব জেলার মানুষের কাছে সুষম উন্নতির সুফল তুলে দেয়।
মূলত, এসব অনুভূতি ও দায়িত্ববোধ আসে স্বদেশের প্রতি মুহহব্বত এবং পবিত্র সাইয়্যিদুল আ’ইয়াদ শরীফ অনন্তকালব্যাপী পালন করার ইলম ও জজবা থেকে। আর তার জন্য চাই নেক ছোহবত তথা মুবারক ফয়েয-তাওয়াজ্জুহ।
ছহিবে সাইয়্যিদু সাইয়্যিদিল আ’ইয়াদ শরীফ, রাজারবাগ শরীফ উনার মামদূহ মুর্র্শিদ ক্বিবলা সাইয়্যিদুনা হযরত সুলত্বানুন নাছীর আলাইহিস সালাম উনার নেক ছোহবত মুবারক-এ কেবলমাত্র তা লাভ করা সম্ভব। খালিক্ব মালিক রব মহান আল্লাহ পাক তিনি আমাদেরকে তা নছীব করুন। (আমীন)
এ সম্পর্কিত আরো সংবাদ
-
খাবারে ঢুকছে প্লাস্টিক কণা, বিপর্যয়ের মুখে জনস্বাস্থ্য। স্থায়ী বিকলাঙ্গতা ও স্বাস্থ্যহানির শঙ্কায় দেশের জনগণ। বিষয়টি ভয়াবহ- সত্বর গুরুত্বের সাথে নজর দিন।
২২ ডিসেম্বর, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল আহাদ (রোববার) -
নাটক-সিনেমার মাধ্যমে মুসলিম প্রজন্মকে দ্বীন ইসলাম থেকে দূরে সরিয়ে দেয়া হচ্ছে। পরকালের কথা স্বরণ করে মুসলিম উম্মাহকে বিধর্মীদের এসব ষড়যন্ত্র থেকে বের হয়ে আসতে হবে।
২২ ডিসেম্বর, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল আহাদ (রোববার) -
গৎবাঁধা আবহে আবদ্ধ থাকার কারণে অতীতের মত বর্তমান সরকারও রপ্তানী বহুমুখীকরণের উদ্যোগ নিচ্ছে না। কেবলমাত্র খিলাফত আলা মিনহাজিন নুবুওওয়াহ্র পরিক্রমায় রপ্তানী বহুমূখীকরণের প্রজ্ঞা নেয়া সম্ভব ইনশাআল্লাহ।
২১ ডিসেম্বর, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুছ সাবত (শনিবার) -
বর্তমান সরকারের অরাজাকতায় মধ্যবিত্তরাও এখন পুষ্টি সঙ্কটে ভূগছে মহান আল্লাহ পাক উনার রহমতমূখী প্রবণতার অভাবই এর মূল কারণ কেবলমাত্র খিলাফত আলা মিনহাজিন নুবুওওয়াহ্র পরিক্রমায় খোদায়ী রহমতে সব কিছুতে সচ্ছলতা হাছিল সম্ভব ইনশাআল্লাহ
২১ ডিসেম্বর, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুছ সাবত (শনিবার) -
দেশের ১০ কোটিরও বেশী শীতার্ত দরিদ্র জনসাধারণের জন্য মাত্র ১৫ কোটি টাকার কম্বল বরাদ্দ করা চরম বৈষম্য এবং মানবাধিকার লঙ্ঘন পাশাপাশি বৈষম্য বিরোধী ছাত্র জনতার আন্দোলনের চেতনার সাথে চরম সাংঘর্ষিক খিলাফত আলা মিনহাজিন নুবুওওয়াহ্র চেতনা ও জজবা ধারণ করে এর অবসান ঘটাতে হবে ইনশাআল্লাহ
২০ ডিসেম্বর, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল জুমুয়াহ (শুক্রবার) -
ঢাকা শহরে ২ কোটি ভাড়াটিয়া বাড়ি ভাড়া বৃদ্ধির জুলুমে জর্জরিত তন্ত্র-মন্ত্রের সরকারের পর অন্তর্বর্তী সরকারও নীরব দর্শক কেবলমাত্র খিলাফত আলা মিনহাজিন নুবুওওয়াহ্র পরিক্রমায়ই বাড়ি ভাড়া বৃদ্ধির জুলুমবাজি বন্ধ হওয়া সম্ভব ইনশাআল্লাহ
২০ ডিসেম্বর, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল জুমুয়াহ (শুক্রবার) -
মহা ভুল পরিকল্পনার এবং মহা বিড়ম্বনার উড়াল সেতু বা ফ্লাইওভার নির্মাণেরও বিচার করতে হবে এবং শাস্তি দিতে হবে। কেবলমাত্র খিলাফত আলা মিনহাজিন নুবুওওয়াহ্র চেতনায়ই সঠিক পরিকল্পনা সম্ভব। সে পথেই চলতে হবে ইনশাআল্লাহ
১৯ ডিসেম্বর, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল খমীছ (বৃহস্পতিবার) -
নিজেদের ক্যাশিয়ারদের সুযোগ করে দেয়ার জন্য পতিত সরকার দেশের চিনি শিল্পকে ধ্বংস করেছিল। (নাউযুবিল্লাহ) যথাযথ পৃষ্ঠপোষকতা করলে অতীতের মত চিনি রফতানী করা যাবে ইনশাআল্লাহ খিলাফত আলা মিনহাজিন নুবুওওয়াহ্র পরিক্রমায় চললেই সে প্রজ্ঞা পাওয়া সম্ভব ইনশাআল্লাহ
১৯ ডিসেম্বর, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল খমীছ (বৃহস্পতিবার) -
বাজারে বিদেশী পণ্যের আধিপত্য। সরকারের উচিত বাজারে শতভাগ দেশীয় পণ্যের নিয়ন্ত্রণ নিশ্চিত করা।
১৮ ডিসেম্বর, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল আরবিয়া (বুধবার) -
শিক্ষার্থীদের মাঝে ব্যাপক আত্মহত্যা প্রবণতারোধে সরকারকে কার্যকরী পদক্ষেপ নিতে হবে
১৮ ডিসেম্বর, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল আরবিয়া (বুধবার) -
মহান বিজয় দিবসে মুক্তিযুদ্ধের চেতনার সত্যিকার উপলব্ধি জাগ্রত হোক সবার অন্তরে। সংস্কারের দাবীদার সরকারকে উপলব্ধিতে সক্ষমতা আনতেই হবে- যে, সত্যিকার ইসলামী অনুপ্রেরণাই মুক্তিযুদ্ধের চেতনা এবং সংস্কারের পরিক্রমা
১৬ ডিসেম্বর, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল ইছনাইনিল আযীম (সোমবার) -
সাইয়্যিদু সাইয়্যিদিশ শুহূরিল আ’যম, মহাসম্মানিত রবীউল আউওয়াল শরীফ মাস উনার মহিমান্বিত, মহাপবিত্র ১২ তারিখ উনার সাথে সম্পর্কযুক্ত মহাসম্মানিত ১২ই জুমাদাল উখরা শরীফ আজ। সাইয়্যিদুনা হযরত সুলত্বানুন নাছীর আলাইহিস সালাম উনার শান মান মুবারক অনুভব করা, মর্যাদা-মর্তবা মুবারক জানা, দয়া-ইহসান মুবারক উপলব্ধি করা সর্বোপরি নেক ছায়াতলে উপনীত হওয়া বর্তমান যামানায় সবার জন্যই ফরজ।
১৫ ডিসেম্বর, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল আহাদ (রোববার)