রাজধানীতে ভয়াবহভাবে বাড়ছে মশার উপদ্রপ।
এতদিন যাবত মশা মারার পদ্ধতিই ছিলো ভুল। ডিএনসিসি ও ডিএসসিসির অজ্ঞতা অবহেলা, অনিয়ম আর দুর্নীতিই মূলত মশার উৎপাতের পেছনে দায়ী। জনগনের প্রতি উভয় সিটি কর্পোরেশন ও সরকারের দায়িত্বশীল আচরণ কাম্য।
, ০৯ই রজবুল হারাম শরীফ, ১৪৪৪ হিজরী সন, ০৩ তাসি, ১৩৯০ শামসী সন, ০১লা ফেব্রুয়ারি, ২০২৩ খ্রি:, ১৮ই মাঘ, ১৪২৯ ফসলী সন, ইয়াওমুল আরবিয়া (বুধবার) সম্পাদকীয়
দৈনিক আল ইহসান শরীফের পক্ষ থেকে আগে থেকেই বলা হচ্ছে এ দেশে সমন্বিত বিজ্ঞানভিত্তিক ব্যবস্থা প্রয়োগ না করলে মশা নিয়ন্ত্রণ সম্ভব নয়। অনেক পরে উত্তরের মেয়র এ বিষয়টি যুক্তরাষ্ট্রে গিয়ে বুঝতে পেরেছে। আমরা চারটি বিষয়কে গুরুত্ব দেওয়ার জন্য বলে আসছি। সেগুলো হলো-পরিবেশগত নিয়ন্ত্রণ, বায়োলজিক্যাল কন্ট্রোল, ক্যামিক্যাল বা কীটনাশক কন্ট্রোল এবং কমিউনিটি পার্টিসিপেশন। কিন্তু বাংলাদেশে কীটনাশক প্রয়োগকে বেশি গুরুত্ব দেওয়া হচ্ছে। এর মধ্যে ফগিং অন্যতম। কিন্তু বেশির ভাগ ফগিং ভালো ফলাফল দেয় না। এক্ষেত্রে আমরা লার্ভিসাইডিংকে গুরুত্ব দেওয়ার কথা বলেছি। এর পাশাপাশি বাকি তিনটি বিষয়কেও সমানভাবে গুরুত্ব দিয়ে মশা দমনে ভূমিকা নিলে মশা দমন হবে। এছাড়া কীটনাশক প্রয়োগে কার্যকারিতা নিয়েও পরীক্ষার দরকার রয়েছে। আমাদের সিটি করপোরেশনগুলোর সঙ্গে বিশ্ববিদ্যালয়সহ বিভিন্ন গবেষণা প্রতিষ্ঠানের সম্পৃক্ততা নেই। যেটি যুক্তরাষ্ট্রের মিয়ামিতে রয়েছে। এর মাধ্যমে কিন্তু ভালো সুফল পাওয়া যায়।
মশা নিয়ন্ত্রণ কার্যক্রম পরিদর্শনে যুক্তরাষ্ট্র সফরে গিয়েছিলো ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের (ডিএনসিসি) একটি প্রতিনিধিদল। দলের নেতৃত্বে ছিলো মেয়র আতিকুল ইসলাম। তাকে উদ্ধৃত করে গত শনিবার ডিএনসিসির এক বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, ‘আমরা এতদিন ভুল পদ্ধতি ব্যবহার করেছি। তাতে মশা তো ধ্বংস হয়নি; বরং অর্থের অপচয় হয়েছে। মিয়ামিতে যে অভিজ্ঞতা অর্জন করেছি, তা ঢাকায় মশা নির্মূলে কাজে লাগাতে চাই। দ্রুত সময়ের মধ্যে মশার প্রজাতি চিহ্নিত করতে একটি ল্যাব স্থাপন করবে ডিএনসিসি।’ মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের ডিপার্টমেন্ট অব কমার্সের কমার্শিয়াল ‘ল’ ডেভেলপমেন্ট প্রোগ্রামের (সিএলডিপি) আমন্ত্রণ ও অর্থায়নে ফ্লোরিডা সফর করেছে প্রতিনিধিদলটি।
আর্থিক অপচয়ের বিষয়টি সামনে এলে ঢাকার দুই সিটির মশা দমনের বাজেট পর্যালোচনা করে দেখা যায়, প্রতি বছরেই মশা দমনে বাজেট বেড়েছে। অথচ মশা দমনে তেমন সুফল পায়নি নগরবাসী। প্রতি বছরই মানুষ ডেঙ্গুতে আক্রান্ত হয়েছে ও মৃত্যুবরণ করেছে। মশা নিয়ন্ত্রণে চলতি ২০২২-২৩ অর্থবছরে দুই সিটি করপোরেশন বরাদ্দ রেখেছে ১৪৭ কোটি টাকা। যেখানে ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের বরাদ্দ ১০১ কোটি টাকা এবং ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশন রেখেছে ৪৫ কোটি ৭৫ লাখ টাকা।
প্রসঙ্গত, প্রতি বছর বরাদ্দ বাড়লেও এর সুফল ভোগ করতে পারছে না রাজধানীবাসী। লক্ষ্য করা গেছে, সুনির্দিষ্ট কিছু বিত্তশালী এলাকা ছাড়া কোথাও মশক নিধনের ক্রাশ প্রোগ্রামের কোনো বাস্তবায়ন নেই। প্রায় দুই কোটি জনসংখ্যা অধ্যুষিত মহানগরীতে নাগরিকদের সব সুযোগ-সুবিধার প্রাপ্তি একই মানদ-ে হওয়া উচিত হলেও অধিকাংশ সময়েই হয়ে উঠে না। সার্বিক বিচারে কিছু কিছু বিষয়ে সব নাগরিকের প্রাপ্তিতে সমতা থাকা উচিত। কারণ দিনভর পরিশ্রম করে একটি নির্বিঘœ ও সুখকর রাত সবাই প্রত্যাশা করে। আমাদের মনে রাখা উচিত, বিশাল বিশাল অট্টালিকার বাইরেও এ মহানগরীতে প্রায় ষাট লাখ লোক বস্তিতে বসবাস করে। সার্মথ্যহীন এ লোকগুলোর জীবন-জীবিকার দায়ভার বহন করাই যখন কষ্টসাধ্য, সেক্ষেত্রে মশার উপদ্রব থেকে নিজেকে রক্ষার বিকল্প তাদের আর কিইবা থাকতে পারে- নগর পরিচালনার কর্মকর্তারা কি তা কোনোদিন ভেবে দেখেছে? ঢাকা সিটি কর্পোরেশন মশা নিধনের ব্যাপারে বড় বড় কথা বললেও বাস্তবে নগরবাসীকে মশা থেকে রক্ষার সুনির্দিষ্ট কোনো পরিকল্পনা কখনো ছিল না, এখনো নেই।
বিশেষজ্ঞদের মতে, সিটি কর্পোরেশনের পক্ষেও মশা মারার ওষুধ এবং যন্ত্রপাতি কেনা নিয়েও রয়েছে নানা দুর্নীতি-অনিয়মসহ লুটপাটের অভিযোগ। মহানগরীর ৫ হাজার ১৪২ বিঘা নীরাশয়ও ময়লা-নোংরা আবর্জনা ও কচুরিপানায় পরিপূর্ণ, অরক্ষিত, অবহেলিত, পরিত্যক্ত। এসব নীরাশয় পরিষ্কার করে মৎস্য চাষ করা হলেও মশা সহজে বংশ বিস্তার করতে পারতো না। তবে কথায় বলে, বিড়ালের গলায় ঘণ্টা বাঁধবে কে? মশা মারতে কামান দাগার দায়িত্ব কার? অবশ্যই উভয় সিটি কর্পোরেশনের। কিন্তু অবস্থাদৃষ্টে মনে হচ্ছে, তাদের নাকে মশা ঢুকলেও ঘুম ভাঙবে না। সরকার ও সংশ্লিষ্ট এলজিআরডি মন্ত্রণালয় কী সে দায়িত্ব নেবে?
পাশাপাশি উল্লেখ্য যে, মশক নিধন কার্যক্রম মোটামুটি সারা বছর ধরেই পরিচালিত হওয়া উচিত। ওষুধ স্প্রের পাশাপাশি নালা, নর্দমা, ডোবাগুলো নিয়মিত পরিষ্কার করা হলে মশার বংশ বিস্তারের ক্ষেত্র ধ্বংস হবে। ডিসিসি’র ক্রাশ প্রোগ্রামে এসব কার্যক্রম থাকলেও মশক নিয়ন্ত্রণকারী কর্মীদের তৎপরতা এ ব্যাপারে খুব কমই দেখা যায়। কিছু কথিত ভিআইপি ও বিত্তশালী এলাকায় দু-তিন দিন পরপর ওষুধ ছিটাতে দেখা গেলেও অন্যান্য এলাকায় দেখা যায় কদাচিৎ। মশক নিধন কার্যক্রমে এ ধরনের বৈষম্যের অবসান কাম্য। সব নাগরিকই সিটি কর্পোরেশনকে কর দেয়। সব এলাকার প্রতিই ডিসিসি’র দৃষ্টি থাকতে হবে। তবে যেসব এলাকায় মশার উৎপাত বেশি, সেগুলো অগ্রাধিকার পাওয়া উচিত। এটাও ডিসিসি কর্মীদের সঠিকভাবে চিহ্নিত করতে হবে।
ছহিবে সাইয়্যিদু সাইয়্যিদিল আ’ইয়াদ শরীফ, রাজারবাগ শরীফ উনার মামদূহ মুর্র্শিদ ক্বিবলা সাইয়্যিদুনা হযরত সুলত্বানুন নাছীর আলাইহিস সালাম উনার নেক ছোহবত মুবারক-এ কেবলমাত্র তা লাভ করা সম্ভব। খালিক্ব মালিক রব মহান আল্লাহ পাক তিনি আমাদেরকে তা নছীব করুন। (আমীন)
এ সম্পর্কিত আরো সংবাদ
-
বর্তমান সরকারের অরাজকতায় মধ্যবিত্তরাও এখন পুষ্টি সঙ্কটে ভুগছে মহান আল্লাহ পাক উনার রহমতমূখী প্রবণতার অভাবই এর মূল কারণ কেবলমাত্র খিলাফত আলা মিনহাজিন নুবুওওয়াহ্র পরিক্রমায় খোদায়ী রহমতে সব কিছুতে সচ্ছলতা হাছিল সম্ভব। ইনশাআল্লাহ!
২৪ ফেব্রুয়ারী, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল ইছনাইনিল আযীম (সোমবার) -
নাটক-সিনেমার মাধ্যমে মুসলিম প্রজন্মকে দ্বীন ইসলাম থেকে দূরে সরিয়ে দেয়া হচ্ছে। পরকালের কথা স্বরণ করে মুসলিম উম্মাহকে বিধর্মীদের এসব ষড়যন্ত্র থেকে বের হয়ে আসতে হবে।
২৪ ফেব্রুয়ারী, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল ইছনাইনিল আযীম (সোমবার) -
‘শয়তানের নিঃশ্বাস’ নামের ভয়ঙ্কর ড্রাগ আতঙ্কে সারাদেশ একান্ত আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীর বিশেষ তৎপরতা এবং জনগণের সচেতনতা দরকার
২৩ ফেব্রুয়ারী, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল আহাদ (রোববার) -
কৃষি যান্ত্রিকীকরণের মাধ্যমে আরো সোনালী সমৃদ্ধি সম্ভব ইনশাআল্লাহ
২৩ ফেব্রুয়ারী, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল আহাদ (রোববার) -
ভাষা আন্দোলনের সাত দশক এবং স্বাধীনতার ৫৪ বছর পরও বাংলা ভাষার মর্যাদা প্রতিষ্ঠিত হয়নি। উর্দূকে বাদ দিয়ে হিন্দি বা ইংরেজির প্রাধান্য ভাষা দিবসের চেতনা নয়। পাশাপাশি বাংলা ভাষা চর্চা মানে বিজাতীয় ও বিধর্মীয় সংস্কৃতির অনুকরণ ও অনুশীলন নয়। পবিত্র দ্বীন ইসলাম উনার আঙ্গিকে ভাষা দিবস পালন করলেই ভাষা আন্দোলন সার্থক হবে।
২১ ফেব্রুয়ারী, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল জুমুয়াহ (শুক্রবার) -
নগরের সুবিধা বিকেন্দ্রীকরণ করতে পারলেই কেবল নগরমুখী জনস্রোত ঠেকানো যাবে
২০ ফেব্রুয়ারী, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল খমীছ (বৃহস্পতিবার) -
জনসংখ্যা বোঝা নয় বরং জনসম্পদ জনশক্তিকে আরও দক্ষ করতে হবে।
২০ ফেব্রুয়ারী, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল খমীছ (বৃহস্পতিবার) -
সুদ ব্যয়ের কারণে আকার বাড়লেও সুফল নেই বাজেটের। সরকারের উচিত, ঋণের ধারা থেকে সরে এসে আভ্যন্তরীণ আয়ের দিকে গুরুত্ব দিয়ে বাজেটকে গণমুখী করা।
১৯ ফেব্রুয়ারী, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল আরবিয়া (বুধবার) -
দুরাবস্থায় ক্ষুদ্র ও মাঝারি শিল্পের উদ্যোক্তারা অন্যসব সরকারের মত বর্তমান উপদেষ্টারাও গুরুত্ব দিচ্ছে না
১৯ ফেব্রুয়ারী, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল আরবিয়া (বুধবার) -
হিমাগারের ভাড়া বাড়ায় আলু এখন ‘গলার কাঁটা’ আসন্ন জুলাই-নভেম্বরে আলুর দাম ১০০ টাকা পর্যন্ত উঠতে পারে বিপর্যয় ঠেকাতে এখনই ব্যবস্থা নিন
১৮ ফেব্রুয়ারী, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুছ ছুলাছা (মঙ্গলবার) -
পবিত্র রমাদ্বান শরীফে দ্রব্যমূল্যের দাম স্থিতিশীল থাকবে- অন্তর্বর্তী সরকারের এ প্রতিশ্রুতি যেনো পতিত জালিম সরকারের মত কথার ফুল ঝুড়িতেই পর্যবসিত না হয়
১৮ ফেব্রুয়ারী, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুছ ছুলাছা (মঙ্গলবার) -
আজ মহিমান্বিত পবিত্র ১৭ই শা’বান শরীফ। সাইয়্যিদাতুনা হযরত উম্মুল মু’মিনীন আল হাদিয়াহ আশার আলাইহাস সালাম উনার পবিত্র বিছালী শান মুবারক প্রকাশ দিবস। সুবহানাল্লাহ!
১৭ ফেব্রুয়ারী, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল ইছনাইনিল আযীম (সোমবার)