আশ্চর্য হলেও সত্য:
যে দ্বীপে শুধুই খরগোশের বসবাস
, ১১ জুমাদাল ঊখরা শরীফ, ১৪৪৬ হিজরী সন, ১৬ সাবি’, ১৩৯২ শামসী সন , ১৪ ডিসেম্বর, ২০২৪ খ্রি:, ২৯ অগ্রহায়ণ, ১৪৩১ ফসলী সন, ইয়াওমুছ সাবত (শনিবার) বিদেশের খবর
রাশিয়া-জাপান যুদ্ধের আগ পর্যন্ত ওকুনোশিমা দ্বীপটি ছিল একটি কৃষিভূমি। যুদ্ধকালীন নিরাপত্তা বাড়াতে দ্বীপটিতে ১০টি দুর্গ নির্মাণ করে জাপান। সেই থেকেই দ্বীপটি সামরিক কাজে ব্যবহৃত হতে থাকে।
দ্বীপটির ইতিহাস:
উনবিংশ শতাব্দীর শুরুতে রাসায়নিক অস্ত্র পরীক্ষায় ব্যবহৃত হতো দ্বীপটি। ১৯২৯ সালে এখানে একটি গ্যাস কারখানা তৈরি হয়। তাতে বিষাক্ত রাসায়নিক গ্যাস তৈরি হতো। এই গ্যাস যুদ্ধক্ষেত্রে জাপানের সামরিক বাহিনী ব্যবহার করতো। চীন-জাপান যুদ্ধে এসব গ্যাস ব্যবহৃত হয়। এমনকি বেসামরিক লোকদের বিরুদ্ধেও ব্যবহৃত হতো। দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের পর কারখানাটি বন্ধ হয়ে যায়। তখন সব রাসায়নিক পুড়িয়ে ফেলা হয়। এমনকি দ্বীপটি জাপানের মানচিত্র থেকে মুছে ফেলার চেষ্টাও হয়েছিল। জনসাধারণের আনাগোনাও নিষিদ্ধ হয়েছিল এই দ্বীপে। কারণ দ্বীপটির বাতাসে ভেসে বেড়াত বিষাক্ত গ্যাস।
অনেক দিন পর দ্বীপটি মানুষের বসবাসের উপযোগী কিনা, সেটি পরীক্ষা করতে সেখানে কিছু খরগোশ ছেড়ে দেওয়া হয়। যদিও অনেকে মনে করেন, ১৯৭১ সালে বেশ কিছু শিক্ষার্থী ওকুনোশিমায় বেড়াতে এসেছিলো। তারা আটটি খরগোশ ছেড়ে দেয় সেখানে। তারপর খরগোশের সংখ্যা বাড়তে থাকে। এক সময় সেটি খরগোশের দ্বীপ হয়ে ওঠে। চারদিকে শুধু খরগোশ আর খরগোশ। বর্তমানে ওকুনোশিমা দ্বীপে হাজারো খরগোশ রয়েছে। এসব খরগোশ বেশ বন্ধুবৎসল। মানুষ দেখলেই ছুটে আসে। খরগোশের এই দ্বীপ এখন হয়ে উঠেছে পর্যটন কেন্দ্র। পর্যটকরা এখানে খরগোশের পাশাপাশি সূর্যাস্ত উপভোগ করতেও আসে।
দ্বীপে কুকুর-বিড়াল নেওয়া নিষিদ্ধ:
সম্প্রতি ওকুনোশিমা দ্বীপে পর্যটকদের কুকুর-বিড়াল নিয়ে প্রবেশ নিষিদ্ধ করেছে জাপান সরকার। তবে অন্যান্য পোষা প্রাণী সঙ্গে করে নিয়ে যেতে কোনো অসুবিধা নেই।
সমুদ্র পরিবেষ্টন করে রাখা এই ওকুনোশিমা দ্বীপ হিরোশিমা প্রিফেকচারের তাকেহারা শহর থেকে ২ মাইল দূরে অবস্থিত। দ্বীপটির আয়তন ৪ দশমিক ৩ বর্গ কিলোমিটার।
১৯৮৮ সালে জাপান সরকার ওকুনোশিমায় বিষাক্ত গ্যাস জাদুঘর প্রতিষ্ঠা করে। আজও রয়েছে রাসায়নিক প্ল্যান্টের ধ্বংসাবশেষ। জানা যায়, রাসায়নিক কারখানায় খরগোশদের ওপরেও গ্যাস পরীক্ষা করা হতো। তবে সেসব খরগোশের সঙ্গে এখনকার খরগোশের কোনো সম্পর্ক নেই। সেখানকার প্রাচীন দুর্গগুলো এখনও রয়েছে।
এ সম্পর্কিত আরো সংবাদ
-
দখলদারদের সামরিক অবস্থানে মর্টার শেলিং করেছেন মুজাহিদ বাহিনী
১৭ ডিসেম্বর, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুছ ছুলাছা (মঙ্গলবার) -
ইসরায়েলে হাইপারসনিক ক্ষেপণাস্ত্র হামলা হুতিদের
১৭ ডিসেম্বর, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুছ ছুলাছা (মঙ্গলবার) -
২০ ট্রিলিয়ন ডলারে লন্ডন-নিউইয়র্ক পাতালপথ!
১৭ ডিসেম্বর, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুছ ছুলাছা (মঙ্গলবার) -
বিজয় দিবস নিয়ে মোদির পোস্ট: কড়া প্রতিবাদ আসিফ নজরুল-হাসনাত আব্দুল্লাহ্র
১৭ ডিসেম্বর, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুছ ছুলাছা (মঙ্গলবার) -
গোলান পরিকল্পনায় ‘সীমান্ত প্রসারিত’ করতে চাইছে সন্ত্রাসী ইসরায়েল -তুরস্ক
১৭ ডিসেম্বর, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুছ ছুলাছা (মঙ্গলবার) -
সিরিয়ায় গণকবরে প্রায় এক লাখ মরদেহের সন্ধান
১৭ ডিসেম্বর, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুছ ছুলাছা (মঙ্গলবার) -
গাজায় শীতের মধ্যে আশ্রয়হীন প্রায় ১০ লাখ ফিলিস্তিনি
১৭ ডিসেম্বর, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুছ ছুলাছা (মঙ্গলবার) -
‘ইসরাইলি শাসকদের গ্রেফতার করা আন্তর্জাতিক আদালতের সদস্য রাষ্ট্রগুলোর দায়িত্ব’
১৭ ডিসেম্বর, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুছ ছুলাছা (মঙ্গলবার) -
মৃতের সংখ্যা কয়েক’শ থেকে কয়েক হাজার হওয়ার শঙ্কা
১৭ ডিসেম্বর, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুছ ছুলাছা (মঙ্গলবার) -
বাংলাদেশের ঘটনাকে হাতিয়ার করে ভারতে মুসলিমদের বিরুদ্ধে ঘৃণা ছড়ানো হচ্ছে -ওয়েইসি
১৬ ডিসেম্বর, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল ইছনাইনিল আযীম (সোমবার) -
জিম্মি উদ্ধারে ব্যর্থতা, হাজার হাজার ইসরায়েলির বিক্ষোভ
১৬ ডিসেম্বর, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল ইছনাইনিল আযীম (সোমবার) -
সুদানের দারফুরে হাসপাতালে ড্রোন হামলা, নিহত ৯
১৫ ডিসেম্বর, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল আহাদ (রোববার)