মন্তব্য কলাম
যে দেশের সরকার ও যে দেশের মানুষ- সাইয়্যিদু সাইয়্যিদিল আ’দাদ শরীফ মহাপবিত্র ১২ই শরীফ এবং সাইয়্যিদু সাইয়্যিদিল আ’ইয়াদ শরীফ অর্থাৎ পবিত্র ঈদে বিলাদতে রসূলিল্লাহ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনাদের প্রতি যথাযথ সম্মান ও তা’যীম-তাকরীম করবে,
সে দেশ ও জাতিকে কখনোই বিদেশী কোনো শক্তি পরাভূত করতে পারবে না। ইনশাআল্লাহ!
, ১২ যিলক্বদ শরীফ, ১৪৪৫ হিজরী সন, ২২ ছানী আশার, ১৩৯১ শামসী সন , ২১ মে, ২০২৪ খ্রি:, ০৭ জৈষ্ঠ্য, ১৪৩১ ফসলী সন, ইয়াওমুছ ছুলাছা (মঙ্গলবার) সাইয়্যিদু সাইয়্যিদিল আ’ইয়াদ শরীফ
পবিত্র হাদীছ শরীফ উনার মাঝে ইরশাদ মুবারক হয়েছে- নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি ইরশাদ মুবারক করেন, তোমাদের মুসলমানদের উপর এমন একটি সময় আসবে, তোমাদের উপর যুলুম-নির্যাতন করার জন্য তোমাদের বিরুদ্ধে সকল জাতি এমনভাবে ডাকবে, যেমনটি খাওয়ার দস্তরখানার দিকে লোকদের ডাকা হয়ে থাকে। এ কথা শ্রবণ করার পর একজন জানতে চাইলেন, ইয়া রসূলাল্লাহ, ইয়া হাবীবাল্লাহ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম! তখন কি আমাদের মুসলিমদের সংখ্যা কম হবে? নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি ইরশাদ মুবারক করেন- না, তখন তোমরা সংখ্যায় কম হবে না, বরং তোমরা সেদিন আরো অনেক বেশি হবে। তবে তোমাদের অবস্থা হবে স্রোতের পানির উপরিভাগে ভাসমান খড়কুটার মতো। মহান আল্লাহ পাক উনার নাফরমানির কারণে তোমাদের দুশমন কাফির-মুশরিকদের অন্তর থেকে তোমাদের প্রতি যে ভয় বা রোব সেটা দূর হয়ে যাবে। আর তোমাদের অন্তরে প্রবেশ করানো হবে ‘ওহান’। একজন জানতে চাইলেন, ইয়া রসূলাল্লাহ, ইয়া হাবীবাল্লাহ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম! ‘ওহান’ কী? নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি ইরশাদ মুবারক করেন- ১) দুনিয়ার প্রতি আসক্তি বা মুহব্বত আর ২) মৃত্যুকে অপছন্দ করা। ’ (পবিত্র আবু দাউদ শরীফ)
পবিত্রতম এই হাদীছ শরীফ পাঠ করলে বর্তমান সময়ের প্রেক্ষাপটে বিষয়টি যে কত বেশি জীবন্ত ও বাস্তব সেটা আর ব্যাখ্যা করে না বললেও অধিকাংশ পাঠকই বিষয়টিকে উপলব্ধি করার মতো জ্ঞান রাখেন বলেই ধারণা। তবে পবিত্রতম হাদীছ শরীফ উনার শেষাংশে উল্লিখিত ২টি বিশেষ বিষয়েই আমাদের নজর দেয়া দরকার। এখানে প্রথমত বলা হয়েছে- দুনিয়ার প্রতি মুহব্বত আর দ্বিতীয়ত বলা হয়েছে মৃত্যুর প্রতি অনীহা- এই দুটোই হলো মুসলমানদের করুণ ও নিপীড়িত হওয়ার মূল কারণ। মূলত দুনিয়ার প্রতি আসক্তির ফলাফলই হলো ওহান তথা মৃত্যুকে ভুলে যাওয়া ও মৃত্যুকে অপছন্দ করা।
তাহলে বুঝা যাচ্ছে, আমাদেরকে দুনিয়ার মুহব্বতটাই সবার আগে পরিত্যাগ করতে হবে। তাহলে আমরা কিসের প্রতি, কাদের প্রতি মুহব্বত রাখবো? এ বিষয়ে পবিত্র হাদীছ শরীফ উনার মাঝে ইরশাদ মুবারক হয়েছে- নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি ইরশাদ মুবারক করেন, তোমরা ততক্ষণ পর্যন্ত পরিপূর্ণ ঈমানদার হতে পারবে না, যতক্ষণ না তোমাদের পিতা-মাতা, সন্তান-সন্ততি এমনকি সমস্ত কিছুর চাইতেও বেশি নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনাকে মুহব্বত না করবে। সুবহানাল্লাহ!
পবিত্র কালামুল্লাহ শরীফ উনার মাঝে ইরশাদ মুবারক হয়েছে- যদি তোমরা মু’মিন হয়ে থাকো, তাহলে তোমাদের দায়িত্ব-কর্তব্য হলো মহান আল্লাহ পাক উনাকে ও উনার হাবীব নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনাদেরকে সন্তুষ্ট করা, উনারাই সন্তুষ্টি-রেযামন্দি মুবারক পাওয়ার সর্বাধিক হক্বদার। সুবহানাল্লাহ! (পবিত্র সূরা তওবা শরীফ: পবিত্র আয়াত শরীফ ৬২)
পবিত্রতম আয়াত শরীফ ও পবিত্রতম হাদীছ শরীফ উনাদের দ্বারা এটাই স্পষ্ট যে, একজন ঈমানদার-মুসলমান হিসেবে তার সকল মুহব্বতের একমাত্র লক্ষস্থ্যল হলেন নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি।
আর নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার মুহব্বত অর্জনের অন্যতম একটি মাধ্যম হলো উনার সংশ্লিষ্ট বিশেষ বিষয়সমূহের প্রতি সর্বোচ্চ সম্মান করা, তা’যীম-তাকরীম ও মুহব্বত করা, খিদমতের আন্জাম দেয়া। সাইয়্যিদুল আসইয়াদ সাইয়্যিদু সাইয়্যিদিশ শুহূরিল আ’যম পবিত্র রবীউল আউওয়াল শরীফ অথবা সাইয়্যিদু সাইয়্যিদিল আ’দাদ মহাসম্মানিত ১২ই শরীফ এবং পবিত্র সাইয়্যিদু সাইয়্যিদিল আ’ইয়াদ শরীফ পবিত্র ঈদে বিলাদতে রসূলিল্লাহ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনারাই হলেন নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার মুবারক মুহব্বত অর্জনের অন্যতম একটি মাধ্যম। সুবহানাল্লাহ!
অতএব, দুনিয়ার সমস্ত মুসলমান-ঈমানদারসহ সমস্ত দেশের সমস্ত সরকারের উচিত সাইয়্যিদুল আসইয়াদ শাহরুল আ’যম সাইয়্যিদুশ শুহূর পবিত্র রবীউল আউওয়াল শরীফ মাসতো অবশ্যই পাশাপাশি প্রতি হিজরী মাসের সাইয়্যিদু সাইয়্যিদিল আ’দাদ শরীফ অর্থাৎ মহাসম্মানিত ১২ই শরীফ উনাকে এবং পবিত্র সাইয়্যিদু সাইয়্যিদিল আ’ইয়াদ শরীফ পবিত্র ঈদে বিলাদতে রসূলিল্লাহ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উপলক্ষে সর্বোচ্চ খুশি প্রকাশ করা ও সর্বোচ্চ তা’যীম-তাকরীমের সাথে পালন করার যাবতীয় আনজাম দেয়ার যথাযথ পদক্ষেপ নেয়া। এটা করতে পারলেই দুনিয়ার প্রতি মুহব্বত ত্যাগ করা যাবে ‘ওহান’ থেকে বেঁচে থাকা যাবে। আর এই ‘ওহান’ থেকে বেঁচে থাকতে পারলেই কোনো মু’মিন-মুসলমান ঈমানদারতো বটেই, কোনো দেশ বা সরকারের উপরও কখনো কোনো কাফির-মুশরিক ইহুদী, নাছারা, মজুসী অমুসলিম-বিধর্মীরা যুলুম-নির্যাতন করতে পারবে না। মহান আল্লাহ পাক তিনি সকলের জন্য কুদরতী হেফাজতের ব্যবস্থা করে দিবেন। সুবহানাল্লাহ!
-শাহ সুলতান।
এ সম্পর্কিত আরো সংবাদ
-
সিবত্বতু সুলত্বনিন নাছীর আলাইহিস সালাম, জান্নাতী মেহমান, সাইয়্যিদাতুল উমাম সাইয়্যিদাতুনা হযরত শাহ নাওয়াসী আর রবি‘আহ্ আলাইহাস সালাম উনাকে এবং সিবত্বতু সুলত্বনিন নাছীর আলাইহিস সালাম, জান্নাতী মেহমান, সাইয়্যিদাতুল উমাম সাইয়্যিদাতুনা হযরত শাহ নাওয়াসী আল খ্বমিসাহ্ আলাইহাস সালাম উনাকে অর্থাৎ উনাদেরকে মুহব্বত করার বেমেছাল ফযীলত মুবারক
০৪ জানুয়ারি, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুছ সাবত (শনিবার) -
এক নযরে সাইয়্যিদাতুন নিসায়ি আলাল আলামীন, আফযালুন নাস ওয়ান নিসা বা’দা রসূলিল্লাহ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র উম্মুল মু’মিনীন সাইয়্যিদাতুনা হযরত আছ ছালিছাহ্ ‘আশার আলাইহাস সালাম উনার মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র পরিচিতি মুবারক
০৪ জানুয়ারি, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুছ সাবত (শনিবার) -
নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার মহাপবিত্র নাম মুবারক আযানে শুনে অঙ্গুলি চুম্বন করা ও চোখে বুছা দেয়ার সীমাহীন ফযীলত
০৪ জানুয়ারি, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুছ সাবত (শনিবার) -
সাইয়্যিদুল মুরসালীন, ইমামুল মুরসালীন, খতামুন্ নাবিয়ীন, নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার বিশেষ বুলন্দী শান মুবারক
০৪ জানুয়ারি, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুছ সাবত (শনিবার) -
আজ মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র লাইলাতুর রগ্বাইব শরীফ
০২ জানুয়ারি, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল খমীছ (বৃহস্পতিবার) -
এক নযরে সাইয়্যিদুনা হযরত ইমামুল ‘আশির মিন আহলি বাইতি রসূলিল্লাহ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার মহাসম্মানিত পরিচিতি মুবারক
০১ জানুয়ারি, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল আরবিয়া (বুধবার) -
এক নযরে আহলু বাইতি রসূলিল্লাহ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম সাইয়্যিদাতুনা হযরত সিবত্বতু রসূলিল্লাহ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম আছ ছালিছাহ্ আলাইহাস সালাম উনার মহাসম্মানিত পরিচিতি মুবারক
০১ জানুয়ারি, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল আরবিয়া (বুধবার) -
সাইয়্যিদুল খুলাফা, আবুল খুলাফা, আহলু বাইতি রসূলিল্লাহ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম মামদূহ মুর্শিদ ক্বিবলা সাইয়্যিদুনা ইমাম খলীফাতুল্লাহ হযরত আস সাফফাহ আলাইহিস সালাম তিনি সারা পৃথিবীতে, সারা কায়িনাতে সম্মানিত খিলাফত আলা মিনহাজিন নুবুওওয়াহ্ মুবারক প্রতিষ্ঠা করবেনই করবেন ইনশাআল্লাহ
৩১ ডিসেম্বর, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুছ ছুলাছা (মঙ্গলবার) -
সাইয়্যিদুল মুরসালীন, ইমামুল মুরসালীন, খ্বাতামুন নাবিয়্যীন, নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার মাঝে ফানা সারা কায়িনাত
৩১ ডিসেম্বর, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুছ ছুলাছা (মঙ্গলবার) -
সাইয়্যিদুল খুলাফা, আবুল খুলাফা, আহলু বাইতি রসূলিল্লাহ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম মামদূহ মুর্শিদ ক্বিবলা সাইয়্যিদুনা ইমাম খলীফাতুল্লাহ হযরত আস সাফফাহ আলাইহিস সালাম তিনি সারা পৃথিবীতে, সারা কায়িনাতে সম্মানিত খিলাফত আলা মিনহাজিন নুবুওওয়াহ্ মুবারক প্রতিষ্ঠা করবেনই করবেন ইনশাআল্লাহ
৩০ ডিসেম্বর, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল ইছনাইনিল আযীম (সোমবার) -
সাইয়্যিদুল মুরসালীন, ইমামুল মুরসালীন, খ্বাতামুন নাবিয়্যীন, নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার মাঝে ফানা সারা কায়িনাত
৩০ ডিসেম্বর, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল ইছনাইনিল আযীম (সোমবার) -
সাইয়্যিদুল খুলাফা, আবুল খুলাফা, আহলু বাইতি রসূলিল্লাহ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম মামদূহ মুর্শিদ ক্বিবলা সাইয়্যিদুনা ইমাম খলীফাতুল্লাহ হযরত আস সাফফাহ আলাইহিস সালাম তিনি সারা পৃথিবীতে, সারা কায়িনাতে সম্মানিত খিলাফত আলা মিনহাজিন নুবুওওয়াহ্ মুবারক প্রতিষ্ঠা করবেনই করবেন ইনশাআল্লাহ
২৯ ডিসেম্বর, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল আহাদ (রোববার)