যে দেশের সরকার ও যে দেশের মানুষ- পবিত্র সাইয়্যিদু সাইয়্যিদিল আ’ইয়াদ শরীফ উনার প্রতি যথাযথ সম্মান ও তা’যীম-তাকরীম করবে, সে দেশ ও জাতিকে কখনোই বিদেশী কোনো অপশক্তি পরাভূত করতে পারবে না। ইনশাআল্লাহ!
, ১৬ ছফর শরীফ, ১৪৪৬ হিজরী সন, ২৪ ছালিছ, ১৩৯২ শামসী সন , ২২ আগষ্ট, ২০২৪ খ্রি:, ০৭ ভাদ্র , ১৪৩১ ফসলী সন, ইয়াওমুল খমীছ (বৃহস্পতিবার) সাইয়্যিদু সাইয়্যিদিল আ’ইয়াদ শরীফ
লেখনীর শুরু হোক পবিত্রতম একটি পবিত্র হাদীছ শরীফ উনাকে নিয়ে। পবিত্র হাদীছ শরীফ উনার মাঝে ইরশাদ মুবারক হয়েছে- নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি ইরশাদ মুবারক করেন, তোমাদের মুসলমানদের উপর এমন একটি সময় আসবে, তোমাদের উপর যুলুম-নির্যাতন করার জন্য তোমাদের বিরুদ্ধে সকল জাতি পরস্পরকে এমনভাবে ডাকবে, যেমনটি খাওয়ার দস্তরখানার দিকে লোকদের ডাকা হয়ে থাকে। এ কথা শ্রবণ করার পর একজন জানতে চাইলেন, ইয়া রসূলাল্লাহ, ইয়া হাবীবাল্লাহ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম! তখন কি আমাদের মুসলিমদের সংখ্যা কম হবে? নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি ইরশাদ মুবারক করেন- না, তখন তোমরা সংখ্যায় কম হবে না, বরং তোমরা সেদিন আরো অনেক বেশি হবে। তবে তোমাদের অবস্থা হবে স্রোতের পানির উপরিভাগে ভাসমান খড়কুটার মতো। মহান আল্লাহ পাক উনার নাফরমানির কারণে তোমাদের দুশমন কাফির-মুশরিকদের অন্তর থেকে তোমাদের প্রতি যে ভয় বা রোব সেটা দূর হয়ে যাবে। আর তোমাদের অন্তরে প্রবেশ করানো হবে ‘ওহান’। একজন জানতে চাইলেন, ইয়া রসূলাল্লাহ, ইয়া হাবীবাল্লাহ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম! ‘ওহান’ কী? নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি ইরশাদ মুবারক করেন- ১) দুনিয়ার প্রতি আসক্তি বা মুহব্বত, ২) মৃত্যুকে অপছন্দ করা। ’ (পবিত্র আবু দাউদ শরীফ)
এই পবিত্রতম হাদীছ শরীফ পাঠ করলে বর্তমান সময়ের প্রেক্ষাপটে বিষয়টি যে কত বেশি জীবন্ত ও বাস্তব- সেটা আর ব্যাখ্যা করে না বললেও অধিকাংশ পাঠকই বিষয়টিকে উপলব্ধি করার মতো জ্ঞান রাখেন বলেই আমার ধারণা। তবে পবিত্রতম হাদীছ শরীফ উনার শেষাংশে উল্লিখিত ২টি বিশেষ বিষয়েই আমাদের নজর দেয়া দরকার। এখানে প্রথমত বলা হয়েছে- দুনিয়ার প্রতি মুহব্বত আর দ্বিতীয়ত বলা হয়েছে মৃত্যুর প্রতি অনীহা- এই দুটোই হলো মুসলমানদের করুণ ও নিপীড়িত হওয়ার মূল কারণ। মূলত দুনিয়ার প্রতি আসক্তির ফলাফলই হলো ওহান তথা মৃত্যুকে ভুলে যাওয়া ও মৃত্যুকে অপছন্দ করা।
তাহলে বুঝা যাচ্ছে, আমাদেরকে দুনিয়ার মুহব্বতটাই সবার আগে পরিত্যাগ করতে হবে। তাহলে আমরা কিসের প্রতি, কাদের প্রতি মুহব্বত রাখবো? এ বিষয়ে পবিত্র হাদীছ শরীফ উনার মাঝে ইরশাদ মুবারক হয়েছে- নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি ইরশাদ মুবারক করেন, তোমরা ততক্ষণ পর্যন্ত পরিপূর্ণ ঈমানদার হতে পারবে না, যতক্ষণ না তোমাদের পিতা-মাতা, সন্তান-সন্ততি এমনকি সমস্ত কিছুর চাইতেও বেশি নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনাকে মুহব্বত না করবে। সুবহানাল্লাহ!
পবিত্র কালামুল্লাহ শরীফ উনার মাঝে ইরশাদ মুবারক হয়েছে- যদি তোমরা মু’মিন হয়ে থাকো, তাহলে তোমাদের দায়িত্ব-কর্তব্য হলো মহান আল্লাহ পাক উনাকে ও উনার হাবীব নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনাদেরকে সন্তুষ্ট করা, উনারাই সন্তুষ্টি-রেযামন্দি মুবারক পাওয়ার সর্বাধিক হক্বদার। সুবহানাল্লাহ! (পবিত্র সূরা তওবা শরীফ : পবিত্র আয়াত শরীফ ৬২)
পবিত্রতম আয়াত শরীফ ও পবিত্রতম হাদীছ শরীফ উনাদের দ্বারা এটাই স্পষ্ট যে, একজন ঈমানদার-মুসলমান হিসেবে তার সকল মুহব্বতের একমাত্র লক্ষ্যস্থল হলেন নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি।
আর নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার মুহব্বত অর্জনের অন্যতম একটি মাধ্যম হলো উনার সংশ্লিষ্ট বিশেষ বিষয়সমূহের প্রতি সর্বোচ্চ সম্মান করা, তা’যীম-তাকরীম ও মুহব্বত করা, খিদমতের আন্জাম দেয়া। পবিত্র সাইয়্যিদু সাইয়্যিদিল আ’ইয়াদ শরীফ পবিত্র ঈদে বিলাদতে রসূলিল্লাহ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনারাই হলেন নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার মুবারক মুহব্বত অর্জনের অন্যতম একটি মাধ্যম। সুবহানাল্লাহ!
অতএব, দুনিয়ার সমস্ত মুসলমান-ঈমানদারসহ সমস্ত দেশের সমস্ত সরকারের উচিত- পবিত্র সাইয়্যিদু সাইয়্যিদিল আ’ইয়াদ শরীফ পবিত্র ঈদে বিলাদতে রসূলিল্লাহ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উপলক্ষে সর্বোচ্চ খুশি প্রকাশ করা ও সর্বোচ্চ তা’যীম-তাকরীমের সাথে পালন করার যাবতীয় আনজাম দেয়ার যথাযথ পদক্ষেপ নেয়া। এটা করতে পারলেই দুনিয়ার প্রতি মুহব্বত ত্যাগ করা যাবে ‘ওহান’ থেকে বেঁচে থাকা যাবে। আর এই ‘ওহান’ থেকে বেঁচে থাকতে পারলেই কোনো মু’মিন-মুসলমান ঈমানদারতো বটেই, কোনো দেশ বা সরকারের উপরও কখনো কোনো কাফির-মুশরিক ইহুদী, নাছারা, মজুসী অমুসলিম-বিধর্মীরা যুলুম-নির্যাতন করতে পারবে না। মহান আল্লাহ পাক তিনি সকলের জন্য কুদরতী হেফাজতের ব্যবস্থা করে দিবেন। সুবহানাল্লাহ!
-শাহ সুলতান।
এ সম্পর্কিত আরো সংবাদ
-
সম্মানিত খিলাফত আলা মিনহাজিন নুবুওওয়াহ্ মুবারক ক্বায়িম হওয়ার অর্থই হলো দুনিয়ার যমীন ইনছাফ দ্বারা পরিপূর্ণ হয়ে যাওয়া
০৩ নভেম্বর, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল আহাদ (রোববার) -
সাইয়্যিদুল মুরসালীন, ইমামুল মুরসালীন, খ্বাতামুন নাবিয়্যীন, নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার নূরুল মুজাসসাম মুবারক উনার মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র নূরুর রহমত মুবারক উনার নূরের আলোতে পুরো পবিত্র হুজরা শরীফ আলোকিত হওয়া
০৩ নভেম্বর, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল আহাদ (রোববার) -
বর্তমান সময়টা হচ্ছে সম্মানিত খিলাফত আলা মিনহাজিন নুবুওওয়াহ্ মুবারক প্রতিষ্ঠিত হওয়ার নির্দিষ্ট সময়
০২ নভেম্বর, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুছ সাবত (শনিবার) -
সাইয়্যিদুল মুরসালীন, ইমামুল মুরসালীন, খ্বাতামুন নাবিয়্যীন, নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার ছায়া মুবারক ছিলেন না (৫)
০২ নভেম্বর, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুছ সাবত (শনিবার) -
নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার প্রতি হযরত যায়িদ বিন হারেছাহ রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহু উনার বেমেছাল মুহব্বত মুবারক
০১ নভেম্বর, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল জুমুয়াহ (শুক্রবার) -
নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র দুধ ভাই সাইয়্যিদুনা হযরত মাসরূহ্ আলাইহিস সালাম উনার মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র বরকতময় বিছালী শান মুবারক প্রকাশ দিবস মুবারক
০১ নভেম্বর, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল জুমুয়াহ (শুক্রবার) -
সাইয়্যিদুল মুরসালীন, ইমামুল মুরসালীন, খ্বাতামুন নাবিয়্যীন, নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার ছায়া মুবারক ছিলেন না (৪)
০১ নভেম্বর, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল জুমুয়াহ (শুক্রবার) -
সম্মানিত খিলাফত আলা মিনহাজিন নুবুওওয়াহ্ মুবারক উনার গুরুত্ব এবং আবশ্যকতা
৩১ অক্টোবর, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল খমীছ (বৃহস্পতিবার) -
সাইয়্যিদুল মুরসালীন, ইমামুল মুরসালীন, খ্বাতামুন নাবিয়্যীন, নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার ছায়া মুবারক ছিলেন না (৩)
৩১ অক্টোবর, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল খমীছ (বৃহস্পতিবার) -
সম্মানিত খিলাফত আলা মিনহাজিন নুবুওওয়াহ্ মুবারকই হচ্ছেন মুসলমান উনাদের একমাত্র শাসন ব্যবস্থা
৩০ অক্টোবর, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল আরবিয়া (বুধবার) -
সাইয়্যিদুল মুরসালীন, ইমামুল মুরসালীন, খ্বাতামুন নাবিয়্যীন, নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার ছায়া মুবারক ছিলেন না (২)
৩০ অক্টোবর, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল আরবিয়া (বুধবার) -
সম্মানিত খিলাফত আলা মিনহাজিন নুবুওওয়াহ্ মুবারক উনার পরিচিতি
২৯ অক্টোবর, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুছ ছুলাছা (মঙ্গলবার)