যুদ্ধ-বিধ্বস্থ ইয়েমেনে শিশুরা বর্তমান বিশ্বে সবচেয়ে ভয়াবহ সংকটে সাধারণ মুসলিম শুধু ফিলিস্তিন-কাশ্মীরের প্রতি সহানুভূতিতেই সীমাবদ্ধ প্রচলিত ধারণার বাইরে বর্তমান ইয়েমেন সংকটে মুসলিম বিশ্বের উচিত বাতাসের চেয়ে দ্রুত গতিতে সাহায্যের হাত বাড়ানো
, ২৯ মুহররমুল হারাম শরীফ, ১৪৪৪ হিজরী সন, ১৮ ছালিছ, ১৩৯১ শামসী সন , ১৭ আগস্ট, ২০২৩ খ্রি:, ০২ ভাদ্র শ্রাবণ, ১৪৩০ ফসলী সন, ইয়াওমুল খমীছ (বৃহস্পতিবার) সম্পাদকীয়
ইয়েমেনে যুদ্ধ থেমে গেলেও এর মারাত্মক সংকট এখন ভয়াবহ অবস্থায় বিরাজ করছে। গত সাড়ে আট বছরে ইয়েমেনের বিরুদ্ধে সৌদি-আমিরাত সামরিক জোটের আগ্রাসনে সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে শিশুরা।
সৌদি আরব, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র, সংযুক্ত আরব আমিরাত এবং অন্যান্য আরো কয়েকটি দেশের সমর্থনে ২০১৫ সালের মার্চে ইয়েমেনে ব্যাপক সামরিক আগ্রাসন শুরু হয়। হামলার পাশাপাশি দরিদ্র দেশটিকে স্থল, সমুদ্র এবং আকাশপথে অবরোধ দিয়ে রাখা হয়। এই যুদ্ধের ফলে লাখ লাখ ইয়েমেনি শিশু বিভিন্নভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে।
এছাড়া, হাজার হাজার অপূর্ণাঙ্গ শিশুর জন্ম ইয়েমেনের বিরুদ্ধে যুদ্ধের আরেকটি ভয়াবহ দিক। মানবাধিকার সংস্থাগুলোর প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, সৌদি নেতৃত্বাধীন সামরিক জোট আন্তর্জাতিকভাবে নিষিদ্ধ অস্ত্র ব্যবহার করার কারণে বছরে ৩৯ শতাংশ ইয়েমেনি শিশু অপূর্ণাবস্থায় জন্মগ্রহণ করছে। অর্থাৎ এভাবে বছরে ১১ লাখ ২০ হাজার শিশুর জন্ম হচ্ছে। শিশুদের ক্ষুধা ও অসুস্থতা ইয়েমেনের বিরুদ্ধে অন্যায় যুদ্ধের আরেকটি ভয়াবহ দিক। এক হিসাব দেখা গেছে প্রায় এক কোটি ১০ লাখ শিশু অনাহারের ঝুঁকিতে রয়েছে এবং তাদের খাদ্য ও চিকিৎসা সহায়তার প্রয়োজন। আরো প্রায় ২২ লাখ শিশু মারাত্মক অপুষ্টিতে ভুগছে। এ ছাড়াও, এতিম হয়ে যাওয়া এবং গৃহহীন হয়ে যাওয়াও যুদ্ধে শিশুদের ক্ষতিগ্রস্ত হওয়ার আরেকটি দৃষ্টান্ত। এরফলে মানসিকভাবে শিশুরা অসুস্থ ও ভেঙে পড়ায় তাদের ভবিষ্যত জীবন মারাত্মক হুমকির সম্মুখীন।
ন্যাশনাল স্যালভেশন সরকারের মানবাধিকার মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র এ প্রসঙ্গে বলেছে, ইয়েমেনি শিশুরা শারীরিক ও মানসিকভাবে বিপর্যস্ত। দেশটির ওপর নিষেধাজ্ঞার কারণে ইয়েমেনের শিশুরা চিকিৎসা থেকে বঞ্চিত হচ্ছে, বিভিন্ন অসুখে প্রাণ হারাচ্ছে, এখনো আশ্রয়কেন্দ্রে দিনযাপন করছে। ইয়েমেনের মানবাধিকার কর্মী আহমেদ আবু হামরা এ প্রসঙ্গে বলেছেন, যুদ্ধ ও অবরোধের ধ্বংসাত্মক প্রভাব আমাদের শিশুদের ওপর বহুকাল পর্যন্ত অব্যাহত থাকবে। কেননা, কিছু ইয়েমেনি শিশু তাদের গোটা পরিবারকে হারিয়েছে এবং কিছু শিশু তাদের পরিবারের কিছু সদস্যকে হারিয়েছে।
মোটকথা, ইয়েমেনের ওপর অন্যায় আগ্রাসনে দেশটি সব দিক থেকেই ধ্বংসস্তূপে পরিণত হলেও বিশেষ করে শিশুরা ক্ষতিগ্রস্ত হলেও জাতিসংঘের অধীনস্থ সংস্থাগুলো ইয়েমেনি শিশুদের রক্ষায় কোনও পদক্ষেপ নেয়নি। অথচ তারা শিশু নির্যাতনের কথা স্বীকার করেছে।
জাতিসংঘের প্রতিবেদন বলছে, ইয়েমেনের ১৫.৫ শতাংশ শিশু তীব্র অপুষ্টিতে ভুগছে। ‘শিশুরা এই বয়সে পুষ্টিহীনতরা শিকার হলে মস্তিস্কের অপূরণীয় ক্ষতিসাধন হয় এবং এটা তাদের স্বাভাবিক বিকাশের ক্ষমতাকে নষ্ট করে দেয়। এটা আসলেই ভয়ঙ্কর ঘটনা।’ শুধু তাই নয়, দেশটির এক মিলিয়নের চতুর্থাংশ, অর্থাৎ প্রায় আড়াই লাখ গর্ভবতী ও স্তন্যদানকারী মায়ের অপুষ্টির চিকিৎসা দরকার। প্রতিবেদনে আরও বলা হয়, আন্তর্জাতিকভাবে স্বীকৃত সরকারের নিয়ন্ত্রণে রয়েছে দক্ষিণ ইয়েমেনের প্রায় ১৪ লাখ শিশু, যাদের বয়স পাঁচ বছরের কম। তবে ইরান-সমর্থিত যোদ্ধাদের নিয়ন্ত্রিত উত্তর ইয়েমেনের শিশুদের অপুষ্টির তথ্য এই প্রতিবেদনে উঠে আসেনি। ইয়েমেনে তীব্র খাদ্য সংকট দেখা দিলেও এখন পর্যন্ত আনুষ্ঠানিকভাবে দুর্ভিক্ষ ঘোষণা করেনি ইয়েমেন সরকার।
বিশে^র মধ্যে সবচেয়ে মানবিক সংকটে ভুগছে ইয়েমেন। দেশটির ৮০ শতাংশ মানুষ মানবিক সহায়তার ওপর নির্ভরশীল।
বস্তুত, ইয়েমেনের সাধারণ মানুষ এক নিদারুণ সময় অতিবাহিত করছে। কিন্তু ইয়েমেনের সংকট মনে হয় সবার দৃষ্টি আকর্ষণ করতে পারেনি। সবাই ফিলিস্তিন বা সিরিয়ার সংকট নিয়ে যেভাবে কথা বলছে, ইয়েমেনের যুদ্ধ নিয়ে সেভাবে আলোচনা হচ্ছে না।
ইয়েমেন যুদ্ধে ক্ষতিগ্রস্থদের বিশেষ করে চরমভাবে ক্ষতিগ্রস্থ শিশুদের বিষয়ে বিশেষ কোন পদক্ষেপ নেয়া হচ্ছে না। মুসলিম দেশগুলোও কোনো সারা দিচ্ছে না। মুসলিম বিশ্ব শুধু ফিলিস্তিনীদের প্রতি কিছু লৌকিক সহানুভূতি প্রদর্শন করাতেই তাদের দায়িত্ব শেষ মনে করছে। বাংলাদেশ সরকার তুরস্কে ভূমিকম্পে সহায়তা করেছে। কিন্তু ইয়েমেনে কোনো সাহায্য পাঠায়নি। এমনকী ও.আই.সিও ইয়েমেনে সাহায্য পাঠানোর বিষয়ে তেমন কোনো আহবান জানায়নি। বাংলাদেশের সংবিধানে মুসলিম ভ্রাতৃত্ববোধ বলে একটা অনুচ্ছেদ দিলো বর্তমান সরকার সেটারও বিলুপ্তি সাধন করেছে। অথচ সরকারের নির্বাচনে প্রতিশ্রুতি দিলো কুরআন শরীফ-সুন্নাহ শরীফ বিরোধী কোনো আইন পাস হবে না। মূলত: কুরআন শরীফ-সুন্নাহ শরীফ মানলেই কেউ মুসলমান হয়। তাই কুরআন শরীফ-সুন্নাহ শরীফে বিশ্বাসকারী গোটা মুসলিম বিশ্বের উচিত সংকটাপন্ন মুসলিম দেশ ইয়েমেনের সাহায্যে অকাতরে এগিয়ে আসা। বিশেষ করে মাসুম শিশু ও অবলা নারীদের জন্য বাতাসের চেয়ে দ্রুত গতিতে সাহায্যের হাত প্রসারিত করা।
ছহিবে সাইয়্যিদি সাইয়্যিদিল আ’ইয়াদ শরীফ, রাজারবাগ শরীফ উনার মামদূহ মুর্র্শিদ ক্বিবলা সাইয়্যিদুনা হযরত সুলত্বানুন নাছীর আলাইহিস সালাম উনার নেক ছোহবত মুবারক-এ কেবলমাত্র তা লাভ করা সম্ভব। খালিক্ব মালিক রব মহান আল্লাহ পাক তিনি আমাদেরকে তা নছীব করুন। (আমীন)
এ সম্পর্কিত আরো সংবাদ
-
দ্রব্যমূল্যের আগুনে ঝলসে যাচ্ছে মানুষ। মূল্যস্ফীতির চাপে পিষ্ট হচ্ছে জনসাধারণ। সরকারের কর্তাব্যক্তিদের রকমফের চটকদার কথার পরিবর্তে এক্ষনি মূল্যস্ফীতিকে সংকুচিত করে দেশবাসীকে বাঁচাতে হবে ইনশাআল্লাহ।
০৫ নভেম্বর, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুছ ছুলাছা (মঙ্গলবার) -
৭ হাজার ৮০০ মিলিয়ন টন কয়লা মজুদের দেশে কয়লার ঘাটতিতে বিদ্যুৎ উৎপাদন কেন্দ্র বন্ধ কেন? বিগত মাফিয়া সরকারের পথ থেকে সরে এসে কয়লা উত্তোলন শুরু করুন।
০৫ নভেম্বর, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুছ ছুলাছা (মঙ্গলবার) -
প্রসঙ্গঃ মোবাইল ফোনের ব্যবহার ও অপব্যবহার।
০৪ নভেম্বর, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল ইছনাইনিল আযীম (সোমবার) -
হোল্ডিং ট্যাক্স ছাড়, তাপ মুক্তি নিরাপদ ফল-সবজি প্রাপ্তি, পরিবেশ উন্নয়ন প্রক্রিয়ায় শহরের প্রতিটি বাড়ির ছাদ হোক একটুকরো বাগান
০৪ নভেম্বর, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল ইছনাইনিল আযীম (সোমবার) -
৪০ শতাংশের বেশি ক্ষুদ্র ও কুটির শিল্প বন্ধ হয়েছে যথাযথ পৃষ্ঠপোষকতা করলে ইনশাআল্লাহ ঘুরে দাঁড়াবে ক্ষুদ্র ও কুটির শিল্প
০৩ নভেম্বর, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল আহাদ (রোববার) -
মুদি দোকান, স্টেশনারি দোকান, শপিং মল, পার্লার, সুপার শপ সবখানেই ভেজাল কসমেটিক্স। মারাত্মক ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে ব্যবহারকারীরা। সরকারের কঠোর নজরদারী ও নিয়ন্ত্রণ প্রয়োজন।
০২ নভেম্বর, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুছ সাবত (শনিবার) -
দেশের ৪ কোটি মানুষ না খেয়ে থাকে। অথচ দেশে মাথাপিছু খাদ্য অপচয় হয় প্রায় ৯০ কেজি। বছরে ক্ষতির পরিমাণ প্রায় ৩৫ হাজার কোটি টাকা।
০২ নভেম্বর, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুছ সাবত (শনিবার) -
আজ মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র ২৮শে রবীউছ ছানী শরীফ! সাইয়্যিদাতুনা উম্মুর রদ্বাআহ আল ঊলা আলাইহাস সালাম উনার সম্মানিত আওলাদ, আখু রসূলিল্লাহ মিনার রদ্বাআহ সাইয়্যিদুনা হযরত মাসরূহ্ আলাইহিস সালাম উনার বিছালী শান মুবারক প্রকাশ দিবস। সুবহানাল্লাহ!
০১ নভেম্বর, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল জুমুয়াহ (শুক্রবার) -
শিক্ষা খাতে পতিত সরকারের বাজেটে নিম্নবিত্ত-মধ্যবিত্তদের স্বার্থ সংরক্ষিত হয়নি শিক্ষার্থীরা যাতে ঝরে না পড়ে- শিক্ষা উপকরণের দাম কমিয়ে বর্তমান সরকারকে তা নিশ্চিত করতে হবে ইনশাআল্লাহ
৩১ অক্টোবর, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল খমীছ (বৃহস্পতিবার) -
শব্দ দূষণ এখন শব্দ সন্ত্রাস ও নীরব ঘাতকে পরিণত হয়েছে। নারিকেল দ্বীপ নয় শব্দ দূষণে বিপর্যস্থ ঢাকাকে উপযোগী করার জন্য ঢাকার জনযট সারাদেশে ছড়িয়ে দিতে হবে।
৩১ অক্টোবর, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল খমীছ (বৃহস্পতিবার) -
‘২০৪১ সালে মাছ উৎপাদনের লক্ষ্যমাত্রা ৮৫ লাখ মেট্রিক টন’ ৩৯ বছরের ব্যবধানে মাছের উৎপাদন বেড়েছে ৬ গুণ উৎপাদন বাড়ছে মাছের, তবুও নাগালে নেই দাম
৩০ অক্টোবর, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল আরবিয়া (বুধবার) -
নাটক-সিনেমার মাধ্যমে মুসলিম প্রজন্মকে দ্বীন ইসলাম থেকে দূরে সরিয়ে দেয়া হচ্ছে। পরকালের কথা স্বরণ করে মুসলিম উম্মাহকে বিধর্মীদের এসব ষড়যন্ত্র থেকে বের হয়ে আসতে হবে।
৩০ অক্টোবর, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল আরবিয়া (বুধবার)