মূল্যস্ফীতির চরম মাত্রায়ও ওষুধের দাম অস্বাভাবিক বাড়ার পাশাপাশি তৈরী করা হচ্ছে কৃত্রিম সংকট।
ওষুধ নিয়েও মুনাফাখোরী করলে মানুষের বেঁচে থাকার শেষ উপায়টুকু নি:শেষ হবে। ওষুধের দাম নিয়ন্ত্রণে অন্যসব ব্যবস্থা নেয়ার পাশাপাশি সরকারকে সর্বোচ্চ ভর্তুকির ব্যবস্থা করতে হবে।
, ২১ মুহররমুল হারাম শরীফ, ১৪৪৪ হিজরী সন, ১০ ছালিছ, ১৩৯১ শামসী সন , ০৯ আগস্ট, ২০২৩ খ্রি:, ২৫ শ্রাবণ, ১৪৩০ ফসলী সন, ইয়াওমুল আরবিয়া (বুধবার) সম্পাদকীয়
ওষুধসহ বিভিন্ন চিকিৎসার উপকরণের অত্যাধিক মূল্যবৃদ্ধিতে জনজীবনে দুর্ভোগ আর দুশ্চিন্তা দুটোই বাড়িয়েছে। দুই সপ্তাহের ব্যবধানে নিত্যপ্রয়োজনীয় ওষুধের দাম ৩০ শতাংশ পর্যন্ত বেড়েছে। রোগীপ্রতি মাসিক খরচ ২ থেকে ৪ হাজার টাকা বেড়েছে। এসব খরচ পুরোটাই রোগীকে বহন করতে হয়। এমন পরিস্থিতিতে সাধারণ পরিবারের রোগীর চিকিৎসা কষ্টসাধ্য হয়ে উঠেছে। এমনিতেই নিত্যপ্রয়োজনীয় জিনিসের বাড়তি দামের জেরে নাভিশ্বাস উঠেছে মানুষের। তার ওপর ওষুধের এই দাম বৃদ্ধি ‘মড়ার ওপর খাঁড়ার ঘা’।
দৈনন্দিন জীবন যাপনের জন্য অপরিহার্য নিত্যপণ্যের ঊর্ধ্বগতির সঙ্গে পাল্লা দিয়ে হুহু করে বাড়ছে জরুরি প্রয়োজনীয় ওষুধের দাম। এই দৌড়ে পেরে উঠছে না মানুষ। দেশের শীর্ষ ছয় প্রতিষ্ঠান তাদের উৎপাদিত ২৩৪টি জীবন রক্ষাকারী ওষুধের দাম ১০ থেকে ৫০ শতাংশ পর্যন্ত বাড়িয়েছে। অভিযোগ রয়েছে, নির্ধারিত দরের চেয়ে বাজারে অনেক ওষুধ বেশি দামেও কেনাবেচা চলছে।
ঔষধ প্রশাসন অধিদপ্তর সূত্রে জানা গেছে, ২০২৩ সালের শুরু থেকে এখন পর্যন্ত শীর্ষ ছয় কোম্পানির ওষুধের দাম সর্বোচ্চ বেড়েছে। সবার শীর্ষে রয়েছে অপসোনিন ফার্মা লিমিটেড। তারা বাড়িয়েছে ৫২টি ওষুধের দাম। তাদের ওষুধের দাম সর্বোচ্চ ৫০ শতাংশ পর্যন্ত বেড়েছে।
ইতোমধ্যে ডেঙ্গু প্রাণঘাতীও হয়ে উঠছে। প্রতিদিন প্রাণ হারাচ্ছে মানুষ। এ রোগের সঙ্গে সঙ্গে প্যারাসিটামল জাতীয় ট্যাবলেট ও সিরাপের চাহিদা ব্যাপক বেড়ে গেছে। গ্লুকোজ স্যালাইনেরও একই অবস্থা। এছাড়া ঘরে ঘরে জ্বর, সর্দি ও ঠা-াজনিত রোগী বৃদ্ধি পাওয়ায় প্যারাসিটামল জাতীয় ওষুধের চাহিদা স্বাভাবিকের চেয়ে কয়েকগুণ বেড়েছে। ঢাকার পাশাপাশি দেশের বিভিন্ন এলাকায় এসব ওষুধ সংকটের খবর গণমাধ্যমে আসছে। এমন পরিস্থিতিতে প্রয়োজনীয় ওষুধের সংকট উদ্বেগজনক। বহুল প্রচলিত ব্র্যান্ডের প্যারাসিটামল ওষুধের সরবরাহ নেই। কোম্পানির প্রতিনিধিরা চাহিদা অনুসারে ওষুধ দিচ্ছেন না। অন্যদিকে ওষুধ কোম্পানির প্রতিনিধিরা বলছেন, হঠাৎ করে প্যারাসিটামল ও স্যালাইন জাতীয় ওষুধের চাহিদা বেড়ে যাবে, তা আগে থেকে বোঝা যায়নি। ফলে উৎপাদন ও বাজারজাতকরণে বড় ধরনের ধাক্কা এসেছে। নাপা, নাপা এক্সট্রা, এইস প্লাস, নাপা সিরাপ ও জিংক ট্যাবলেটসহ প্যারাসিটামল জাতীয় কয়েকটি কোম্পানির ওষুধের সংকট দেখা দিয়েছে। এ দুঃসময়ে ওষুধ না পেয়ে ভোগান্তিতে পড়েছে সাধারণ মানুষ। চাহিদার সঙ্গে বেড়েছে প্রয়োজনীয় ট্যাবলেটের দাম। চট্টগ্রাম, পটুয়াখালী, রংপুর অঞ্চলের দিনাজপুর, ঠাকুরগাঁও, পঞ্চগড়, লালমনিরহাটসহ বিভিন্ন জেলা-উপজেলায় কৃত্রিম সংকট সৃষ্টি হয়েছে। অনেক জায়গায় ফার্মেসিতে ওষুধ না পেয়ে রোগী ও তাদের স্বজনরা হতাশ হয়ে বাড়ি ফিরছেন। আবার কোথাও কৃত্রিম সংকট তৈরির অভিযোগ মিলছে ফার্মেসি মালিকদের বিরুদ্ধে। ক্রেতাদের অভিযোগ, ঘরে ঘরে জ¦র-সর্দি বেড়ে যাওয়ায় লাভের আশায় ফার্মেসি মালিকরা এই কৃত্রিম সংকট সৃষ্টি করে সাধারণ মানুষকে দুর্ভোগে ফেলেছেন। বিক্রেতারা বলছেন, চাহিদার তুলনায় কোম্পানিগুলো আমাদের ওষুধ সরবরাহ করতে পারছে না। বিশেষ করে নাপা ট্যাবলেট, নাপা সিরাপ, এইস ট্যাবলেট ও এইস সিরাপের চাহিদা অন্য যে কোনো সময়ের তুলনায় কয়েক গুণ বেড়ে গেছে। চাহিদার তুলনায় ওষুধের সরবরাহ কম থাকায় সংকট দেখা দিয়েছে। এছাড়া অনেক মানুষ অপ্রয়োজনে আগে থেকেই এসব ওষুধ ঘরে মজুত রাখছেন। এ প্রবণতাকেও সংকটের জন্য দায়ী করছেন তারা। ওষুধ কোনো বিলাসী ভোগ্যপণ্য নয়। এর ওপর মানুষের জীবন-মরণ নির্ভর করে থাকে। এ ক্ষেত্রে ক্রেতার স্বার্থ রক্ষা করাই অনেক বেশি জরুরি। ওষুধের মূল্য বৃদ্ধির অন্যতম কারণ হিসেবে কোম্পানিগুলোর উচ্চাভিলাষী বিপণন নীতি ও অধিক মুনাফা করার প্রবণতাকে দায়ী করছেন বিশেষজ্ঞরা। ওষুধ কোম্পানিগুলোর অতি মুনাফা প্রবণতার বলি হচ্ছে সাধারণ মানুষ, এটি অনৈতিক। সরকারকে অবিলম্বে এদিকে দৃষ্টি দিতে হবে। কৃত্রিম সংকট সৃষ্টিকারী অসাধু ব্যবসায়ীদের এই মনোভাব অমানবিক। জীবন রক্ষাকারী ওষুধের সরবরাহ চালু রাখা জরুরি। এ বিষয়ে সংশ্লিষ্টরা প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেবেন বলেই প্রত্যাশা। উদ্বেগের বিষয়, ওষুধের দাম নিয়ন্ত্রণে দেশে তেমন কোনো ব্যবস্থা নেই। কার্যত প্রায় গোটা ওষুধের বাজার নিয়ন্ত্রণ করছে ওষুধ শিল্প মালিক সমিতি।
ওষুধের দাম বাড়ানোর যৌক্তিকতা নিয়ে ক্যাব সভাপতির এ প্রশ্ন জ্বলন্ত। “কোনো ওষুধ কোম্পানি কি এখন লোকসানে চলছে?”
গত ছয় মাসে অর্ধশতাধিক ওষুধের দাম যে মাত্রায় বাড়ানো হয়েছে, তাকে ‘অযৌক্তিক ও অন্যায়’ বলছে কনজুমারস অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশ- ক্যাব।
এক ভার্চুয়াল সংবাদ সম্মেলনে ক্যাবের সভাপতি বলেছেন, গত দুই-তিন বছরে মানুষের আয় বাড়েনি। এ অবস্থায় ওষুধ কোম্পানিগুলোর ‘অতি লোভের’ কারণে দাম বাড়ানো হচ্ছে ভোক্তার অধিকার উপেক্ষা করে।
মূলত এখন জীবনমান নিম্নমুখী, নিত্যপ্রয়োজনীয় জিনিসপত্র কিনতেই হিমশিম খেতে হচ্ছে। ওষুধ কেনার সামর্থ্য অনেকে হারাচ্ছেন। অতি মুনাফা করার যে লোভ তা মূল্যস্ফীতিকে আরও চাঙ্গা করে দিয়েছে।
প্রসঙ্গত আমরা আরো মনে করি, মূল্যস্ফীতির এ সময়টায় যথাযথ ব্যবস্থা নিয়ে সবার প্রথমে ওষুধের দাম নিয়ন্ত্রণে রাখতে হবে। প্রয়োজনে জোগাতে হবে সর্বোচ্চ ভর্তুকি। সরকারের অন্যান্য ব্যয় কাটছাঁট করে হলেও এটা নিশ্চিত করতে হবে। দেশেই মানসম্মত কাঁচামালের উৎপাদন বাড়িয়ে কীভাবে ওষুধের দাম কমিয়ে রাখা যায়, সরকারকে সে বিষয়ে- সত্ত্বর সক্রিয় ব্যবস্থা নিতে হবে।
ছহিবে সাইয়্যিদি সাইয়্যিদিল আ’ইয়াদ শরীফ, রাজারবাগ শরীফ উনার মামদূহ মুর্র্শিদ ক্বিবলা সাইয়্যিদুনা হযরত সুলত্বানুন নাছীর আলাইহিস সালাম উনার নেক ছোহবত মুবারক-এ কেবলমাত্র তা লাভ করা সম্ভব। খালিক্ব মালিক রব মহান আল্লাহ পাক তিনি আমাদেরকে তা নছীব করুন। (আমীন)
এ সম্পর্কিত আরো সংবাদ
-
দ্রব্যমূল্যের আগুনে ঝলসে যাচ্ছে মানুষ। মূল্যস্ফীতির চাপে পিষ্ট হচ্ছে জনসাধারণ। সরকারের কর্তাব্যক্তিদের রকমফের চটকদার কথার পরিবর্তে এক্ষনি মূল্যস্ফীতিকে সংকুচিত করে দেশবাসীকে বাঁচাতে হবে ইনশাআল্লাহ।
০৫ নভেম্বর, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুছ ছুলাছা (মঙ্গলবার) -
৭ হাজার ৮০০ মিলিয়ন টন কয়লা মজুদের দেশে কয়লার ঘাটতিতে বিদ্যুৎ উৎপাদন কেন্দ্র বন্ধ কেন? বিগত মাফিয়া সরকারের পথ থেকে সরে এসে কয়লা উত্তোলন শুরু করুন।
০৫ নভেম্বর, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুছ ছুলাছা (মঙ্গলবার) -
প্রসঙ্গঃ মোবাইল ফোনের ব্যবহার ও অপব্যবহার।
০৪ নভেম্বর, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল ইছনাইনিল আযীম (সোমবার) -
হোল্ডিং ট্যাক্স ছাড়, তাপ মুক্তি নিরাপদ ফল-সবজি প্রাপ্তি, পরিবেশ উন্নয়ন প্রক্রিয়ায় শহরের প্রতিটি বাড়ির ছাদ হোক একটুকরো বাগান
০৪ নভেম্বর, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল ইছনাইনিল আযীম (সোমবার) -
৪০ শতাংশের বেশি ক্ষুদ্র ও কুটির শিল্প বন্ধ হয়েছে যথাযথ পৃষ্ঠপোষকতা করলে ইনশাআল্লাহ ঘুরে দাঁড়াবে ক্ষুদ্র ও কুটির শিল্প
০৩ নভেম্বর, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল আহাদ (রোববার) -
মুদি দোকান, স্টেশনারি দোকান, শপিং মল, পার্লার, সুপার শপ সবখানেই ভেজাল কসমেটিক্স। মারাত্মক ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে ব্যবহারকারীরা। সরকারের কঠোর নজরদারী ও নিয়ন্ত্রণ প্রয়োজন।
০২ নভেম্বর, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুছ সাবত (শনিবার) -
দেশের ৪ কোটি মানুষ না খেয়ে থাকে। অথচ দেশে মাথাপিছু খাদ্য অপচয় হয় প্রায় ৯০ কেজি। বছরে ক্ষতির পরিমাণ প্রায় ৩৫ হাজার কোটি টাকা।
০২ নভেম্বর, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুছ সাবত (শনিবার) -
আজ মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র ২৮শে রবীউছ ছানী শরীফ! সাইয়্যিদাতুনা উম্মুর রদ্বাআহ আল ঊলা আলাইহাস সালাম উনার সম্মানিত আওলাদ, আখু রসূলিল্লাহ মিনার রদ্বাআহ সাইয়্যিদুনা হযরত মাসরূহ্ আলাইহিস সালাম উনার বিছালী শান মুবারক প্রকাশ দিবস। সুবহানাল্লাহ!
০১ নভেম্বর, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল জুমুয়াহ (শুক্রবার) -
শিক্ষা খাতে পতিত সরকারের বাজেটে নিম্নবিত্ত-মধ্যবিত্তদের স্বার্থ সংরক্ষিত হয়নি শিক্ষার্থীরা যাতে ঝরে না পড়ে- শিক্ষা উপকরণের দাম কমিয়ে বর্তমান সরকারকে তা নিশ্চিত করতে হবে ইনশাআল্লাহ
৩১ অক্টোবর, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল খমীছ (বৃহস্পতিবার) -
শব্দ দূষণ এখন শব্দ সন্ত্রাস ও নীরব ঘাতকে পরিণত হয়েছে। নারিকেল দ্বীপ নয় শব্দ দূষণে বিপর্যস্থ ঢাকাকে উপযোগী করার জন্য ঢাকার জনযট সারাদেশে ছড়িয়ে দিতে হবে।
৩১ অক্টোবর, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল খমীছ (বৃহস্পতিবার) -
‘২০৪১ সালে মাছ উৎপাদনের লক্ষ্যমাত্রা ৮৫ লাখ মেট্রিক টন’ ৩৯ বছরের ব্যবধানে মাছের উৎপাদন বেড়েছে ৬ গুণ উৎপাদন বাড়ছে মাছের, তবুও নাগালে নেই দাম
৩০ অক্টোবর, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল আরবিয়া (বুধবার) -
নাটক-সিনেমার মাধ্যমে মুসলিম প্রজন্মকে দ্বীন ইসলাম থেকে দূরে সরিয়ে দেয়া হচ্ছে। পরকালের কথা স্বরণ করে মুসলিম উম্মাহকে বিধর্মীদের এসব ষড়যন্ত্র থেকে বের হয়ে আসতে হবে।
৩০ অক্টোবর, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল আরবিয়া (বুধবার)