নছীহতে কায়িম মাকামে উম্মাহাতুল মু’মীনীন সাইয়্যিদাতুনা হযরত উম্মুল উমাম আলাইহাস সালাম
মু’মিন আর ফাসিক সমান নয়-৩
, ১৭ রবীউল আউওয়াল শরীফ, ১৪৪৫ হিজরী সন, ০৪ খ্বমীছ ১৩৯১ শামসী সন , ০৩ অক্টোবর, ২০২৩ খ্রি:, ১৮ আশ্বিন, ১৪৩০ ফসলী সন, ইয়াওমুছ ছুলাছা (মঙ্গলবার) মহিলাদের পাতা
وَأَنْذِرِ النَّاسَ يَـوْمَ يَأْتِـيْهِمُ الْعَذَابُ فَـيَـقُوْلُ الَّذِيْنَ ظَلَمُوْا رَبَّـنَا أَخِّرْنَا إِلٰى أَجَلٍ قَرِيْبٍ نُّـجِبْ دَعْوَتَكَ وَنَـتَّبِعِ الرُّسُلَ ۗ أَوَلَـمْ تَكُوْنُـوْا أَقْسَمْتُمْ مِّنْ قَـبْلُ مَا لَكُمْ مِّنْ زَوَالٍ ﴿৪৪﴾ وَسَكَنْـتُمْ فِـيْ مَسَاكِنِ الَّذِيْنَ ظَلَمُوْا أَنْـفُسَهُمْ وَتَـبَـيَّـنَ لَكُمْ كَيْفَ فَـعَلْنَا بِـهِمْ وَضَرَبْـنَا لَكُمُ الْأَمْثَالَ ﴿৪৫﴾ سورة ابراهيم
আপনি মানুষকে ঐদিন সম্পর্কে সতর্ক করুন যেদিন তাদের কাছে আযাব আসবে। অতঃপর যালিমরা (যারা নফসের প্রতি যুলুম করেছে তারা) বলবে, হে আমাদের রব! আমাদের সামান্য সময়ের জন্য অবকাশ দিন। আমরা আপনার ডাকে সাড়া দিবো এবং রসূল আলাইহিমুস সালাম উনাদের অনুসরণ করবো। (তখন মহান আল্লাহ পাক তিনি বলবেন) তোমরা কি ইতিপূর্বে কসম করে বলোনি তোমাদের কোনো বিলুপ্তি নেই, ধ্বংস নেই? যারা নফসের প্রতি যুলুম
করেছে তোমরা তো তাদের বাসস্থানেই বসবাস করেছিলে। তোমাদের কাছে সুস্পষ্টভাবে বর্ণনা করা হয়েছে আমি তাদের সাথে কিরূপ ব্যবহার করেছি এবং তোমাদের জন্য দৃষ্টান্ত পেশ করেছি। [সূরা ইবরাহীম শরীফ: ৪৪-৪৫]
অর্থাৎ পূর্ববর্তীরা যে তাদের নফসের প্রতি যুলুম করার কারণে ধ্বংস হয়ে গেছে তাদের বিষয়গুলো জানিয়ে দিয়ে সতর্ক করা হয়েছে। কিন্তু তোমরা সতর্ক হওনি। এখন এসমস্ত কথা কোনো কাজে আসবে না।
কাজেই দুনিয়ায় থাকতেই তওবা ইস্তেগফার করে আমলগুলো শুদ্ধ করতে হবে। ভুল-ত্রুটি হতে পারে তবে যতবার ভুল হবে ততবার তওবা করে নিবে। একটা বাচ্চা যখন হাঁটা শিখে সে বারবার পড়ে যায়। তাই বলে সে হাঁটা বন্ধ করে দেয় না, বন্ধ করে দিলে সে আর হাঁটা শিখতে পারবে না। তেমনিভাবে ভুলত্রুটি হয়ে গেলে তওবা ইস্তেগফার করবে, যত ভুল হবে তত বেশি তওবা ইস্তেগফার করবে। মহান আল্লাহ পাক তিনি ক্ষমা করবেন। কিন্তু তওবা না করে ভুলের মধ্যেই থেকে গেলে ক্ষমা পাওয়া যাবে না।
মহান আল্লাহ পাক তিনি আরো ইরশাদ মুবারক করেছেন,
قَالَ ادْخُلُوْا فِـيْ أُمَمٍ قَدْ خَلَتْ مِنْ قَـبْلِكُمْ مِّنَ الْـجِنِّ وَالْإِنْسِ فِـي النَّارِ ۖ كُلَّمَا دَخَلَتْ أُمَّةٌ لَّعَنَتْ أُخْتَهَا ۖ حَتّٰى إِذَا ادَّارَكُوْا فِيْـهَا جَـمِيْـعًا قَالَتْ أُخْرَاهُمْ لِأُولَاهُمْ رَبَّـنَا هٰـؤُلَاءِ أَضَلُّوْنَا فَآتـِهِمْ عَذَابًا ضِعْفًا مِّنَ النَّارِ ۖ قَالَ لِكُلٍّ ضِعْفٌ وَلٰـكِنْ لَّا تَـعْلَمُوْنَ ﴿৩৮﴾ وَقَالَتْ أُولَاهُمْ لِأُخْرَاهُمْ فَمَا كَانَ لَكُمْ عَلَيْـنَا مِنْ فَضْلٍ فَذُوْقُوا الْعَذَابَ بـِمَا كُنْـتُمْ تَكْسِبُـوْنَ ﴿৩৯﴾ إِنَّ الَّذِيْنَ كَذَّبُـوْا بِآيَاتِنَا وَاسْتَكْبَـرُوْا عَنْـهَا لَا تُـفَتَّحُ لَـهُمْ أَبْـوَابُ السَّمَاءِ وَلَا يَدْخُلُوْنَ الْـجَنَّةَ حَتّٰى يَلِجَ الْـجَمَلُ فِـيْ سَمِّ الْـخِيَاطِ ۚ وَكَذٰلِكَ نَـجْزِي الْمُجْرِمِيْـنَ ﴿৪০﴾ لَـهُمْ مِّنْ جَهَنَّمَ مِهَادٌ وَمِنْ فَـوْقِهِمْ
غَوَاشٍ ۚ وَكَذٰلِكَ نَـجْزِي الظَّالِمِيْـنَ ﴿৪১﴾ سورة الأعراف
(মহান আল্লাহ পাক) তিনি বলবেন, তোমাদের পূর্ববর্তী জ্বিন ইনসান যারা অতীত হয়েছে বা চলে গিয়েছে ঐ দলের সাথে তোমরা জাহান্নামে প্রবেশ করো। যখনই কোনো একদল জাহান্নামে প্রবেশ করবে তখন তারা অপর দলকে লা’নত দিবে এমনকি যখন তারা সকলে জাহান্নামে একত্রিত হবে তখন পরবর্তী দল পূর্ববর্তী দলকে উদ্দেশ্য করে বলবে, হে আমাদের রব! এ সমস্ত লোকেরাই আমাদেরকে বিভ্রান্ত করেছে। তাদেরকে দ্বিগুণ শাস্তি দিন। (মহান আল্লাহ পাক) তিনি বলবেন, প্রত্যেকের জন্যই দ্বিগুণ। তোমাদের জন্যও দ্বিগুণ, তাদের জন্যও দ্বিগুণ। তোমরা তা জানো না। পূর্ববর্তী দল পরবর্তী দলকে বলবে, আমাদের উপর তোমাদের কোনো শ্রেষ্ঠত্ব নেই। তোমরা তোমাদের কৃতকর্মের কারণে শাস্তি ভোগ করো। নিশ্চয়ই যারা আমার আয়াত শরীফ মিথ্যারোপ করবে এবং অহংকার করে তা (আয়াত শরীফ-এর অনুসরণ করা) থেকে ফিরে যাবে, তাদের জন্য আসমানের দরজাসমূহ খোলা হবে না এবং জান্নাতে প্রবেশ করতে পারবে না যতক্ষণ পর্যন্ত না সূঁচের ছিদ্রের মধ্যে উট প্রবেশ করবে (অর্থাৎ সূঁচের ছিদ্রের মধ্যে উট কখনো প্রবেশ করতে পারবে না আর তারা জান্নাতেও প্রবেশ করতে পারবে না) এভাবেই আমি পাপীদেরকে শাস্তি দেই। তাদের জন্য রয়েছে জাহান্নামের শয্যা বা বিছানা আর তাদের উপর থাকবে আগুনের আচ্ছাদন। এভাবেই আমি যালিমদেরকে শাস্তি দেই। [সূরা আরাফ শরীফ: ৩৮-৪১]
মহান আল্লাহ পাক তিনি উনার পবিত্র কালাম শরীফে সমস্ত কিছুই বর্ণনা করেছেন। এই আয়াত শরীফ থেকে সুষ্পষ্টভাবে বুঝা যায় যে, বর্তমানে যারা করোনাকে ছোঁয়াচে বলে বা হারাম-নাজায়িয কাজগুলোকে মিথ্যা ফতওয়া দিয়ে মানুষকে কুফরী করিয়ে থাকে তাদের এবং তাদেরকে যারা অনুসরণ করছে উভয় দলের পরকালে কত লাঞ্ছণাদায়ক অবস্থার সম্মুখীন হতে হবে এবং মহান আল্লাহ পাক তিনি কিভাবে তাদেরকে পরকালে শাস্তি দিবেন সে বিষয়েও জানিয়ে দিয়েছেন। কাজেই এ বিষয়ে আর কারো কোনো কথা শুনা হবে না।
এ সম্পর্কিত আরো সংবাদ
-
কিভাবে প্রথম মাসে আপনার শিশুর বিকাশে সাহায্য করবেন?
২৪ নভেম্বর, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল আহাদ (রোববার) -
‘ই’জায শরীফে সাইয়্যিদাতুনা হযরত উম্মুল উমাম আলাইহাস সালাম
২৪ নভেম্বর, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল আহাদ (রোববার) -
সন্তানদের ও পরিবারের সকলকে সালাম দেয়া শিক্ষা দান করুন
২৩ নভেম্বর, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুছ সাবত (শনিবার) -
হযরত উম্মাহাতুল মু’মিনীন আলাইহিন্নাস সালাম উনাদের বেমেছাল দানশীলতা মুবারক (৪)
২৩ নভেম্বর, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুছ সাবত (শনিবার) -
কাফের বিশ্বে নারীরা শুধু কি এখন নির্যাতনের শিকার হচ্ছে?
২২ নভেম্বর, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল জুমুয়াহ (শুক্রবার) -
একজন দ্বীনদার পরহেযগার আল্লাহওয়ালী মহিলা উনার পর্দা পালনের বেমেছাল দৃষ্টান্ত
২২ নভেম্বর, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল জুমুয়াহ (শুক্রবার) -
প্রসঙ্গ মহিলা জামাত নাজায়িজ
২১ নভেম্বর, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল খমীছ (বৃহস্পতিবার) -
পিতা-মাতার প্রতি সন্তানের দায়িত্ব-কর্তব্য
২১ নভেম্বর, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল খমীছ (বৃহস্পতিবার) -
শৈশবকাল থেকেই সন্তানকে দ্বীনদার হওয়ার শিক্ষা দান করতে হবে
২০ নভেম্বর, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল আরবিয়া (বুধবার) -
সম্মানিতা মহিলা আউলিয়া-ই কিরাম উনাদের পরিচিতি
১৯ নভেম্বর, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুছ ছুলাছা (মঙ্গলবার) -
স্বচক্ষে দেখা কিছু কথা
১৯ নভেম্বর, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুছ ছুলাছা (মঙ্গলবার) -
পারিবারিক তা’লীমের গুরুত্ব ও তারতীব
১৮ নভেম্বর, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল ইছনাইনিল আযীম (সোমবার)