নছীহতে কায়িম মাকামে উম্মাহাতুল মু’মীনীন সাইয়্যিদাতুনা হযরত উম্মুল উমাম আলাইহাস সালাম
মু’মিন আর ফাসিক সমান নয়-১
, ১৫ রবীউল আউওয়াল শরীফ, ১৪৪৫ হিজরী সন, ০২ খ্বমীছ ১৩৯১ শামসী সন , ০১ অক্টোবর, ২০২৩ খ্রি:, ১৬ আশ্বিন, ১৪৩০ ফসলী সন, ইয়াওমুল আহাদ (রোববার) মহিলাদের পাতা
أَفَمَنْ كَانَ مُؤْمِنًا كَمَنْ كَانَ فَاسِقًا ۚ لَّا يَسْتَـوُوْنَ ﴿১৮﴾ أَمَّا الَّذِيْنَ آمَنُـوْا وَعَمِلُوا الصَّالِـحَاتِ فَـلَهُمْ جَنَّاتُ الْمَأْوٰى نُـزُلًا بـِمَا كَانُـوْا يَـعْمَلُوْنَ ﴿১৯﴾ وَأَمَّا الَّذِيْنَ فَسَقُوْا فَمَأْوَاهُمُ النَّارُ ۖ كُلَّمَا أَرَادُوْا أَنْ يَـخْرُجُوْا مِنْـهَا أُعِيْدُوْا فِيْـهَا وَقِـيْلَ لَـهُمْ ذُوْقُـوْا عَذَابَ النَّارِ الَّذِيْ كُنْـتُمْ بِهٖ تُكَذِّبُـوْنَ ﴿২০﴾ وَلَـنُذِيْـقَنَّـهُمْ مِّنَ الْعَذَابِ الْأَدْنٰـى دُوْنَ الْعَذَابِ الْأَكْبَـرِ لَعَلَّهُمْ يَـرْجِعُوْنَ ﴿২১﴾ وَمَنْ أَظْلَمُ مِـمَّنْ ذُكِّرَ بِآيَاتِ رَبِّهٖ ثُـمَّ أَعْرَضَ عَنْـهَا ۚ إِنَّا مِنَ الْمُجْرِمِيْـنَ مُنْـتَقِمُوْنَ ﴿২২﴾ سورة السجدة
একজন মু’মিন ব্যক্তি কি একজন ফাসিকের মত হবে? তারা সমান হবে না। যারা ঈমানদার এবং আমলে ছলেহ করেন উনাদেরকে উনাদের আমলের কারণে জান্নাতুল মাওয়াতে মেহমানদারী করানো হবে। আর যারা ফাসিক তাদের আশ্রয়স্থল হচ্ছে জাহান্নাম। যখনই তারা সেখান (জাহান্নাম) থেকে বের হতে ইচ্ছা করবে তাদেরকে সেখানেই (জাহান্নামে) পাঠিয়ে দেওয়া হবে। তাদেরকে বলা হবে, তোমরা যে আযাবকে মিথ্যারোপ করতে তার স্বাদ গ্রহণ করো। অবশ্যই আমি তাদেরকে বড় না হলেও ছোট আযাবের স্বাদ গ্রহণ করাবো যাতে তারা (হক্ব পথে) ফিরে আসে। আর ঐ ব্যক্তিই সর্বাধিক যালিম, যার কাছে তার রব মহান আল্লাহ পাক উনার আয়াত শরীফ স্মরণ করিয়ে দেয়ার পর আয়াত শরীফ থেকে মুখ ফিরিয়ে নেয়। নিশ্চয়ই আমি এই পাপীদেরকে শাস্তি দিবই।
এখানে কোনো কাফির মুশরিকদের কথা বলা হয়নি কারণ তারা তো চির জাহান্নামী। বলা হয়েছে ঈমানদারদের মধ্যে যারা ফাসিক তাদের সম্পর্কে। ফাসিক কারা? যারা ফরয, ওয়াজিব, সুন্নতে মুয়াক্কাদাহ তরক করে তারা ফাসিক, নাফরমান, অবাধ্য। যেমন পর্দা না করা, ছবি তোলা, টিভি দেখা, হারাম-নাজায়িয কাজ করা, কাফিরদের অনুসরণ এবং গোলামী করা এগুলো ফাসেকী কাজ। তাই ফাসিক আর মু’মিন এই দু’ধরণের ব্যক্তি সমান নয়।
মু’মিন ব্যক্তি ঈমান এনে আমলে ছলেহ করেন। আমলে ছলেহ হচ্ছে মহান আল্লাহ পাক তিনি যে বিষয়গুলো করার আদেশ করেছেন সেগুলো করা এবং যে বিষয়গুলো নিষেধ করেছেন সেগুলো থেকে বিরত থাকা। যারা মহান আল্লাহ পাক উনার আনুগত্য করবেন উনাদেরকে নেক আমলের কারণে জান্নাতুল মাওয়ায় মেহমানদারী করা হবে। আর যারা নেক আমল করবে না, কুফরী করবে তাদেরকে পরকালে কঠিন আযাব ভোগ করতে হবে। যেমন, করোনাকে ছোঁয়াচে বা সংক্রামক বলে বিশ্বাস করা শরীয়তে জায়িয নেই। কারণ নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি বলেছেন, لَا عَدْوٰى ‘ছোঁয়াচে বলতে কোনো রোগ নেই’। তিনি যা ইরশাদ মুবারক করেছেন তার বিপরীত মত পোষণ করা হচ্ছে কুফরী। এরকম কুফরী আক্বীদায় বিশ্বাস করে যারা ইন্তেকাল করবে তারা যমীন থেকে আসমান পর্যন্ত স্বর্ণ ফিদিয়া হিসেবে দিলেও সেটা গ্রহণ করা হবে না। ঈমান বাঁচাতে হলে, নাজাত পেতে হলে এই কুফরী আক্বীদা থেকে ফিরে আসতে হবে, তওবা করতে হবে। কাফিররা কুফরী করবে এটাই স্বাভাবিক। কারণ তারা মহান আল্লাহ পাক উনাকে এবং নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু
আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনাকে বিশ্বাস করে না। পরকালে তাদের কোনো নাজাত নেই কিন্তু মুসলমানরা তো কুফরী করতে পারে না। কুফরী হলো, মহান আল্লাহ পাক এবং উনার হাবীব নূরে মুজাসসাম হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনাদের কথা অমান্য করা, অবিশ্বাস করা। নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি বললেন, কোনো রোগই ছোঁয়াচে নয়। এটা বিশ্বাস করাই হলো ঈমান আর রোগ ছোঁয়াচে বিশ্বাস করে সতর্কতা অবলম্বন করা, মাস্ক পরা, হাত ধোয়া, দূরত্ব বজায় রাখা- এই বিষয়গুলোই হচ্ছে কুফরী। এখন যারা কাফিরদের দেখাদেখি এই কাজগুলো করবে তারাই ফাসিক, যালিম; তাদের ঠিকানা হবে জাহান্নাম। সেটাই মহান আল্লাহ পাক তিনি পূর্বোক্ত আয়াত শরীফে ইরশাদ মুবারক করেছেন, যারা ফাসিক (ফরয, ওয়াজিব, সুন্নতে মুয়াক্কাদাহ তরক্ব করে) তাদের আশ্রয়স্থল হলো জাহান্নাম। যখনই তারা জাহান্নাম থেকে বের হওয়ার ইচ্ছা করবে তাদেরকে বের হতে দেয়া হবে না। তাদেরকে বলা হবে, তোমরা তো জাহান্নামের আযাবকে মিথ্যারোপ করতে এখন তার স্বাদ গ্রহণ করো, তোমাদের জন্য আযাব হালকা করা হবে না।
এ সম্পর্কিত আরো সংবাদ
-
মহিলাদের জামায়াতের জন্য মসজিদে ও ঈদগাহে যাওয়া হারাম ও কুফরী (৩)
২৮ ডিসেম্বর, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুছ সাবত (শনিবার) -
হযরত উম্মাহাতুল মু’মিনীন আলাইহিন্নাস সালাম উনাদের বেমেছাল দানশীলতা মুবারক (৯)
২৮ ডিসেম্বর, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুছ সাবত (শনিবার) -
মেয়ে সন্তান জন্মগ্রহণ মহান আল্লাহ পাক উনার দয়া ইহসান মুবারক
২৭ ডিসেম্বর, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল জুমুয়াহ (শুক্রবার) -
মহাসম্মানিত সুন্নত মুবারক উনার অনুসরণই সম্মানিত দ্বীন ইসলাম
২৭ ডিসেম্বর, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল জুমুয়াহ (শুক্রবার) -
ঝগড়া-বিবাদের কু-স্বভাবটি পরিহার করা অপরিহার্য কর্তব্য
২৬ ডিসেম্বর, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল খমীছ (বৃহস্পতিবার) -
পিতা-মাতার প্রতি সন্তানের দায়িত্ব-কর্তব্য
২৬ ডিসেম্বর, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল খমীছ (বৃহস্পতিবার) -
যেভাবে দ্বীন ইসলাম উনার দুইজন সম্মানিত খলীফা সাইয়্যিদুনা হযরত ছিদ্দীকে আকবর আলাইহিস সালাম তিনি এবং সাইয়্যিদুনা হযরত ফারূক্বে আ’যম আলাইসি সালাম উনারা মনোনীত হয়েছিলেন
২৫ ডিসেম্বর, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল আরবিয়া (বুধবার) -
সাইয়্যিদাতু নিসায়িল আলামীন, সাইয়্যিদাতুনা হযরত উম্মুল উমাম আলাইহাস সালাম উনার নছীহত মুবারক:
২২ ডিসেম্বর, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল আহাদ (রোববার) -
মহিলাদের জামায়াতের জন্য মসজিদে ও ঈদগাহে যাওয়া হারাম ও কুফরী (২)
২১ ডিসেম্বর, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুছ সাবত (শনিবার) -
হযরত উম্মাহাতুল মু’মিনীন আলাইহিন্নাস সালাম উনাদের বেমেছাল দানশীলতা মুবারক (৮)
২১ ডিসেম্বর, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুছ সাবত (শনিবার) -
শিরক কি? শিরক সম্পর্কে আলোচনা
২০ ডিসেম্বর, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল জুমুয়াহ (শুক্রবার) -
শোকরগোযারী দ্বারা নিয়ামত বৃদ্ধি পায় শোকর গোযার না করলে নিয়ামত বন্ধ হয়
২০ ডিসেম্বর, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল জুমুয়াহ (শুক্রবার)