মুসলিম উম্মাহ’র সংকট উত্তরণে মুহম্মদিয়া জামিয়া শরীফের কাজ
, ৩০ যিলহজ্জ শরীফ, ১৪৪৪ হিজরী সন, ২০ ছানী, ১৩৯১ শামসী সন , ১৯ জুলাই, ২০২৩ খ্রি:, ০৪ শ্রাবণ, ১৪৩০ ফসলী সন, ইয়াওমুল আরবিয়া (বুধবার) মহিলাদের পাতা
মুহম্মদিয়া জামিয়া শরীফের একটি স্বতন্ত্র বিশেষ বৈশিষ্ট্য হচ্ছে, এ মাদরাসার ছাত্ররা পবিত্র দ্বীন ইসলাম, মুসলিম ইতিহাস ও ঐতিহ্য নিয়ে উচ্চতর রিসার্চে যোগদান করেন। তাদের রিসার্চ সেন্টারের নাম “মুহম্মদিয়া জামিয়া শরীফ রিসার্চ সেন্টার”, যেখানে পবিত্র দ্বীন ইসলাম সংশ্লিষ্ট অনেক গুরুত্বপূর্ণ বিষয় নিয়ে গবেষণাপত্র, কিতাব ও রেসালা বের হয়ে থাকে। উদাহরণস্বরূপ- মুসলমানদের মধ্যে আমরা অনেকেই জানি না, আখেরী রসূল, নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার সম্মানিত আযওয়াজে মুতহ্হারাত বা উম্মাহাতুল মু’মিনীন আলাইহিন্নাস সালাম উনারা কত জন। অনেকেই ৯ জন বা ১১ জন দাবী করে, যা আসলে ভুল। সঠিক হচ্ছে, উনারা ছিলেন ১৩ জন। হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার সম্মানিত পূত্র (ইবনু রসূলিল্লাহ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম) ছিলেন ৪ জন, সম্মানিত কন্যা (বানাতু রসূলিল্লাহ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম) ছিলেন ৪ জন। সম্মানিত নাতি (সিবতু রসূলিল্লাহ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম) ছিলেন ৬ জন, সম্মানিত নাতনী (সিবতাতু রসূলিল্লাহ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম) ছিলেন ৪ জন। সম্মানিতা দুধমাতা (উম্মুর রদ্বায়াহ) ছিলেন ২ জন, সম্মানিত দুধ ভাই ১ জন, দুধ বোন ১ জন। উম্মী বা’দা উম্মী (মায়ের পর যে মা লালন পালন করেন) ছিলেন ২ জন। হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার প্রথম বানাত (কন্যা) হযরত আন নূরুল ঊলা আলাইহাস সালাম উনার আহাল (স্বামী) ছিলেন হযরত আবুল আছ আলাইহিস সালাম, উনার নামও আমরা অনেকেই জানি না। অথচ মুসলমানদের উচিত ছিলো উনাদের জীবনী মুবারক সম্পর্কে জেনে উনাদেরকে অনুসরণ করা, উনারাই হচ্ছেন মুসলমানদের জন্য প্রকৃত অনুসরণীয়। কিন্তু অতি দুঃখের বিষয় হচ্ছে, উনাদের জীবনীগ্রন্থ তেমন পাওয়া যায় না, ফলে উনাদের নিয়ে আলোচনা আড়ালেই থেকে যায়, যা মুসলিম উম্মাহের জন্য একটি সংকটময় পরিস্থিতি বটে। মূলতঃ এ সংকটের কারণেই বর্তমানে মুসলমানরা কাকে অনুসরণ করবে তা ঠিক বুঝে উঠতে পারে না। ফলে মুসলমানরা কাফির, মুশরিক, ফাসিক, নায়ক, নায়িকা, খেলোয়ার, গায়ক-গায়িকাকে অনুসরণ করে। নাউযুবিল্লাহ! এ সংকট উত্তরণের একমাত্র সমাধান হচ্ছে, মুসলমানদের মধ্যে বিশেষ ব্যক্তিদের জীবনী গ্রন্থ প্রকাশ করা, যা পাঠ করে মুসলমানরা উনাদের জীবন আদর্শ জেনে তা অনুসরণ করতে পারবে। প্রকৃতপক্ষে মুহম্মদিয়া জামিয়া শরীফ গবেষণাকেন্দ্র মুসলিম উম্মাহ’র সেই সংকট নিরসনে কাজটি করে যাচ্ছে। এবং মুসলমানদের মধ্যে বিশেষ ব্যক্তিদের জীবনী গ্রন্থ আকারে পৃথক পৃথক প্রকাশ করে যাচ্ছে। মুহম্মদিয়া জামিয়া শরীফ গবেষণা কেন্দ্র থেকে হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার সম্মানিত পরিবারের (আহলু বাইত শরীফ) প্রত্যেকের সম্পর্কে জীবনীগ্রন্থ বের করা হয়েছে।
-উম্মু আমিম
এ সম্পর্কিত আরো সংবাদ
-
সন্তানদের ও পরিবারের সকলকে সালাম দেয়া শিক্ষা দান করুন
২৩ নভেম্বর, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুছ সাবত (শনিবার) -
হযরত উম্মাহাতুল মু’মিনীন আলাইহিন্নাস সালাম উনাদের বেমেছাল দানশীলতা মুবারক (৪)
২৩ নভেম্বর, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুছ সাবত (শনিবার) -
কাফের বিশ্বে নারীরা শুধু কি এখন নির্যাতনের শিকার হচ্ছে?
২২ নভেম্বর, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল জুমুয়াহ (শুক্রবার) -
একজন দ্বীনদার পরহেযগার আল্লাহওয়ালী মহিলা উনার পর্দা পালনের বেমেছাল দৃষ্টান্ত
২২ নভেম্বর, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল জুমুয়াহ (শুক্রবার) -
প্রসঙ্গ মহিলা জামাত নাজায়িজ
২১ নভেম্বর, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল খমীছ (বৃহস্পতিবার) -
পিতা-মাতার প্রতি সন্তানের দায়িত্ব-কর্তব্য
২১ নভেম্বর, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল খমীছ (বৃহস্পতিবার) -
শৈশবকাল থেকেই সন্তানকে দ্বীনদার হওয়ার শিক্ষা দান করতে হবে
২০ নভেম্বর, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল আরবিয়া (বুধবার) -
সম্মানিতা মহিলা আউলিয়া-ই কিরাম উনাদের পরিচিতি
১৯ নভেম্বর, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুছ ছুলাছা (মঙ্গলবার) -
স্বচক্ষে দেখা কিছু কথা
১৯ নভেম্বর, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুছ ছুলাছা (মঙ্গলবার) -
পারিবারিক তা’লীমের গুরুত্ব ও তারতীব
১৮ নভেম্বর, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল ইছনাইনিল আযীম (সোমবার) -
সুন্নতী খাবার সম্পর্কিত হাদীছ শরীফ : মেথি
১৮ নভেম্বর, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল ইছনাইনিল আযীম (সোমবার) -
খাবার বিষয়ে মহান আল্লাহ পাক তিনি ইরশাদ মুবারক করেন
১৮ নভেম্বর, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল ইছনাইনিল আযীম (সোমবার)