মুবারক হো পবিত্র ১৩ই শাবান শরীফ! সুবহানাল্লাহ! যা সাইয়্যিদাতুনা হযরত উম্মুল মু’মিনীন আর রবিয়াহ ইবনাতু আবীহা আলাইহাস সালাম উনার পবিত্র বিছালী শান মুবারক প্রকাশ দিবস। অতএব, প্রত্যেকের উচিত- ব্যাপক যওক-শওকের মাধ্যমে এ মহিমান্বিত দিনখানি যথাযথ মর্যাদায় পালনের ব্যবস্থা করা।
, ২৪ ফেব্রুয়ারী, ২০২৪ ১২:০০:০০ এএম ইয়াওমুছ সাবত (শনিবার) সম্পাদকীয়
মহান আল্লাহ পাক তিনি উনার পবিত্র কালাম শরীফ উনার মধ্যে ইরশাদ মুবারক করেন- “আয় মহাসম্মানিত রসূল নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার মহাসম্মানিত নিসা আলাইহিন্নাস সালাম! অর্থাৎ হযরত উম্মাহাতুল মু’মিনীন আলাইহিন্নাস সালাম! নিশ্চয়ই আপনারা অন্য কোনো মহিলাদের মতো নন।” (পবিত্র সূরা আহযাব শরীফ: পবিত্র আয়াত শরীফ ৩২)
হযরত উম্মাহাতুল মু’মিনীন আলাইহিন্নাস সালামগণ উনারা সব হযরত নবী-রসূল আলাইহিমুস সালাম উনাদের ও হযরত ছাহাবায়ে কিরাম রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহুম উনাদের এবং সব সৃষ্টি জগতের মা। কাজেই উনাদের মহাসম্মানিত বিছালী শান মুবারক প্রকাশ দিনের মর্যাদা মুবারক কতটুকু? সাধারণভাবে অন্যান্য হযরত নবী রসূল আলাইহিমুস সালাম উনাদের পবিত্র বিছালী শান মুবারক প্রকাশ দিনের শান-মান মুবারক সম্পর্কে মহান আল্লাহ পাক তিনি ইরশাদ মুবারক করেন, “উনার (হযরত ইয়াহ্ইয়া আলাইহিস সালাম) প্রতি সালাম, যেদিন উনি পবিত্র বিলাদতী শান মুবারক প্রকাশ করেছেন এবং যেদিন উনি পবিত্র বিছালী শান মুবারক প্রকাশ করেন এবং যেদিন জীবিতাবস্থায় পুনরুত্থিত হবে।”
“আমার (হযরত ঈসা রূহুল্লাহ আলাইহিস সালাম) প্রতি সালাম যেদিন আমি পবিত্র বিলাদতী শান মুবারক প্রকাশ করেছি, যেদিন পবিত্র বিছালী শান মুবারক প্রকাশ করবো এবং যেদিন পুনরুজ্জীবিত হয়ে উত্থিত হবো।” (পবিত্র সূরা মারিয়াম শরীফ : পবিত্র আয়াত শরীফ-১৫/৩৩)
যদি তাই হয়ে থাকে তবে যাঁরা অন্যান্য হযরত নবী-রসূল আলাইহিমুস সালাম উনাদের মহাসম্মানিত মাতা বিশেষ করে যিনি সাইয়্যিদাতুন নিসায়ি আলাল আলামীন, সাইয়্যিদাতুনা হযরত উম্মুল মু’মিনীন আর রবিয়াহ ইবনাতু আবীহা আলাইহাস সালাম উনার মহাপবিত্র বিছালী শান মুবারক প্রকাশ দিবস অর্থাৎ আজকের মহিমান্বিত পবিত্র ১৩ই শা’বান শরীফ উনার শান মান মুবারক কতটুকু?
প্রসঙ্গত উল্লেখ্য, সাইয়্যিদাতুনা হযরত উম্মুল মু’মিনীন আর রবিয়াহ ইবনাতু আবীহা আলাইহাস সালাম তিনি হচ্ছেন হযরত উম্মাহাতুল মু’মিনীন আলাইহিন্নাস সালাম উনাদের মধ্যে বিশেষ ব্যক্তিত্বা মুবারক। সুবহানাল্লাহ! তিনি শুধু যিনি খালিক্ব মালিক রব মহান আল্লাহ পাক তিনি নন এবং নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি নন; এছাড়া সমস্ত শান-মান, ফাযায়িল-ফযীলত, বুযূর্গী-সম্মান মুবারক উনাদের অধিকারিণী হচ্ছেন তিনি। সুবহানাল্লাহ! উনার সম্মানিত মুহব্বত মুবারকই হচ্ছেন সম্মানিত ঈমান। সুবহানাল্লাহ!
উনার সম্পর্কে মহান আল্লাহ পাক তিনি ইরশাদ মুবারক করেন, নিশ্চয়ই আমি আপনার মুবারক আলোচনা তথা সম্মানকে বুলন্দ মুবারক করেছি। সুবহানাল্লাহ! সুবহানাল্লাহ! সুবহানাল্লাহ!
উল্লেখ্য, যিনি খালিক্ব মালিক রব মহান আল্লাহ পাক তিনি উনার মাহবূব হাবীব, নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার উম্মত হিসেবে তথা উম্মাহাতুল মু’মিনীন হিসেবে, সাইয়্যিদাতুনা হযরত উম্মুল মু’মিনীন আর রবিয়াহ ইবনাতু আবীহা আলাইহাস সালাম উনাকে মনোনীত করেছেন।” সুবহানাল্লাহ! সুবহানাল্লাহ! সুবহানাল্লাহ!
মহান আল্লাহ পাক তিনি পবিত্র সূরা কাহাফ শরীফ উনার ১০৯নং আয়াত শরীফ উনার মধ্যে ইরশাদ মুবারক করেছেন, “আমার মহাসম্মানিত রসূল, নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম! আপনি বলে দিন, আমার রব উনার শান-মান লিখার জন্য যদি সমুদ্রের পানিকে কালি বানানো হয় তবুও মহান আল্লাহ পাক উনার শান মুবারক বর্ণনা শেষ হবে না বরং শেষ হওয়ার পূর্বে সমুদ্রের পানি নিঃশেষ হয়ে যাবে। আরো অনুরূপ যোগ করা হলেও।”
বলাবাহুল্য, এটা যেমন স্বয়ং মহান আল্লাহ পাক উনার শান মুবারকে তেমনি উনার হাবীব আখিরী রসূল, নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার শান মুবারকেও এবং সাথে সাথে সাইয়্যিদাতুনা হযরত উম্মুল মু’মিনীন আর রবিয়াহ ইবনাতু আবীহা আলাইহাস সালাম উনার শান মুবারকেও যথাযোগ্যভাবে প্রযোজ্য।
মূলত, এ সুমহান দিনের সম্মানেই মহান আল্লাহ পাক তিনি ইরশাদ মুবারক করেছেন, “মহান আল্লাহ পাক উনার নিদর্শন মুবারক সম্বলিত দিবসগুলিকে স্মরণ করিয়ে দিন সমস্ত কায়িনাতকে। নিশ্চয়ই এর মধ্যে ধৈর্যশীল ও শোকরগোজার বান্দা-বান্দীদের জন্য ইবরত ও নছীহত রয়েছে।” (পবিত্র সূরা ইবরাহীম শরীফ: পবিত্র আয়াত শরীফ ৫)
তাহলে সহজেই অনুমেয় সাইয়্যিদাতুনা হযরত উম্মুল মু’মিনীন আর রবিয়াহ ইবনাতু আবীহা আলাইহাস সালাম উনার পবিত্র বিছালী শান মুবারক প্রকাশ দিবস তথা মহাপবিত্র ও মহাসম্মানিত ১৩ই শাবান শরীফ উনার ফাযায়িল-ফযীলত, সম্মান বুযুর্গী, মর্যাদা-মর্তবা মুবারক কতটুকু? প্রকৃতপক্ষে সেটা অনুধাবন করা, বর্ণনা করা চিন্তা-ফিকিরের সম্পূর্ণ ঊর্ধ্বে।
গভীর পরিতাপের বিষয়, মুসলমানরা আজ হলিউড, ঢালিউড, বলিউড ইত্যাদি সিনেমার নায়ক-নায়িকাদের নাম তাদের কাহিনী জানে। তেরেসা, নাইটিংগেল, কুরি এদের সম্পর্কে মুসলমানরা জানে। অথচ যিনি নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার সম্মানিত খিদমত মুবারকের মূল, হযরত আহলু বাইত শরীফ আলাইহিমুস সালাম উনাদের মূল, সম্মানিত পবিত্র দ্বীন ইসলাম উনার মূল তথা আফদ্বলুন নাস ওয়ান নিসা বা’দা রসূলিল্লাহ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম, সাইয়্যিদাতুনা হযরত উম্মুল মু’মিনীন আর রবিয়াহ ইবনাতু আবীহা আলাইহাস সালাম উনাকে এবং হযরত উম্মাহাতুল মু’মিনীন আলাইহিন্নাস সালাম উনাদেরকে মুসলমানরা জানে না। উনাদের মহাসম্মানিত জীবনী মুবারক মুসলমানরা বলতে পারে না। নাউযুবিল্লাহ! নাউযুবিল্লাহ! নাউযুবিল্লাহ!
প্রসঙ্গত উল্লেখ্য, বর্তমান যামানায় ক্বায়িম-মাক্বামে উম্মাহাতুল মু’মিনীন, সাইয়্যিদাতুন নিসা, সাইয়্যিদাতুনা হযরত উম্মুল উমাম আলাইহাস সালাম তিনি সাইয়্যিদাতুনা হযরত উম্মুল মু’মিনীন আর রবিয়াহ ইবনাতু আবীহা আলাইহাস সালাম উনার এবং হযরত উম্মাহাতুল মু’মিনীন আলাইহিন্নাস সালাম উনাদের আখাছ্ছুল খাছ এবং পরিপূর্ণ মিছদাক। উনাদের নিসবত মুবারক, তাওয়াল্লুক মুবারক, বুযূর্গী মুবারক, মুহব্বত-মা’রিফাত মুবারক, শান-মান মুবারক, যোগ্যতা মুবারক, প্রজ্ঞা মুবারক সব সাইয়্যিদাতুনা হযরত উম্মুল উমাম আলাইহাস সালাম উনার মাঝে পরিপূর্ণভাবে প্রতিফলিত ও বিকশিত হচ্ছে। সুবহানাল্লাহ! যা বর্তমান যামানার মহিলাদের জন্য বেমেছাল সুখবর ও সৌভাগ্যের বিষয়। মহান আল্লাহ পাক উনার চরম নিয়ামত মুবারক। এ নিয়ামত মুবারক উনার হিস্যা লাভে যুগের সব মহিলাদেরই অগ্রণী হওয়া উচিত। আর যারা এ নিয়ামত মুবারক উনার ছোঁয়া পেয়েছেন তাদের উচিত উনার শুকরিয়া আদায়ে অপরাপর মহিলাদের মাঝে এ মহান সুসংবাদ প্রচার-প্রসারে নিবেদিত হওয়া।
ছহিবে সাইয়্যিদি সাইয়্যিদিল আ’ইয়াদ শরীফ, রাজারবাগ শরীফ উনার মামদূহ মুর্র্শিদ ক্বিবলা সাইয়্যিদুনা হযরত সুলত্বানুন নাছীর আলাইহিস সালাম উনার নেক ছোহবত মুবারক-এ কেবলমাত্র তা লাভ করা সম্ভব। খালিক্ব মালিক রব মহান আল্লাহ পাক তিনি আমাদেরকে তা নছীব করুন। (আমীন)
এ সম্পর্কিত আরো সংবাদ
-
দ্রব্যমূল্যের আগুনে ঝলসে যাচ্ছে মানুষ। মূল্যস্ফীতির চাপে পিষ্ট হচ্ছে জনসাধারণ। সরকারের কর্তাব্যক্তিদের রকমফের চটকদার কথার পরিবর্তে এক্ষনি মূল্যস্ফীতিকে সংকুচিত করে দেশবাসীকে বাঁচাতে হবে ইনশাআল্লাহ।
০৫ নভেম্বর, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুছ ছুলাছা (মঙ্গলবার) -
৭ হাজার ৮০০ মিলিয়ন টন কয়লা মজুদের দেশে কয়লার ঘাটতিতে বিদ্যুৎ উৎপাদন কেন্দ্র বন্ধ কেন? বিগত মাফিয়া সরকারের পথ থেকে সরে এসে কয়লা উত্তোলন শুরু করুন।
০৫ নভেম্বর, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুছ ছুলাছা (মঙ্গলবার) -
প্রসঙ্গঃ মোবাইল ফোনের ব্যবহার ও অপব্যবহার।
০৪ নভেম্বর, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল ইছনাইনিল আযীম (সোমবার) -
হোল্ডিং ট্যাক্স ছাড়, তাপ মুক্তি নিরাপদ ফল-সবজি প্রাপ্তি, পরিবেশ উন্নয়ন প্রক্রিয়ায় শহরের প্রতিটি বাড়ির ছাদ হোক একটুকরো বাগান
০৪ নভেম্বর, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল ইছনাইনিল আযীম (সোমবার) -
৪০ শতাংশের বেশি ক্ষুদ্র ও কুটির শিল্প বন্ধ হয়েছে যথাযথ পৃষ্ঠপোষকতা করলে ইনশাআল্লাহ ঘুরে দাঁড়াবে ক্ষুদ্র ও কুটির শিল্প
০৩ নভেম্বর, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল আহাদ (রোববার) -
মুদি দোকান, স্টেশনারি দোকান, শপিং মল, পার্লার, সুপার শপ সবখানেই ভেজাল কসমেটিক্স। মারাত্মক ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে ব্যবহারকারীরা। সরকারের কঠোর নজরদারী ও নিয়ন্ত্রণ প্রয়োজন।
০২ নভেম্বর, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুছ সাবত (শনিবার) -
দেশের ৪ কোটি মানুষ না খেয়ে থাকে। অথচ দেশে মাথাপিছু খাদ্য অপচয় হয় প্রায় ৯০ কেজি। বছরে ক্ষতির পরিমাণ প্রায় ৩৫ হাজার কোটি টাকা।
০২ নভেম্বর, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুছ সাবত (শনিবার) -
আজ মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র ২৮শে রবীউছ ছানী শরীফ! সাইয়্যিদাতুনা উম্মুর রদ্বাআহ আল ঊলা আলাইহাস সালাম উনার সম্মানিত আওলাদ, আখু রসূলিল্লাহ মিনার রদ্বাআহ সাইয়্যিদুনা হযরত মাসরূহ্ আলাইহিস সালাম উনার বিছালী শান মুবারক প্রকাশ দিবস। সুবহানাল্লাহ!
০১ নভেম্বর, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল জুমুয়াহ (শুক্রবার) -
শিক্ষা খাতে পতিত সরকারের বাজেটে নিম্নবিত্ত-মধ্যবিত্তদের স্বার্থ সংরক্ষিত হয়নি শিক্ষার্থীরা যাতে ঝরে না পড়ে- শিক্ষা উপকরণের দাম কমিয়ে বর্তমান সরকারকে তা নিশ্চিত করতে হবে ইনশাআল্লাহ
৩১ অক্টোবর, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল খমীছ (বৃহস্পতিবার) -
শব্দ দূষণ এখন শব্দ সন্ত্রাস ও নীরব ঘাতকে পরিণত হয়েছে। নারিকেল দ্বীপ নয় শব্দ দূষণে বিপর্যস্থ ঢাকাকে উপযোগী করার জন্য ঢাকার জনযট সারাদেশে ছড়িয়ে দিতে হবে।
৩১ অক্টোবর, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল খমীছ (বৃহস্পতিবার) -
‘২০৪১ সালে মাছ উৎপাদনের লক্ষ্যমাত্রা ৮৫ লাখ মেট্রিক টন’ ৩৯ বছরের ব্যবধানে মাছের উৎপাদন বেড়েছে ৬ গুণ উৎপাদন বাড়ছে মাছের, তবুও নাগালে নেই দাম
৩০ অক্টোবর, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল আরবিয়া (বুধবার) -
নাটক-সিনেমার মাধ্যমে মুসলিম প্রজন্মকে দ্বীন ইসলাম থেকে দূরে সরিয়ে দেয়া হচ্ছে। পরকালের কথা স্বরণ করে মুসলিম উম্মাহকে বিধর্মীদের এসব ষড়যন্ত্র থেকে বের হয়ে আসতে হবে।
৩০ অক্টোবর, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল আরবিয়া (বুধবার)