বিভাগ: মহিলাদের স্বাস্থ্য
মায়ের বুকের দুধ বৃদ্ধির ৩০টি প্রাকৃতিক খাবার-১
, ১০ছফর শরীফ, ১৪৪৫ হিজরী সন, ২৮ ছালিছ, ১৩৯১ শামসী সন , ২৭ আগস্ট, ২০২৩ খ্রি:, ১২ ভাদ্র, ১৪৩০ ফসলী সন, ইয়াওমুল আহাদ (রোববার) মহিলাদের পাতা
অনেক মা বুকের দুধ বৃদ্ধি করতে চান কারণ তারা মনে করেন যে, তারা বাচ্চাদের প্রয়োজনীয়তার জন্য যথেষ্ট দুধ উৎপাদন করছেন না। নবজাতকের মা তার সন্তানের স্বাস্থ্য সম্পর্কে চিন্তিত হন কারণ বুকের দুধ পানকারী শিশুদের যথেষ্ট পরিমাণে দুধের প্রয়োজন হয়, যেহেতু দুধই তাদের একমাত্র পুষ্টির উৎস।
বুকের দুধে ঘাটতির লক্ষণ:
বুকের দুধের সরবরাহ কম কিনা তা নির্ধারণ করার একটি উপায় হল আপনার বাচ্চা যথেষ্ট পরিমাণে দুধ পাচ্ছে কিনা তা লক্ষ্য করা।
বুকের দুধের সঠিক সরবরাহ আছে কিনা তা জানার শ্রেষ্ঠ উপায় শিশুর ওজন পরীক্ষা করে দেখা। তবে, শিশুর জন্মের পর পরই ওজন হ্রাস পাওয়া একটি সাধারণ ঘটনা। প্রথম পাঁচ বা ছয় দিনের মধ্যেই এই পরিস্থিতি ঠিক হতে থাকবে এবং চৌদ্দ দিনের মধ্যে শিশুটি তার জন্মের সময়কার ওজন ফিরে পায়।
যদি শিশুর ওজনের বিষয়ে নিশ্চিত না হওয়া যায়, তবে মায়ের বুকে যথেষ্ট দুধ তৈরি হচ্ছে কিনা তা নিশ্চিত করতে নিম্নলিখিত লক্ষণগুলি দেখতে হবে:
বুকের দুধ খাওয়ানো মায়ের জন্য সুখকর এবং যন্ত্রণাবিহীন।
শিশু বারবার খেতে পছন্দ করবে। বুকের দুধ দ্রুত হজম হয় এবং শিশু বারবার তা পান করতে চাইবে। এর অর্থ এই নয় যে মা পর্যাপ্ত দুধ উৎপাদন করছেন না। বেশিরভাগ শিশু ১.৫ থেকে ২ ঘন্টা অন্তর বুকের দুধ খেয়ে থাকে।
মায়ের স্তন প্রতিবার দুধ পান করানোর পর নরম এবং খালি হয়ে যাবে।
খাওয়ার সময় শিশুর গিলতে থাকা লক্ষ্য করতে পারেন।
খাওয়া শেষ হওয়ার পর শিশুটি নিজেই বুক থেকে সরে আসতে চাইবে।
প্রতিদিন শিশুর সাতবারের মতো ছোট ইস্তিঞ্জা বা প্রস্রাব হবে। বড় ইস্তিঞ্জা বা মল হালকা হলুদ রঙের হবে যাতে কিছু দলা বা পি-ের মতো থাকবে। শুধুমাত্র বুকের দুধ খাওয়ানো হয় এমন বাচ্চারা দিনে বেশ কয়েকবার বা কখনো কেবল পাঁচ দিনে একবার মলত্যাগও করতে পারে। উভয় ধরনের পরিস্থিতিই স্বাভাবিক বলে মনে করা হয় এবং এই সম্পর্কে চিন্তিত হওয়ার কোনো কারণ নেই।
নিম্নে বর্ণিত লক্ষণগুলির অর্থ বুকের দুধ কমে যাওয়া নয়, যদিও মনে হতে পারে যে সেগুলি কোনো গুরুতর সমস্যার নির্দেশক:
সন্ধ্যায় তাড়াহুড়ো করে স্তন্যপান।
খাওয়ার সময়কাল হ্রাস পাওয়া।
বারবার খাওয়ার প্রবণতা বৃদ্ধি পাওয়া।
মায়ের স্তন থেকে দুধ না গড়ানো।
চাপ দিয়ে বের করতে গেলে সামান্য পরিমাণ বা একেবারেই দুধ নেই এমন হয়।
বুকের দুধের উৎপাদন বাড়ানোর কিছু উপায়:
শিশুকে সঠিক পদ্ধতিতে দুধ খাওয়ানো খুব গুরুত্বপূর্ণ। যদি শিশু স্তনবৃন্তটি মুখে ধরে রাখতে না পারে বা সেটি ভুল অবস্থানে থাকে তবে তাকে খাওয়ানো কঠিন হবে। অন্য কিছু শারীরবৃত্তীয় সমস্যার কারণে সঠিকভাবে খাওয়ানো ব্যহত হতে পারে, পর্যাপ্ত বুকের দুধ উৎপাদন হওয়ার জন্য স্তন সম্পূর্ণ খালি হওয়া অত্যন্ত প্রয়োজনীয়। যদি শিশু সম্পূর্ণ খালি করতে না পারে, তাহলে মায়ের দুধ বের করে দেওয়া উচিত।
ঘন ঘন খাওয়াতে থাকলে স্তনের দুধ খালি করে ফেলা যাবে। ১.৫ বা ২ ঘণ্টা অন্তর আপনার বাচ্চা যতক্ষণ চায় তাকে খাওয়ানো উচিত।
মায়ের দৈনিক নিয়ম থেকে বিরতি গ্রহণ করলে তা শিশুকে খাওয়ানোর রুটিন তৈরীতে সহায়তা করবে। মায়ের এবং শিশুর সুবিধা মতো দুই থেকে তিন দিন সময় দিয়ে একটি খাওয়ানোর রুটিন তৈরি করুন।
খাওয়ানোর সময় দুটি স্তনই ব্যবহার করুন। এক পাশেরটি খাওয়া হলে অন্যটি এগিয়ে দিন।
যথাসম্ভব চুষি এবং দুধ খাওয়ানোর বোতল এড়িয়ে চলতে হবে।
শিশুকে শুধুমাত্র বুকের দুধই দিতে হবে এবং অন্য যে কোনো ধরনের খাবার এড়িয়ে চলতে হবে।
মায়ের নিজের প্রতি যতœ এবং পুষ্টিকর খাদ্য খাওয়া সুনিশ্চিত করতে হবে এবং শিশুর সাথে সাথে মাকে পর্যাপ্ত বিশ্রাম গ্রহণ করতে হবে।
বুকের দুধ সম্পূর্ণ খালি হওয়া নিশ্চিত করতে আপনি একটি পাম্প ব্যবহার করতে পারেন। স্তন থেকে দুধ সম্পূর্ণ বের করে ফেলাই বুকের দুধ বৃদ্ধি নিশ্চিত করার সর্বোত্তম উপায়।
বুকের দুধ বৃদ্ধি করে এমন উত্তম ৩০টি প্রাকৃতিক খাবার:
এই প্রাকৃতিক খাবারগুলি মায়ের স্তন্যদুগ্ধ বৃদ্ধি করার জন্য বহু প্রজন্ম ধরে ব্যবহার করা হয়েছে। এই খাবারগুলি মায়ের দৈনন্দিন খাদ্য তালিকায় থাকা উচিত এবং এগুলি কখনো পরিপূরক খাদ্য হিসাবে ব্যবহার করা উচিত নয়।
১. মেথির বীজ
সারা পৃথিবীতে স্তন্যদুগ্ধ বৃদ্ধির জন্য বহু প্রজন্ম ধরে মেথি ব্যবহার করা হয়েছে। এটি ওমেগা-৩ ফ্যাট সমৃদ্ধ যা আপনার শিশুর মস্তিষ্কের বিকাশের জন্য গুরুত্বপূর্ণ। বিটাক্যারোটিন, ভিটামিন বি, ক্যালসিয়াম এবং লৌহ সমৃদ্ধ খাদ্য হিসাবে মা মেথি পাতাও ব্যবহার করতে পারেন। চা বানানোর সময়ও মেথি বীজ ব্যবহার করা যেতে পারে বা সবজির তরকারীতে ব্যবহার করা যেতে পারে। এছাড়াও মেথি দেওয়া হয় রুটি এবং পুরী বা কচুরিতে। (চলবে)
-সম্পাদনা আমাতায়ে মাহবুবা
এ সম্পর্কিত আরো সংবাদ
-
পিতা-মাতার প্রতি সন্তানের দায়িত্ব-কর্তব্য
১৭ এপ্রিল, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল খমীছ (বৃহস্পতিবার) -
তিন ধরনের লোক বেহেশ্তে প্রবেশ করবে না
১৭ এপ্রিল, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল খমীছ (বৃহস্পতিবার) -
মহিলাদের ইজ্জত-সম্মান,পর্দা রক্ষা করার বিষয়ে সুখবর! সুখবর! সুখবর!
১৬ এপ্রিল, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল আরবিয়া (বুধবার) -
যে ৪ শ্রেণীর লোকদের জন্য ক্বিয়ামতের দিন সুপারিশ ওয়াজিব হবে
১৬ এপ্রিল, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল আরবিয়া (বুধবার) -
ভোট, নির্বাচন, পদপ্রার্থী হওয়া ইত্যাদি কোনটিই জায়িয নেই
১৪ এপ্রিল, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল ইছনাইনিল আযীম (সোমবার) -
কথিত আহলে হাদীছ বা লা-মাযহাবীদের উৎপত্তি এবং কুফরী আক্বীদাসমূহ (৫)
১৪ এপ্রিল, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল ইছনাইনিল আযীম (সোমবার) -
সম্মানিত ইসলামী শরীয়তে রজম বা ছঙ্গেছারের বিধান (২)
১৩ এপ্রিল, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল আহাদ (রোববার) -
নববর্ষ তথা পহেলা বৈশাখ উদযাপনকারীরা মূলত পবিত্র ঈদুল ফিতর ও ঈদুল আদ্বহা অস্বীকারকারী
১৩ এপ্রিল, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল আহাদ (রোববার) -
দুনিয়ার লোভ মানুষকে ধ্বংস করে দেয়
১৩ এপ্রিল, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল আহাদ (রোববার) -
সম্মানিত ইসলামী শরীয়তে রজম বা ছঙ্গেছারের বিধান (১)
১২ এপ্রিল, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুছ সাবত (শনিবার) -
মহিলাদের জন্য হাত, পা ও চেহারা আবৃত করে ঘর থেকে বের হওয়া ফরজ। খোলা রেখে বের হওয়া হারাম, জায়েয বলা কুফরী (৮)
১২ এপ্রিল, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুছ সাবত (শনিবার) -
মহিলাদের সুন্নতী লিবাস, অলংকার ও সাজ-সজ্জা
১১ এপ্রিল, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল জুমুয়াহ (শুক্রবার)