১০০ টি চমৎকার ঘটনা
মায়ের প্রতি আদব প্রদর্শন
ঘটনা-৬৩
, ১০ জুমাদাল ঊখরা শরীফ, ১৪৪৫ হিজরী সন, ২৫ সাবি’ ১৩৯১ শামসী সন , ২৪ ডিসেম্বর, ২০২৩ খ্রি:, ০৯ পৌষ, ১৪৩০ ফসলী সন, ইয়াওমুল আহাদ (রোববার) মহিলাদের পাতা
ইমামে আ’যম আবূ হানীফা রহমাতুল্লাহি আলাইহি তিনি এমন অসাধারণ ব্যক্তিত্বের অধিকারী ও ইলমে লাদুন্নীপ্রাপ্ত সুমহান ইমাম ছিলেন, যাঁর কোনো মেছাল নেই। ইলমের সমস্ত শাখা প্রশাখায় উনার অসামান্য দক্ষতা, সূক্ষ¥ সমঝের কারণে সকলের মাথার তাজ ছিলেন তিনি। সেই জগদ্বিখ্যাত ইমাম, ইমামে আ’যম আবূ হানীফা রহমাতুল্লাহি আলাইহি উনার যিনি সম্মানিতা মা ছিলেন, তিনি উনার যামানার একজন হক্বানী আলিম সাহেবের মাসয়ালা-মাসায়েল অনুসরণ করতেন। অর্থাৎ সেই আলিম সাহেব উনার মুকাল্লিদ ছিলেন তিনি। সে সময় ইমামে আ’যম হযরত আবূ হানীফা রহমাতুল্লাহি আলাইহি উনাকে সমস্ত আলিমগণ মান্য করতেন এবং যার যে কোনো সমস্যা হতো, সেটা তিনি সমাধা করে দিতেন।
কিন্তু উনার সম্মানিতা আম্মাজানের আক্বীদা ও হুসনেযন ছিল একজন আলিমের প্রতি। যাঁর মাসয়ালা শুনে তিনি আমল করতেন। কোনো বিষয়ে দরকার হলেই ইমামে আ’যম আবূ হানীফা রহমাতুল্লাহি আলাইহি উনাকে উনার আম্মা বলতেন যে, “বাবা! তুমি অমুক আলিম সাহেবের কাছ থেকে মাসয়ালাটা জেনে আসো।” ইমামে আ’যম আবূ হানীফা রহমাতুল্লাহি আলাইহি তিনি কোনো চূ-চেরা, কিল ও কাল করতেন না। বলার সাথে সাথে সেই আলিম সাহেবের বাড়িতে গিয়ে সেটা জেনে এসে জানাতেন।
অথচ দেখা গিয়েছে, অনেক সময় ইমামে আ’যম আবূ হানীফা রহমাতুল্লাহি আলাইহি সেই মাওলানা সাহেবকে কোনো মাসয়ালা জিজ্ঞাসা করলে মাওলানা সাহেব বলতেন, “হুযূর! আমি জানি না। দয়া করে আপনি আমাকে মাসয়ালাটা বলে দিন। সেই আলিম সাহেব এজন্য অনেক লজ্জিত হতেন। তিনি বলতেন যে, এটা কি করে সম্ভব, আপনার মতো ব্যক্তি আমার কাছে মাসয়ালা জিজ্ঞাসা করেন! ইমামে আ’যম আবূ হানীফা রহমাতুল্লাহি আলাইহি তখন বলতেন যে, “দেখুন, এটা আমার মায়ের নির্দেশ। আমার মাসয়ালাটি জানা আছে, পূর্ণ তাহক্বীক্ব আছে। তারপরও যেহেতু আপনার কাছে জানার জন্য মা নির্দেশ দিয়েছেন, তাই আমি এসেছি। সমস্যা নেই, আমি মাসয়ালাটা বলে দিচ্ছি। আমার থেকে শোনার পর আপনি সেটা বলবেন। তারপর আমি আপনার মুখ থেকে শুনে আমার আম্মাকে বলবো।” এভাবে শুনে এসে ইমামে আ’যম আবূ হানীফা রহমাতুল্লাহি আলাইহি তিনি উনার মায়ের কাছে বলতেন, “আম্মা! তিনি বলেছেন, মাসয়ালাটা এরূপ হবে।” দেখা গিয়েছে এভাবে অনেকবার বিভিন্ন মাসয়ালার জন্য উনাকে যেতে হয়েছে শুধুমাত্র মায়ের নির্দেশ পালনার্থে।
এখানে চিন্তা- ফিকিরের বিষয়, তিনি কতটুকু উনার মায়ের প্রতি আদব রক্ষা করেছেন! তিনি যেভাবে মায়ের হক্ব আদায় করেছেন এবং হক্ব আদায় করার জন্য কোশেশ করেছেন তা আসলে এককথায় অতুলনীয় এক দৃষ্টান্ত ।
ইনশাআল্লাহ চলবে।
এ সম্পর্কিত আরো সংবাদ
-
সন্তানদের ও পরিবারের সকলকে সালাম দেয়া শিক্ষা দান করুন
২৩ নভেম্বর, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুছ সাবত (শনিবার) -
হযরত উম্মাহাতুল মু’মিনীন আলাইহিন্নাস সালাম উনাদের বেমেছাল দানশীলতা মুবারক (৪)
২৩ নভেম্বর, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুছ সাবত (শনিবার) -
কাফের বিশ্বে নারীরা শুধু কি এখন নির্যাতনের শিকার হচ্ছে?
২২ নভেম্বর, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল জুমুয়াহ (শুক্রবার) -
একজন দ্বীনদার পরহেযগার আল্লাহওয়ালী মহিলা উনার পর্দা পালনের বেমেছাল দৃষ্টান্ত
২২ নভেম্বর, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল জুমুয়াহ (শুক্রবার) -
প্রসঙ্গ মহিলা জামাত নাজায়িজ
২১ নভেম্বর, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল খমীছ (বৃহস্পতিবার) -
পিতা-মাতার প্রতি সন্তানের দায়িত্ব-কর্তব্য
২১ নভেম্বর, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল খমীছ (বৃহস্পতিবার) -
শৈশবকাল থেকেই সন্তানকে দ্বীনদার হওয়ার শিক্ষা দান করতে হবে
২০ নভেম্বর, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল আরবিয়া (বুধবার) -
সম্মানিতা মহিলা আউলিয়া-ই কিরাম উনাদের পরিচিতি
১৯ নভেম্বর, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুছ ছুলাছা (মঙ্গলবার) -
স্বচক্ষে দেখা কিছু কথা
১৯ নভেম্বর, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুছ ছুলাছা (মঙ্গলবার) -
পারিবারিক তা’লীমের গুরুত্ব ও তারতীব
১৮ নভেম্বর, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল ইছনাইনিল আযীম (সোমবার) -
সুন্নতী খাবার সম্পর্কিত হাদীছ শরীফ : মেথি
১৮ নভেম্বর, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল ইছনাইনিল আযীম (সোমবার) -
খাবার বিষয়ে মহান আল্লাহ পাক তিনি ইরশাদ মুবারক করেন
১৮ নভেম্বর, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল ইছনাইনিল আযীম (সোমবার)