মাতারবাড়ী বিদ্যুৎ প্রকল্পে ৫২ হাজার কোটি টাকা খরচ হচ্ছে কেন?
, ০৯ যিলক্বদ শরীফ, ১৪৪৫ হিজরী সন, ১৯ ছানী আশার, ১৩৯১ শামসী সন , ১৮ মে, ২০২৪ খ্রি:, ০৪ জৈষ্ঠ্য, ১৪৩১ ফসলী সন, ইয়াওমুছ সাবত (শনিবার) দেশের খবর
নিজস্ব প্রতিবেদক:
বাংলাদেশের মহেশখালীর মাতারবাড়ী কয়লা বিদ্যুৎকেন্দ্র শিগগিরই পূর্ণাঙ্গ বাণিজ্যিক উৎপাদন শুরু করতে যাচ্ছে। জাপানের আর্থিক ও কারিগরি সহায়তায় নির্মিত বাংলাদেশের একটি আলোচিত মেগা প্রকল্প এটি।
এক হাজার দুইশ মেগাওয়াট ক্ষমতার এ বিদ্যুৎ প্রকল্প বাংলাদেশে যতগুলো কয়লা-ভিত্তিক বিদ্যুৎকেন্দ্র আছে তার মধ্যে সবচেয়ে ব্যয়বহুল।
এই বিদ্যুৎ প্রকল্পে খরচ হচ্ছে প্রায় ৫২ হাজার কোটি টাকা। মাতারবাড়ী প্রকল্প নিয়ে অনেকেরই জিজ্ঞাসা হলো প্রকল্পটি কেন এত ব্যয়বহুল।
মাতারবাড়ী প্রকল্পটি নির্মাণে চুক্তি হয় ২০১৪ সালে। এর কাজ শুরু হয় ২০১৭ সালে। শুরুতে মাতারবাড়ী প্রকল্পের ব্যায় ধরা হয় প্রায় ৩৬ হাজার কোটি টাকা। কিন্তু ২০২১ সালে এ প্রকল্প সংশোধন করে সময় বৃদ্ধি করা হয়। তখন ব্যয় বাড়ে আরো ১৬ হাজার কোটি টাকা।
বিদ্যুৎ উৎপাদন সক্ষমতার দিক থেকে মাতারবাড়ী প্রকল্পের খরচ তুলনামূলক অনেক বেশি। সমসাময়িক আরেকটি প্রকল্প বাগেরহাটের রামপাল বিদ্যুৎ কেন্দ্রের ক্ষমতা ১৩২০ মেগাওয়াট।
এই প্রকল্পে খরচ ১৬ হাজার কোটি টাকা। পটুয়াখালীর পায়রা বিদ্যুৎ কেন্দ্রটিও ১৩২০ মেগাওয়াট ক্ষমতার। পায়রা প্রকল্পের নির্মাণে ব্যয় হয়েছে ২০ হাজার কোটি টাকার মতো।
সেদিক থেকে হিসেব করলে মাতারবাড়ী প্রকল্পটি পায়রা প্রকল্পের আড়াইগুন এবং রামপালের থেকে তিনগুন বেশি ব্যয়বহুল।
মাতারবাড়ী প্রকল্পে জাপানের আন্তর্জাতিক সহযোগিতা সংস্থা বা জাইকা অর্থায়ন করেছে এবং এ প্রকল্পে জাপানি প্রযুক্তি এবং সহায়তা নেয়া হয়েছে।
বিশ্লেষকরা মনে করেন, মাতারবাড়ী প্রকল্পে বিনিয়োগের ধরন এবং এর বাস্তবায়নে বিলম্ব হবার কারণে নির্মাণ খরচ বাড়াতে বড় ভূমিকা রেখেছে।
প্রকল্পের অর্থায়নের বিষয়ে দৃষ্টি আকর্ষণ করে দেবপ্রিয় বলে, হচ্ছে তাদের কাছ থেকেই যদি অর্থ নেয়া হয় তখন তাদের কাছ থেকে নানা শর্ত আরোপ করা হয় এবং তাতে ব্যয় বেড়ে যায়।
"শর্ত থাকার কারণে আপনি প্রতিযোগিতামূলক মূল্যে অনেক সময় অনেক ধরনের প্রযু্ক্িত সুবিধা বা সেবা আপনি কিনতে পারেন না। আরেকটা বড় অঙ্ক এটার সাথে থাকে সেটা হলো বিদেশ বিশেষজ্ঞদের জন্য বরাদ্দ। এটাও মাতারবাড়ির জন্য প্রযোজ্য," বলে ভট্টাচার্য।
মাতারবাড়ী বিদ্যুৎ কেন্দ্রের প্রকল্প পরিচালক আবুল কালাম আজাদ বলছেন, প্রকল্পটি তুলনামূলক বেশি খরচ হলেও এটা সে অর্থে ব্যয়বহুল নয়।
“এটা প্রকৃতপক্ষে ব্যয়বহুল না। কারণ, এ প্রকল্পের সাথে প্রায় বিশ হাজার কোটি টাকা হলো পোর্টের কাজ। তো বিশ হাজার কোটি টাকা বাদ দিলে পঞ্চাশ হাজার কোটি থেকে থাকে ত্রিশ হাজার কোটি টাকা।”
“ত্রিশ হাজার কোটি টাকার মধ্যে এইখানে সেকেন্ড ফেইজের জন্য আমার জায়গা অধিগ্রহণ করছি সেই জায়গার দাম আছে। এছাড়া সেকেন্ড ফেইজের কিছু কাজও করছি। যেরকম এর জেটির ক্যাপাসিটি হলো দুইটা ফেইজের জন্য। আমিতো এখন করতেছি একটা। আরেকটা ফেইজ যখন আমি করবো তখনতো ওই খরচটা মিনিমাইজ হয়ে যাবে,” বলেন আজাদ।
এ সম্পর্কিত আরো সংবাদ
-
৯ দিনেও মুক্তি মেলেনি অপহৃত ৪ জেলের
২৩ নভেম্বর, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুছ সাবত (শনিবার) -
অফিস করেন না ৮১ মাস, নিচ্ছেন নিয়মিত বেতন ভাতা
২৩ নভেম্বর, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুছ সাবত (শনিবার) -
১৬ হাজার টাকার জন্য খুন হলেন মুদি দোকানি
২৩ নভেম্বর, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুছ সাবত (শনিবার) -
কুকুরের কামড়ে আহত শিশুসহ ৩২ জন
২৩ নভেম্বর, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুছ সাবত (শনিবার) -
ডেইলি স্টারের সামনে কর্মসূচি, বিপুল পুলিশ মোতায়েন
২৩ নভেম্বর, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুছ সাবত (শনিবার) -
জীবিত স্বামীকে মৃত দেখিয়ে শেখ হাসিনার বিরুদ্ধে হত্যা মামলা করা বাদী গ্রেফতার
২৩ নভেম্বর, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুছ সাবত (শনিবার) -
পাসপোর্ট কর্মকর্তার ‘বহুরূপী’ পাসপোর্ট
২৩ নভেম্বর, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুছ সাবত (শনিবার) -
ফ্রিজ করা অ্যাকাউন্টে ১৪ হাজার ৫০০ কোটি টাকা
২৩ নভেম্বর, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুছ সাবত (শনিবার) -
‘জাতির কাছে ক্ষমা চাইতে প্রস্তুত আ.লীগ’
২৩ নভেম্বর, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুছ সাবত (শনিবার) -
ফ্যাসিবাদ বারবার ফিরে আসবে, প্রতিহত করতে হবে -উপদেষ্টা আদিলুর
২৩ নভেম্বর, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুছ সাবত (শনিবার) -
ফ্যাসিবাদ বারবার ফিরে আসবে, প্রতিহত করতে হবে -উপদেষ্টা আদিলুর
২৩ নভেম্বর, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুছ সাবত (শনিবার) -
কোনো রাজনৈতিক দল নিষিদ্ধ চায় না জাতীয় পার্টি
২৩ নভেম্বর, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুছ সাবত (শনিবার)