মাগুরছড়া ট্রাজেডি : ২৬ বছরেও ক্ষতিপূরণ দেয়নি আমেরিকান কোম্পানি
বাংলাদেশ সরকারও গা করেনি, অথচ মামলা করলে বাংলাদেশ মাগুরছড়া বিস্ফোরণের ক্ষতিপূরণ পাবে, আদায় হতে পারে প্রায় ৫০ হাজার কোটি টাকা
, ২৬ যিলক্বদ শরীফ, ১৪৪৪ হিজরী সন, ১৭ আউওয়াল, ১৩৯১ শামসী সন , ১৬ জুন, ২০২৩ খ্রি:, ০১ আষাঢ়, ১৪৩০ ফসলী সন, ইয়াওমুল জুমুয়াহ (শুক্রবার) সম্পাদকীয়
সব প্রশংসা মুবারক খালিক্ব মালিক রব মহান আল্লাহ পাক উনার জন্য; যিনি সকল সার্বভৌম ক্ষমতার মালিক। সাইয়্যিদুল মুরসালীন, ইমামুল মুরসালীন, নবী আলাইহিমুস সালাম উনাদের নবী, রসূল আলাইহিমুস সালাম উনাদের রসূল, নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার প্রতি অফুরন্ত দুরূদ শরীফ ও সালাম মুবারক।
মৌলভীবাজারের মাগুরছড়া ট্র্যাজেডির ২৬ বছর হয়েছে গত পরশু। ১৯৯৭ সালের ১৪ জুন দিনগত রাত পৌনে ২টায় মাগুরছড়া গ্যাসকূপে বিস্ফোরণে কেঁপে ওঠে গোটা কমলগঞ্জ। আগুনের লেলিহান শিখায় লাল হয়ে ওঠে রাতের আকাশ। ভীত-সন্ত্রস্ত লোকজন ঘরের মালামাল রেখে প্রাণভয়ে ছুটেন দিগি¦দিক। প্রায় ৫০০ ফুট উচ্চতায় লাফিয়ে ওঠা আগুনের লেলিহান শিখায় লন্ডভন্ড করে দেয় বিস্তীর্ণ বন এলাকা।
আগুনের শিখায় গ্যাসফিল্ড সংলগ্ন লাউয়াছড়া রিজার্ভ ফরেস্ট, মাগুরছড়া খাসিয়াপুঞ্জি, জীববৈচিত্র্য, বিদ্যুৎ সঞ্চালন লাইন, ফুলবাড়ী চা বাগান, সিলেট-ঢাকা ও সিলেট-চট্টগ্রাম রেলপথ এবং কমলগঞ্জ-শ্রীমঙ্গল সড়কে ব্যাপক ক্ষতি হয়।
দেশের ইতিহাসে ভয়াবহতম অগ্নিকা-ে ক্ষতিগ্রস্ত হয় ঘনগভীর বন ও এর সাহচর্যে থাকা বিপুল সংখ্যক জীববৈচিত্র্য। ক্ষতির মুখোমুখি হয় রেল ও সড়কপথ, পানজুম, বিদ্যুৎ লাইনসহ এ অঞ্চলের অসংখ্য স্থাপনা।
দুর্ঘটনার জন্য দায়ী মার্কিন গ্যাস উত্তোলনকারী প্রতিষ্ঠান অক্সিডেন্টাল ক্ষয়ক্ষতির আংশিক পরিশোধ করলেও কোনো ক্ষতিপূরণ পায়নি বন বিভাগ। ফিরে আসেনি প্রাকৃতিক বনের স্বাভাবিকতা।
পূর্ণ ক্ষতিপূরণ না দিয়েই ইউনিকলের কাছে হস্তান্তরের পর সর্বশেষ শেভরনের কাছে বিক্রি হয়েছে এ গ্যাসক্ষেত্র। শেভরন ২০০৮ সালে ওই বনে ত্রি-মাত্রিক ভূতাত্ত্বিক জরিপ কাজ সম্পন্ন করে।
২০১২ সালে শেভরন মৌলভীবাজার ১৪ নম্বর ব্লকের অধীনে নুরজাহান, ফুলবাড়ি এবং জাগছড়া চা বাগানের সবুজ বেষ্টনী কেটে কূপ খননের পর উত্তোলিত গ্যাস কালাংড়ার মাধ্যমে রশীদপুর গ্রিডে স্থানান্তর করছে। কিন্তু মাগুরছড়া ট্র্যাজেডির ২৬ বছরেও জনসম্মুখে ক্ষয়ক্ষতির তালিকা প্রকাশ হয়নি, আদায় হয়নি ক্ষতিপূরণ।
বিশেষজ্ঞদের মতে, এ ঘটনার মধ্য দিয়ে প্রাকৃতিক বনের কী পরিমাণ ক্ষতি হয়েছে তা কেউ বুঝতে পারেনি। যারা এ বনে বসবাস করছে তারা বুঝতে পেরেছে।
বনের ক্ষতি নিরূপণ করা হলেও এ পর্যন্ত কিছুই পাওয়া যায়নি। প্রাকৃতিক বনের ক্ষতি কোনো সময়ে পুষিয়ে ওঠার নয়।
১৯৯৭ সালের ১৪ জুন দিবাগত রাতে মৌলভীবাজারের মাগুরছড়া গ্যাসক্ষেত্রে মার্কিন বহুজাতিক কোম্পানি অক্সিডেন্টালের দায়িত্বহীনতা, অবহেলা ও ত্রুটির কারণেই ব্লো আউট হয়।
ঘটনার পরপরই এ নিয়ে একটি তদন্ত কমিটি গঠিত হয়। এরপর ৩০ জুলাই ওই কমিটির দেয়া তদন্ত প্রতিবেদন অনুযায়ী ওই গ্যাসক্ষেত্রে উত্তোলনযোগ্য ২৪৫.৮৬ বিসিএফ গ্যাস ধ্বংস হয়।
বিশেষজ্ঞদের ধারণা, এছাড়াও অগ্নিকা-ে বন ও পরিবেশের ক্ষতি প্রায় ২০ হাজার কোটি টাকা। এছাড়া প্রাণিসম্পদেরও বিপুল ক্ষতি সাধিত হয়। দুই ভলিউমে ৫০০ পৃষ্ঠার তদন্ত প্রতিবেদনে বিস্তৃত ক্ষয়ক্ষতির বিবরণ দেয়া হয়। যার মূল্যমান প্রায় ৫০ হাজার কোটি টাকা।
মাগুরছড়া গ্যাসকূপে সেদিনের বিস্ফোরণে মুহূর্তে আগুনের লেলিহান শিখা চারিদিকে ছড়িয়ে নিমিষেই পুড়ে ছাই হয়ে যায় এশিয়ার একমাত্র রেইন ফরেস্ট লাউয়াছড়া জাতীয় উদ্যানের বহু গাছপালা ও জীবজন্তুসহ আশপাশের বিস্তীর্ণ এলাকা।
এ অগ্নিকা-ের ২৬ বছর পার হয়ে গেলেও মার্কিন কোম্পানির কাছ থেকে ক্ষতিপূরণ আদায় করা হয়নি। এই দীর্ঘসময় ধরে দেশে বিভিন্ন সময়ে ক্ষমতায় থাকা কোনো সরকারই ক্ষতিপূরণ আদায়ে এগিয়ে আসেনি।
তবে পিছু হটেনি এলাকার লোকজনসহ রাজনৈতিক ও পরিবেশবাদী সংগঠনগুলো। তারা ক্ষতিপূরণ আদায়ের দাবিতে আজও প্রতিবাদ সমাবেশ ও আন্দোলন অব্যাহত রেখেছে।
ভয়াবহ আগুনে পোড়া সেই জায়গায় এখন সবুজের সমাহার। এ সবুজের মধ্যেই মূল কূপস্থলটি এখনও পুকুরের মতো আকৃতি ধারণ করে টিকে আছে। চতুর্দিকে কাঁটাতারের বেড়া দিয়ে নিরাপত্তা বেষ্টনি তৈরি করা হয়েছে। টিলার ওপর সবুজ বনায়নের ফাঁকে ফাঁকে আগুনে পোড়া, মাথাভাঙ্গা ও ডালপালাবিহীন কালো রঙের গাছগুলো দুর্ঘটনার নীরব সাক্ষী হয়ে এখনও দাঁড়িয়ে আছে। প্রতি বছর জুন মাস এলে বিষয়টি নিয়ে স্থানীয় ও জাতীয় মিডিয়ায় আলোচনা হয়। কিন্তু ক্ষতিপূরণ আদায়ে সুনির্দিষ্ট কোন পদক্ষেপ নেয়া হয়নি।
অক্সিডেন্টাল-ইউনোকলের বর্তমান উত্তরসূরি শেভরনকে নোটিশ দিয়ে আন্তর্জাতিক আদালতে গেলে ক্ষতিপূরণের বিষয়টি যথাযথ এবং শীঘ্রই নিষ্পত্তি করা সম্ভব।
কিন্তু এ বিষয়ে সরকারের সংশ্লিষ্ট মহলের তৎপরতা খুবই হতাশাজনক এবং ন্যাক্কারজনক। সরকার শুধু হাজার হাজার কোটি টাকা বৈদেশিক ঋণ পেতেই মরীয়া কিন্তু পাওনা প্রায় ৫০ হাজার কোটি টাকা আদায়ে সরকারের নির্লিপ্ত ও নিষ্ক্রিয়তা খুবই নিন্দনীয়। সরকারের এরূপ নির্লজ্জ ভূমিকার বিপরীতে জনগণকেও জন সচেতন হতে হবে। জনপ্রতিবাদী হতে হবে। কারণ দেশের মালিক সরকার নয় জনগণ। কাজেই জনগণকেই এগিয়ে আসতে হবে ইনশাআল্লাহ।
ছহিবে সাইয়্যিদি সাইয়্যিদিল আ’ইয়াদ শরীফ, রাজারবাগ শরীফ উনার মামদূহ মুর্র্শিদ ক্বিবলা সাইয়্যিদুনা হযরত সুলত্বানুন নাছীর আলাইহিস সালাম উনার নেক ছোহবত মুবারক-এ কেবলমাত্র তা লাভ করা সম্ভব। খালিক্ব মালিক রব মহান আল্লাহ পাক তিনি আমাদেরকে তা নছীব করুন। (আমীন)
এ সম্পর্কিত আরো সংবাদ
-
দ্রব্যমূল্যের আগুনে ঝলসে যাচ্ছে মানুষ। মূল্যস্ফীতির চাপে পিষ্ট হচ্ছে জনসাধারণ। সরকারের কর্তাব্যক্তিদের রকমফের চটকদার কথার পরিবর্তে এক্ষনি মূল্যস্ফীতিকে সংকুচিত করে দেশবাসীকে বাঁচাতে হবে ইনশাআল্লাহ।
০৫ নভেম্বর, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুছ ছুলাছা (মঙ্গলবার) -
৭ হাজার ৮০০ মিলিয়ন টন কয়লা মজুদের দেশে কয়লার ঘাটতিতে বিদ্যুৎ উৎপাদন কেন্দ্র বন্ধ কেন? বিগত মাফিয়া সরকারের পথ থেকে সরে এসে কয়লা উত্তোলন শুরু করুন।
০৫ নভেম্বর, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুছ ছুলাছা (মঙ্গলবার) -
প্রসঙ্গঃ মোবাইল ফোনের ব্যবহার ও অপব্যবহার।
০৪ নভেম্বর, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল ইছনাইনিল আযীম (সোমবার) -
হোল্ডিং ট্যাক্স ছাড়, তাপ মুক্তি নিরাপদ ফল-সবজি প্রাপ্তি, পরিবেশ উন্নয়ন প্রক্রিয়ায় শহরের প্রতিটি বাড়ির ছাদ হোক একটুকরো বাগান
০৪ নভেম্বর, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল ইছনাইনিল আযীম (সোমবার) -
৪০ শতাংশের বেশি ক্ষুদ্র ও কুটির শিল্প বন্ধ হয়েছে যথাযথ পৃষ্ঠপোষকতা করলে ইনশাআল্লাহ ঘুরে দাঁড়াবে ক্ষুদ্র ও কুটির শিল্প
০৩ নভেম্বর, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল আহাদ (রোববার) -
মুদি দোকান, স্টেশনারি দোকান, শপিং মল, পার্লার, সুপার শপ সবখানেই ভেজাল কসমেটিক্স। মারাত্মক ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে ব্যবহারকারীরা। সরকারের কঠোর নজরদারী ও নিয়ন্ত্রণ প্রয়োজন।
০২ নভেম্বর, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুছ সাবত (শনিবার) -
দেশের ৪ কোটি মানুষ না খেয়ে থাকে। অথচ দেশে মাথাপিছু খাদ্য অপচয় হয় প্রায় ৯০ কেজি। বছরে ক্ষতির পরিমাণ প্রায় ৩৫ হাজার কোটি টাকা।
০২ নভেম্বর, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুছ সাবত (শনিবার) -
আজ মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র ২৮শে রবীউছ ছানী শরীফ! সাইয়্যিদাতুনা উম্মুর রদ্বাআহ আল ঊলা আলাইহাস সালাম উনার সম্মানিত আওলাদ, আখু রসূলিল্লাহ মিনার রদ্বাআহ সাইয়্যিদুনা হযরত মাসরূহ্ আলাইহিস সালাম উনার বিছালী শান মুবারক প্রকাশ দিবস। সুবহানাল্লাহ!
০১ নভেম্বর, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল জুমুয়াহ (শুক্রবার) -
শিক্ষা খাতে পতিত সরকারের বাজেটে নিম্নবিত্ত-মধ্যবিত্তদের স্বার্থ সংরক্ষিত হয়নি শিক্ষার্থীরা যাতে ঝরে না পড়ে- শিক্ষা উপকরণের দাম কমিয়ে বর্তমান সরকারকে তা নিশ্চিত করতে হবে ইনশাআল্লাহ
৩১ অক্টোবর, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল খমীছ (বৃহস্পতিবার) -
শব্দ দূষণ এখন শব্দ সন্ত্রাস ও নীরব ঘাতকে পরিণত হয়েছে। নারিকেল দ্বীপ নয় শব্দ দূষণে বিপর্যস্থ ঢাকাকে উপযোগী করার জন্য ঢাকার জনযট সারাদেশে ছড়িয়ে দিতে হবে।
৩১ অক্টোবর, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল খমীছ (বৃহস্পতিবার) -
‘২০৪১ সালে মাছ উৎপাদনের লক্ষ্যমাত্রা ৮৫ লাখ মেট্রিক টন’ ৩৯ বছরের ব্যবধানে মাছের উৎপাদন বেড়েছে ৬ গুণ উৎপাদন বাড়ছে মাছের, তবুও নাগালে নেই দাম
৩০ অক্টোবর, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল আরবিয়া (বুধবার) -
নাটক-সিনেমার মাধ্যমে মুসলিম প্রজন্মকে দ্বীন ইসলাম থেকে দূরে সরিয়ে দেয়া হচ্ছে। পরকালের কথা স্বরণ করে মুসলিম উম্মাহকে বিধর্মীদের এসব ষড়যন্ত্র থেকে বের হয়ে আসতে হবে।
৩০ অক্টোবর, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল আরবিয়া (বুধবার)