মহিলাদের জন্য মসজিদে গিয়ে জামায়াতে নামায আদায় করা জায়েজ নেই
, ২৩ যিলহজ্জ শরীফ, ১৪৪৫ হিজরী সন, ০২ ছানী, ১৩৯২ শামসী সন , ৩০ জুন, ২০২৪ খ্রি:, ১৬ আষাঢ়, ১৪৩১ ফসলী সন, ইয়াওমুল আহাদ (রোববার) মহিলাদের পাতা
![মহিলাদের জন্য মসজিদে গিয়ে জামায়াতে নামায আদায় করা জায়েজ নেই](https://www.al-ihsan.net/uploads/1719602831_2.jpg)
হাদীছ শরীফ উনার মধ্যে ইরশাদ মুবারক হয়েছে-
عَنْ حَضْرَتْ اِبْنِ عُمَرَ رَضِىَ اللهُ تَعَالٰى عَنْهُ عَنِ النَّبِـىِّ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ صَلٰوةُ الْـمَرْاَةِ تَفْضُلُ عَلٰى صَلَاتِـهَا فِـى الْـجَمْعِ خَـمْسًا وَّعِشْرِيْنَ دَرَجَةً.
অর্থ : হযরত ইবনে উমর রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহু তিনি নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার থেকে বর্ণনা করেন, মহিলাদের জামায়াতে নামায পড়ার চেয়ে ঘরে একা নামায পড়ার মধ্যে পঁচিশগুণ ফযীলত বেশি রয়েছে। (দায়লামী শরীফ ২য় খ-: ৩৮৯ পৃষ্ঠা)
উ হাদীছ শরীফসমূহ উনাদের উপর ভিত্তি করেই আমীরুল মু’মিনীন, খলীফাতুল মুসলিমীন, সাইয়্যিদুনা হযরত ফারূক্বে আ’যম আলাইহিস সালাম তিনি উনার সম্মানিত খিলাফতকালে মহিলাদেরকে মসজিদে আসার ব্যাপারে নিষেধ করেন। যেমন এ প্রসঙ্গে পবিত্র হাদীছ শরীফ উনার মধ্যে বর্ণিত হয়েছে-
عَنْ حَضْرَتْ عُمَرَ عَلَيْهِ السَّلَامُ اَنَّه نَـهَي النِّسَاءَ عَنِ الْـخُرُوْجِ اِلَـى الْـمَسَاجِدِ فَشَكَوْنَ اِلٰى اُمِّ الْـمُؤْمِنِيْنَ الثَّالِثَةِ الصِّدِّيْقَةِ عَائِشَةَ عَلَيْهَا السَّلَامُ فَقَالَتْ اُمُّ الْـمُؤْمِنِيْنَ الثَّالِثَةُ الصِّدِّيْقَةُ عَائِشَةُ عَلَيْهَا السَّلَامُ لَوْ عَلِمَ النَّبِىُّ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ مَا عَلِمَ عُمَرُ عَلَيْهِ السَّلَامُ مَا اَذِنَ لَكُمْ فِي الْـخُرُوْجِ.
অর্থ : হযরত ফারূক্বে আ’যম আলাইহিস সালাম তিনি মহিলাদেরকে বাইরে বের হয়ে মসজিদে আসতে নিষেধ করেন। অতঃপর মহিলা উনারা হযরত উম্মুল মু’মিনীন আছ ছালিছাহ ছিদ্দীক্বাহ আলাইহাস সালাম উনার খিদমত মুবারকে পেশ করলে তিনি জাওয়াবে বলেন, নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ, হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি যদি আপনাদের বর্তমান অবস্থা দেখতেন, তাহলে তিনি যে হুকুম মুবারক দিতেন, আমীরুল মু’মিনীন হযরত ফারূক্বে আ’যম আলাইহিস সালাম তিনি সেই হুকুম মুবারকই দিয়েছেন অর্থাৎ উনার মতো তিনিও আপনাদেরকে নামাযের উদ্দেশ্যে ঘর থেকে বের হওয়ার ব্যাপারে অনুমতি দিতেন না। (মুহীতুল বুরহানী)
পবিত্র হাদীছ শরীফ উনার মধ্যে আরো বর্ণিত রয়েছে-
عَنْ حَضْرَتْ اُمِّ الْـمُؤْمِنِيْنَ الثَّالِثَةِ الصِّدِّيْقَةِ عَائِشَةَ عَلَيْهَا السَّلَامُ قَالَتْ لَوْ رَاٰى رَسُوْلُ اللهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ مِنَ النِّسَاءِ مَا نَرٰى لَـمَنَعَهُنَّ كَمَا مُنِعَتْ نِسَاءُ بَنِـيْ اِسْرَائِيْلَ.
অর্থ : হযরত উম্মুল মু’মিনীন আছ ছালিছাহ ছিদ্দীক্বা আলাইহাস সালাম উনার থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, মহিলাদের যে অবস্থা আমরা দেখছি তা যদি নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি দেখতেন তাহলে অবশ্যই তিনিও উনাদেরকে (মসজিদে আসতে) নিষেধ করতেন যেরূপ বনী ইসরায়ীল মহিলাদেরকে নিষেধ করা হয়েছিল। (ছহীহ ইবনে খুযাইমাহ, ছহীহ বুখারী শরীফ)
পবিত্র হাদীছ শরীফ উনার মধ্যে আরো বর্ণিত রয়েছে-
عَنْ حَضْرَتْ عُمَرَةَ رَحْمَةُ اللهِ عَلَيْهَا قَالَتْ سَـمِعْتُ حَضْرَتْ اُمَّ الْـمُؤْمِنِيْنَ الثَّالِثَةَ الصِّدِّيْقَةَ عَائِشَةَ عَلَيْهَا السَّلَامُ تَقُوْلُ لَوْ رَاٰى رَسُوْلُ اللهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ مَا اَحْدَثَ النِّسَاءُ بَعْدَه لَـمَنَعَهُنَّ الْـمَسَاجِدَ كَمَا مُنِعَتْ نِسَاءُ بَنِـيْ اِسْرَائِيْلَ.
অর্থ : হযরত উমরাতা রহমতুল্লাহি আলাইহা তিনি বর্ণনা করেন, আমি হযরত উম্মুল মু’মিনীন আছ ছালিছাহ ছিদ্দীক্বা আলাইহাস সালাম উনাকে বলতে শুনেছি যে, নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার বিছালী শান মুবারক প্রকাশের পর মহিলাদের মধ্যে যে আধুুনিক অবস্থার সৃষ্টি হয়েছে তা যদি তিনি দেখতেন তাহলে অবশ্যই তিনিও উনাদেরকে (মসজিদে আসতে) নিষেধ করতেন যেরূপ বনী ইসরায়ীল মহিলাদেরকে নিষেধ করা হয়েছিল। (ছহীহ ইবনে খুযাইমাহ)
স্মরণীয় যে, আমীরুল মু’মিনীন হযরত ফারূক্বে আ’যম আলাইহিস সালাম তিনি মহিলাদেরকে মসজিদে আসার ব্যাপারে নিষেধ করার পর এবং উক্ত নিষেধাজ্ঞার বিষয়টি উম্মুল মু’মিনীন আছছালিছাহ ছিদ্দীক্বা আলাইহাস সালাম তিনি সত্যায়ন বা তাছদীক্ব করার পর সমস্ত ছাহাবায়ে কিরাম রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহুম উনারা তা মেনে নেন। যার কারণে পরবর্তীতে এ ফতওয়ার উপর ইজমা বা ঐকমত্য প্রতিষ্ঠিত হয় যে, মহিলাদের নামাযের জন্য মসজিদ ও ঈদগাহে যাওয়া আম ফতওয়া মতে মাকরূহ তাহরীমী আর খাছ ফতওয়া মতে কুফরী।
কেননা উক্ত ফতওয়ার বিরোধিতা করার অর্থ হচ্ছে হযরত উম্মুল মু’মিনীন আছ ছালিছাহ ছিদ্দীক্বা আলাইহাস সালাম উনার, হযরত খুলাফায়ে রাশিদীন আলাইহিমুস সালাম উনাদের দ্বিতীয় খলীফাসহ সকল হযরত ছাহাবায়ে কিরাম রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহু উনাদের বিরোধিতা করা। যা স্পষ্ট কুফরী এবং কাফির ও জাহান্নামী হওয়ার কারণ। নাঊযুবিল্লাহ!
এ সম্পর্কিত আরো সংবাদ
-
কে কি করলো সেটা কখনই দলীল নয়...
০৫ জুলাই, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল জুমুয়াহ (শুক্রবার) -
মহিলাদের সুন্নতী লিবাস, অলংকার ও সাজ-সজ্জা (১৫)
০৫ জুলাই, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল জুমুয়াহ (শুক্রবার) -
মহিলাদের জন্য মসজিদে গিয়ে জামায়াতে নামায পড়া জায়িয নয়
০৫ জুলাই, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল জুমুয়াহ (শুক্রবার) -
পর্দা করা ফরজ, বেপর্দা হওয়া হারাম
০৫ জুলাই, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল জুমুয়াহ (শুক্রবার) -
পিতা-মাতার প্রতি সন্তানের দায়িত্ব-কর্তব্য (১)
০৪ জুলাই, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল খমীছ (বৃহস্পতিবার) -
পর্দা করা ফরজ, বেপর্দা হওয়া হারাম
০৪ জুলাই, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল খমীছ (বৃহস্পতিবার) -
নিকাহ বা বিবাহের ফযীলত (৫)
০১ জুলাই, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল ইছনাইনিল আযীম (সোমবার) -
বেপর্দা হওয়া উভয় পক্ষের প্রতিই লানত বর্ষিত হয়! নাউযুবিল্লাহ!
০১ জুলাই, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল ইছনাইনিল আযীম (সোমবার) -
সাইয়্যিদাতুনা হযরত ফাতিমা বিনতে খাত্তাব রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহা
৩০ জুন, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল আহাদ (রোববার) -
ছাহাবায়ে কিরামগণ উনারা উম্মাহর মাঝে শ্রেষ্ঠতম মর্যাদায় আসীন
৩০ জুন, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল আহাদ (রোববার) -
প্রসঙ্গ: বাতিল আক্বিদার লোকের সাথে বিবাহ
২৯ জুন, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুছ সাবত (শনিবার) -
হযরত ক্বায়লা বিনতে মাখরামা আত-তামীমিয়া রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহা
২৯ জুন, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুছ সাবত (শনিবার)