মহিমান্বিত সুমহান ১৮ই রমাদ্বান শরীফ। যা উম্মু আবীহা, সাইয়্যিদাতু নিসায়ি আহলিল জান্নাহ, ত্বহিরা, ত্বইয়িবা, বিনতু মিন বানাতি রসূলিল্লাহি ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম, সাইয়্যিদাতুনা হযরত আন নূরুছ ছানিয়াহ আলাইহাস সালাম উনার পবিত্র বিছালী শান মুবারক প্রকাশ দিবস।
এবং পবিত্র দ্বীন ইসলাম উনার পঞ্চম খলীফা, সাইয়্যিদুশ শুহাদা, সাইয়্যিদু শাবাবি আহলিল জান্নাহ, আহলু বাইতিন নাবিইয়্যি, আওলাদু রসূলিল্লাহ, সাইয়্যিদুনা হযরত ইমামুছ ছানী আলাইহিস সালাম উনার পবিত্র খিলাফত মুবারক গ্রহণ দিবস। সুবহানাল্লাহ! গোটা উম্মাহ ও মুসলিম বিশ্বের প্রত্যেক সরকারের উচিত- যথাযথ ভাবমর্যাদা ও ভাবধারার সাথে এ দিবস মুবারক পালন করা।
, ১৮ রমাদ্বান শরীফ, ১৪৪৫ হিজরী সন, ৩০ আশির, ১৩৯১ শামসী সন , ২৯ মার্চ, ২০২৪ খ্রি:, ১৫ চৈত্র, ১৪৩০ ফসলী সন, ইয়াওমুল জুমুয়াহ (শুক্রবার) সম্পাদকীয়
মুসলমান এবং আহলে কিতাব দাবিদারদের মধ্যে তথা মুসলমান এবং ইহুদী-খ্রিস্টানদের মধ্যে পার্থক্যের মূল বিষয়টি কি? বলাবাহুল্য, প্রধান ফারাককারী বিষয়টি হলো- তারা নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনাকে মানে না। নাঊযুবিল্লাহ! এজন্য পবিত্র কুরআন শরীফ উনার মধ্যে মহান আল্লাহ পাক তিনি ইরশাদ মুবারক করেন, “তোমরা যদি মহান আল্লাহ পাক উনার মুহব্বত-মা’রিফত, সন্তুষ্টি-রেযামন্দি মুবারক পেতে চাও, তাহলে নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার ইত্তিবা বা অনুসরণ করো। তথা উনাকে মুহব্বত করো।” সুবহানাল্লাহ!
উল্লেখ্য, মুহব্বতের পূর্বশর্ত হলো মা’রিফত অর্জন। নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার মা’রিফত অর্জন তখনই হবে, যখন উনার পবিত্র আহলে বাইত শরীফ আলাইহিমুস সালাম উনাদের মা’রিফত মুবারকও অর্জন হবে। সুবহানাল্লাহ!
প্রসঙ্গত, মহাসম্মানিত বানাত আলাইহিন্নাস সালাম উনাদের মধ্যে দ্বিতীয়া হলেন ত্বহিরা, ত্বইয়্যিবা, সাইয়্যিদাতু নিসায়ি আহলিল জান্নাহ হযরত আন নূরুছ ছানিয়াহ আলাইহাস সালাম তিনি।
ত্বহিরা, ত্বইয়িবা, সাইয়্যিদাতু নিসায়ি আহলিল জান্নাহ সাইয়্যিদাতুনা হযরত আন নূরুছ ছানিয়াহ আলাইহাস সালাম তিনি পবিত্র বদর জিহাদের পরের দিন অর্থাৎ পবিত্র ১৮ই রমাদ্বান শরীফ বা আজকের মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র দিনে প্রায় ২২ বছর হায়াত মুবারক-এ পবিত্র বিছালী শান মুবারক প্রকাশ করেন। সুবহানাল্লাহ!
উম্মু আবীহা, সাইয়্যিদাতু নিসায়ি আহলিল জান্নাহ, ত্বহিরা, ত্বইয়িবা, বিনতু মিন বানাতি রসূলিল্লাহি ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম, সাইয়্যিদাতুনা হযরত আন নূরুছ ছানিয়াহ আলাইহাস সালাম উনার বেমেছাল শান-মানের মধ্যে একটি বহিঃপ্রকাশ হলো যে, তিনি মারিদ্বী শান মুবারক প্রকাশ করার প্রেক্ষিতে আমীরুল মু’মিনীন, খলীফাতুল মুসলিমীন সাইয়্যিদুনা হযরত যুন নূরাইন আলাইহিস সালাম তিনি উনার যথাযোগ্য খিদমত মুবারকের আঞ্জাম দেয়ার কারণে জিহাদের ময়দানে না গিয়েও তিনি পবিত্র দ্বীন ইসলাম উনার সর্বশ্রেষ্ঠ জিহাদ ‘বদর’ জিহাদের অন্যতম মুজাহিদ হওয়ার সৌভাগ্য অর্জন করেন। সুবহানাল্লাহ! সুবহানাল্লাহ! সুবহানাল্লাহ!
বলাবাহুল্য, আজকের উম্মাহও যদি উনার সম্পর্কে ইলিম হাছিল করতো, উনার তায়াল্লুক-নিসবত, মুহব্বত-মা’রিফত লাভ করতো, উনার ছানা-ছিফত করতো; তাহলে তারা বর্তমানে গ্রেফতার হওয়া সব আযাব-গযব, অভাব-অনটন, নির্যাতন-নিপীড়ন থেকে রেহাই পেতো। তারাও দুনিয়া ও আখিরাত উভয় ক্ষেত্রেই সৌভাগ্যবান হতো। সুবহানাল্লাহ! সুবহানাল্লাহ! সুবহানাল্লাহ!
উল্লেখ্য, মুসলিম মিল্লাতের ৪র্থ খলীফা আমীরুল মু’মিনীন, খলীফাতুল মুসলিমীন, সাইয়্যিদুনা হযরত ইমামুল আউওয়াল কাররামাল্লাহু ওয়াজহাহূ আলাইহিস সালাম তিনি শাহাদাত মুবারক গ্রহণ করার পর সকলের পক্ষ থেকে সাইয়্যিদুনা হযরত আব্দুল্লাহ ইবনে আব্বাস রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহু তিনি জোরালো ভাষায় খলীফায়ে খমিস, সাইয়্যিদুনা ইমামুছ ছানী মিন আহলি বাইতি রসূলিল্লাহি ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার সুমহান ছানা-ছিফত মুবারক বর্ণনা করে দীর্ঘ এক খুতবা মুবারক প্রদান করেন। অতঃপর উপস্থিত সকলেই বিনা বাক্যে সুমহান খিলাফত মুবারক উনার উপর বাইয়াত গ্রহণ করেন। সুবহানাল্লাহ! সুবহানাল্লাহ! সুবহানাল্লাহ!
এরপর উপস্থিত সকলের উদ্দেশ্যে সাইয়্যিদুনা হযরত ইমামুছ ছানী মিন আহলি বাইতি রসূলিল্লাহি ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি অপূর্ব এক খুতবা মুবারক দান করেন। সেখানে তিনি ইরশাদ মুবারক করেছিলেনÑ “উপস্থিত শুভাকাঙ্খীগণ! আপনারা যাঁরা আমাকে চিনেন উনারা তো চিনেনই। যাঁরা চিনেন না উনাদের উদ্দেশ্যে বলছি: আমি হলাম- যিনি সুসংবাদদাতা উনার সম্মানিত আওলাদ আলাইহিস সালাম! আমি হলাম- ভীতি প্রদর্শনকারী উনার মুবারক সন্তান আলাইহিস সালাম! আমি হলাম- মহান আল্লাহ পাক উনার নির্দেশ মুবারক-এ উনারই দিকে আহবানকারী উনার সন্তান আলাইহিস সালাম! আমি আমীরুল মু’মিনীন, খলীফাতুল মুসলিমীন সাইয়্যিদুনা হযরত ইমামুল আউওয়াল কাররামাল্লাহু ওয়াজহাহূ আলাইহিস সালাম উনার সন্তান আলাইহিস সালাম! আমিতো সেই আলোকময় হুজরা শরীফ উনার সন্তান আলাইহিস সালাম, যেখানের সকলকে খালিক্ব মালিক মহান আল্লাহ পাক তিনি সর্বপ্রকার অপবিত্রতা থেকে পূত-পবিত্র করে সৃষ্টি করেছেন। সুবহানাল্লাহ! সুবহানাল্লাহ! সুবহানাল্লাহ! আমি সেই বরকতময় ঘর মুবারক উনার অধিবাসী, যেখানে সাইয়্যিদুনা হযরত জিবরীল আমীন আলাইহিস সালাম তিনি নিয়মিত আগমন করতেন। আমি সেই মহাসম্মানিত হযরত আহলু বাইত শরীফ আলাইহিমুস সালাম উনাদের অন্তর্ভুক্ত, উনাদের সুমহান শান মুবারক হচ্ছে, উনাদের প্রতি মুহব্বত ও হুসনে যন মুবারক রাখা ফরয করে দেয়া হয়েছে।” অতঃপর তিনি পবিত্র সূরা শুরা শরীফ উনার ২৩তম পবিত্র আয়াত শরীফ তিলাওয়াত করলেন এবং দীর্ঘ নছীহত মুবারক পেশ করে পবিত্র খিলাফত উনার দায়িত্ব গ্রহণ করলেন। সুবহানাল্লাহ!
সাইয়্যিদুনা হযরত ইমামুছ ছানী মিন আহলি বাইতি রসূলিল্লাহি ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি ৪০ হিজরী সনের পবিত্র ১৮ই রমাদ্বান শরীফ তারিখে আনুষ্ঠানিকভাবে খলীফা মনোনীত হন। অর্থাৎ আজকের পবিত্র ১৮ই রমাদ্বান শরীফ উনার খিলাফত গ্রহণের মুবারক দিন। মূলত, তিনিই হলেন পবিত্র দ্বীন ইসলাম উনার পঞ্চম খলীফা। সুবহানাল্লাহ! সুবহানাল্লাহ! সুবহানাল্লাহ!
সঙ্গতকারণেই আজ উম্মাহর জন্য ফরয-ওয়াজিব হচ্ছে- উম্মু আবীহা, সাইয়্যিদাতু নিসায়ি আহলিল জান্নাহ, ত্বহিরা, ত্বইয়িবা, বিনতু মিন বানাতি রসূলিল্লাহি ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম, সাইয়্যিদাতুনা হযরত আন নূরুছ ছানিয়াহ আলাইহাস সালাম উনার এবং পবিত্র দ্বীন ইসলাম উনার পঞ্চম খলীফা, সাইয়্যিদুশ শুহাদা, সাইয়্যিদু শাবাবি আহলিল জান্নাহ, আহলু বাইতিন নাবিইয়ি, আওলাদু রসূলিল্লাহ, সাইয়্যিদুনা হযরত ইমামুছ ছানী আলাইহিস সালাম উনাদের মুহব্বত মুবারকে গরক হওয়া, মারিফাত মুবারকে ব্যাপৃত হওয়া, জওক ও শওকসহ মহাসমারোহে আজকের মহিমান্বিত দিনটি পালন করা, উনাদের শান মান মুবারক আলোচনা করা। উনাদের সম্মানার্থে সর্বোচ্চ আর্থিক খিদমত করা এবং সমূহ হক্ব মুবারক আদায় করা।
ছহিবে সাইয়্যিদি সাইয়্যিদিল আ’ইয়াদ শরীফ, রাজারবাগ শরীফ উনার মামদূহ মুর্র্শিদ ক্বিবলা সাইয়্যিদুনা হযরত সুলত্বানুন নাছীর আলাইহিস সালাম উনার নেক ছোহবত মুবারক-এ কেবলমাত্র তা লাভ করা সম্ভব। খালিক্ব মালিক রব মহান আল্লাহ পাক তিনি আমাদেরকে তা নছীব করুন। আমীন।
এ সম্পর্কিত আরো সংবাদ
-
দ্রব্যমূল্যের আগুনে ঝলসে যাচ্ছে মানুষ। মূল্যস্ফীতির চাপে পিষ্ট হচ্ছে জনসাধারণ। সরকারের কর্তাব্যক্তিদের রকমফের চটকদার কথার পরিবর্তে এক্ষনি মূল্যস্ফীতিকে সংকুচিত করে দেশবাসীকে বাঁচাতে হবে ইনশাআল্লাহ।
০৫ নভেম্বর, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুছ ছুলাছা (মঙ্গলবার) -
৭ হাজার ৮০০ মিলিয়ন টন কয়লা মজুদের দেশে কয়লার ঘাটতিতে বিদ্যুৎ উৎপাদন কেন্দ্র বন্ধ কেন? বিগত মাফিয়া সরকারের পথ থেকে সরে এসে কয়লা উত্তোলন শুরু করুন।
০৫ নভেম্বর, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুছ ছুলাছা (মঙ্গলবার) -
প্রসঙ্গঃ মোবাইল ফোনের ব্যবহার ও অপব্যবহার।
০৪ নভেম্বর, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল ইছনাইনিল আযীম (সোমবার) -
হোল্ডিং ট্যাক্স ছাড়, তাপ মুক্তি নিরাপদ ফল-সবজি প্রাপ্তি, পরিবেশ উন্নয়ন প্রক্রিয়ায় শহরের প্রতিটি বাড়ির ছাদ হোক একটুকরো বাগান
০৪ নভেম্বর, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল ইছনাইনিল আযীম (সোমবার) -
৪০ শতাংশের বেশি ক্ষুদ্র ও কুটির শিল্প বন্ধ হয়েছে যথাযথ পৃষ্ঠপোষকতা করলে ইনশাআল্লাহ ঘুরে দাঁড়াবে ক্ষুদ্র ও কুটির শিল্প
০৩ নভেম্বর, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল আহাদ (রোববার) -
মুদি দোকান, স্টেশনারি দোকান, শপিং মল, পার্লার, সুপার শপ সবখানেই ভেজাল কসমেটিক্স। মারাত্মক ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে ব্যবহারকারীরা। সরকারের কঠোর নজরদারী ও নিয়ন্ত্রণ প্রয়োজন।
০২ নভেম্বর, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুছ সাবত (শনিবার) -
দেশের ৪ কোটি মানুষ না খেয়ে থাকে। অথচ দেশে মাথাপিছু খাদ্য অপচয় হয় প্রায় ৯০ কেজি। বছরে ক্ষতির পরিমাণ প্রায় ৩৫ হাজার কোটি টাকা।
০২ নভেম্বর, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুছ সাবত (শনিবার) -
আজ মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র ২৮শে রবীউছ ছানী শরীফ! সাইয়্যিদাতুনা উম্মুর রদ্বাআহ আল ঊলা আলাইহাস সালাম উনার সম্মানিত আওলাদ, আখু রসূলিল্লাহ মিনার রদ্বাআহ সাইয়্যিদুনা হযরত মাসরূহ্ আলাইহিস সালাম উনার বিছালী শান মুবারক প্রকাশ দিবস। সুবহানাল্লাহ!
০১ নভেম্বর, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল জুমুয়াহ (শুক্রবার) -
শিক্ষা খাতে পতিত সরকারের বাজেটে নিম্নবিত্ত-মধ্যবিত্তদের স্বার্থ সংরক্ষিত হয়নি শিক্ষার্থীরা যাতে ঝরে না পড়ে- শিক্ষা উপকরণের দাম কমিয়ে বর্তমান সরকারকে তা নিশ্চিত করতে হবে ইনশাআল্লাহ
৩১ অক্টোবর, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল খমীছ (বৃহস্পতিবার) -
শব্দ দূষণ এখন শব্দ সন্ত্রাস ও নীরব ঘাতকে পরিণত হয়েছে। নারিকেল দ্বীপ নয় শব্দ দূষণে বিপর্যস্থ ঢাকাকে উপযোগী করার জন্য ঢাকার জনযট সারাদেশে ছড়িয়ে দিতে হবে।
৩১ অক্টোবর, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল খমীছ (বৃহস্পতিবার) -
‘২০৪১ সালে মাছ উৎপাদনের লক্ষ্যমাত্রা ৮৫ লাখ মেট্রিক টন’ ৩৯ বছরের ব্যবধানে মাছের উৎপাদন বেড়েছে ৬ গুণ উৎপাদন বাড়ছে মাছের, তবুও নাগালে নেই দাম
৩০ অক্টোবর, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল আরবিয়া (বুধবার) -
নাটক-সিনেমার মাধ্যমে মুসলিম প্রজন্মকে দ্বীন ইসলাম থেকে দূরে সরিয়ে দেয়া হচ্ছে। পরকালের কথা স্বরণ করে মুসলিম উম্মাহকে বিধর্মীদের এসব ষড়যন্ত্র থেকে বের হয়ে আসতে হবে।
৩০ অক্টোবর, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল আরবিয়া (বুধবার)