মহাসম্মানিত হাবীব, নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম এবং মহাসম্মানিত শায়েখ সাইয়্যিদুনা হযরত সুলত্বানুন নাছীর আলাইহিস সালাম উনারা দুইজন হুবহু একই সুরত মুবারক উনার অধিকারী।(সুবহানাল্লাহ)
, ০৬ রবীউছ ছানী শরীফ, ১৪৪৫ হিজরী সন, ২৩ খ্বমীছ ১৩৯১ শামসী সন , ২২ অক্টোবর, ২০২৩ খ্রি:, ০৬ কার্তিক, ১৪৩০ ফসলী সন, ইয়াওমুল আহাদ (রোববার) মহিলাদের পাতা
মুহম্মদ হারুনুর রশীদ (ক্বাছীদা) ভাই উনার বর্ণনা মতে, মহাসম্মানিত হাবীব, নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম এবং মহাসম্মানিত শায়েখ সাইয়্যিদুনা হযরত সুলত্বানুন নাছীর আলাইহিস সালাম উনারা দুইজন হুবহু একই সুরত মুবারক উনার অধিকারী।(সুবহানাল্লাহ!)
মুহম্মদ হারুনুর রশীদ ক্বাছীদা ভাই উনি বরকত পূর্ণ স্বপ্নটি বর্ণনা করেন। তিনি দেখেন সুন্নতি মসজিদে এসেছেন। খলীফাতুল্লাহ, খলীফাতু রসূলিল্লাহ, ছাহিবু সাইয়্যিদি সাইয়্যিদিল আ’ইয়াদ শরীফ, আস সাফফাহ, আল জাব্বারিউল আউওয়াল, আল ক্বউইউল আউওয়াল, হাবীবুল্লাহ, মুত্বহ্হার, মুত্বহ্হির, আহলু বাইতি রসূলিল্লাহ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম,ক্বায়িম মাক্বামে হাবীবুল্লাহ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম,মাওলানা মামদূহ মুর্শিদ ক্বিবলা সাইয়্যিদুনা-হযরত সুলত্বানুন নাছীর আলাইহিস সালাম তিনি উনার সুন্নতি মীম্বার শরীফে অবস্থান মুবারক করেন, বসে রয়েছেন-এবং উম্মাহ কে নছীহত মুবারক পেশ করছেন। এই সময় মুহম্মদ হারুনুর রশীদ ক্বাছীদা ভাই উনি লক্ষ্য করেন মামদূহ মুর্শিদ ক্বিবলা সাইয়্যিদুনা হযরত সুলত্বানুন নাছীর আলাইহিস সালাম উনার ঠিক ডান পাশে একটি কালো পর্দা মুবারক ঝুলতেছে। তো মুহম্মদ হারুনুর রশীদ ক্বাছীদা ভাই উনি খুব আশ্চর্য হলেন। সুন্নতি মসজিদে মুর্শিদ ক্বিবলা সাইয়্যিদুনা হযরত সুলত্বানুন নাছীর আলাইহিস সালাম রয়েছেন পাশে একটি পর্দা মুবারক ঝুলতেছে কি কারন? তিনি লক্ষ্য করলেন পর্দা মুবারক ঐ পাশ থেকে আর একজন মহাসম্মানিত ব্যক্তিত্ব তিনি নসীহত মুবারক করছেন। তা শুনে শুনে হুবহু একই নসীহত মুবারক মামদূহ মুর্শিদ ক্বিবলা সাইয়্যিদুনা হযরত সুলত্বানুন নাছীর আলাইহিস সালাম তিনি বলতে ছিলেন।
এই ঘটনা দেখে মুহম্মদ হারুনুর রশীদ ক্বাছীদা ভাই উনি আশ্চর্য হলেন। পর্দার ঐ পাশ থেকে কে কথা মুবারক বলছেন! একটু পরে উনি লক্ষ্য করলেন একটা বাতাস আসলো পর্দা মুবারক সরে গেলো। তখন মুহম্মদ হারুনুর রশীদ ক্বাছীদা ভাই উনি আরো আশ্চর্য হলেন ঠিক পর্দা মুবারক এর ভিতরে আর একটি মহাসম্মানিত মীম্বার শরীফ উনার মধ্যে মামদূহ মুর্শিদ ক্বিবলা সাইয়্যিদুনা হযরত সুলত্বানুন নাছীর আলাইহিস সালাম উনার সূরত মুবারকে আরেকজন মহান ব্যক্তিত্ব তিনি বসে রয়েছেন। (সুবহানাল্লাহ!)
মুহম্মদ হারুনুর রশীদ ক্বাছীদা ভাই উনি খুব আশ্চর্য হলেন হুবহু একই সুরত মুবারক উনার অধিকারী দুই জন। মুখ মুবারক, চোখ মুবারক, কান মুবারক, ঠোট মুবারক, গাল মুবারক, সীনা মুবারক, হাত মুবারক, পা মুবারক সব কিছু একই। একই সুরত মুবারকে দুই ব্যক্তি মুবারক।(সুবহানাল্লাহ!)
উনি চিনতে পারছেন না কে উনার শায়েখ? উনি খুব আশ্চর্য হলেন। উনার আশ্চর্য অবস্থা দেখে যিনি সাইয়্যিদুল আউলিয়া মামদূহ মুর্শিদ ক্বিবলা সাইয়্যিদুনা হযরত সুলত্বানুন নাছীর আলাইহিস সালাম তিনি উনাকে লক্ষ্য করে বললেন তুমি আমার দিকে তাকাও পর্দা মুবারকে ডান পাশে যিনি বসে রয়েছেন, উনি হচ্ছেন আল্লাহ পাক উনার হাবীব সাইয়্যিদুল মুরসালীন, ইমামুল মুরসালীন, খ্বতামুন নাবিয়্যীন, নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি। সুবহানাল্লাহ! আর আমি হচ্ছি তোমার সম্মানিত শায়েখ। সুবহানাল্লাহ! সুবহানাল্লাহ! সুবহানাল্লাহ!
মুহম্মদ হারুনুর রশীদ ক্বাছীদা ভাই তিনি খুব খুশী হলেন। তখন সাইয়্যিদুল আউলিয়া মামদূহ মুর্শিদ ক্বিবলা সাইয়্যিদুনা হযরত সুলত্বানুন নাছীর আলাইহিস সালাম উনাকে লক্ষ করে বললেন নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি যা বলেন আমি তাই বলি তিনি যা বলেন না আমি তা কস্মিনকালেও তা বলিনা। সুবহানাল্লাহ! সুবহানাল্লাহ! সুবহানাল্লাহ!
পবিত্র হাদীছ শরীফ উনার মধ্যে বর্ণিত আছে,
عن حضرة ابى هريرة رضي الله تعالى عنه ان رسول الله صلى الله عليه وسلم قال من رانى في المنام فقد رانى فان الشيطان لا يتمثل فى صورتى.
অর্থ: “হযরত আবু হুরায়রা রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহু তিনি বর্ণনা করেন, “নিশ্চয়ই নূরে মুজাসসাম,হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি ইরশাদ মুবারক করেন, যে ব্যক্তি আমাকে স্বপ্নে দেখবে সে ব্যক্তি সত্যি আমাকেই দেখবে। কেননা,শয়তান কখনোই আমার সম্মানিত সুরত মুবারক ধারণ করতে পারে না।” (বুখারী শরীফ, মুসলিম শরীফ)
পবিত্র হাদীছ শরীফ উনার মধ্যে আরো ইরশাদ মুবারক রয়েছেন-
عَنْ حَضْرَتْ عَبْدِ اللهِ بْنِ عَمْرٍو رَضِىَ اللهُ تَعَالـٰى عَنْهُ قَالَ قَالَ رَسُوْلُ اللهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ مَنْ رَاٰنِـىْ فِـى الْمَنَامِ فَكَاَنَّـمَا رَاٰنِـىْ فِـى الْيَقَظَةِ اِنَّ الشَّيْطَانَ لَا يَتَمَثَّلُ بِـىْ وَرِجَالُهٗ ثِقَاتٌ
অর্থ:“হযরত আব্দুল্লাহ ইবনে আমর রদ্বিয়াল্লাহু তা‘য়ালা আনহু উনার থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি ইরশাদ মুবারক করেন, যে ব্যক্তি আমাকে স্বপ্নে দেখলো, সে যেন জাগ্রত অবস্থায়ই আমাকে দেখলো। নিশ্চয়ই আমার মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র আকৃতি মুবারক শয়তান ধারণ করতে পারেনা। আর এই মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র হাদীছ শরীফ উনার সমস্ত বর্ণনাকারী ছিক্বাহ বা নির্ভরযোগ্য।”(আল মু’জামুল আওসাত্ব লিত ত্বারনী ১/১৯২, আল মু’জামুল কাবীরলিত ত্ববারনী২২/১১১, মাজমাউয যাওয়ায়িদ ৭/১৮১)
পবিত্র হাদীছ শরীফ উনার মধ্যে আরো বর্ণিত আছে,
عن حضرة انس بن مالك رضى الله تعالى قال قال رسول الله صلى الله عليه وسلم الرؤ يا الصالحة جزء من ستة واربعين جزء من النبوة.
অর্থ:“হযরত আনাস ইবনে মালিক রদ্বিয়াল্লাহু তালায়া আনহু তিনি বর্ণনা করেন। নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি ইরশাদ মুবারক করেন, “উত্তম স্বপ্ন সম্মানিত নুবুওওয়াত মুবারক উনার ছিচল্লিশ ভাগের একভাগ।”(বুখারী শরীফ, মুসলিম শরীফ)
কাজেই, নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনাকে যে ব্যক্তি স্বপ্নে দেখলো, অবশ্যই সে সঠিকই দেখলো। কেননা উনার মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র ছূরত মুবারক শয়তান ধারণ করতে পারে না। আর স্বয়ং নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি নিজেই ঘোষণা মুবারক দিয়েছেন, উনাকে স্বপ্নে দেখা আর জাগ্রত অবস্থায় দেখা একই কথা। সুবহানাল্লাহ!
মহান আল্লাহ পাক খলীফাতুল্লাহ, খলীফাতু রসূলিল্লাহ, রঊফুর রহীম, রহমাতুল্লিল আলামীন, ছাহিবু সাইয়্যিদি সাইয়্যিদিল আ’ইয়াদ শরীফ, ছাহিবে নিয়ামত, আস সাফফাহ, আল জাব্বারিউল আউওয়াল, আল ক্বউইউল আউওয়াল, হাবীবুল্লাহ, মুত্বহ্হার, মুত্বহ্হির, আহলু বাইতি রসূলিল্লাহ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম, ক্বায়িম মাক্বামে হাবীবুল্লাহ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম, মাওলানা মামদূহ মুর্শিদ ক্বিবলা সাইয়্যিদুনা হযরত সুলত্বানুন নাছীর আলাইহিস সালাম উনার উসিলায় আমাদের সবাই কে নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ হুযুর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার দিদার মুবারক দান করুন। আমিন! আমিম! আমিন!
সংগ্রহ ও সংকলনে-
খাদিজা আহমদ -
শাজাহানপুর রেলওয়ে, কলোনি, ঢাকা।
এ সম্পর্কিত আরো সংবাদ
-
কিভাবে প্রথম মাসে আপনার শিশুর বিকাশে সাহায্য করবেন?
২৪ নভেম্বর, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল আহাদ (রোববার) -
‘ই’জায শরীফে সাইয়্যিদাতুনা হযরত উম্মুল উমাম আলাইহাস সালাম
২৪ নভেম্বর, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল আহাদ (রোববার) -
সন্তানদের ও পরিবারের সকলকে সালাম দেয়া শিক্ষা দান করুন
২৩ নভেম্বর, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুছ সাবত (শনিবার) -
হযরত উম্মাহাতুল মু’মিনীন আলাইহিন্নাস সালাম উনাদের বেমেছাল দানশীলতা মুবারক (৪)
২৩ নভেম্বর, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুছ সাবত (শনিবার) -
কাফের বিশ্বে নারীরা শুধু কি এখন নির্যাতনের শিকার হচ্ছে?
২২ নভেম্বর, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল জুমুয়াহ (শুক্রবার) -
একজন দ্বীনদার পরহেযগার আল্লাহওয়ালী মহিলা উনার পর্দা পালনের বেমেছাল দৃষ্টান্ত
২২ নভেম্বর, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল জুমুয়াহ (শুক্রবার) -
প্রসঙ্গ মহিলা জামাত নাজায়িজ
২১ নভেম্বর, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল খমীছ (বৃহস্পতিবার) -
পিতা-মাতার প্রতি সন্তানের দায়িত্ব-কর্তব্য
২১ নভেম্বর, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল খমীছ (বৃহস্পতিবার) -
শৈশবকাল থেকেই সন্তানকে দ্বীনদার হওয়ার শিক্ষা দান করতে হবে
২০ নভেম্বর, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল আরবিয়া (বুধবার) -
সম্মানিতা মহিলা আউলিয়া-ই কিরাম উনাদের পরিচিতি
১৯ নভেম্বর, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুছ ছুলাছা (মঙ্গলবার) -
স্বচক্ষে দেখা কিছু কথা
১৯ নভেম্বর, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুছ ছুলাছা (মঙ্গলবার) -
পারিবারিক তা’লীমের গুরুত্ব ও তারতীব
১৮ নভেম্বর, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল ইছনাইনিল আযীম (সোমবার)