মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র হযরত উম্মাহাতুল মু’মিনীন আলাইহিন্নাস সালাম উনাদের প্রতি সমস্ত সৃষ্টির হক্ব (৩)
, ২২ শাবান শরীফ, ১৪৪৫ হিজরী সন, ০৫ আশির, ১৩৯১ শামসী সন , ০৪ মার্চ, ২০২৪ খ্রি:, ২০ ফাল্গুন, ১৪৩০ ফসলী সন, ইয়াওমুল ইছনাইনিল আযীম (সোমবার) সাইয়্যিদু সাইয়্যিদিল আ’ইয়াদ শরীফ
মশহুর একটা ওয়াক্বেয়া রয়েছে। এক ব্যক্তি ছিলো। যার নাম- মুহম্মদ বিন হারূন বখলী। এই ঘটনাটা বর্ণনা করেছেন স্বয়ং সুলত্বানুল আরিফীন হযরত বাইযীদ বোস্তামী রহমতুল্লাহি আলাইহি তিনি নিজেই। তিনি বলেন, আমি একবার হজ্জে গেলাম। হজ্জে যাওয়ার পরে হজ্জ করলাম। হজ্জ যখন সম্পাদন হয়ে গেলো, তখন আমি যিনি খ্বালিক্ব যিনি মালিক রব আল্লাহ পাক উনার দিকে রুজু হলাম। রুজু হয়ে বললাম- বারে এলাহী! এ বছর কতো লোক হজ্জ করলো? কার হজ্জ ক্ববূল হলো? কারটা ক্ববূল হলো না? তখন যিনি খ্বালিক্ব যিনি মালিক রব মহান আল্লাহ পাক উনার তরফ থেকে জানানো হলো, এই বছর ৬ লক্ষ লোক হজ্জ করেছে। সকলের হজ্জ ক্ববূল হয়েছে। একটা লোকের হজ্জ ক্ববূল হয়নি। হযরত সুলত্বানুল আরিফীন রহমতুল্লাহি আলাইহি তিনি বলেন- আমি বললাম, বারে এলাহী! এটা কিরূপ কথা? সকলের হজ্জ ক্ববূল হলো, একটা লোকের হজ্জ ক্ববূল হলো না। সেই লোকটা কে? এমন বদ নছীব, বদ বখ্ত লোকটা কে? আপনি যদি দয়া করে তার পরিচয়টা দিতেন, আমি তার সাথে একটু সাক্ষাৎ করবো। মহান আল্লাহ পাক তিনি বললেন, ‘ঠিক আছে। সে ওমুক পাহাড়ের ওমুক প্রান্তে রয়েছে। তার নাম- মুহম্মদ বিন হারুন বখলী। তার হাত-পা চারটাই কাটা। দুই হাত, দুই পা চারটাই কাটা। পাহাড়ের এক কিনারে সে সব সময় থাকে। সে প্রতি বৎসর হজ্জ করে। কিন্তু তার হজ্জ ক্ববূল হচ্ছে না। ’
হযরত সুলত্বানুল আরিফীন রহমতুল্লাহি আলাইহি তিনি বলেন, আমি আস্তে আস্তে গেলাম তাকে দেখার জন্য। যেয়ে পাহাড়টা ঘুরে তার মুখোমুখি হলাম। সে আমাকে দেখেই বললো- ‘হে হযরত বাইযীদ বোস্তামী রহমতুল্লাহি আলাইহি! আপনি কি এসেছেন আমাকে সংবাদ দিতে- আমার হজ্জ ক্ববূল হয় নি। আজকে ২০ বৎসর যাবৎ আমার কোনো ইবাদত বন্দেগীই ক্ববূল হচ্ছে না। কোনো হজ্জও ক্ববূল হচ্ছে না। আর প্রতি বৎসর আপনার মতো একজন বুযূর্গ ব্যক্তি এসে আমাকে সংবাদ দেন। আমার হজ্জ ক্ববূল হয়নি আমি জানি। ’ হযরত বাইযীদ বোস্তামী রহমতুল্লাহি আলাইহি তিনি বলেন, এটা শুনে আমার মাথাটা চক্কর খেয়ে গেলো। এই লোকটাকে আমি জীবনে কখনো দেখিনি, শুনিনি, জানিনা। এই লোকটা কি করে আমাকে চিনতে পারলো? আমি আস্তে করে তার পাশে বসলাম। বসে বললাম- আচ্ছা; ভাই! আমি আপনার সাথে কিছু কথা বলতে চাই, যদি কিছু মনে না করেন। সে বললো, ‘ঠিক আছে বলেন। ’ আমি বললাম, আপনি জানেন ২০ বৎসর যাবৎ আপনার ইবাদত ক্ববূল হচ্ছে না। তাহলে আপনি ইবাদত-বন্দেগী করেন কেন? হজ্জ ক্ববূল হচ্ছে না, তারপরও আপনি হজ্জ করেন- কি কারণ? আর এই অবস্থা হলো কেনো? এর কি হাক্বীক্বত? তখন সে ব্যক্তি বললো যে, আসলে আমি এটা কাউকে বলি না। আপনাকেও আমি বলতাম না। আপনি যেহেতু একজন বড় বুযূর্গ, ওলীআল্লাহ, সুলত্বানুল আরিফীন, সেজন্য শুধু বলবো। যে, কি হয়েছে? সে বললো, ২০ বছর আগের কথা। আমার সংসার ছিলো, আহলিয়া ছিলো, সবই ছিলো। কিন্তু একদিন কোনো এক কারণে আমার সম্মানিতা মাতা উনার সাথে আমার কথা কাটা-কাটি হয় কিছু বিষয় নিয়ে। তাতে আমি উত্তেজিত হয়ে যাই। উত্তেজিত হয়ে আমি মাকে আস্তে করে একটা ধাক্কা দিয়েছিলাম। মা দূর্বলা থাকার কারণে পিছলে মাটিতে পরে যায়। মাটিতে পরে যাওয়ার পরে আমার সম্মানিতা মাতা তিনি বদ দু‘আ দিয়েছিলেন যে, মহান আল্লাহ পাক তিনি তোমাকে জাহান্নামে নেক। একাধিকবার আমার সম্মানিতা মাতা তিনি এটা বলেছেন। মুহম্মদ বিন হারুন বখলীর বক্তব্য হলো- আমি তখন বুঝতে পারিনি। পরে মাফ চেয়েছিলাম, কিন্তু আমি এই কথা বলিনি যে, আপনি আমাকে বলুন, আমি জান্নাতী। আমার সম্মানিতা মাতা তিনি আমাকে জাহান্নামী বলেছেন। তবে তিনি আমার জন্য একটা দু‘আ করেছেন, সেটা হলো- ‘আমি যেখানে থাকি না কেন, যিনি খ্বালিক যিনি মালিক রব মহান আল্লাহ পাক উনার সাথে যেন আমি কথা বলতে পারি। ’ ফলে আমার জাহান্নাম ওয়াজিব হয়ে গেছে। কিন্তু আমি যিনি খ্বালিক্ব যিনি মালিক যিনি রব মহান আল্লাহ পাক উনার সাথে কথা বলে থাকি। আপনি আমার কাছে আসার আগে আমি মহান আল্লাহ পাক উনাকে জিজ্ঞাসা করেছি- আয় বারে এলাহী! এই বৎসর আমার সাথে কে দেখা করতে আসবেন? মহান আল্লাহ পাক তিনি নিজেই জানিয়ে দিয়েছেন, হযরত বাইযীদ বোস্তামী রহমতুল্লাহি আলাইহি যিনি সুলত্বানুল আরিফীন- উনি দেখা করার জন্য আসবেন। যার জন্য আমি আপনাকে চিনতে পেরেছি। কাজেই, ২০ বৎসর যাবৎ আমার কোন ইবাদত-বন্দেগীই ক্ববূল হচ্ছে না। আমি জাহান্নামী। তখন হযরত সুলত্বানুল আরিফীন বাইযীদ বোস্তামী রহমতুল্লাহি আলাইহি তিনি বললেন, তাহলে আমি কি আপনার জন্য দু‘আ করবো? মুহম্মদ বিন হারুন বখলী বললো যে, আসলে প্রতি বৎসরই এসে আমার জন্য বুযূর্গ লোকেরা দু‘আ করেন, কিন্তু কারো দু‘আ ক্ববূল হচ্ছে না। এটা আপনার ইখতিয়ার। তখন হযরত সুলত্বানুল আরিফীন রহমতুল্লাহি আলাইহি তিনি দু‘আ করলেন যে, মহান আল্লাহ পাক! এই লোকটাকে ক্ষমা করে দেন। অনেক দু‘আ করার পর মহান আল্লাহ পাক উনি বললেন, ঠিক আছে; আপনার দু‘আ আমি ক্ববূল করতে পারি। তবে এক শর্তে। সেই শর্ত হচ্ছে- যেহেতু তার সম্মানিতা মাতা তিনি তাকে জাহান্নামী বলেছেন, তাকে আমি প্রথমে জাহান্নামে নিক্ষেপ করবো। নিক্ষেপ করার পর আপনার দু‘আর কারণে আমি তার সম্মানিতা মাতা উনার দ্বারা সুপারিশ করিয়ে তাকে বেহেস্তে নিবো। সুবহানাল্লাহি ওয়া রসূলিহী ওয়া আহলি বাইতিহী ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম! এই শর্তে দু‘আ ক্ববূল হলো।
এখন বিষয়টা কিন্তু ফিকির করতে হবে। এটা শুধু ওয়াকেয়া না; হাক্বীক্বী একটা ঘটনা। একজন ব্যক্তি তার সম্মানিতা মাতা উনার সাথে খারাপ ব্যবহার করার কারণে সম্মানিতা মাতা তিনি যদি অসন্তুষ্ট হন, বদ দু‘আ করেন, সে বদ দু‘আ লেগে যায়। আবার দু‘আ করলে দু‘আর বদলা পাওয়া যায়, সরাসরি যিনি খ্বালিক্ব যিনি মালিক রব মহান আল্লাহ পাক উনার সাথে কথা বলা যায়। এটা যদি হয়, তাহলে মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র হযরত উম্মাহাতুল মু’মিনীন আলাইহিন্নাস সালাম উনাদের মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র শান মুবারক কিরূপ? নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র শান মুবারক কিরূপ? তাহলে সেখানে কি হবে? কতোটুকু জাহান্নাম ওয়াজিব হবে? কতোটুকু বেহেস্ত ওয়াজিব হবে? উনারা খুশি হলে কতোটুকু নিয়ামত সে লাভ করবে? আর অসন্তুষ্টি হলে কতোটুকু গযবের মধ্যে সে পরবে? এটা ফিকির করতে হবে।
সাধারণভাবে মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র হাদীছে কুদসী শরীফ উনার মধ্যে মহান আল্লাহ পাক তিনি ইরশাদ মুবারক করেন,
مَنْ عَادٰى لِـىْ وَلِــيًّا فَـقَدْ اٰذَنْـتُهٗ بِالْـحَرْبِ
“কেউ যদি আমার কোনো ওলী উনার সাথে শত্রুতা পোষণ করে, আমি তার বিরুদ্ধে জিহাদ ঘোষণা করি। ” (বুখারী শরীফ)
এটা যদি এরকম হয়, তাহলে নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার, মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র হযরত উম্মাহাতুল মু’মিনীন আলাইহিন্নাস সালাম উনাদের বিষয়টা কি রকম হবে? এটা তো ফিকির করতে হবে। উনাদের মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র শান-মান মুবারক কতটুকু প্রচার-প্রসার করতে হবে? উনাদের পক্ষে কতটুকু বলতে হবে? আর যারা বিরোধী, তাদের বিরুদ্ধে কতটুকু বলতে হবে? কতটুকু প্রতিবাদ করতে হবে? এটা ফিকির করতে হবে। ফিকির না করলে বুঝা যাবে না। বিষয়টা অত্যন্ত সূক্ষ্ম। আমরা ‘ফালইয়াফরাহূ শরীফ’ সাইয়্যিদু সাইয়্যিদিল আ’ইয়াদ শরীফ অনন্তকালব্যাপী জারী করেছি। এখন প্রতিদিন আলোচনা করা হচ্ছে- কতো সুন্দরভাবে করা যায়, কতো ভালোভাবে করা যায়। অনেকে শুনতে পারছে। এটা শুনার পরেও যারা ইন্তিজামে, আনজামে সংশিষ্ট থাকবে না, তাহলে তাদের কি ফয়ছালা হবে? আর যারা সংশিষ্ট থাকবে, তাদের কি ফয়ছালা হবে? মুহব্বত চাই, মা’রিফত চাই, নিসবত চাই, কুরবত চাই ইত্যাদি। সেটা কিভাবে পাবে? আর সেখান থেকে সে কেন বঞ্চিত হবে? দুইটা বিষয়ই ফিকির করতে হবে। ”
মুহম্মদ বিন হারুন বখলী। সে সাধারণ লোকই ছিলো, খুব বড় ওলীআল্লাহ যে তা না। কিন্তু সম্মানিতা মাতা উনার সাথে বেয়াদবী করার কারণে জাহান্নামী হয়ে গেলো। আর সম্মানিতা মাতা তিনি দু‘আ করার কারণে সে যেখানেই থাকুক না কেন, সেখান থেকে যিনি খ্বালিক যিনি মালিক রব মহান আল্লাহ পাক উনার সাথে কথা বলার সুযোগ লাভ করলো। তাহলে বিষয়টা কি হলো? তাহলে উনাদের মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র শান-মান কতটুকু প্রচার-প্রসার করতে হবে? কতো বুলন্দ উনাদের মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র শান-মান মুবারক? আর উনাদের যারা বিরোধী, তাদের কতটুকু প্রতিবাদ করতে হবে, সেটাও ফিকির করতে হবে। অন্যথায় তো কোনটাই বুঝা যাবে না। বিষয়গুলো কিন্তু অত্যন্ত সূক্ষ্ম বিষয়।
ছাহিবু সাইয়্যিদি সাইয়্যিদিল আ’ইয়াদ শরীফ, ছাহিবে নেয়ামত, আহলু বাইতি রসূলিল্লাহ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম, ক্বায়িম মাক্বামে হাবীবুল্লাহ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম, রহমাতুল্লিল আলামীন মামদূহ মুর্শিদ ক্বিবলা সাইয়্যিদুনা হযরত সুলত্বানুন নাছীর আলাইহিস সালাম তিনি আরো ইরশাদ মুবারক করেন, “এখানে বিশেষভাবে উল্লেখ্য যে, যদি একজন সাধারণ পিতা-মাতার ক্ষেত্রে এরূপ হয়, তাহলে মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র হযরত উম্মাহাতুল মু’মিনীন আলাইহিন্নাস সালাম উনারা তো হচ্ছেন সমস্ত হযরত নবী-রসূল আলাইহিমুস সালাম উনারাসহ সমস্ত জিন-ইনসান, ফেরেস্তা আলাইহিমুস সালামসহ তামাম কায়িনাতবাসী সকলের মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র মাতা আলাইহিন্নাস সালাম। তাহলে উনাদের প্রতি কতটুকু আদব বজায় রাখতে হবে এবং কতটুকু আদব বজায় রেখে উনাদের মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র শান মুবারক-এ কথা বলতে হবে? উনাদেরকে কতটুকু মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র মুহব্বত মুবারক করতে হবে? উনাদের কতটুকু মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র গোলামী মুবারক উনার আনজাম মুবারক দিতে হবে? কতটুকু মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র তা’যীম-তাকরীম মুবারক করতে হবে? এবং উনাদের কতটুকু মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র ছানা-ছিফত মুবারক করতে হবে? সে বিষয় সম্পর্কেই মহান আল্লাহ পাক তিনি স্পষ্ট করে বলে দিয়ছেন,
تُـعَزِّرُوْهُ وَتُـوَقِّرُوْهُ وَتُسَبِّحُوْهُ بُكْـرَةً وَاَصِيْلًا
“তোমরা উনার (উনাদের) মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র খিদমত মুবারক করো, মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র তা’যীম-তাকরীম মুবারক করো এবং মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র ছানা-ছিফত মুবারক করো সকাল-সন্ধা অর্থাৎ দায়িমীভাবে অনন্তকালব্যাপী। সুবহানাল্লাহি ওয়া রসূলিহী ওয়া আহলি বাইতিহী ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম!” সুবহানা মামদূহ মুর্শিদ ক্বিবলা আলাইহিস সালাম!
কাজেই, সমস্ত জিন-ইনসান, পুরুষ-মহিলা, তামাম সৃষ্টি সকলের জন্য ফরযে আইন হচ্ছেন, মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র হযরত উম্মাহাতুল মু’মিনীন আলাইহিন্নাস সালাম উনাদের প্রতি সর্বোচ্চ বিশুদ্ধ আক্বীদাহ্ এবং হুসনে যন মুবারক পোষণ করা, উনাদের প্রতি সর্বোচ্চ আদব বজায় রাখা, নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার ন্যায় উনাদেরকেও জীবনের চেয়েও বেশি মুহব্বত মুবারক করা এবং ২৪ ঘণ্টা দায়িমীভাবে অনন্তকালব্যাপী উনাদের মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র খিদমত মুবারক করা, উনাদের মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র তা’যীম-তাকরীম মুবারক করা এবং উনাদের মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র ছানা-ছিফত মুবারক করা। আর এটাই হচ্ছেন হাক্বীক্বী সাইয়্যিদু সাইয়্যিদিল আ’ইয়াদ শরীফ। যা পালন করা সমস্ত সৃষ্টির জন্য ফরযে আইন। ” সুবহানাল্লাহি ওয়া রসূলিহী ওয়া আহলি বাইতিহী ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম! সুবহানা মামদূহ মুর্শিদ ক্বিবলা আলাইহিস সালাম!
উল্লেখ্য যে, মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র হযরত উম্মাহাতুল মু’মিনীন আলাইহিন্নাস সালাম উনাদের একমাত্র হাক্বীক্বী পরিপূর্ণ ক্বায়িম মাক্বাম হচ্ছেন- উম্মুল উমাম সাইয়্যিদাতুনা হযরত আম্মা হুযূর ক্বিবলা আলাইহাস সালাম তিনি। সুবহানা হযরত উম্মিল উমাম আলাইহাস সালাম! তাই কেউ যদি উনাদের হাক্বীক্বী মুহাব্বত-মা’রিফত, নিসবত-কুরবত, রেযামন্দি-সন্তুষ্টি মুবারক হাছিল করতে চায়, তাদের জন্য ফরযে আইন হচ্ছেন- উম্মুল উমাম সাইয়্যিদাতুনা হযরত আম্মা হুযূর ক্বিবলা আলাইহাস সালাম উনাকে মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র তা’যীম-তাকরীম মুবারক করা, উনার মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র গোলামী মুবারক উনার আনজাম মুবারক দেয়া, উনার মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র ছানা-ছিফত মুবারক করা। সুবহানা হযরত উম্মিল উমাম আলাইহাস সালাম!
-মুহাদ্দিছ মুহম্মদ ইবনে মারইয়াম।
এ সম্পর্কিত আরো সংবাদ
-
সাইয়্যিদুল খুলাফা, আবুল খুলাফা, আহলু বাইতি রসূলিল্লাহ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম মামদূহ মুুর্শিদ ক্বিবলা সাইয়্যিদুনা হযরত সুলত্বানুন নাছীর আলাইহিস সালাম তিনিই হচ্ছেন মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র হাদীছ শরীফ উনার মধ্যে বর্ণিত মহান খলীফা হযরত আস সাফফাহ্ আলাইহিস সালাম (২)
২৪ নভেম্বর, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল আহাদ (রোববার) -
এক নযরে রবীবাতু রসূলিল্লাহ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম, আহলু বাইতি রসূলিল্লাহ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম সাইয়্যিদাতুনা হযরত উম্মী বা’দা উম্মী আছ ছানিয়াহ্ আলাইহাস সালাম উনার মহাপবিত্র ও মহাপবিত্র পরিচিতি মুবারক
২৪ নভেম্বর, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল আহাদ (রোববার) -
‘উম্মী’ শব্দ নিয়ে বাতিলপন্থীদের মিথ্যাচারের চূড়ান্ত জবাব (৮)
২৪ নভেম্বর, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল আহাদ (রোববার) -
নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার শান মুবারক সম্পর্কিত সংশ্লিষ্ট কতিপয় আয়াত শরীফ (২১)
২৪ নভেম্বর, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল আহাদ (রোববার) -
সাইয়্যিদুল খুলাফা, আবুল খুলাফা, আহলু বাইতি রসূলিল্লাহ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম মামদূহ মুুর্শিদ ক্বিবলা সাইয়্যিদুনা হযরত সুলত্বানুন নাছীর আলাইহিস সালাম তিনিই হচ্ছেন মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র হাদীছ শরীফ উনার মধ্যে বর্ণিত মহান খলীফা হযরত আস সাফফাহ্ আলাইহিস সালাম (১)
২৩ নভেম্বর, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুছ সাবত (শনিবার) -
মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র কুরআন শরীফ উনার মধ্যে বর্ণিত ‘আন নাবিয়্যিল উম্মিয়্যি’ উনার হাক্বীক্বী অর্থ ও তাফসীর মুবারক এবং এ বিষয়ে বদ আক্বীদাহধারীদের কুফরীমূলক বক্তব্যের দলীলভিত্তিক খন্ডনমূলক জবাব (৮)
২৩ নভেম্বর, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুছ সাবত (শনিবার) -
‘উম্মী’ শব্দ নিয়ে বাতিলপন্থীদের মিথ্যাচারের চূড়ান্ত জবাব (৭)
২৩ নভেম্বর, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুছ সাবত (শনিবার) -
নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার শান মুবারক সম্পর্কিত সংশ্লিষ্ট কতিপয় আয়াত শরীফ (২০)
২৩ নভেম্বর, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুছ সাবত (শনিবার) -
মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র হাদীছ শরীফ উনার মধ্যে বর্ণিত মহাসম্মানিত ১২ খলীফা আলাইহিমুস সালাম (৪)
২২ নভেম্বর, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল জুমুয়াহ (শুক্রবার) -
মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র কুরআন শরীফ উনার মধ্যে বর্ণিত ‘আন নাবিয়্যিল উম্মিয়্যি’ উনার হাক্বীক্বী অর্থ ও তাফসীর মুবারক এবং এ বিষয়ে বদ আক্বীদাহধারীদের কুফরীমূলক বক্তব্যের দলীলভিত্তিক খন্ডনমূলক জবাব (৭)
২২ নভেম্বর, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল জুমুয়াহ (শুক্রবার) -
‘উম্মী’ শব্দ নিয়ে বাতিলপন্থীদের মিথ্যাচারের চূড়ান্ত জবাব (৬)
২২ নভেম্বর, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল জুমুয়াহ (শুক্রবার) -
নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার শান মুবারক সম্পর্কিত সংশ্লিষ্ট কতিপয় আয়াত শরীফ (১৯)
২২ নভেম্বর, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল জুমুয়াহ (শুক্রবার)