মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র হযরত আহলু বাইত শরীফ আলাইহিমুস সালাম উনাদের সাথে গভীর নিসবত মুবারক এবং ২৪ ঘণ্টা দায়িমীভাবে উনাদের মহাসম্মানিত দীদার মুবারক-এ মশগূল থাকার বিষয়ে বর্ণনা মুবারক (২)
, ২৭ যিলক্বদ শরীফ, ১৪৪৫ হিজরী সন, ০৭ আউওয়াল, ১৩৯২ শামসী সন , ০৫ জুন, ২০২৪ খ্রি:, ২২ জৈষ্ঠ্য, ১৪৩১ ফসলী সন, ইয়াওমুল আরবিয়া (বুধবার) সাইয়্যিদু সাইয়্যিদিল আ’ইয়াদ শরীফ
আহলু বাইতি বাইতি রসূলিল্লাহ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম, ক্বায়িম মাক্বামে হাবীবুল্লাহ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম, রহমাতুল্লিল আলামীন মামদূহ মুর্শিদ ক্বিবলা সাইয়্যিদুনা হযরত সুলত্বানুন নাছীর আলাইহিস সালাম তিনি ১৪৪১ হিজরী শরীফ উনার মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র ১৯শে যিলহজ্জ শরীফ লাইলাতু সাইয়্যিদি সাইয়্যিদিল আইয়্যাম শরীফ (লাইলাতুল ইছনাইনিল আযীম শরীফ বা সোমবার রাত) মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র ‘ফালইয়াফরহূ শরীফ’ সাইয়্যিদু সাইয়্যিদিল আ’ইয়াদ শরীফ মাহফিল মুবারক-এ ইরশাদ মুবারক করেন, “এখন উল্লেখযোগ্য বিষয় হলো- উনাদের মুহব্বত, মা’রিফাত, ছোহবত, নিছবত, ক্বুরবত মুবারক হাছিল করার জন্য কোশেশ করা। আর এই কোশেশ করাটাই বড় রিয়াযাত-মাশাক্কাত। অর্থাৎ উনাদের ছোহবত মুবারক ইখতিয়ার করে মুহব্বত-মা’রিফত মুবারক হাছিল করা। অনেক বছর যাবৎ এই কোশেশ করতেছি আমি। ১৯৭৩-১৯৭৪ সাল থেকে প্রায় ৪৫-৪৬ বছর যাবৎ। (সুবহানা মামদূহ মুর্শিদ ক্বিবলা আলাইহিস সালাম!)
এই বৎসর এই যিলহজ্জ শরীফ মাসেই (১৪৪১ হিজরী শরীফ) কয় তারীখে? মনে হয় প্রথম ইছনাইনিল আযীম শরীফ হতে পারে। প্রথম উনাদের সাথে (বিশেষ সাক্ষাৎ মুবারক-এ) আমার মোটামোটি (বিশেষ) কিছু আলোচনা হয়েছে। (সুবহানা মামদূহ মুর্শিদ ক্বিবলা আলাইহিস সালাম!) নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র আব্বা-আম্মা আলাইহিমাস সালাম (উনাদের সরাসরি সাক্ষাৎ মুবারক-এ) উনাদেরকে কী (বলে) সম্ভোধন করতে হবে? এখন বলো দেখি, কী (বলে) সম্ভোধন করতে হবে? আমি কী (বলে) সম্ভোধন করবো? আমি বললাম- জাদ্দী, জাদ্দাতী। উনারা খুশি হয়ে গেলেন। (সুবহানা মামদূহ মুর্শিদ ক্বিবলা আলাইহিস সালাম!) উনাদের সাথে কথা বললে, কী বলে সম্ভোধন করতে হবে? এখন নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনি তো ইয়া রসূলাল্লাহ! ইয়া হাবীবাল্লাহ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম! উনার অন্য কিছু নেই। আর অন্য কিছু বলা ঠিক হবে না। উনাদের সামনে যখন গেলাম, তখন আমি উনাদেরকে কী বলবো তাহলে? তখন আমি বললাম- ইয়া জাদ্দী! ইয়া জাদ্দাতী! উনারা খুশি হয়ে গেলেন। (সুবহানা মামদূহ মুর্শিদ ক্বিবলা আলাইহিস সালাম!)
আর মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র হযরত উম্মাহাতুল মু’মিনীন আলাইহিন্নাস সালাম উনাদেরকে কী বলতে হবে? কারণ মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র হযরত বানাতু রসূল ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনারাও তো মা। সইয়্যিদাতুন নিসা আহলিল জান্নাহ্ হযরত যাহ্রা আলাইহাস সালাম উনি যদিও মূল। তো উনি তো মা। তাহলে মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র হযরত উম্মাহাতুল মু’মিনীন আলাইহিন্নাস সালাম উনাদেরকে কী বলতে হবে? আমি বললাম- উম্মে কুবরা আলাইহাস সালাম। উনারা হলেন- উম্মে কুবরা আলাইহাস সালাম। আর মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র হযরত বানাতু রসূল ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনারা হলেন উম্মী আলাইহাস সালাম। কিন্তু ছুগরা তো বলা যায় না। আদবের খেলাফ। উনারা সবাই খুশি হলেন। (সুবহানা মামদূহ মুর্শিদ ক্বিবলা আলাইহিস সালাম!) তাহলে মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র হযরত হযরত আবনাউ রসূলিল্লাহ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনাদেরকে কী বলতে হবে? আমি উনাদেরকে বললাম- খ¦লু (মামা)। উনারা সবাই খুশি হয়ে গেলেন। (সুবহানা মামদূহ মুর্শিদ ক্বিবলা আলাইহিস সালাম!)
উনারা কাউকে পরওয়া করেন না। উনারা কারো মুহতাজীও করেন না অর্থাৎ কারো তোয়াজ করেন না। কারণ, উনারা নিজেরাই মর্যাদাবান। উনাদের কাছে তো কারো কোনো মর্যাদা নেই। বরং উনাদের মাধ্যমেই সকলে মর্যাদা হাছিল করে থাকে। এখন ছোহবত ইখতিয়ার করতে করতে করতে মুহব্বত হাছিল হয়, নিসবত হাছিল হয়। একবারে তো সেটা হয় না।
সেটাই বললাম যে- উনাদের নিসবত হাছিল করাটাই হচ্ছে সবচেয়ে বড় রিয়াযাত-মাশাক্কাত। (সুবহানা মামদূহ মুর্শিদ ক্বিবলা আলাইহিস সালাম!)
এখন সেজন্য উনাদের আলোচনা মুবারকগুলো বেশি করা উচিৎ। যাতে উনারা খুশি হন। উনাদের ছানা-ছিফত মুবারক করলে, উনারা খুশি হন। আর যে কোনো জিনিস হাছিল করতে হলে উনাদের মাধ্যম দিয়ে হাছিল করতে হবে। এখন বলা হয় যে, মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র হযরত আহলু বাইত শরীফ আলাইহিমুস সালাম উনারা ছাড়া কিছু কি হাছিল হবে? না, আসলে উনাদের ছাড়া কিছু হাছিল হবে না। উনাদের যাঁরা নিচে উনারা তো উনাদের অধীনে চলবেন। উনাদের হুকুম ছাড়া তো চলতে পারবেন না।
আমি ওখানে আর কাউকে দেখিনি। (সুবহানা মামদূহ মুর্শিদ ক্বিবলা আলাইহিস সালাম!)
এখন তোমরা যা বুঝো। যে বুঝার, সে বুঝবে।
আর নিদর্শন যেমন- সাইয়্যিদুনা হযরত যুন নূরাইন আলাইহিস সালাম উনার বিষয়টা। উনার বিষয়গুলি তো সরাসরি নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনি আমাকে দেখিয়েছেন। উনার মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র বিছাল শরীফ, মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র বিছাল শরীফের আগের অবস্থা, পরের অবস্থা। যদিও তখন কাঁটাওয়ালা কোনো ঘড়ি ছিলো না, কিন্তু উনি আমাকে একটি কাটা ওয়ালা ঘড়ি মুবারক দেখিয়েছেন। আমি জানতে চেয়েছিলাম যে, ইয়া রাসূলাল্লাহ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম! উনার মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র বিছাল শরীফের সময়টা কখন? তখন উনি আমাকে একটি কাঁটাওয়ালা ঘড়ি দেখিয়ে দিয়া বললেন যে, এই যে। ঘড়িতে উনি দেখালেন। আমি দেখলাম, তখনও উক্ত সম্মানিত ঘড়ি মুবারক-এ ১২:০০ টা বাজেনি। সেকেন্ডের কাঁটাটি আর ৪৫ সেকেন্ড অতিক্রম করলে ১২:০০টা বাজবে। অর্থাৎ ১২:০০ টা বাজতে আর ৪৫ সেকেন্ড বাকি রয়েছে। অর্থাৎ ১১ টা বেজে ৫৯ মিনিট ১৫ সেকেন্ডে সাইয়্যিদুনা হযরত যুন নূরাইন আলাইহিস সালাম তিনি মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র বরকতময় শাহাদাতী শান মুবারক প্রকাশ করেছেন। সুবহানাল্লাহ! এবং পরিবেশটা তিনি আমাকে দেখালেন। বলেছিলেন যে, নিদর্শন মুবারক দেখাবেন। এই ধরণের নিদর্শন মুবারকগুলো দেখান। উনারা না দেখালে মানুষ জানবে কিভাবে?
সেজন্য উনাদের আলোচনা বেশি করা দরকার, বলা দরকার।
আমি উনাদেরকে দায়িমীভাবে ২৪ ঘণ্টাই দেখি। এখনও দেখতেছি।
আর এগুলো শোনে তোমাদের ইবরত হাছিল করা দরকার। বুঝতে পারলে?
এখন দায়িত্ব হলো, কর্তব্য হলো নিসবত মুবারক হাছিল করা, মুহব্বত মুবারক হছিল করা, কুরবত মুবারক হাছিল করা। তাহলেই কামিয়াবী। (সুবহানা মামদূহ মুর্শিদ ক্বিবলা আলাইহিস সালাম!)
তাহলে নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার সাথে এবং মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র হযরত আহলু বাইত শরীফ আলাইহিমুস সালাম উনাদের সাথে আহলু বাইতি বাইতি রসূলিল্লাহ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম, ক্বায়িম মাক্বামে হাবীবুল্লাহ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম, রহমাতুল্লিল আলামীন মামদূহ মুর্শিদ ক্বিবলা সাইয়্যিদুনা হযরত সুলত্বানুন নাছীর আলাইহিস সালাম উনার কত বেমেছাল মহাসম্মানিত তা‘য়াল্লুক্ব-নিসবত মুবারক, সেটা সমস্ত জিন-ইনসান, তামাম কায়িনাতবাসী সকলের চিন্তা ও কল্পনার উর্ধ্বে। সুবহানা মামদূহ মুর্শিদ ক্বিবলা আলাইহিস সালাম!
খ্বালিক্ব মালিক রব মহান আল্লাহ পাক তিনি আমাদরে সবাইকে ছহীহ সমঝ এবং সর্বোত্তম বিশুদ্ধ আক্বীদাহ্ ও সর্বোচ্চ হুসনেযন মুবারক দান করুন। আমীন! আমীন! আমীন!
-মুহাদ্দিছ মুহম্মদ আল আমীন।
এ সম্পর্কিত আরো সংবাদ
-
মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র হাদীছ শরীফ উনার মধ্যে বর্ণিত মহাসম্মানিত ১২ খলীফা আলাইহিমুস সালাম (৪)
২২ নভেম্বর, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল জুমুয়াহ (শুক্রবার) -
মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র কুরআন শরীফ উনার মধ্যে বর্ণিত ‘আন নাবিয়্যিল উম্মিয়্যি’ উনার হাক্বীক্বী অর্থ ও তাফসীর মুবারক এবং এ বিষয়ে বদ আক্বীদাহধারীদের কুফরীমূলক বক্তব্যের দলীলভিত্তিক খন্ডনমূলক জবাব (৭)
২২ নভেম্বর, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল জুমুয়াহ (শুক্রবার) -
‘উম্মী’ শব্দ নিয়ে বাতিলপন্থীদের মিথ্যাচারের চূড়ান্ত জবাব (৬)
২২ নভেম্বর, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল জুমুয়াহ (শুক্রবার) -
নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার শান মুবারক সম্পর্কিত সংশ্লিষ্ট কতিপয় আয়াত শরীফ (১৯)
২২ নভেম্বর, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল জুমুয়াহ (শুক্রবার) -
মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র হাদীছ শরীফ উনার মধ্যে বর্ণিত মহাসম্মানিত ১২ খলীফা আলাইহিমুস সালাম (৩)
২১ নভেম্বর, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল খমীছ (বৃহস্পতিবার) -
মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র কুরআন শরীফ উনার মধ্যে বর্ণিত ‘আন নাবিয়্যিল উম্মিয়্যি’ উনার হাক্বীক্বী অর্থ ও তাফসীর মুবারক এবং এ বিষয়ে বদ আক্বীদাহধারীদের কুফরীমূলক বক্তব্যের দলীলভিত্তিক খন্ডনমূলক জবাব (৬)
২১ নভেম্বর, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল খমীছ (বৃহস্পতিবার) -
নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার শান মুবারক সম্পর্কিত সংশ্লিষ্ট কতিপয় আয়াত শরীফ (১৮)
২১ নভেম্বর, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল খমীছ (বৃহস্পতিবার) -
মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র হাদীছ শরীফ উনার মধ্যে বর্ণিত মহাসম্মানিত ১২ খলীফা আলাইহিমুস সালাম (২)
২০ নভেম্বর, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল আরবিয়া (বুধবার) -
মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র কুরআন শরীফ উনার মধ্যে বর্ণিত ‘আন নাবিয়্যিল উম্মিয়্যি’ উনার হাক্বীক্বী অর্থ ও তাফসীর মুবারক এবং এ বিষয়ে বদ আক্বীদাহধারীদের কুফরীমূলক বক্তব্যের দলীলভিত্তিক খন্ডনমূলক জবাব (৫)
২০ নভেম্বর, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল আরবিয়া (বুধবার) -
আলোচনায় বা লেখনীতে নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার মহাসম্মানিত ইসমে যাত বা নাম মুবারক বারবার বলা ও লেখা সম্পূর্ণ আদবের খিলাফ (২)
২০ নভেম্বর, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল আরবিয়া (বুধবার) -
‘উম্মী’ শব্দ নিয়ে বাতিলপন্থীদের মিথ্যাচারের চূড়ান্ত জবাব (৫)
২০ নভেম্বর, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল আরবিয়া (বুধবার) -
নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার শান মুবারক সম্পর্কিত সংশ্লিষ্ট কতিপয় আয়াত শরীফ (১৭)
২০ নভেম্বর, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল আরবিয়া (বুধবার)