মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র সাইয়্যিদু সাইয়্যিদিল আ’ইয়াদ শরীফ পালন করার বেমেছাল ফযীলত মুবারক (৬১)
, ১৮ জুমাদাল উলা শরীফ, ১৪৪৫ হিজরী সন, ০৪ সাবি’ ১৩৯১ শামসী সন , ০৩ ডিসেম্বর, ২০২৩ খ্রি:, ১৭ অগ্রহায়ণ, ১৪৩০ ফসলী সন, ইয়াওমুল আহাদ (রোববার) সাইয়্যিদু সাইয়্যিদিল আ’ইয়াদ শরীফ
সেটাই ১০ম হিজরী শতকের মুজাদ্দিদ হযরত ইমাম জালালুদ্দীন সুয়ূত্বী রহমতুল্লাহি আলাইহি তিনি বলেন,
قَالَ حَضْرَتْ اَلْحَافِظُ شَمْسُ الدِّيْنِ اِبْنُ نَاصِرِ الدِّيْنِ اَلدِّمَشْقِىُّ رَحْمَةُ اللهِ عَلَيْهِ فِىْ كِتَابِهٖ اَلْمُسَمّٰى "مَوْرِدُ الصَّادِىْ فِىْ مَوْلِدِ الْهَادِىْ" قَدْ صَحَّ اَنَّ اَبَا لَهَبٍ يُخَفَّفُ عَنْهُ عَذَابُ النَّارِ فِىْ مِثْلِ يَوْمِ الْاِثْنَيْنِ لِاِعْتَاقِهٖ سَيِّدَتَنَا حَضْرَتْ اُمَّ الرَّضَاعَةِ الْاُوْلـٰى عَلَيْهَا السَّلَامُ (سَيِّدَتَنَا حَضْرَتْ ثُوَيْبَةَ عَلَيْهَا السَّلَامُ) سُرُوْرًا بِمِيْلَادِ النَّبِىِّ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ ثُمَّ اَنْشَدَ
اِذَا كَانَ هٰذَا كَافِرًا جَاءَ ذَمُّهٗ ... وَتَبَّتْ يَدَاهُ فِى الْجَحِيْمِ مُخَلَّدَا
اَتٰى اَنَّهٗ فِىْ يَوْمِ الْاِثْنَيْنِ دَائِمًا ... يُخَفَّفُ عَنْهُ لِلسُّرُوْرِ بِاَحْمَدَا
فَمَا الظَّنُّ بِالْعَبْدِ الَّذِىْ طُوْلَ عُمْرِهٖ ... بِاَحْمَدَ مَسْرُوْرًا وَمَاتَ مُوَحِّدَا
অর্থ: “হাফিয শামসুদ্দীন ইবনে নাছির উদ্দীন দামেশকী রহমতুল্লাহি আলাইহি তিনি উনার ‘মাওরিদুছ ছাদী ফী মাওলিদিল হাদী’ নামক কিতাবে বলেন- ছহীহ বর্ণনায় এসেছেন যে- নিশ্চয়ই নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র বরকতময় বিলাদতী শান মুবারক প্রকাশে খুশি হয়ে সাইয়্যিদাতুনা হযরত উম্মুর রদ্বা‘আহ্ আল ঊলা আলাইহাস সালাম উনাকে আযাদ করে দেয়ার কারণে আবূ লাহাবকে প্রতি সাইয়্যিদু সাইয়্যিদিল আইয়্যাম শরীফ (ইছনাইনিল আযীম শরীফ অর্থাৎ সোমবার) জাহান্নামের আযাব থেকে রুখছত দেয়া হয়। অতঃপর তিনি আবৃতি করেন-
اِذَا كَانَ هٰذَا كَافِرًا جَاءَ ذَمُّهٗ ... وَتَبَّتْ يَدَاهُ فِى الْجَحِيْمِ مُخَلَّدَا
اَتٰى اَنَّهٗ فِىْ يَوْمِ الِاِثْنَيْنِ دَائِمًا ... يُخَفَّفُ عَنْهُ لِلسُّرُوْرِ بِاَحْمَدَا
فَمَا الظَّنُّ بِالْعَبْدِ الَّذِىْ طُوْلَ عُمْرِهٖ ... بِاَحْمَدَ مَسْرُوْرًا وَمَاتَ مُوَحِّدَا
‘যখন এই কাট্টা কাফির যার নিন্দায় (মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র কুরআন শরীফ উনার মধ্যে) এসেছেন- তার দুই হাত ধ্বংস হোক! যে চিরস্থায়ী জাহান্নামী। নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র বরকতময় বিলাদতী শান মুবারক প্রকাশে খুশি প্রকাশ করার কারণে দায়িমীভাবে সাইয়্যিদু সাইয়্যিদিল আইয়্যাম শরীফ (ইছনাইনিল আযীম শরীফ অর্থাৎ সোমবার) তাকে (সুমিষ্ট পানীয়) দেয়া হয়। সে তা পান করে এবং সেদিন তাকে জাহান্নামের আযাব থেকে রুখছত দেয়া হয়। তাহলে ঐ বান্দার জন্য কি ফায়ছালা হবে, যাকে মহান আল্লাহ পাক তিনি দীর্ঘ হায়াত দান করেছেন, যিনি নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র বরকতময় বিলাদতী শান মুবারক প্রকাশে খুশি প্রকাশ করেছেন এবং মুসলমান হিসেবে ইন্তেকাল করেছেন’?” (হুসনুল মাকসাদ ফি আমালিল মাওলিদ, আল হাভী লিল ফাতাওয়া, সুবুলুল হুদা ওয়ার রাশাদ, মাওয়াহিবুল লাদুন্নিয়্যাহ্, শারহুয যারকানী ইত্যাদি)
সেটাই আরো সুস্পষ্টভাবে শারহুয যারক্বানী, সুবুলুল হুদা ওয়ার রশাদ, তারীখুল খ¦মীস, মাওয়াহিবুল লাদুননিয়্যাহ্ এবং মাছাবাতা বিস সুন্নাহসহ আরো অন্যান্য কিতাবে উল্লেখ রয়েছেন,
قَالَ حَضْرَتْ اِبْنُ الْجَزْرِىِّ رَحْمَةُ اللهِ عَلَيْهِ فَاِذَا كَانَ هٰذَا الْكَافِرُ اَلَّذِىْ نَزَلَ الْقُرْاٰنَ بِذَمِّهٖ جُوْزِىَ فِى النَّارِ بِفَرْحِهٖ لَيْلَةَ مَوْلِدِ النَّبِىِّ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ بِهٖ فَمَا حَالُ الْمُسْلِمِ الْمُوَحِّدِ مِنْ اُمَّتِهٖ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ يَسُرُّ بِمَوْلِدِهٖ وَيَبْذُلُ مَا تَصِلُ اِلَيْهِ قُدْرَتُهٗ فِىْ مَحَبَّتِهٖ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ لَعُمْرِىْ اِنَّمَا يَكُوْنُ جَزَاؤُهٗ مِنَ اللهِ الْكَرِيْمِ اَنْ يَّدْخُلَهٗ بِفَضْلِهِ الْعَمِيْمِ جَنَّاتِ النَّعِيْمِ
অর্থ: “আল্লামা হযরত ইমাম হযরত ইবনে জায্রী রহমাতুল্লাহি আলাইহি তিনি বলেন, আবূ লাহাবের মত কাট্টা কাফির যার নিন্দায় মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র কুরআন শরীফ উনার সম্মানিত ও পবিত্র আয়াত শরীফ এবং সম্মানিত ও পবিত্র সূরা শরীফ নাযিল হয়েছেন। নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র বরকতময় বিলাদতী শান মুবারক প্রকাশের মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র রাত্রি মুবারক-এ আনন্দিত হয়ে খুশি প্রকাশ করার কারণে তাকে জাহান্নামেও তার পুরস্কার দেয়া হয়। যদি তাই হয়, তাহলে নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার কোনো উম্মত, মুসলমান-ঈমানদার যদি মাওলিদুন্নবী ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম অর্থাৎ মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র সাইয়্যিদু সাইয়্যিদিল আ’ইয়াদ শরীফ উপলক্ষে খুশি প্রকাশ করে, তার সাধ্য-সামর্থ্য অনুযায়ী টাকা-পয়সা ইত্যাদি খরচ করে, তাদের অবস্থা কিরূপ হবে?
لَعُمْرِىْ اِنَّمَا يَكُوْنُ جَزَاؤُهٗ مِنَ اللهِ الْكَرِيْمِ اَنْ يَّدْخُلَهٗ بِفَضْلِهِ الْعَمِيْمِ جَنَّاتِ النَّعِيْمِ
‘আমার জিন্দেগীর ক্বসম! নিশ্চয়ই করুণাময় মহান আল্লাহ পাক উনার পক্ষ থেকে সে ব্যক্তির প্রতিদান হচ্ছেন- মহান আল্লাহ পাক তিনি উনার বিশেষ অনুগ্রহে ঐ ব্যক্তিকে জান্নাতুন নাঈমে প্রবেশ করাবেন’।” সুবহানাল্লাহ! (শারহুয যারক্বানী, সুবুলুল হুদা ওয়ার রশাদ, তারীখুল খ¦মীস, মাওয়াহিবুল লাদুননিয়্যাহ্, মাছাবাতা বিস সুন্নাহ ইত্যাদি)
কাজেই মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র সাইয়্যিদু সাইয়্যিদিল আ’ইয়াদ শরীফ এমন এক মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র আমল মুবারক যেই আমল মুবারক উনাকে হাজার কুফরীও মিটাতে পারে না। তাহলে মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র সাইয়্যিদু সাইয়্যিদিল আ’ইয়াদ শরীফ পালন করার কতো বেমেছাল ফযীলত মুবারক, সেটা সমস্ত সৃষ্টির চিন্তা ও কল্পনার উর্ধ্বে। সুবহানাল্লাহ!
-মুহাদ্দিছ মুহম্মদ আমীন।
এ সম্পর্কিত আরো সংবাদ
-
সম্মানিত খিলাফত আলা মিনহাজিন নুবুওওয়াহ্ মুবারক ক্বায়িম হওয়ার অর্থই হলো দুনিয়ার যমীন ইনছাফ দ্বারা পরিপূর্ণ হয়ে যাওয়া
০৬ নভেম্বর, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল আরবিয়া (বুধবার) -
নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র ঝুটা মুবারক খাওয়ার ফলে বরকত মুবারক লাভ
০৬ নভেম্বর, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল আরবিয়া (বুধবার) -
নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র নূরুল বারাকাত মুবারক উনার ফলে কূপের পানি সবচেয়ে অধিক সুপেয় ও সুমিষ্ট হয়ে যাওয়া
০৬ নভেম্বর, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল আরবিয়া (বুধবার) -
নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র বগল মুবারক উনার শুভ্রতা মুবারক
০৬ নভেম্বর, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল আরবিয়া (বুধবার) -
নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার শান মুবারক সম্পর্কিত সংশ্লিষ্ট কতিপয় আয়াত শরীফ (৩)
০৬ নভেম্বর, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল আরবিয়া (বুধবার) -
সম্মানিত খিলাফত আলা মিনহাজিন নুবুওওয়াহ্ মুবারক ক্বায়িম হওয়ার অর্থই হলো দুনিয়ার যমীন ইনছাফ দ্বারা পরিপূর্ণ হয়ে যাওয়া
০৫ নভেম্বর, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুছ ছুলাছা (মঙ্গলবার) -
নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র কুলি মুবারক করা পানি কূপে পতিত হওয়ার কারণে কুপ থেকে মেশকের চেয়ে অধিক সুঘ্রাণ ছড়িয়ে পড়া
০৫ নভেম্বর, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুছ ছুলাছা (মঙ্গলবার) -
নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র নূরুন আলা নূর মুবারক উনার মাঝে দায়িমীভাবে নূর মুবারক চমকানো
০৫ নভেম্বর, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুছ ছুলাছা (মঙ্গলবার) -
নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র হাসি মুবারককালে পাশ্ববর্তী দেয়ালসমূহ আলোকিত হয়ে যাওয়া
০৫ নভেম্বর, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুছ ছুলাছা (মঙ্গলবার) -
নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার বুলন্দী শান মুবারক সম্পর্কিত সংশ্লিষ্ট কতিপয় আয়াত শরীফ (২)
০৫ নভেম্বর, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুছ ছুলাছা (মঙ্গলবার) -
নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র কথা মুবারক বলার সময় নূর মুবারক বিচ্ছুরিত হওয়া
০৪ নভেম্বর, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল ইছনাইনিল আযীম (সোমবার) -
নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র নূরুত ত্বীব মুবারক থেকে নূর মুবারক সৃষ্টি হওয়া
০৪ নভেম্বর, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল ইছনাইনিল আযীম (সোমবার)