মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র সাইয়্যিদু সাইয়্যিদিল আ’ইয়াদ শরীফ পালন করার বেমেছাল ফযীলত মুবারক (৩৭)
, ২৪ রবীউছ ছানী শরীফ, ১৪৪৫ হিজরী সন, ১১ সাদিস ১৩৯১ শামসী সন , ০৯ নভেম্বর, ২০২৩ খ্রি:, ২৪ কার্তিক, ১৪৩০ ফসলী সন, ইয়াওমুল খমীছ (বৃহস্পতিবার) সাইয়্যিদু সাইয়্যিদিল আ’ইয়াদ শরীফ
কিতাবে বর্ণিত রয়েছেন,
قَالَ وَحِيْدُ عَصْرِهٖ وَفَرِيْدُ دَهْرِهٖ اَلْاِمَامُ فَخْرُ الدِّيْنِ الرَّازِىُّ رَحْمَةُ اللهِ عَلَيْهِ مَا مِنْ شَخْصٍ قَرَاَ مَوْلِدَ النَّبِىِّ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ عَلٰى مِلْحٍ اَوْ بُرٍّ اَوْ شَىْءٍ اٰخَرَ مِنَ الْـمَأْكُوْلَاتِ اِلَّا ظَهَرَتْ فِيْهِ الْبَرَكَةُ وَفِىْ كُلِّ شَىْءٍ وَصَلَ اِلَيْهِ مِنْ ذٰلِكَ الْمَأْكُوْلِ فَاِنَّهٗ يَضْطَرِبُ وَلَا يَسْتَقِرُّ حَتّٰى يَغْفِرَ اللهُ لِاٰكِلِهٖ وَاِنْ قُرِئَ مَوْلِدُ النَّبِىِّ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ عَلٰى مَاءٍ فَمَنْ شَرِبَ مِنْ ذٰلِكَ الْـمَاءِ دَخَلَ قَلْبَهٗ اَلْفُ نُوْرٍ وَّرَحْمَةٍ وَخَرَجَ مِنْهُ اَلْفُ غِلٍّ وَّعِلَّةٍ وَلَا يَـمُوْتُ ذٰلِكَ الْقَلْبُ يَوْمَ تَـمُوْتُ الْقُلُوْبُ
অর্থ: “যুগের অনন্য ব্যক্তিত্ব, যামানার অদ্বিতীয় ব্যক্তিত্ব হযরত ইমাম ফখরুদ্দীন রাযী ছিদ্দীক্বী শাফিয়ী রহমতুল্লাহি আলাইহি (বিলাদত শরীফ ৫৪৪ হিজরী শরীফ : বিছাল শরীফ ৬০৪ হিজরী শরীফ) তিনি বলেন, যে ব্যক্তি মাওলিদুন্নবী ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম অর্থাৎ মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র সাইয়্যিদু সাইয়্যিদিল আ’ইয়াদ শরীফ পালন করে লবণ, গম বা অন্য কোনো খাদ্য-দ্রব্যের উপর ফুঁক দেয়, তাহলে সেই খাদ্য দ্রব্যে বরকত প্রকাশ পাবে। এভাবে যে কোনো কিছুর উপরই পাঠ করুক না কেনো, তাতে বরকত হবেই। সুবহানাল্লাহ! উক্ত তাবারুক মুবারক মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র সাইয়্যিদু সাইয়্যিদিল আ’ইয়াদ শরীফ পালনকারীর জন্য মহান আল্লাহ পাক উনার নিকট ক্ষমা প্রার্থনা করেন; এমনকি উনাকে ক্ষমা না করানো পর্যন্ত সেই তাবারুক মুবারক ক্ষান্ত হন না। সুবহানাল্লাহ! আর যদি মাওলিদুন্নবী ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম অর্থাৎ মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র সাইয়্যিদু সাইয়্যিদিল আ’ইয়াদ শরীফ পালন করে কোনো পানিতে ফুঁক দেয়া হয়, অতঃপর উক্ত পানি কেউ পান করে, তাহলে তার অন্তরে এক হাজার নূর মুবারক এবং এক হাজার সম্মানিত রহমত মুবারক প্রবেশ করেন। আর উনার থেকে এক হাজারটি যাহিরী ও বাত্বিনী (বাহ্যিক ও আভ্যন্তরীণ) রোগ দূর হয়ে যায়। যেই দিন সমস্ত ক্বলব (মানুষ ও জ্বিন) মৃত্যুবরণ করবে, সেই দিন ঐ পানি পানকারী ব্যক্তির অন্তর মৃত্যুবরণ করবে না।” সুবহানাল্লাহ! (আন নি’মাতুল কুবরা)
মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র সাইয়্যিদু সাইয়্যিদিল আ’ইয়াদ শরীফ পালনকারী কখনও ফক্বীর হবেন না এবং উনার হাত কখনও খালি হবে না
হযরত ইমাম ফখরুদ্দীন রাযী ছিদ্দীক্বী শাফিয়ী রহমতুল্লাহি আলাইহি (বিলাদত শরীফ ৫৪৪ হিজরী শরীফ : বিছাল শরীফ ৬০৪ হিজরী শরীফ) তিনি বলেন,
مَنْ قَرَاَ مَوْلِدَ النَّبِىِّ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ عَلٰى دَرَاهِمَ مَسْكُوْكَةٍ فِضَّةٍ كَانَتْ اَوْ ذَهَبًا وَخَلَطَ تِلْكَ الدَّرَاهِمَ بِغَيْرِهَا وَقَعَتْ فِيْهَا الْبَرَكَةُ وَلَا يَفْتَقِرُ صَاحِبُهَا وَلَا تَفْرُغُ يَدُهٗ بِبَرَكَةِ مَوْلِدِ النَّبِىِّ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ
অর্থ: “কোনো ব্যক্তি পবিত্র মীলাদ শরীফ পাঠ করে বা মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র সাইয়্যিদু সাইয়্যিদিল আ’ইয়াদ শরীফ উদযাপন করে রৌপ্যের দিরহাম অথবা স্বর্ণের উপর ফুঁক দিয়ে সেই মুদ্রাসমূহ অন্য মুদ্রার সাথে মিশ্রিত করলে, অবশ্যই সেই মুদ্রাসমূহের মধ্যে বরকত হবে। আর মাওলিদুন্নবী ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম অর্থাৎ মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র সাইয়্যিদু সাইয়্যিদিল আ’ইয়াদ শরীফ উনার বরকত মুবারক-এ ঐ ব্যক্তি তিনি কখনও ফকীর হবেন না এবং ঐ ব্যক্তি উনার হাত কখনও খালি হবে না।” সুবহানাল্লাহ! (আন নি’মাতুল কুবরা, ইয়ানাতুত্ ত্বালিবীন ৩/৪১৫)
অর্থাৎ যে ব্যক্তি মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র সাইয়্যিদু সাইয়্যিদিল আ’ইয়াদ শরীফ পালন করবেন, মহান আল্লাহ পাক তিনি এবং নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি অর্থাৎ উনারা উক্ত ব্যক্তি উনাকে কুদরতীভাবে স্বচ্ছলতা দান করবেন এবং উনার হাত সবসময় রিযিক্ব দ্বারা পরিপূর্ণ থাকবে। সুবহানাল্লাহ!
মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র সাইয়্যিদু সাইয়্যিদিল আ’ইয়াদ শরীফ পালনকারী উনাদেরকে মহান আল্লাহ পাক তিনি স্বীয় রহমত এবং সন্তুষ্টি মুবারক উনার আওতাভুক্ত করে নেন
সুলত্বানুল আরিফীন ইমাম জালালুদ্দীন সুয়ূতী রহমতুল্লাহি আলাইহি তিনি উনার লিখিত কিতাব ‘আল ওয়াসায়িল ফী শরহিশ শামায়িল’ উনার মধ্যে বলেন,
مَا مِنْ بَيْتٍ اَوْ مَسْجِدٍ اَوْ مَحَلَّةٍ قُرِئَ فِيْهِ مَوْلِدُ النَّبِىِّ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ اِلَّا حَفَّتِ الْمَلٰئِكَةُ ذٰلِكَ الْبَيْتَ اَوِ الْمَسْجِدَ اَوِ الْمَحَلَّةَ وَصَلَّتِ الْمَلٰئِكَةُ عَلٰى اَهْلِ ذٰلِكَ الْمَكَانِ وَعَمَّهُمُ اللهُ تَعَالٰى بِالرَّحْمَةِ وَالرِّضْوَانِ وَاَمَّا الْمُطَوَقُّوْنَ بِالنُّوْرِ يَعْنِىْ حَضْرَتْ جِبْرَائِيْلَ عَلَيْهِ السَّلَامُ وَحَضْرَتْ مِيْكَائِيْلَ عَلَيْهِ السَّلَامُ وَحَضْرَتْ اِسْرَافِيْلَ عَلَيْهِ السَّلَامُ وَحَضْرَتْ عَزْرَائِيْلَ عَلَيْهِ السَّلَامُ فَاِنَّهُمْ يُصَلُّوْنَ عَلٰى مَنْ كَانَ سَبَبًا لِقَرَائَةِ مَوْلِدِ النَّبِىِّ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ
অর্থ: “যেকোনো বাড়িতে বা মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র মসজিদ মুবারক-এ অথবা মহল্লায় পবিত্র মীলাদ শরীফ পাঠ করা হলে বা মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র সাইয়্যিদু সাইয়্যিদিল আ’ইয়াদ শরীফ পালন করা হলে, অবশ্যই মহান আল্লাহ পাক উনার হযরত ফেরেশতা আলাইহিমুস সালাম উনারা সেই বাড়ি বা মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র মসজিদ মুবারক অথবা মহল্লা বেষ্টন করে নেন। আর মহান আল্লাহ পাক তিনি উনাদেরকে স্বীয় রহমত এবং সন্তুষ্টি মুবারক উনার আওতাভুক্ত করে নেন। আর নূর দ্বারা সজ্জিত প্রধান চার ফেরেশতা অর্থাৎ হযরত জিবরীল আলাইহিস সালাম তিনি, হযরত মীকাঈল আলাইহিস সালাম তিনি, হযরত ইসরাফীল আলাইহিস সালাম তিনি এবং হযরত আযরাঈল আলাইহিস সালাম তিনি অর্থাৎ উনারা পবিত্র মীলাদ শরীফ পাঠকারী উনাদের উপর অর্থাৎ মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র সাইয়্যিদু সাইয়্যিদিল আ’ইয়াদ শরীফ পালনকারী উনাদের উপর পবিত্র ছলাত-সালাম পাঠ করেন।” সুবহানাল্লাহ! (আন নি’মাতুল কুবরা, ইয়ানাতুত্ ত্বালিবীন ৩/৪১৫, আল ওয়াসায়িল ফী শরহিশ শামায়িল)
-মুহাদ্দিছ মুহম্মদ আমীন।
এ সম্পর্কিত আরো সংবাদ
-
আজ স্বয়ং খ্বালিক্ব মালিক রব মহান আল্লাহ পাক উনার ঈদের দিন। আজ সাইয়্যিদু সাইয়্যিদিল আ’ইয়াদ শরীফ। আজ শ্রেষ্ঠ দিন সমূহের মধ্যে শ্রেষ্ঠতম দিন। আজ কায়িনাতের সবশ্রেষ্ঠ দিন।
১৬ সেপ্টেম্বর, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল ইছনাইনিল আযীম (সোমবার) -
‘কাফির মুশরিকদের বিরুদ্ধে বদদো‘আ করলে উনারা খুব খুশি মুবারক প্রকাশ করেন’
১৬ সেপ্টেম্বর, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল ইছনাইনিল আযীম (সোমবার) -
‘আমরা আমাদের পুরো জিন্দেগী মুবারক ব্যয় করেছি নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার বেমেছাল বুলন্দী শান-মান মুবারক প্রকাশ করার জন্য। আর আপনি সেটা এককভাবে করে যাচ্ছেন’
১৬ সেপ্টেম্বর, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল ইছনাইনিল আযীম (সোমবার) -
অনন্তকালব্যাপী মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র সাইয়্যিদু সাইয়্যিদিল আ’ইয়াদ শরীফ পালন
১৬ সেপ্টেম্বর, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল ইছনাইনিল আযীম (সোমবার) -
স্বয়ং নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার এবং মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র হযরত উম্মাহাতুল মু’মিনীন আলাইহিন্নাস সালাম উনাদের তরফ থেকে বিশেষ দাওয়াত মুবারক এবং খুশি মুবারক প্রকাশ
১৬ সেপ্টেম্বর, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল ইছনাইনিল আযীম (সোমবার) -
নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি উনার আম্মাজান আলাইহাস সালাম উনার মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র রেহেম শরীফে থাকাকালীন সাইয়্যিদাতুনা হযরত উম্মু রসূলিনা ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার সাথে জলীলুল ক্বদর নবী-রসূল আলাইহিমুস সালামগণ উনাদের স্বপ্নে কথোপকথনের মুবারক বর্ণনা
১৬ সেপ্টেম্বর, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল ইছনাইনিল আযীম (সোমবার) -
সাইয়্যিদুল মুরসালীন, ইমামুল মুরসালীন, নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার নূরানী হুলিয়া মুবারক
১৬ সেপ্টেম্বর, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল ইছনাইনিল আযীম (সোমবার) -
সাইয়্যিদুস সাক্বালাইন, নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার পবিত্র নূরুল মাগফিরাহ (হস্ত) মুবারক উনার বরকতময় মু’জিযাহ শরীফ
১৬ সেপ্টেম্বর, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল ইছনাইনিল আযীম (সোমবার) -
সাইয়্যিদু সাইয়্যিদিল আ’দাদ শরীফ মহাসম্মানিত ১২ই রবীউল আউওয়াল শরীফ কুল-কায়িনাতের সকল রাত ও দিনের চেয়েও লক্ষ-কোটিগুণ বেশি মর্যাদাসম্পন্ন ও ফযীলতপূর্ণ রাত ও দিন মুবারক
১৫ সেপ্টেম্বর, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল আহাদ (রোববার) -
‘আদ্ দুরারুল মুখতারাহ্ শরীফ’ পাঠরে গুরুত্ব ও প্রয়োজনীয়তা
১৫ সেপ্টেম্বর, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল আহাদ (রোববার) -
‘আপনার ফতওয়ার উপরে কারো ফতওয়া দেওয়ার কোনো অধিকার নেই’
১৫ সেপ্টেম্বর, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল আহাদ (রোববার) -
‘যারা চূ-চেরা করে, এরা ধ্বংস হয়ে যাবে’
১৫ সেপ্টেম্বর, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল আহাদ (রোববার)