মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র সাইয়্যিদু সাইয়্যিদিল আ’ইয়াদ শরীফ পালনের বেমেছাল ফযীলত মুবারক (৮)
, ১৭ই রজবুল হারাম শরীফ, ১৪৪৪ হিজরী সন, ১১ তাসি, ১৩৯০ শামসী সন, ৯ই ফেব্রুয়ারি, ২০২৩ খ্রি:, ২৬ই মাঘ, ১৪২৯ ফসলী সন, ইয়াওমুল খমীছ (বৃহস্পতিবার) সাইয়্যিদু সাইয়্যিদিল আ’ইয়াদ শরীফ
كَانَ رَجُلٌ صَالِحٌ فِي المَدِيْنَةِ اِسْمُهُ حضرت اِبْرَاهِيْمُ رحمة الله عليه وَ هُوَ مَشْهُورٌ فِي التَّقْوَي وَ يَعْمَلُ كَسْبَ الحَلالِ فَمِنْهُ نِصْفٌ يَأكُلُ وَ نِصْفٌ يَجْمَعُ اِلَي آخَرِ سَنَةٍ فَاِذَا جَاءَ شَهْرُ رَبِيْعِ الاَوَّلِ يَطْبَخُ مِنْهُ الطَّعَامَ للعُلَمَاءِ وَ المَسَاكِيْنِ وَ كَانَتْ لَهُ زَوْجَةٌ مُتَعَفِّفَةٌ وَ هِيَ شَرِيْكَةٌ فِي هَذَا الاَمْرِ فَمَاتَتْ بَعْدَ كَمْ سَنَةٍ فَزَوْجُهَا ثَبَتَ اِلَي آخِرِ عُمْرِهِ فِي ذَلِكَ العَمَلِ فَوَقَعَ فِي جَسَدِهِ مَرَضٌ شَدِيْدٌ وَ كَانَ لَهُ اِبْنُ فَدَعَا عِنْدَهُ وَ قَالَ لَهُ اِسْمَعْ يَا بُنَيَّ اِنِّي اَمُوتُ فِي تِلْكَ اللَّيْلِ وَبَقِيَ مِنِّي خَمْسِيْنَ دِرْهَماً وَ تِسْعَةَ عَشَرَ ذِرَاعاً مِنَ الكِرْبَاسِ فَتَدْفِنُ لِي مِنْ هَذَا الثَّوْبِ فَاِذَا تَفْرَغُ مِنْ تَجْهِيْزِي فَتِلْكَ الدَّرَاهِمَ تَبْذُلُ فِي اَمْرِ الخَيْرِ فَلَمَّا تَمَّ هَذَا الكَلامُ قَرَأ كَلْمَةً طَيِّبَةً وَ مَاتَ فَدَفَنَ لَهُ الاِبْنُ وَ جَاءَ اِلَي عَالِمٍ وَ سَألَ مِنْهُ مَا اَمْرُ الخَيْرِ فِي الدُّنْيَا؟ فَقَالَ مَنْ بَنَي المَسْجِدَ وَ لَوْ بِقَدَرِ مَفْحَصِ قُطَاةٍ فَكَاَنَّمَا بَنَي الكَعْبَةَ وَ المَدِيْنَةَ فَرَجَعَ وَ اَتَي اِلَي عَالمٍ آخَرَ وَ سَألَهُ كَمَا سَألَ الاَوَّلَ فَقَالَ مَنْ حَفَرَ بِئْراً لِوَجْهِ اللهِ فَلَهُ اَجْرُ سَبْعِيْنَ حَجَّةً مَقْبُولَةً فَاَتَي الثَّالِثَ وَ سَألَهُ فَقَالَ مَنْ رَبَطَ مُرَابِطاً فِي سَبِيْلِ اللهِ فَلَهُ اَجْرُ سَبْعِيْنَ غَازِياً فَاَتَي اِلَي الرَّابِعِ وَ سَألَ مِثْلَ ذَلِكَ وَ قَالَ مَنْ تَعَمَّرَ جِسْراً عَلَي مَتْنِ النَّهْرِ فَكَاَنَّمَا اَحْيَي سَبْعِيْنَ نَبِيّاً مِنْ بَنِي اِسْرَائِيْل فَاَتَي اِلَي الخَامِسِ وَ سَألَ مِنْهُ كَمَا سَألَ الاَوَّلَ فَقَالَ مَنْ يُعْطِي السَّلاحَ للغَازِي لِوَجْهِهِ فَلَهُ اَجرُ سَبْعِيْنَ شَهِيْداً فِي سَبِيْلِ اللهِ فَاَتي السَّادِسَ وَ سَألَهُ كَمَا سَألَ القَبْلَ فَقَالَ مَنْ عَتَقَ رَقَبَةً حِسْبَةً للهِ فَلَهُ اَجرُ سَبْعِيْنَ عَالِماً عامِلاً فَاَتَي السَّابِعَ وَسَألَهُ كَمَا سَألَ الاَوَّلَ فَقَالَ مَنْ اَغْرَسَ غَرَساً فِي سَبِيْلِ اللهِ وَقْفاً بَنَي اللهُ لَهُ قَصْراً مَعَ الاَشْجَار والاَثْمَارِ فِي الجَنَّةِ فَاِذَا سَمِعَ مِنْهُمْ قَوْلاً كَثِيْراً فَتَرَدَّدَ وَ جَاءَ اِلَي بَيْتِهِ وَ نَامَ مَعَ الفِكْرِ اِذْ رَأي فِي الحُلْمِ حَشْراً وَ نَشْراً وَقَدْ قَامَ قِيَامَةٌ وَ يُحَاسَبُ فِيْهَا مِنْ كُلِّ وَاحِدٍ فَيُسَاقُ هُنَاكَ اِلَي الجَنَّةِ الاَتْقِيَاءُ الاَبْرارُ وَيُقَادُ اِلَي النَّارِ الاَشْقِيَاءُ الفُجَّارُ فَخَافَتْ قَلْبُهُ اِذْ جَاءَ النِّدَاءُ مِنْ حَوْلِهِ اَدْخِلُوا لِهَذا الرَّجُلِ فِي الجَنَّةِ فَاَدْخَلَهُ فِيْهَا فَرَاي الحُورَ وَ القُصُورَ وَ النَّعِيْمَ فِيْهَا مِنَ الاَلْوَانِ حَتَّي سَارَ سَبْعَةً مِنَ الجَنَّةِ كَي وَصَلَ عَلَي بَابِ الثَّامِنِ فَمَنَعهُ فَقَالَ بِاَيِّ سَبَبٍ مَنَعْتُمُونِي يَا رِضْوانُ وَ اِنِّي رَأيْتُ سَبْعَةَ جَنَّاتٍ فَيُقَالُ اِنَّ هَذَا المَسْكَنَ لِمَنْ صَنَعَ مَوْلِدَ النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم مِنْ كَسْبِ الحَلالِ فَقَالَ فِي قَلْبِهِ اِنَّ اَبِي وَ اُمِّي كَانَ فِي هَذَا المَقَامِ اِذْ جَاءَ صَوْتٌ مِنْ قِبَلِ الجَبَّارِ اُدْخُلُوا هَذَا الشَّابَّ فِيْهَا لاَنَّ اَبَاهُ مَعَ اُمِّهِ اَجَلانِ عِنْدِي وَ هُمَا يُرِيْدانِ اِدْخَالَهُ فَاَدْخَلَهُ المَلَكُ فِيْهَا فَجَاءَ عَلَي بُسْتَانِ الجَنَّةِ اِذْ رَأي اُمَّهُ عَلَي شَطْرِ الكَوْثَرِ تَسْقِي شَرَاباً طَهُوراً مِنْ نِسَاءِ الصَّالِحَاتِ وَ كَانَ مِنْ جَانِبِهَا كَرَاسِيُّ جَلَسَتِ النِّسْوَانُ عَلَيْهَا فَسَألَ مِنَ الملَكِ مَنْ هَذِهِ النِّسِاءِ قَالَ هن ام المؤمنين الاولى سيدتنا حضرت كبرى عليها السلام (سيدتنا حضرت خَدِيْجَةُ عليها السلام) وَام المؤمنين الثالثة سيدتنا حضرت صديقة عليها السلام (سيدتنا حضرت عائشة عليها السلام) وَسيدتنا حضرت ام روح الله عليها السلام (سيدتنا حضرت مَرْيَمُ عليها السلام) وَسيدتنا حضرت ربة كليم الله عليها السلام (سيدتنا حضرت آسِيَةُ عليها السلام) وَسيدتنا حضرت ام ذبيح الله الثانية عليها السلام (سيدتنا حضرت سَارَّةُ عليها السلام) وَسيدتنا حضرت ام ذبيح الله الاولى عليها السلام (سيدتنا حضرته هَاجَر عليها السلام) فَتَعَجَّبَ اِبْنُهَا وَ ذَهَبَ اِمَامَهُ اِذْ رَأي هُنَاكَ سَرِيْراً مُكَلّلاً مِنَ المُرَصَّعِ وَ جَلَسَ عَلَيْهِ رَجُلٌ جَمِيْلٌ يعنى سيدنا مولانا محمدا صلى الله عليه وسلم فِي حِجْرِهِ شَابَّانِ وَ حَوْلُهُ فُرِشَتِ الكَرَاسِيُّ وَ عَلَيْهَا اَرْبَعَةٌ مِنَ الصُّلَحَاءِ وَ هُمْ سيدنا حضرت صديق اكبر عليه السلام (حضرت اَبُو بَكْرٍ عليه السلام) وَ سيدنا حضرت فاروق اعظم عليه السلام (حضرت عُمَرُ عليه السلام) وَ سيدنا حضرت ذو النورين عليه السلام (حضرت عُثْمَانُ عليه السلام) وَ سيدنا حضرت امام الاول كرم الله وجهه عليه السلام (حضرت عَلِيٌّ عليه السلام) وَاَيْضاً اِلَي يَمِيْنِهِ كَانَتِ الكَرَاسِيُّ مِنَ الذَّهَبِ وَ عَلَيْهَا جَلَسُوا كُل الاَنْبِيَاءِ عليهم السلام وَ فِي يَسَارِهِ كُلُّ الاَوْلِيَاءِ رحمة الله عليهم وَ الشُّهَدَاءِ رحمة الله عليهم وَحَوْلُهُمْ زُمْرَةُ المَلائِكَةِ مِنَ المُقَرَّبِيْنَ عليهم السلام اِذْ رَأي لِاَبِيْهِ قَدْ قَامَ عَقْبَ سيدنا حبينا شفيعنا مولانا محمد صلى الله عليه وسلم وَ بِيَدِهِ مَنْدِيْلاً يَتَحَرَّكُ عَلَي فَرَقِهِ فَجَاءَ عِنْدَهُ وَ سَلَّمَ وَ قَالَ يَا اَبَتِ بِمَ وَصَلْتَ لِهَذِهِ المَرْتَبَةِ فَعَرَفَ اِبْنَهُ وَ سَعَي اِلَيْهِ وَ ضَمَّ صَدْرَهُ وَ قَالَ اِنِّي وَصَلْتُ فِي هَذِهِ المَقامِ بِبَرَكَةِ مَوْلِدِ النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم اِذَا فَتَحَ عَيْنَيْهِ وَ قَامَ وَ بَاَعَ بَيْتَهُ مَعَ اثَاثِهِ وَ اَخَذَ ثَمَنَهَا وَ اِشْتَري اَرُزّاً وَ سَمناً وَ لَحْماً وَطَبَخَ طَعاماً نَفِيْسَةً فَيُؤكِلُ للعُلَمَاءِ وَ الصُّلَحَاءِ فَاِذِاَ فَرَغَ جَاءَ اِلَي المَسْجِدِ و سَكَنَ فِيْهَا اِلَي ثَلاثِيْنَ سَنَةً فِي عِبَادَةِ اللهِ فَمَاتَ فَرُءِيَ لَهُ رَجُلٌ بَعْدَ مُدَّةٍ وَ سَألَهُ عَنْ حَالِهِ فَقَالَ اِنِّي وَصَلْتُ عِنْدَ اَبِي بِبَرَكَةِ فَعْلِ مَوْلِدِ النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم فَاِذَا اَفَاقَ الرَّجُلُ قَالَ هَذَا لقَوْم آخَر
অর্থ: “মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র মদীনা শরীফ উনার মধ্যে হযরত ইবরাহীম রহমতুল্লাহি আলাইহি নামে একজন নেককার ব্যক্তি ছিলেন। যিনি মুত্তাক্বী-পরহেযগার হিসেবে মশহূর ছিলেন। তিনি হালাল উপার্জন করতেন। তা থেকে তিনি অর্ধেক খাবারের জন্য খরচ করতেন আর বাকী অর্ধেক পরবর্তী বছরের জন্য জমা করে রাখতেন। অতঃপর যখন মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র সাইয়্যিদু সাইয়্যিদিশ শুহূরিল আ’যম শরীফ (মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র রবীউল আউওয়াল শরীফ) মাস আগমন করতেন, তখন তিনি সেই সম্পদ থেকে আলিম-উলামা এবং ফকীর-মিসকীন (বিশেষ ও সাধারণ) সকলের জন্য খাবার প্রস্তুত করতেন অর্থাৎ সাইয়্যিদু সাইয়্যিদিল আ’ইয়াদ শরীফ উনার সম্মানার্থে বিশেষ মাহফিল মুবারক উনার ইন্তিজাম করে সবাইকে খাদ্য খাওয়াতেন। সুবহানাল্লাহ! উনার সম্মানিতা আহলিয়া তিনিও ছিলেন নেককার। তিনিও এই মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র আমল মুবারক-এ অর্থাৎ সাইয়্যিদু সাইয়্যিদিল আ’ইয়াদ মাহফিল মুবারক-এ শরীক থাকতেন। সুবহানাল্লাহ! কয়েক বছর পর ঐ মহিলা তিনি ইন্তেকাল করেন। উনার সম্মানিত আহাল সাইয়্যিদুনা হযরত ইবরাহীম রহমতুল্লাহি আলাইহি তিনি উনার জীবনের শেষ পর্যন্ত এই মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র আমল মুবারক উনার উপর ইস্তিক্বামত ছিলেন। উনার শেষ জীবনে উনার শরীরে কঠিন অসুস্থতা দেখা দেয়। উনার একজন ছেলে সন্তান ছিলেন। তিনি উনার সন্তানকে উনার নিকট ডেকে বললেন, হে আমার প্রিয় আওলাদ! (আমি যা বলি, সেটা মনোযাগ দিয়ে) শুনুন। নিশ্চয়ই আমি আজ রাতে ইন্তিকাল করবো। আমার নিকট ৫০টি দিরহাম এবং ১৯ গজ সুতী কাপড় রয়েছে। আপনি এই কাপড় থেকে আমার কাফন-দাফনের ব্যবস্থা করবেন। তারপর আপনি আমার দাফন-কাফনের কাজ শেষ করে ঐ দিরহামগুলি সর্বোত্তম নেক কাজে (সাইয়্যিদু সাইয়্যিদিল আ’ইয়াদ শরীফ পালনে) খরচ করবেন। অতঃপর তিনি উনার এই কথাগুলো শেষ করে মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র কালিমাহ ত্বায়্যিবাহ্ শরীফ পাঠ করতে করতে ইন্তেকাল করেন। তারপর ঐ ছেলে তিনি দাফনের কাজ শেষ করে একজন আলিম সাহেব উনার নিকট গিয়ে সুওয়াল করলেন, দুনিয়ার মধ্যে সর্বোত্তম নেক কাজ কী? তখন আলিম সাহেব বললেন, যে ব্যক্তি পাখির বাসার পরিমাণ একটি মহাসম্মানিত ও মাহপবিত্র মসজিদ মুবারক নির্মাণ করলেন, তিনি যেন মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র কা’বা শরীফ এবং মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র মদীনা শরীফ নির্মাণ করলেন। সুবহানাল্লাহ! এরপর ঐ ছেলে তিনি সেখান থেকে প্রত্যাবর্তন করে আরেকজন আলিম সাহেব উনার নিকট যেয়ে প্রথম জনকে যেই সুওয়াল করেছিলেন, সেই একই সুওয়াল করলেন। তখন দ্বিতীয় আলিম সাহেব তিনি বললেন, ‘যে ব্যক্তি মহান আল্লাহ পাক উনার সন্তুষ্টি মুবারক উনার জন্য একটি কূপ খনন করবেন, উনাকে ৭০টি মক্ববূল হজ্জের ছাওয়াব দান করা হবে।’ সুবহানাল্লাহ! অতঃপর ঐ ছেলে তিনি তৃতীয় আলিম সাহেব উনার নিকট যেয়ে অনুরূপ সুওয়াল করলেন। তখন তিনি বললেন, ‘যে ব্যক্তি মহান আল্লাহ পাক উনার রাস্তায় সীমান্ত অঞ্চল পাহারাদানরত ব্যক্তিকে সাহায্য করবেন, উনাকে ৭০ জন গাজী উনাদের সমপরিমাণ ফযীলত দেয়া হবে।’ সুবহানাল্লাহ! তারপর ঐ ছেলে তিনি চতুর্থ আলিম সাহেব উনার নিকট যেয়ে অনুরূপ সুওয়াল করলে তিনি বলেন, ‘যে ব্যক্তি নদীর উপর একটি সাকো বা পুল নির্মাণ করলেন, তিনি যেন বনী ইসরাইলের ৭০ জন হযরত নবী আলাইহিমুস সালাম উনাদেরকে জীবিত করলেন।’ সুবহানাল্লাহ! এরপর ঐ ছেলে তিনি পঞ্চম আলিম সাহেব উনার নিকট যেয়ে প্রথম জনের ন্যায় একই সুওয়াল করলেন। তখন তিনি বললেন, ‘যে ব্যক্তি মহান আল্লাহ পাক উনার সন্তুষ্টি মুবারক উনার জন্য মহান আল্লাহ পাক উনার রাস্তায় গাযী বা মুজাহিদদেরকে অস্ত্র প্রদান করবেন, উনাকে মহান আল্লাহ পাক উনার রাস্তায় শাহাদাত বরণকারী ৭০ জন শহীদ উনাদের অনুরূপ ফযীলত দান করা হবে।’ সুবহানাল্লাহ! অতঃপর ঐ ছেলে তিনি ষষ্ঠ আলিম সাহেব উনার নিকট যেয়ে পূর্বের ন্যায় একই সুওয়াল করলেন। তখন তিনি বললেন, ‘যে ব্যক্তি মহান আল্লাহ পাক উনার তরফ থেকে পুরস্কার পাওয়ার আশায় অর্থাৎ উনার সন্তুষ্টি মুবারক লাভের জন্য একটি গোলাম আযাদ করবেন, উনাকে ৭০ জন আমলকারী আলিম উনাদের অনুরূপ নেকী প্রদান করা হবে।’ সুবহানাল্লাহ! তারপর ঐ ছেলে তিনি সপ্তম আলিম সাহেব উনার নিকট যেয়ে প্রথম জনের ন্যায় একই সুওয়াল করলেন। তখন তিনি বললেন, ‘যে ব্যক্তি একটি চারা গাছ রোপন করে মহান আল্লাহ পাক উনার রাস্তায় ওয়াক্বফ করে দিবেন, উনার জন্য মহান আল্লাহ পাক তিনি সম্মানিত জান্নাত মুবারক উনার মধ্যে প্রচুর ফলবান গাছপালাসহ একটি বালাখানা নির্মাণ করবেন।’ সুবহানাল্লাহ! ঐ ছেলে তিনি ৭ জন আলিম সাহেব উনাদের থেকে বিভিন্ন রকম ফযীলতপূণ কথা শুনে দীধাগ্রস্ত হয়ে তার বাড়িতে এসে চিন্তা করতে করতে ঘুমিয়ে গেলেন। তখন তিনি স্বপ্নে দেখতে লাগলেন যে, হাশর-নশর এবং ক্বিয়ামত ক্বায়িম সংঘটিত হয়ে গেছে। আর সেখানে প্রত্যেকের হিসেব-নিকাশ নেয়া হচ্ছে। নেককার-পরহেযগার উনাদেরকে স্বসম্মানে সম্মানিত জান্নাত মুবারক উনার দিকে নিয়ে যাওয়া হচ্ছে এবং বদকার-অপরাধীদেরকে জাহান্নামের দিকে তাড়িয়ে নিয়ে যাওয়া হচ্ছে। (এসব দেখে) উনার অন্তর ভয়ে প্রকম্পিত হলো। হঠাৎ মহান আল্লাহ পাক উনার পক্ষ থেকে গায়েবী নেদা মুবারক আসলেন, এই ব্যক্তি উনাকে সম্মানিত জান্নাত মুবারক উনার মধ্যে প্রবেশ করান। তখন উনাকে সম্মানিত জান্নাত মুবারক উনার মধ্যে প্রবেশ করানো হলো। সেখানে তিনি অনেক হূর, অনেক বালাখানা এবং বিভিন্ন প্রকারের নিয়ামতরাজী দেখতে দেখতে সম্মানিত সাত জান্নাত মুবারক ভ্রমন করে সম্মানিত অষ্টম জান্নাত মুবারক উনার দরজায় গিয়ে উপনীত হলেন। সুবহানাল্লাহ! তখন উনাকে বাধা দেয়া হলে তিনি বললেন, ‘হে হযরত রিদ্বওয়ান আলাইহিস সালাম! কোন্ কারণে আপনারা আমাকে বাধা দিলেন? অথচ আমি সাতটি সম্মানিত জান্নাত মুবারক দেখে এসেছি।’ সুবহানাল্লাহ! উনাকে বলা হলো, ‘নিশ্চয়ই এই সম্মানিত আবাসস্থল মুবারক একমাত্র ঐ সমস্ত ব্যক্তিত্ব উনাদের জন্য, যাঁরা হালাল উপার্জন বা টাকা-পয়সা খরচ করার মাধ্যমে মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র মীলাদুন্নবী ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম অর্থাৎ মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র সাইয়্যিদু সাইয়্যিদিল আ’ইয়াদ শরীফ পালন করেন।’ সুবহানাল্লাহ! তখন ঐ ছেলে তিনি মনে মনে বললেন, নিশ্চয়ই আমার সম্মানিত পিতা-মাতা উনারা অবশ্যই এই সম্মানিত স্থানে রয়েছেন। হঠাৎ মহাপ্রতাপশালী মহান আল্লাহ পাক উনার পক্ষ থেকে কুদরতী আওয়াজ মুবারক আসলেন, আপনারা এই যুবক উনাকে সেখানে প্রবেশ করান। সুবহানাল্লাহ! কেননা উনার পিতা-মাতা আমার নিকট অত্যন্ত সম্মানিত অবস্থায় রয়েছেন এবং উনারা চাচ্ছেন এই ছেলে তিনি যেন প্রবেশ করেন। তখন হযরত ফেরেশতা আলাইহিমুস সালাম উনারা উনাকে সেখানে প্রবেশ করালেন। সুবহানাল্লাহ! অতঃপর তিনি সম্মানিত জান্নাত উনার বাগানের মধ্যে আসলেন। হঠাৎ তিনি উনার সম্মানিতা মাতা উনাকে মহাসম্মানিত কাউছার মুবারক উনার কিনারে এমতঅবস্থায় দেখতে পেলেন যে, উনার সম্মানিতা মাতা তিনি সর্বোত্তম নেককার মহিলা উনাদেরকে ‘শারাবান ত্বহূরা’ পবিত্র পানীয় বা পানি মুবারক পান করাচ্ছেন। সুবহানাল্লাহ! আর উনার সম্মানিতা মাতা উনার পাশে অনেকগুলো মহাসম্মানিত আসন মুবারক উনাদের উপর অনেক মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র মহিলা আলাইহিন্নাস সালাম উনারা বসা রয়েছেন। তখন ঐ ছেলে তিনি একজন হযরত ফেরেশতা আলাইহিস সালাম উনাকে জিজ্ঞাসা করলেন, এই মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র মহিলা আলাইহিন্নাস সালাম উনারা কারা? হযরত ফেরেশতা আলাইহিস সালাম তিনি বললেন, ‘উনারা হচ্ছেন- মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র উম্মুল মু’মিনীন আল ঊলা সাইয়্যিদাতুনা হযরত কুবরা আলাইহাস সালাম তিনি, মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র উম্মুল মু’মিনীন আছ ছালিছাহ্ সাইয়্যিদাতুনা হযরত ছিদ্দীক্বাহ্ আলাইহাস সালাম তিনি, সাইয়্যিদাতুনা হযরত উম্মু রূহিল্লাহ্ আলাইহাস সালাম (সাইয়্যিদাতুনা হযরত মারইয়াম আলাইহাস সালাম) তিনি, সাইয়্যিদাতুনা হযরত রব্বাতু কালীমিল্লাহ্ আলাইহাস সালাম (সাইয়্যিদাতুনা হযরত আসিয়াহ্ আলাইহাস সালাম) তিনি, সাইয়্যিদাতুনা হযরত উম্মু যাবীহিল্লাহ্ আছ ছানিয়াহ্ আলাইহাস সালাম (সাইয়্যিদাতুনা হযরত র্সারাহ্ আলাইহাস সালাম) তিনি এবং সাইয়্যিদাতুনা হযরত উম্মু যাবীহিল্লাহ্ আল ঊলা আলাইহাস সালাম (সাইয়্যিদাতুনা হযরত হাজারাহ্ আলাইহাস সালাম) তিনি।’ সুবহানাল্লাহ! তখন ঐ মহিলা উনার ছেলে তিনি অত্যন্ত আশ্চর্যান্বিত হলেন এবং সামনে অগ্রসর হলেন। হঠাৎ তিনি সেখানে অত্যন্ত নূরানী সুসজ্জিত একটি মহাসম্মানিত খাট মুবারক দেখতে পেলেন। ঐ মহাসম্মানিত খাট মুবারক উনার উপর অত্যন্ত সুন্দর একজন মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র ব্যক্তিত্ব মুবারক অর্থাৎ সাইয়্যিদুল মুরসালীন, ইমামুল মুরসালীন, নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি বসা রয়েছেন। সুবহানাল্লাহ! আর উনার মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র নূরুল আযহার মুবারক (মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র কোল মুবারক) উনার মধ্যে দুইজন মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র যুবক উনারা মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র অবস্থান মুবারক করছেন। সুবহানাল্লাহ! আর উনার কাছাকাছি কতগুলো সম্মানিত আসন মুবারক বিছানো রয়েছেন। সেই সম্মানিত আসন মুবারক উনাদের উপর চারজন অত্যন্ত নেককার ব্যক্তিত্ব মুবারক উনারা বসা রয়েছেন। উনারা হচ্ছেন- সাইয়্যিদুনা হযরত ছিদ্দীক্বে আকবর আলাইহিস সালাম তিনি, সাইয়্যিদুনা হযরত ফারূক্বে আ’যম আলাইহিস সালাম তিনি, সাইয়্যিদুনা হযরত যুন নূরাইন আলাইহিস সালাম তিনি, ইমামুল আউওয়াল সাইয়্যিদুনা হযরত কাররামাল্লাহু ওয়াজহাহূ আলাইহিস সালাম তিনি অর্থাৎ উনারা চারজন। সুবহানাল্লাহ! অনুরূপভাবে ঐ মহাসম্মানিত ব্যক্তিত্ব মুবারক উনার ডান পাশে স্বর্ণের অনেকগুলো সম্মানিত আসন মুবারক রয়েছেন। আসন মুবারকগুলোর উপর সমস্ত হযরত নবী-রসূল আলাইহিমুস সালাম উনারা বসা রয়েছেন। সুবহানাল্লাহ! আর উনার বাম পাশে সমস্ত হযরত আউলিয়ায়ে কিরাম রহমতুল্লাহি আলাইহিম উনারা এবং হযরত শুহাদায়ে ‘ইযাম রহমতুল্লাহি আলাইহিম উনারা বসা রয়েছেন। সুবহানাল্লাহ! আর উনাদের কাছাকাছি রয়েছেন হযরত মুক্বাররবীন ফেরেশতা আলাইহিমুস সালাম উনাদের একটি দল। সুবহানাল্লাহ! হঠাৎ ঐ ছেলে তিনি উনার সম্মানিত পিতা উনাকে নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার পিছনে দাঁড়ানো অবস্থায় দেখলেন যে, তিনি একটি রুমাল হাতে নিয়ে নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র খিদমত মুবারক উনার আনজাম মুবারক দিচ্ছেন। সুবহানাল্লাহ! তারপর ঐ ছেলে তিনি উনার সম্মানিত পিতা উনার নিকট এসে সালাম দিয়ে বললেন, ‘হে আমার সম্মানিত পিতা আপনি কিভাবে এই মর্যাদায় পৌঁছলেন?’ তখন ঐ ব্যক্তি তিনি উনার ছেলেকে চিনতে পেরে দ্রুত উনার দিকে এগিয়ে গিয়ে বুকের সাথে জড়িয়ে নিয়ে বললেন, ‘নিশ্চয়ই মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র মীলাদুন্নবী ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম অর্থাৎ মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র সাইয়্যিদু সাইয়্যিদিল আ’ইয়াদ শরীফ উনার বরকতে আমি এই মর্যাদা মুবারক লাভ করেছি।’ সুবহানাল্লাহ! যখন ঐ ছেলে তিনি উনার দু’চোখ খুললেন এবং ঘুম থেকে জেগে উঠলেন, তখন তিনি উনার বাড়ি এবং সমস্ত আসবাবপত্র বিক্রি করে দিলেন। আর তিনি সেই বিক্রিত অর্থ নিয়ে চাউল, ঘি এবং গোস্ত ক্রয় করে উৎকৃষ্ট খাদ্য রান্না করলেন অর্থাৎ তাবারুক প্রস্তুত করলেন। তারপর সাইয়্যিদু সাইয়্যিদিল আ’ইয়াদ শরীফ উনার সম্মানার্থে বিশেষ মাহফিল মুবারক উনার ইন্তিযাম করে আলিম-উলামা এবং নেককার ব্যক্তিগণ উনাদেরকে খাওয়ালেন। সুবহানাল্লাহ! অতঃপর তিনি এই কাজ শেষ করে মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র মসজিদ মুবারক-এ আসেন এবং সেখানে ত্রিশ বছর যাবৎ মহান আল্লাহ পাক উনার ইবাদত-বন্দেগীতে, সাইয়্যিদু সাইয়্যিদিল আ’ইয়াদ শরীফ পালনে কাটান। সুবহানাল্লাহ! এরপর তিনি ইন্তিকাল করেন। কিছুদিন অতিবাহিত হওয়ার পর এক ব্যক্তি উনাকে স্বপ্নে দেখে উনার অবস্থা সম্পর্কে জিজ্ঞাসা করলেন। তখন তিনি বললেন, ‘মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র মীলাদুন্নবী ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লম অর্থাৎ মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র সাইয়্যিদু সাইয়্যিদিল আ’ইয়াদ শরীফ পালন করার বরকতে আমি আমার সম্মানিত পিতা উনার নিকট পৌঁছেছি অর্থাৎ আমিও আমার সম্মানিত পিতা উনার ন্যায় একই মর্যাদা লাভ করেছি।’ সুবহানাল্লাহ! ঐ ব্যক্তি তিনি ঘুম থেকে জাগ্রত হয়ে এই ওয়াক্বেয়া মুবারক পরবর্তী সম্প্রদায়ের নিকট বর্ণনা করেন।” সুবহানাল্লাহ! (তাযকিরাতুল ওয়ায়েযীন, মীযানুল ই’তিদাল ফী বায়ানিল হাক্কি ওয়াদ দ্বলাল)
-মুহাদ্দিছ মুহম্মদ ইবনে ছিদ্দীকুর রহমান।
এ সম্পর্কিত আরো সংবাদ
-
‘উম্মী’ শব্দ নিয়ে বাতিলপন্থীদের মিথ্যাচারের চূড়ান্ত জবাব (৭)
২৩ নভেম্বর, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুছ সাবত (শনিবার) -
নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার শান মুবারক সম্পর্কিত সংশ্লিষ্ট কতিপয় আয়াত শরীফ (২০)
২৩ নভেম্বর, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুছ সাবত (শনিবার) -
মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র হাদীছ শরীফ উনার মধ্যে বর্ণিত মহাসম্মানিত ১২ খলীফা আলাইহিমুস সালাম (৪)
২২ নভেম্বর, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল জুমুয়াহ (শুক্রবার) -
মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র কুরআন শরীফ উনার মধ্যে বর্ণিত ‘আন নাবিয়্যিল উম্মিয়্যি’ উনার হাক্বীক্বী অর্থ ও তাফসীর মুবারক এবং এ বিষয়ে বদ আক্বীদাহধারীদের কুফরীমূলক বক্তব্যের দলীলভিত্তিক খন্ডনমূলক জবাব (৭)
২২ নভেম্বর, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল জুমুয়াহ (শুক্রবার) -
‘উম্মী’ শব্দ নিয়ে বাতিলপন্থীদের মিথ্যাচারের চূড়ান্ত জবাব (৬)
২২ নভেম্বর, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল জুমুয়াহ (শুক্রবার) -
নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার শান মুবারক সম্পর্কিত সংশ্লিষ্ট কতিপয় আয়াত শরীফ (১৯)
২২ নভেম্বর, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল জুমুয়াহ (শুক্রবার) -
মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র হাদীছ শরীফ উনার মধ্যে বর্ণিত মহাসম্মানিত ১২ খলীফা আলাইহিমুস সালাম (৩)
২১ নভেম্বর, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল খমীছ (বৃহস্পতিবার) -
মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র কুরআন শরীফ উনার মধ্যে বর্ণিত ‘আন নাবিয়্যিল উম্মিয়্যি’ উনার হাক্বীক্বী অর্থ ও তাফসীর মুবারক এবং এ বিষয়ে বদ আক্বীদাহধারীদের কুফরীমূলক বক্তব্যের দলীলভিত্তিক খন্ডনমূলক জবাব (৬)
২১ নভেম্বর, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল খমীছ (বৃহস্পতিবার) -
নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার শান মুবারক সম্পর্কিত সংশ্লিষ্ট কতিপয় আয়াত শরীফ (১৮)
২১ নভেম্বর, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল খমীছ (বৃহস্পতিবার) -
মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র হাদীছ শরীফ উনার মধ্যে বর্ণিত মহাসম্মানিত ১২ খলীফা আলাইহিমুস সালাম (২)
২০ নভেম্বর, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল আরবিয়া (বুধবার) -
মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র কুরআন শরীফ উনার মধ্যে বর্ণিত ‘আন নাবিয়্যিল উম্মিয়্যি’ উনার হাক্বীক্বী অর্থ ও তাফসীর মুবারক এবং এ বিষয়ে বদ আক্বীদাহধারীদের কুফরীমূলক বক্তব্যের দলীলভিত্তিক খন্ডনমূলক জবাব (৫)
২০ নভেম্বর, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল আরবিয়া (বুধবার) -
আলোচনায় বা লেখনীতে নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার মহাসম্মানিত ইসমে যাত বা নাম মুবারক বারবার বলা ও লেখা সম্পূর্ণ আদবের খিলাফ (২)
২০ নভেম্বর, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল আরবিয়া (বুধবার)