মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র উম্মুল মু’মিনীন সাইয়্যিদাতুনা হযরত আস সাবি‘আহ্ আলাইহাস সালাম (২৪)
, ০৭ যিলহজ্জ শরীফ, ১৪৪৪ হিজরী সন, ২৭ আউওয়াল, ১৩৯১ শামসী সন , ২৬ জুন, ২০২৩ খ্রি:, ১২ আষাঢ়, ১৪৩০ ফসলী সন, ইয়াওমুল ইছনাইনিল আযীম (সোমবার) মহিলাদের পাতা
মহান আল্লাহ পাক তিনি ইরশাদ মুবারক করেন,
وَلِلّٰهِ الْاَسْـمَاءُ الْـحُسْنٰـى فَادْعُوْهُ بِـهَا
অর্থ: “মহান আল্লাহ পাক উনার অনেক সুন্দর সুন্দর মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র নাম মুবারক অর্থাৎ মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র লক্বব মুবারক রয়েছেন, তোমরা উনাকে সেই মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র নাম মুবারক অর্থাৎ মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র লক্বব মুবারক দ্বারা উনাকে আহ্বান মুবারক করো।” সুবহানাল্লাহ! (সম্মানিত ও পবিত্র সূরা আ’রাফ শরীফ : সম্মানিত ও পবিত্র আয়াত শরীফ ১৮০)
মহান আল্লাহ পাক তিনি যেমন অসীম, ঠিক তেমনিভাবে উনার মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র লক্বব মুবারক উনাদের সংখ্যাও অসীম। সুবহানাল্লাহ! অনুরূপভাবে মহান আল্লাহ পাক উনার মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র হাবীব মাহবূব, নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি মহান আল্লাহ পাক উনার পরিপূর্ণ ক্বায়িম মাক্বাম হওয়ার কারণে উনার মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র লক্বব মুবারক উনাদের সংখ্যাও অসংখ্য-অগণিত। সুবহানাল্লাহ! এক কথায় তিনি শুধু মহান আল্লাহ পাক তিনি নন; এছাড়া সমস্ত মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র লক্বব মুবারক উনার অধিকারী হচ্ছেন তিনি। সুবহানাল্লাহ! ঠিক একইভাবে মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র উম্মুল মু’মিনীন সাইয়্যিদাতুনা হযরত আস সাবি‘আহ্ আত্বওয়ালুু ইয়াদান আলাইহাস সালাম তিনি নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার সাথে সরাসরি সংশ্লিষ্ট এবং সম্পৃক্ত হওয়ার কারণে অর্থাৎ মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র উম্মুল মু‘মিনীন আলাইহাস সালাম হওয়ার কারণে উনার মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র লক্বব মুবারক উনার সংখ্যাও অসংখ্য-অগণিত। সুবহানাল্লাহ! তিনি শুধু মহান আল্লাহ পাক তিনি নন এবং নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি নন; এছাড়া যত মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র লক্বব মুবারক রয়েছেন, সমস্ত মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র লক্বব মুবারক উনাদের অধিকারিণী হচ্ছেন তিনি। সুবহানাল্লাহ!
এখানে উনার কতিপয় মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র বরকতময় লক্বব মুবারক উল্লেখ করা হলো:
১. اُمُّ الْمُؤْمِنِـيْـنَ عَلَيْهَا السَّلَامُ (মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র উম্মুল মু’মিনীন আলাইহাস সালাম)- একমাত্র যিনি খ¦ালিক্ব মালিক রব মহান আল্লাহ পাক তিনি এবং উনার মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র হাবীব মাহবূব, নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি অর্থাৎ উনারা ব্যতীত সমস্ত হযরত নবী-রসূল আলাইহিমুস সালাম উনারাসহ সমস্ত জিন-ইনসান, তামাম কায়িনাতবাসী সকলের মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র মাতা আলাইহাস সালাম। সুবহানাল্লাহ!
২. اُمُّ الْمُؤْمِنِـيْـنَ اَلسَّابِعَةُ عَلَيْهَا السَّلَامُ (মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র উম্মুল মু‘মিনীন আস সাবি‘আহ্ আলাইহাস সালাম)- সাইয়্যিদুল মুরসালীন, ইমামুল মুরসালীন, খ¦াতামুন নাবিয়্যীন, নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র খিদমত মুবারক-এ মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র তাশরীফ মুবারক নেয়ার ধারাবাহিকক্রম মুবারক অনুযায়ী মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র উম্মুল মু‘মিনীন সাইয়্যিদাতুনা হযরত আস সাবি‘আহ্ আত্বওয়ালু ইয়াদান আলাইহাস সালাম তিনি হচ্ছেন ‘আস সাবি‘আহ্ অর্থাৎ সপ্তম’। এ জন্য উনাকে ‘মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র উম্মুল মু’মিনীন আস সাবি‘আহ্ আলাইহাস সালাম’ বলা হয়। সুবহানাল্লাহ!
৩. اَهْلُ بَـيْتِ رَسُوْلِ اللهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ(আহলু বাইতি রসূলিল্লাহ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম)- নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র হযরত আহলু বাইত শরীফ আলাইহিমুস সালাম উনাদের অন্তর্ভুক্ত। সুবহানাল্লাহ!
৪. سَيِّدَةُ النِّسَاءِ عَلَـى الْعَالَمِـيْـنَ (সাইয়্যিদাতুন নিসায়ি আলাল আলামীন)- সারা কায়িনাতে যত মহিলা রয়েছেন উনাদের প্রত্যেকের সাইয়্যিদাহ্। সুবহানাল্লাহ!
৫. سَيِّدَةُ نِسَاءِ اَهْلِ الْـجَنَّةِ (সাইয়্যিদাতু নিসায়ি আহলিল জান্নাহ)- জান্নাতবাসী সমস্ত মহিলাগণ উনাদের সাইয়্যিদাহ্। সুবহানাল্লাহ!
৬. اَطْوَلُ يَدَانِ (আত্বওয়ালুু ইয়াদান)- প্রশস্ত হাত মুবারক উনার অধিকারিণী, সীমাহীন দানশীল।
৭. اُمُّ الْـحَكَمِ (উম্মুল হাকাম)- অত্যন্ত তীক্ষ্ম সমঝ, সীমাহীন ইলিম ও হিকমত মুবারক উনাদের অধিকারিণী, মালিক।
৮. اَوَّاهَةٌ (আওওয়াহাহ্)- অত্যন্ত নরম দিল মুবারক উনার অধিকারিণী।
৯. اٰيَةُ اللهِ (আয়াতুল্লাহ)- মহান আল্লাহ পাক উনার সম্মানিত নিদর্শন মুবারক।
১০. اَلْبُشْرٰى (আল বুশরা)- সম্মানিত সুসংবাদ মুবারক, সম্মানিত সুসংবাদ মুবারক দানকারিণী।
১১. جَامِعةُ النِّعْمَةِ وَالنِّسْبَةِ (জামি‘য়াতুন নি’মাতি ওয়ান নিসবাহ্)- সমস্ত সম্মানিত নি‘য়ামত মুবারক ও নিবসত মুবারক উনাদের মালিক, সমস্ত সম্মানিত নি‘য়ামত মুবারক ও নিবসত মুবারক দানকারিণী।
১২. اَلْـحَافِظَةُ (আল হাফিযাহ্)- সর্বোত্তম হিফাযতকারিণী, সর্বশ্রেষ্ঠ সংরক্ষণকারিণী।
১৩. اَلْـحَامِدَةُ (আল হামিদাহ)- সর্বোত্তম প্রশংসাকারিণী।
১৪. حَبِيْبَةُ اللهِ (হাবীবাতুল্লাহ)- মহান আল্লাহ পাক উনার হাবীবাহ্।
১৫. اَلْـحَلِـيْمَةُ (আল হালীমাহ্)- পরম ধৈর্যশীলা, মহাসহনশীলা।
১৬. اَلْـخَالِصَةُ (আল খ¦ালিছাহ্)- খ¦ালিছাহ্, পূত-পবিত্রা, পবিত্রতা দানকারিণী।
১৭. اَلْـخَبِـيْـرَةُ (আল খ¦বীরাহ্)- মহাবিচক্ষণা।
১৮. اَلْـخَلِـيْلَةُ (আল খ¦লীলাহ্)- আখাছ্ছুল খাছ মাহবূবাহ্।
১৯. خَلِـيْلَةُ الرَّحْـمٰنِ (খ¦লীলাতুর রহমান)- মহান আল্লাহ উনার আখাছ্ছুল খাছ মাহবূবাহ্।
২০. اَلذَّاكِرَةُ (আয যাকিরাহ্)- সর্বোত্তম যিকিরকারিণী।
২১. ذِكْرُ اللهِ (যিক্রুল্লাহ্)- মহান আল্লাহ পাক উনার সম্মানিত যিকির মুবারক। অর্থাৎ মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র উম্মুল মু‘মিনীন আস সাবি‘আহ্ সাইয়্যিদাতুনা হযরত আত্বওয়ালুু ইয়াদান আলাইহাস সালাম তিনি নিজেই যিকরুল্লাহ্। সুবহানাল্লাহ!
২২. ذَاتُ الْـخُلُقِ الْعَظِيْمِ (যাতুল খুলুক্বিল আযীম)- সর্বোত্তম সুমহান চরিত্র মুবারক উনার অধিকারিণী।
২৩. ذَاتُ السَّكِـيْنَةِ (যাতুস সাকীনাহ্)- সাকীনাহ্, শান্তি, প্রশান্তি, ইতমিনান মুবারক উনাদের মালিক।
২৪. ذَاتُ الْعِزَّةِ (যাতুল ইযযাহ্)- সম্মানিত ইয্যত মুবারক উনার মালিক।
২৫. ذَاتُ الْفَضْلِ (যাতুল ফাদ্বল)- সম্মানিত ফযল মুবারক উনার মালিক।
২৬. ذَاتُ الْـهِجْرَتَـيْـنِ (যাতুল হিজরাতাইন)- সম্মানিত দুই হিজরত মুবারক উনাদের মালিক। সুবহানাল্লাহ! যেহেতু তিনি প্রথমবার হাবশায় এবং দ্বিতীয়বার মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র মদীনা শরীফ উনার মধ্যে মহাসম্মানিত হিজরত মুবারক করেন, তাই উনার একখানা মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র বিশেষ লক্বব মুবারক হচ্ছেন যাতুল হিজরতাইন অর্থাৎ মহাসম্মানিত দুই হিজরত মুবারক উনাদের মালিক। সুবহানাল্লাহ!
২৭. اَلرَّافِعَةُ (আর রাফি‘য়াহ্)- সুউচ্চ মর্যাদা-মর্তবা মুবারক উনার অধিকারিণী এবং সুউচ্চ মর্যাদা-মর্তবা মুবারক দানকারিণী।
২৮. رَحْـمَةُ الْاُمَّةِ (রহমাতুল উম্মাহ্)- সমস্ত উম্মতের জন্য সম্মানিত রহমত মুবারক।
২৯. لِّـلْـعَـالَـمِـيْـنَ رَحْـمَةٌ (রহমাতুল্লিল আলামীন)- সমস্ত আলমের জন্য সম্মানিত রহমত মুবারক।
৩০. رَفِـيْقَةُ اللهِ (রফীক্বতুল্লাহ্)- মহান আল্লাহ পাক উনার রফীক্বাহ্, হাবীবাহ্।
৩১. رَفِـيْعَةُ الدَّرَجَاتِ (রফী‘য়াতুদ দারাজাত)- সকল সুউচ্চ সুমহান মর্যাদা-মর্তবা ও মাক্বামাত মুবারক উনাদের মালিক।
৩২. اَلزَّاهِدَةُ (আয যাহিদাহ্)- দুনিয়াবিরাগিণী, মহান আল্লাহ পাক উনার দিকে দায়িমীভাবে রুজু, মহান আল্লাহ পাক উনার দিকে দায়িমীভাবে রুজু করানে ওয়ালা।
৩৩. اَلـزَّكِـيَّةُ (আয যাকিয়্যাহ)- পূত-পবিত্রা, মহাবিচক্ষণা।
৩৪. اَلسَّابِقَةُ بِالْـخَـيْـرَاتِ (আস সাবিক্বাতু বিল খইরাত)- খইর, কল্যাণ, ভালাই ইত্যাদি সর্ববিষয়ে অগ্রগামিণী।
৩৫. اَلسَّاجِدَةُ (আস সাজিদাহ্)- সর্বোত্তম সিজদাকারিণী।
৩৬. اَلسَّخِيَّةُ(আস সাখি¦য়্যাহ্)- মহাদানশীলা।
৩৭. اَلسَّعِـيْدَةُ (আস সাঈদাহ)- সর্বশ্রেষ্ঠ সুখী, সর্বশ্রেষ্ঠ নেকবখ্ত, সৌভাগ্যবান।
৩৮. اَلسَّلَامُ (আস সালাম)- সর্বশ্রেষ্ঠ শান্তিদাতা।
৩৯. اَلسَّـيِّدَةُ (আস সাইয়্যিদাহ্)- সাইয়্যিদাহ্, সর্বশ্রেষ্ঠা।
৪০. سَيِّدَةُ الثَّقَلَـيْـنِ (সাইয়্যিদাতুছ ছাক্বলাইন)- দুই প্রধান সৃষ্টিজীব- জিন ও ইনসানের সাইয়্যিদাহ্।
৪১. سَـيِّـدَةُ الْكَوْنَـيْـنِ (সাইয়্যিদাতুল কাওনাঈন)- উভয় জগতের সাইয়্যিদাহ্।
৪২. اَلشَّافِعَةُ (আশ শাফি‘য়াহ্)- সর্বোত্তম সুপারিশকারিণী, সর্বশ্রেষ্ঠ শাফা‘য়াতকারিণী।
৪৩. اَلشَّافِـيَةُ (আশ শাফিয়াহ্)- শিফাদানকারিণী, আরোগ্যদানকারিণী, সমস্ত উম্মতের জন্য যাহিরী-বাতিনী আরোগ্যদানকারিণী।
৪৪. اَلشَّاكِرَةُ (আশ শাকিরাহ্)- যথার্থ পুরস্কারদানকারিণী, যথাযথ শুকরিয়া আদায়কারিণী।
৪৫. اَلشَّاهِدَةُ (আশ শাহিদাহ্)- উপস্থিত, হাযির-নাযির, সাক্ষ্যদানকারিণী।
৪৬. اَلشَّرِيْفَةُ (আশ শারীফাহ্)- সর্বোচ্চ শরীফ, সর্বোচ্চ মর্যাদাবান, সর্বোচ্চ সম্ভ্রান্তশীলা।
৪৭. اَلصَّابِرَةُ (আছ ছাবিরহ্)- চরম ধৈর্যশীলা।
৪৮. اَلصَّاحِبَةُ (আছ ছাহিবাহ্)- মালিক, অধিকারিণী।
৪৯. صَاحِبَةُ الشَّفَاعَةِ (ছাহিবাতুশ শাফা‘আহ্)- মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র শাফা‘আত মুবারক উনার মালিক।
৫০. صَاحِبَةُ الْفَضِيْلَةِ (ছাহিবাতুল ফাদ্বীলাহ্)- সম্মানিত ফযীলত মুবারক উনার মালিক।
৫১. صَاحِبَةُ الْـخَيْرِ (ছাহিবাতুল খইর)- সমস্ত কল্যাণ মুবারক উনাদের মালিক।
৫২. صَاحِبَةُ الْكَوْثَرِ (ছাহিবাতুল কাওছার)- সম্মানিত কাওছার মুবারক উনার মালিক, সম্মানিত খাইরে কাছীর মুবারক অর্থাৎ সমস্ত সম্মানিত ভালাই বা কল্যাণ মুবারক উনাদের মালিক।
৫৩. صَاحِبَةُ الدَّرَجَةِ الْعَالِـيَةِ الرَّفِـيْعَةِ (ছাহিবাতুদ দারাজাতিল আলিয়াতির রফী‘য়াহ্) সুউচ্চ সুমহান সম্মানিত দারাজাত অর্থাৎ সম্মান ও মাক্বামাত মুবারক উনার মালিক।
৫৪. اَلطَّاهِرَةُ (আত্ব ত্বাহিরাহ)- পূত-পবিত্রা, পূত-পবিত্রতাদানকারিণী।
৫৫. اَلظَّاهِرَةُ (আয যাহিরাহ্)- অত্যন্ত সুস্পষ্ট, উজ্জ্বল, সুউচ্চ মর্যাদাবান, সর্বশ্রেষ্ঠ বিজয়িনী।
৫৬. اَلْعَادِلَةُ (আল আদিলাহ্)- চরম ন্যায়বিচারকারিণী, চরম ন্যায়পরায়ণা।
৫৭. اَلْعَارِفَةُ (আল আরিফাহ্)- পরিচিত, অবহিত, জ্ঞাত। অর্থাৎ মহান আল্লাহ পাক উনার হাক্বীক্বী সম্মানিত পরিচয় মুবারক লাভকারিণী, মহান আল্লাহ পাক উনার হাক্বীক্বী সম্মানিত পরিচয় মুবারক দানকারিণী।
৫৮. اَلْعَافِـيَةُ (আল আফিয়াহ্)- মাফকারিণী, ক্ষমাকারিণী।
৫৯. اَلْعَالِـمَةُ (আল আলিমাহ্)- আলিমাহ্, মহাজ্ঞানী।
৬০. اَلْعَلِـيْمَةُ (আল আলীমাহ্)- আলীমাহ্, সর্বজ্ঞাত।
৬১. اَلْعَزِيْزَةُ (আল আযীযাহ্)- মাহবূবাহ্, মহাসম্মানিতা, বেমেছাল মর্যাদা-মর্তবা ও প্রভাব-প্রতিপত্তি মুবারক উনার অধিকারিণী, মালিক।
৬২. اَلْعَلِـيَّةُ (আল আলিয়্যাহ্)- সুউচ্চ, মহামর্যাদাবান, মহাসম্মানিতা।
৬৩. اَلْغَالِـبَةُ (আল গ¦ালিবাহ্)- গ¦ালিবাহ্, মহাবিজয়িনী, সর্বাধিক প্রাধান্য বিস্তারকারিণী।
৬৪. اَلْغَـنِـيَّةُ (আল গ¦নিয়্যাহ্)- মহাসম্পদশালিনী, মহাধনী, অমুখাপেক্ষী, বেনিয়াজ।
৬৫. اَلْفَاضِلَةُ (আল ফাদ্বিলাহ্)- মহাসম্মানিতা, সুউচ্চ মর্যাদা-মর্তবা মুবারক উনার অধিকারিণী, সর্বশ্রেষ্ঠা, সর্বসেরা।
৬৬. اَلْفَائِـقَةُ (আল ফায়িক্বাহ্)- সর্বশ্রেষ্ঠা, অনন্যা।
৬৭. اَلْفَارِقَةُ (আল ফারিক্বাহ্)- হক্ব ও নাহক্বের মাঝে পার্থক্যকারিণী।
৬৮. اَلْفَصِيْحَةُ (আল ফাছীহাহ্)- সুভাষিণী, বিশুদ্ধভাষিণী।
৬৯. اَلْقَاسِـمَةُ (আল ক্বাসিমাহ্)- বণ্টনকারিণী।
৭০. اَلْقَائِدَةُ (আল ক্বায়িদাহ্)- সাইয়্যিদাহ্, মহানপরিচালিকা, সম্মানিত হিদায়াত উনার পথে পরিচালনাকারিণী।
৭১. قَائِدَةُ الْـخَـيْـرِ (ক্বায়িদাতুল খইর)- কল্যাণের দিকে পরিচালনাকারিণী, যিনি সবাইকে কল্যাণের দিকে নিয়ে যান।
৭২. قَائِدَةُ اِلَـى اللهِ (ক্বায়িদাতু ইলাল্লাহ)- মহান আল্লাহ পাক উনার দিকে পরিচালনাকারিণী, যিনি সবাইকে মহান আল্লাহ পাক উনার দিকে নিয়ে যান।
৭৩. قَائِدَةُ اِلـٰى رَسُوْلِ اللهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ (ক্বায়িদাতু ইলা রসূলিল্লাহ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম)- নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার দিকে পরিচালনাকারিণী, যিনি সবাইকে নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার দিকে নিয়ে যান।
৭৪. اَلْقَرِيْـبَةُ (আল ক্বরীবাহ্)- চিরনিকটবর্তী, অতি নিকটস্থ, অতি ঘনিষ্ঠ।
৭৫. اَلْقَوِيَّـةُ (আল ক্বওইয়াহ্)- সর্বশক্তিমান, মহাশক্তিধর।
৭৬. اَلْكَامِلَةُ (আল কামিলাহ্)- পরিপূর্ণ, পরিপূর্ণতাদানকারিণী।
৭৭. اَلْكَرِيْـمَةُ (আল কারীমাহ্)- মহাসম্মানিতা, মহামর্যাদাবান, মহাদানশীলা।
৭৮. اَلْمُؤْتَـمَنَةُ (আল মু’তামানাহ্)- চির বিশ্বস্ত, সর্বশ্রেষ্ঠা আমানতদার, আমানতের যথাযথ হিফাযতকারিণী।
৭৯. اَلْمَأْمُوْنَةُ (আল মা’মূনাহ্)- নিরাপদ, চির বিশ্বস্ত, আমানদানকারী, নিরাপত্তাদানকারী।
৮০. اَلْـمُؤْمِنَةُ (আল মু’মিনাহ্)- সর্বশ্রেষ্ঠা ঈমানদার, সর্বশ্রেষ্ঠা মু’মিনাহ্, সম্মানিত ঈমান মুবারক দানকারিণী।
৮১. مَأْوَى الْمَسَاكِـيْـنِ (মা’ওয়াল মাসাকীন)- গরীব-মিসকীনদের আশ্রয়স্থল।
৮২. اَلْمَاجِدَةُ (আল মাজিদাহ)- গৌরবময়ী, মহামর্যাদাবান, মহান, গৌরবান্বিত, মর্যাদাদানকারিণী।
৮৩. اَلْمُبَارِكَةُ (আল মুবারিকাহ্)- বরকতদানকারিণী, কল্যাণদানকারিণী।
৮৪. اَلْمُبَارَكَةُ (আল মুবারকাহ্)- বরকতময়, কল্যাণময়।
৮৫. اَلْـمُبَشِّرَةُ (আল মুবাশশিরাহ্)- সুসংবাদদানকারিণী।
৮৬. اَلْمُبَلِّغَةُ (আল মুবাল্লিগহ্)- সম্মানিত দ্বীন উনার প্রতি আহ্বানকারিণী।
৮৭. اَلْمُتَبَسِّمَةُ (আল মুতাবাসসিমাহ্)- হাস্যোজ্জ্বল, যিনি মুচকি হাসি মুবারক দেন।
৮৮. اَلْمُجَاهِدَةُ (আল মুজাহিদাহ্)- মুজাহিদাহ্, জেহাদকারিণী।
৮৯. اَلْمُجِيْبَةُ (আল মুজীবাহ্)- জবাবদানকারিণী, সাড়াদানকারিণী, ক্ববূলকারিণী।
৯০. اَلْمَجِيْدَةُ (আল মাজীদাহ্)- মহামর্যাদাবান, মহীয়ান, গৌরবান্বিত, গৌরবময়ী।
৯১. اَلْمَحْمُوْدَةُ (আল মাহমূদাহ্)- চরম প্রশংসিত।
৯২. اَلْمُخْتَارَةُ (আল মুখ¦তারহ্)- মনোনীত, সর্বশ্রেষ্ঠা, শ্রেষ্ঠত্বদানকারিণী।
৯৩. اَلْمُخْتَصَّةُ (আল মুখতাচ্ছাহ্)- বিশেষ ব্যক্তিত্বা মুবারক, আখাছ্ছুল খাছ ব্যক্তিত্বা মুবারক।
৯৪. اَلْـمَخْصُوْصَةُ بِالعِزَّةِ (আল মাখ¦ছূছাতু বিল ইয্যাহ্)- বিশেষ সম্মান-ইয্যত মুবারক উনার অধিকারিণী, আখাছ্ছুল খাছ সম্মান-ইয্যত, মর্যাদা-মর্তবা মুবারক উনাদের মালিক।
৯৫. اَلْـمُرْشِدَةُ (আল মুরশিদাহ্)- সৎ পথ প্রদর্শনকারিণী, হিদায়াতদানকারিণী।
৯৬. اَلْـمُزَكِّـيَةُ (আল মুযাক্কিয়াহ্)- তাযকিয়াহ্ দানকারিণী, পবিত্রতা দানকারিণী।
৯৭. اَلْـمُسْتَجِيْبَةُ (আল মুস্তাজীবাহ্)- সাড়া দানকারিণী, জবাব দানকারিণী।
৯৮. اَلْمُسْتَفِيْضَةُ (আল মুস্তাফীযাহ্)- ফয়েয দানকারিণী।
৯৯. اَلْمُسْتَقِيْمَةُ (আল মুস্তাক্বীমাহ্)- সরল, সঠিক, ইস্তিকামত রাখনে ওয়ালা।
১০০. اَلْمَسْعُوْدَةُ (আল মাস‘ঊদাহ্)- সৌভাগ্যশীলা, সর্বশ্রেষ্ঠা ভাগ্যবান, সৌভাগ্য দানকারিণী।
১০১. اَلْمَشْهُوْدَةُ (আল মাশহূদাহ্)- উপস্থিত, হাযির-নাযির।
১০২. اَلْـمُشَفَّعَةُ (আল মুশাফ্ফা‘আহ্)- যেই সুমহান ব্যক্তিত্বা মুবারক উনার সুপারিশ ক্ববূল করা হয়।
১০৩. اَلْمُصْلِحَةُ (আল মুছলিহাহ্)- ইছলাহ্ দানকারিণী, সংশোধনকারিণী।
১০৪. اَلْمُصَدِّقَةُ (আল মুছদ্দিক্বাহ্)- সত্যায়নকারিণী।
১০৫. مُطَهَّرٌ (মুত্বহ্হার)- পূত-পবিত্রা।
১০৬. مُطَهِّرٌ (মুত্বহ্হির)- পূত-পবিত্রতা দানকারিণী।
১০৭. اَلْمَعْرُوْفَةُ (আল মা’রূফাহ্)- পরিচিত, প্রসিদ্ধ, মশহূর।
১০৮. اَلْـمُعَزَّزَةُ (আল মু‘আয্যাযাহ্)- মহাসম্মানিতা, মহামর্যাদাবান, সম্মান দানকারিণী, মর্যাদা দানকারিণী।
১০৯. اَلْمَعْشُوْقَةُ (আল মা’শূক্বাহ্)- মা’শূক্বাহ্, সকলের নিকট সর্বাধিক মাহবূবাহ্।
১১০. اَلْمُعَظَّمَةُ (আল মু’য়ায্যামাহ্)- মহাসম্মানিতা, মহামর্যাদাবান, সম্মান দানকারিণী, মর্যাদা দানকারিণী।
১১১. اَلْمُعَلِّمَةُ (আল মু‘য়াল্লিমাহ্)- মু‘য়াল্লিমাহ্, তা’লীম দানকারিণী।
১১২. اَلْمُعِيْنَةُ (আল মু‘ঈনাহ্)- সর্বশ্রেষ্ঠ সাহায্যকারিণী।
১১৩. اَلْـمُقَدِّسَةُ (আল মুক্বদ্দিসাহ্)- উৎসর্গকারিণী, পবিত্রতা দানকারিণী।
১১৪. اَلْـمُقَدَّسَةُ (আল মুক্বাদ্দাসাহ্)- উৎসর্গকৃত, মহাপবিত্রা, পবিত্রতা দানকারিণী।
১১৫. اَلْمُكَـرَّمَةُ (আল মুর্কারমাহ্)- মহাসম্মানিতা, সম্মান দানকারিণী।
১১৬. اَلْمَالِكُ (আল মালিক)- মালিক, অধিকারী।
১১৭. مَالِكُ الْـجَنَّةِ (মালিকুল জান্নাহ্)- সম্মানিত জান্নাত মুবারক উনার মালিক।
১১৮. مَالِكُ الْكَائِنَاتِ (মালিকুল কায়িনাত)- সমস্ত কায়িনাতের মালিক।
১১৯. مَالِكُ الدُّنْيَا وَالْاٰخِرَةِ (মালিকুদ দুনিয়া ওয়াল আখিরাহ্)- দুনিয়া এবং আখিরাতের মালিক।
১২০. مَالِكُ جَامِعِ النِّعَمِ(মালিকু জামিয়িন নি‘য়াম)- সমস্ত সম্মানিত নি‘য়ামত মুবারক উনাদের মালিক।
১২১. مِنَّةُ اللهِ (মিন্নাতুল্লাহ)- মহান আল্লাহ পক উনার সর্বশ্রেষ্ঠ অনুগ্রহ মুবারক।
১২২. اَلْـمُنْذِرَةُ (আল মুনযিরহ্)- ভীতিপ্রদর্শনকারিণী, সতর্ককারিণী।
১২৩. اَلْـمُنِيْبَةُ (আল মুনীবাহ্)- মালিক, মুনীবাহ্, সমস্ত কায়িনাত যেই সুমহান ব্যক্তিত্বা মুবারক উনার গোলাম।
১২৪. اَلْـمُغِـيْثَةُ (আল মুগীছাহ্)- সর্বশ্রেষ্ঠ সাহায্যকারিণী, ত্রাণকর্তা, উদ্ধারকারিণী।
১২৫. اَلْـمُنِـيْـرَةُ (আল মুনীরহ্)- আলোদানকারিণী, উজ্জ্বল, নূর দানকারিণী, হিদায়াত দানকারিণী, ফয়েয দানকারিণী, সম্মানিত রহমত মুবারক দানকারিণী।
১২৬. اَلْمَوْعِظَةُ (আল মাওয়িযহ্)- সর্বশ্রেষ্ঠ নছীহতকারিণী।
১২৭. اَلْمُهَذَّبَةُ (আল মুহায্যাবাহ্)- পূত-পবিত্রা, মহাপবিত্রা, পবিত্রতা দানকারিণী।
১২৮. اَلنَّاصِحَةُ (আন নাছিহাহ্)- সর্বশ্রেষ্ঠ নছীহতকারিণী, উপদেশ দানকারিণী।
১২৯. اَلنِّعْمَةُ (আন নি’মাহ্)- সর্বশ্রেষ্ঠ নি‘য়ামত মুবারক।
১৩০. نِعْمَةُ اللهِ (নি’মাতুল্লাহ্)- মহান আল্লাহ পাক উনার পক্ষ থেকে সর্বশ্রেষ্ঠ নি‘য়ামত মুবারক।
১৩১. اَلنَّقِيْبَةُ (আন নাক্বীবাহ্)- সাইয়্যিদাহ্।
১৩২. اَلنُّوْرُ (আন নূর)- নূর মুবারক।
১৩৩. نُوْرُ اللهِ (নূরুল্লাহ্)- মহান আল্লাহ পাক উনার সম্মানিত নূর মুবারক।
১৩৪. نُوْرُ الْكَائِنَاتِ (নূরুল কায়িনাত)- সমস্ত কায়িনাতের জন্য নূর মুবারক, আলোকবর্তিকা।
১৩৫. اَلْـهَادِيَةُ (আল হাদিয়াহ্)- সর্বশ্রেষ্ঠ হিদায়াতকারিণী।
১৩৬. هَدِيَّـةُ اللهِ (হাদিয়্যাতুল্লাহ্)- মহান আল্লাহ পাক উনার পক্ষ থেকে মহাসম্মানিত হাদিয়া মুবারক, তোহফা মুবারক।
১৩৭. اَلْوَاسِعَةُ (আল ওয়াসি‘আহ্)- সীমাহীন ইলিম মুবারক উনার অধিকারিণী, মহাদানশীলা।
১৩৮. اَلْوَاعِظَةُ (আল ওয়া‘য়িযহ্)- সর্বশ্রেষ্ঠ ওয়ায়েজ, নছীহতকারিণী, উপদেশ দানকারিণী।
১৩৯. اَلْوَافِـيَةُ (আল ওয়াফীয়াহ্)- পরিপূর্ণ, পরিপূর্ণতা দানকারিণী।
১৪০. اَلْوَسِيْلَةُ (আল ওয়াসীলাহ)- সর্বশ্রেষ্ঠ ওয়াসীলাহ মুবারক, সর্বশ্রেষ্ঠ মাধ্যম মুবারক।
এছাড়াও অসংখ্য-অগণিত মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র লক্বব মুবারক উনাদের মালিক হচ্ছেন মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র উম্মুল মু’মিনীন সাইয়্যিদাতুনা হযরত আস সাবি‘আহ্ আত্বওয়ালুু ইয়াদান আলাইহাস সালাম তিনি। সুবহানাল্লাহ!
মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র শৈশবকাল মুবারক
মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র উম্মুল মু’মিনীন সাইয়্যিদাতুনা হযরত আস সাবি‘আহ্ আত্বওয়ালুু ইয়াদান আলাইহাস সালাম তিনি উনার মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র শৈশবকাল মুবারক উনার মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র পিতা-মাতা আলাইহিমাস সালাম উনাদের সাথে এবং উনার সম্মানিত ভাই-বোন উনাদের সাথে মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র মক্কা শরীফ উনার মধ্যে অতিবাহিত করেন। সুবহানাল্লাহ!
মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র ঈমান মুবারক প্রকাশ:
মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র উম্মুল মু’মিনীন সাইয়্যিদাতুনা হযরত আস সাবি‘আহ্ আত্বওয়ালুু ইয়াদান আলাইহাস সালাম তিনি সম্মানিত দ্বীন ইসলাম উনার সূচনালগ্নেই সম্মানিত দ্বীন ইসলাম গ্রহণ করেন এবং মহাসম্মানিত ও মহাপবত্রি ঈমান মুবারক প্রকাশ করেন। সুবহানাল্লাহ! এই সম্পর্কে আল্লামা হযরত ইবনে আছীর রহমতুল্লাহি আলাইহি তিনি উনার বিশ্বখ্যাত কিতাব ‘উসদুল গ¦বাহ্ শরীফ’ উনার মধ্যে বলেন,
وَكَانَتْ قَدِيْـمَةَ الْاِسْلَامِ
অর্থ: “মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র উম্মুল মু’মিনীন সাইয়্যিদাতুনা হযরত আস সাবি‘আহ্ আত্বওয়ালুু ইয়াদান আলাইহাস সালাম তিনি সম্মানিত দ্বীন ইসলাম উনার সূচনালগ্নে সম্মানিত ইসলাম গ্রহণ করেন, মহাসম্মানিত ও মহপবিত্র ঈমান মুবারক প্রকাশ করেন।” সুবহানাল্লাহ! (উস্দুল গবাহ্ ৭/১২৬)
হাবশায় মহাসম্মানিত হিজরত মুবারক:
মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র উম্মুল মু’মিনীন সাইয়্যিদাতুনা হযরত আস সাবি‘আহ্ আত্বওয়ালুু ইয়াদান আলাইহাস সালাম তিনি উনার তিন ভাই ও দুই বোনসহ হাবশায় দুই বার মহাসম্মানিত হিজরত মুবারক করেন। সুবহানাল্লাহ! এই সম্পর্কে কিতাবে বর্ণিত রয়েছেন,
اَسْلَمَ قَبْلَ دُخُوْلِ رَسُوْلِ اللهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ دَارَ الْاَرْقَمِ وَهَاجَرَ الْـهِجْرَتَـيْـنِ اِلـٰى اَرْضِ الْـحَبَشَةِ هُوَ وَاَخَوَاهُ سَيِّدُنَا حَضْرَتْ اَبُوْ اَحْـمَدَ رَضِىَ اللهُ تَعَالـٰى عَنْهُ وُعُـبَيْدُ اللهِ وَاُخْتُهُمْ اُمُّ الْمُؤْمِنِـيْـنَ سَيِّدَتُنَا حَضْرَتْ اَلسَّابِعَةُ اَطْوَلُ يَدَانِ عَلَيْهَا السَّلَامُ (سَيِّدَتُنَا حَضْرَتْ زَيْنَبُ بِنْتُ جَحْشٍ عَلَيْهَا السَّلَامُ) وَسَيِّدَتُنَا حَضْرَتْ اُمُّ حَبِيْبَةَ رَضِىَ اللهُ تَعَالـٰى عَنْهَا وسَيِّدَتُنَا حَضْرَتْ حَـمْنَةُ بِنْتُ جَحْشٍ رَضِىَ اللهُ تَعَالـٰى عَنْهَا فَاَمَّا عُـبَيْدُ اللهِ فَاِنَّه تَنَصَّرَ بِالْـحَبَشَةِ وَمَاتَ بِالْـحَبَشَةِ نَصْرَانِـيًّا
অর্থ: “নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি ‘দারুল আরক্বামে’ মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র তাশরীফ মুবারক গ্রহণ করার পূর্বেই সাইয়্যিদুনা হযরত আব্দুল্লাহ ইবনে জাহ্শ রদ্বিয়াল্লাহু তা‘য়ালা আনহু তিনি সম্মানিত ও পবিত্র দ্বীন ইসলাম গ্রহণ করেন। সুবহানাল্লাহ! তিনি, উনার ভাই সাইয়্যিদুনা হযরত আবূ আহমাদ রদ্বিয়াল্লাহু তা‘য়ালা আনহু তিনি, উবাইদুল্লাহ এবং উনাদের মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র বোন মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র উম্মুল মু’মিনীন সাইয়্যিদাতুনা হযরত আস সাবি‘আহ্ আত্বওয়ালুু ইয়াদান আলাইহাস সালাম তিনি, সাইয়্যিদাতুনা হযরত উম্মু হাবীবাহ্ বিনতে জাহ্শ রদ্বিয়াল্লাহু তা‘য়ালা আনহা তিনি ও সাইয়্যিদাতুনা হযরত হামনাহ্ বিনতে জাহ্শ রদ্বিয়াল্লাহু তা‘য়ালা আনহা তিনি অর্থাৎ উনারা হাবশায় দুই বার মহাসম্মানিত হিজরত মুবারক করেন। সুবহানাল্লাহ! উবাইদুল্লাহ সেখানে খ্রিষ্টান ধর্ম গ্রহণ করে এবং খ্রিষ্টান অবস্থায় মারা যায়।” না‘ঊযুবিল্লাহ! (উস্দুল গ¦বাহ্ ২/৮৯, তাহ্যীবুল আসমা লিন নববী ১/২৬২)
মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র মদীনা শরীফ উনার মধ্যে মহাসম্মানিত হিজরত মুবারক
মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র উম্মুল মু’মিনীন সাইয়্যিদাতুনা হযরত আস সাবি‘আহ্ আত্বওয়ালুু ইয়াদান আলাইহাস সালাম তিনি হাবশা থেকে মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র মক্কা শরীফ-এ মহাসম্মানিত তাশরীফ মুবারক গ্রহণ করেন। তারপর তিনি সেখান থেকে মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র মদীনা শরীফ মহাসম্মানিত হিজরত মুবারক করেন। সুবহানাল্লাহ! এই সম্পর্কে আল্লামা ইবনে কাছীর রহমাতুল্লাহি আলাইহি তিনি বলেন,
كَانَتْ اُمُّ الْمُؤْمِنِـيْـنَ سَيِّدَتُنَا حَضْرَتْ اَلسَّابِعَةُ اَطْوَلُ يَدَانِ عَلَيْهَا السَّلَامُ (سَيِّدَتُنَا حَضْرَتْ زَيْـنَبُ بِنْتُ جَحْشِ بْنِ رِئَابٍ عَلَيْهَا السَّلَامُ) مِنَ الْمُهَاجِرَاتِ الْاُوَلِ
অর্থ: “মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র উম্মুল মু’মিনীন সাইয়্যিদাতুনা হযরত আস সাবি‘আহ্ আত্বওয়ালুু ইয়াদান আলাইহাস সালাম তিনি ছিলেন সর্বপ্রথম হিজরতকারী মহিলাগণ উনাদের মধ্যে অন্যতম।” সুবহানাল্লাহ! (বিদায়া-নিহায়া ৪/১৬৯)
সম্মানিত প্রথম শাদী মুবারক
মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র উম্মুল মু’মিনীন সাইয়্যিদাতুনা হযরত আস সাবি‘আহ্ আত্বওয়ালুু ইয়াদান আলাইহাস সালাম উনার প্রথম শাদী মুবারক হন সাইয়্যিদুনা হযরত যায়েদ ইবনে হারিছাহ্ রদ্বিয়াল্লাহু তা‘য়ালা আনহু উনার সাথে। স্বয়ং নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র উম্মুল মু’মিনীন সাইয়্যিদাতুনা হযরত আস সাবি‘আহ্ আত্বওয়ালুু ইয়াদান আলাইহাস সালাম উনার নিকট এই শাদী মুবারক উনার প্রস্তাব মুবারক পেশ করেন। মূলত, নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র নির্দেশ মুবারক উনার কারণে মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র উম্মুল মু’মিনীন সাইয়্যিদাতুনা হযরত আস সাবি‘আহ্ আত্বওয়ালুু ইয়াদান আলাইহাস সালাম তিনি এই সম্মানিত শাদী মুবারক-এ সম্মতি প্রকাশ করেন। উনার পরিবারের কেউ কেউ ‘কুফূর’ বিষয়টি নিয়ে ফিকির করেছিলেন যে, মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র উম্মুল মু’মিনীন সাইয়্যিদাতুনা হযরত আস সাবি‘আহ্ আত্বওয়ালুু ইয়াদান আলাইহাস সালাম তিনি বনূ আসাদ গোত্রের এবং তিনি হচ্ছেন সরাসরি নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র আপন ফুফাতো বোন আলাইহাস সালাম। আর সাইয়্যিদুনা হযরত যায়েদ ইবনে হারিছাহ্ রদ্বিয়াল্লাহু তা‘য়ালা আনহু তিনি কুরাইশ নন। তাহলে কিভাবে মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র উম্মুল মু’মিনীন সাইয়্যিদাতুনা হযরত আস সাবি‘আহ্ আত্বওয়ালুু ইয়াদান আলাইহাস সালাম উনার সাথে সাইয়্যিদুনা হযরত যায়েদ ইবনে হারিছাহ্ রদ্বিয়াল্লাহু তা‘য়ালা আনহু উনার শাদী মুবারক হতে পারে। তখন স্বয়ং যিনি খ¦ালিক্ব মালিক রব মহান আল্লাহ পাক তিনি সম্মানিত ও পবিত্র আয়াত শরীফ নাযিল করে বিষয়টি ফায়ছালা মুবারক করে দেন যে,
وَمَا كَانَ لِمُؤْمِنٍ وَّلَا مُؤْمِنَةٍ اِذَا قَضَى اللهُ وَرَسُوْلُهٗ اَمْرًا اَنْ يَّكُوْنَ لَـهُمُ الْـخِـيَـرَةُ مِنْ اَمْرِهِمْ وَمَنْ يَّعْصِ اللهَ وَرَسُوْلَه فَقَدْ ضَلَّ ضَلٰلًا مُّبِـيْنًا
অর্থ: “কোনো মু’মিন পুরুষ-মহিলা কারো জন্য কস্মিনকালেও জায়েয হবে না যে, যখন যিনি খ¦ালিক্ব মালিক রব মহান আল্লাহ পাক তিনি এবং উনার মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র রসূল, মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র হাবীব মাহবূব, নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি অর্থাৎ উনারা কোনো বিষয়ে মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র ফায়ছালা মুবারক দেন, এ বিষয়ে কোনো মত পেশ করা। যে ব্যক্তি মহান আল্লাহ পাক উনার এবং উনার মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র রসূল, মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র হাবীব মাহবূব, নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার অর্থাৎ উনাদের ফায়ছালাকৃত বিষয়ে কোনো মত পেশ করবে, সে প্রকাশ্য গোমরাহীতে নিমজ্জিত হবে। না‘ঊযুবিল্লাহ! (সম্মানিত ও পবিত্র সূরা আহ্যাব শরীফ : সম্মানিত ও পবিত্র আয়াত শরীফ ৩৬)
তারপর যিনি খ¦ালিক্ব মালিক রব মহান আল্লাহ পাক উনার এবং উনার মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র হাবীব মাহবূব, নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার অর্থাৎ উনাদের মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র নির্দেশ মুবারক অনুযায়ী মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র উম্মুল মু’মিনীন সাইয়্যিদাতুনা হযরত আস সাবি‘আহ্ আত্বওয়ালুু ইয়াদান আলাইহাস সালাম উনার সাথে সাইয়্যিদুনা হযরত যায়েদ ইবনে হারিছাহ্ রদ্বিয়াল্লাহু তা‘য়ালা আনহু উনার শাদী মুবারক অনুষ্ঠিত হন।
এই শাদী মুবারকের পিছনে একটি বিশেষ হিকমত মুবারক ছিলেন যে, সম্মানিত দ্বীন ইসলাম উনার মধ্যে বংশ মর্যাদা মূল বিষয় না। মূল বিষয় হচ্ছেন তাক্বওয়া-পরহেজগারী। যিনি যত বেশি তাক্বওয়াধারী তিনি মহান আল্লাহ পাক উনার নিকট ততবেশি সম্মানিত ও প্রিয়। সুবহানাল্লাহ!
কাজেই বান্দা-বান্দী, উম্মতের জন্য দায়িত্ব-কর্তব্য হচ্ছে বিবাহ-শাদীর ব্যাপারে তাক্বওয়ার বিষয়টা প্রাধান্য দেয়া। সুবহানাল্লাহ!
শাদী মুবারক হওয়ার পর এক বছর সময় অতিবাহিত হন। এর মধ্যে সাইয়্যিদুনা হযরত যায়েদ রদ্বিয়াল্লাহু তা‘য়ালা আনহু তিনি মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র উম্মুল মু’মিনীন সাইয়্যিদাতুনা হযরত আস সাবি‘আহ্ আত্বওয়ালুু ইয়াদান আলাইহাস সালাম উনার থেকে জুদা হয়ে যাওয়ার জন্য নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার নিকট আরজী পেশ করেন। কিন্তু নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি উনাকে জুদা হতে নিষেধ করেন। সুবহানাল্লাহ! যে বিষয়টা স্বয়ং যিনি খ¦ালিক্ব মালিক রব মহান আল্লাহ পাক তিনি মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র কুরআন শরীফ উনার মধ্যে এভাবে বর্ণনা মুবারক করেছেন যে,
وَاِذْ تَقُوْلُ لِلَّذِىْ اَنْعَمَ اللهُ عَلَيْهِ وَاَنْعَمْتَ عَلَيْهِ اَمْسِكْ عَلَـيْكَ زَوْجَكَ وَاتَّقِ اللهَ
অর্থ: “আর স্মরণ করুন ঐ সময়ের কথা, মহান আল্লাহ পাক তিনি যাঁকে সম্মানিত নিয়ামত মুবারক হাদিয়া করেছেন এবং আপনিও যাঁকে সম্মানিত নিয়ামত মুবারক হাদিয়া করেছেন, উনাকে যখন আপনি বলছিলেন যে, আপনার সম্মানিত আহলিয়াহ্ উনাকে আপনার নিকট রেখে দিন (আপনি উনার থেকে জুদা হওয়া থেকে বিরত থাকুন) এবং এ বিষয়ে মহান আল্লাহ পাক উনাকে ভয় করুন।” (সম্মানিত ও পবিত্র সূরা আহ্যাব শরীফ : সম্মানিত ও পবিত্র আয়াত শরীফ ৩৭)
শেষ পর্যন্ত মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র উম্মুল মু’মিনীন সাইয়্যিদাতুনা হযরত আস সাবি‘আহ্ আত্বওয়ালুু ইয়াদান আলাইহাস সালাম উনার এবং সাইয়্যিদুনা হযরত যায়েদ ইবনে হারিছাহ্ রদ্বিয়াল্লাহু তা‘য়ালা আনহু উনার অর্থাৎ উনাদের উভয়ের মাঝে জুদায়ী ঘটে। যার কারণে মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র উম্মুল মু’মিনীন সাইয়্যিদাতুনা হযরত আস সাবি‘আহ্ আত্বওয়ালুু ইয়াদান আলাইহাস সালাম তিনি সাইয়্যিদুনা হযরত যায়েদ ইবনে হারিছাহ্ রদ্বিয়াল্লাহু তা‘য়ালা আনহু উনার থেকে আলাদা হয়ে যান।
মহান আল্লাহ পাক উনার মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র নির্দেশ মুবারক-এ মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র আযীমুশ শান নিসবতে আযীম শরীফ উনার প্রস্তাব মুবারক:
মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র হাদীছ শরীফ উনার মধ্যে বর্ণিত রয়েছেন,
اَنَّ اللهَ اَوْحٰى اِلـٰى نَبِـيِّهٖ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ اَنَّ سَيِّدَنَا حَضْرَتْ زَيْدًا رَضِىَ اللهُ تَعَالـٰى عَنْهُ سَيُطَـلِّـقُ اُمَّ الْمُؤْمِنِـيْـنَ سَيِّدَتَنَا حَضْرَتْ اَلسَّابِعَةَ اَطْوَلُ يَدَانِ عَلَيْهَا السَّلَامُ (سَيِّدَتَنَا حَضْرَتْ زَيْنَبَ بِـنْتِ جَحْشٍ عَلَيْهَا السَّلَامُ) وَاَنَّ اللهَ يُزَوِّجُهَا رَسُوْلَهٖ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ
অর্থ: “মহান আল্লাহ পাক তিনি উনার মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র হাবীব মাহবূব, নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার নিকট সম্মানিত ওহী মুবারক করেছেন যে, নিশ্চয়ই সাইয়্যিদুনা হযরত যায়েদ ইবনে হারিছাহ্ রদ্বিয়াল্লাহু তা‘য়ালা আনহু তিনি অতিশীঘ্রই মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র উম্মুল মু’মিনীন সাইয়্যিদাতুনা হযরত আস সাবি‘আহ্ আত্বওয়ালুু ইয়াদান আলাইহাস সালাম উনাকে তালাক্ব দিবেন এবং মহান আল্লাহ পাক তিনি উনার মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র হাবীব মাহবূব, নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার সাথে মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র উম্মুল মু’মিনীন সাইয়্যিদাতুনা হযরত আস সাবি‘আহ্ আত্বওয়ালুু ইয়াদান আলাইহাস সালাম উনাকে মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র নিসবতে আযীম শরীফ-এ আবদ্ধ করবেন।” সুবহানাল্লাহ!
সাইয়্যিদুনা হযরত যায়েদ ইবনে হারিছাহ্ রদ্বিয়াল্লাহু তা‘য়ালা আনহু তিনি তালাক্ব প্রদানের পর মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র উম্মুল মু’মিনীন সাইয়্যিদাতুনা হযরত আস সাবি‘আহ্ আত্বওয়ালুু ইয়াদান আলাইহাস সালাম তিনি সাইয়্যিদুনা হযরত যায়েদ ইবনে হারিছাহ্ রদ্বিয়াল্লাহু তা‘য়ালা আনহু উনার থেকে আলাদা হয়ে যান এবং উনার সম্মানিত ইদ্দত মুবারক পূর্ণ হয়। তখন স্বয়ং যিনি খ¦ালিক্ব মালিক রব মহান আল্লাহ পাক তিনি উনার মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র হাবীব মাহবূব, নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনাকে মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র ওহী মুবারক করেন যে, তিনি যেন মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র উম্মুল মু’মিনীন সাইয়্যিদাতুনা হযরত আস সাবি‘আহ্ আত্বওয়ালুু ইয়াদান আলাইহাস সালাম উনাকে মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র আযীমুশ্ শান নিসবতে আযীম শরীফ উনার প্রস্তাব মুবারক পেশ করেন। সুবহানাল্লাহ! তাই নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি খ¦ালিক্ব মালিক রব মহান আল্লাহ পাক উনার মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র নির্দেশ মুবারক অনুযায়ী সাইয়্যিদুনা হযরত আনাস রদ্বিয়াল্লাহু তা‘য়ালা আনহু উনার মাধ্যমে মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র উম্মুল মু’মিনীন সাইয়্যিদাতুনা হযরত আস সাবি‘আহ্ আত্বওয়ালুু ইয়াদান আলাইহাস সালাম উনাকে মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র আযীমুশ্ শান নিসবতে আযীম শরীফ উনার প্রস্তাব দেন। সুবহানাল্লাহ!
স্বয়ং মহান আল্লাহ পাক তিনি নিজেই আরশে আযীম মুবারক-এ মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র আযীমুশ্ শান নিসবতে আযীম শরীফ সম্পন্ন করেন:
মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র হাদীছ শরীফ উনার মধ্যে ইরশাদ মুবারক হয়েছেন,
لَمَّا اِنْقَضَتْ عِدَّةُ اُمِّ الْمُؤْمِنِـيْـنَ سَيِّدَتِنَا حَضْرَتْ اَلسَّابِعَةِ اَطْوَلُ يَدَانِ عَلَيْهَا السَّلَامُ (سَيِّدَتِنَا حَضْرَتْ زَيْنَبَ بِنْتِ جَحْشٍ عَلَيْهَا السَّلَامُ) قَالَ رَسُوْلُ اللهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ لِـحَضْرَتْ اَنَسٍ رَضِىَ اللهُ تَعَالـٰى عَنْهُ فَاذْكُرْهَا عَلَىَّ فَانْطَلَقَ حَضْرَتْ اَنَسٌ رَضِىَ اللهُ تَعَالـٰى عَنْهُ حَـتّٰـى اَتَاهَا وَهِىَ تُـخَمِّرُ عَجِيْنَهَا قَالَ فَلَمَّا رَاَيْــتُهَا عَظُمَتْ فِـىْ صَدْرِىْ حَـتّٰـى مَا اَسْتَطِيْعُ اَنْ اَنْظُرَ اِلَـيْهَا اَنَّ رَسُوْلَ اللهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ ذَكَـرَهَا فَوَلَّـيْــتُهَا ظَهْرِىْ وَنَكَصْتُ عَلـٰى عَقِـبِـىْ فَقُلْتُ يَا اُمَّ الْمُؤْمِنِـيْـنَ سَيِّدَتَنَا حَضْرَتْ اَلسَّابِعَةَ اَطْوَلُ يَدَانِ عَلَيْهَا السَّلَامُ (سَيِّدَتَنَا حَضْرَتْ زَيْنَبَ بِنْتَ جَحْشٍ عَلَيْهَا السَّلَامُ) اَبْشِرِىْ اَرْسَلَ رَسُوْلُ اللهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ يَذْكُـرُكِ قَالَتْ مَا اَنَا بِصَانِعَةٍ شَيْئًا حَـتّٰـى اُوَامِرَ رَبِّـىْ فَقَامَتْ اِلـٰى مَسْجِدِهَا وَنَزَلَ الْقُرْاٰنُ وَجَاءَ رَسُوْلُ اللهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ فَدَخَلَ عَلَيْهَا بِغَـيْـرِ اِذْنٍ
অর্থ: “যখন উম্মুল মু’মিনীন সাইয়্যিদাতুনা হযরত আস সাবি‘আহ্ আত্বওয়ালু ইয়াদান আলাইহাস সালাম উনার সম্মানিত ইদ্দত মুবারক শেষ হলো, তখন নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি সাইয়্যিদুনা হযরত আনাস রদ্বিয়াল্লাহু তা‘য়ালা আনহু উনাকে বললেন যে, আপনি যান, আমার পক্ষ থেকে মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র উম্মুল মু’মিনীন সাইয়্যিদাতুনা হযরত আস সাবি‘আহ্ আত্বওয়ালু ইয়াদান আলাইহাস সালাম উনাকে মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র নিসবতে ‘আযীম শরীফ উনার সম্মানিত প্রস্তাব মুবারক পেশ করুন। সুবহানাল্লাহ! তখন সাইয়্যিদুনা হযরত আনাস রদ্বিয়াল্লাহু তা‘য়ালা আনহু তিনি রওয়ানা হয়ে মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র উম্মুল মু’মিনীন সাইয়্যিদাতুনা হযরত আস সাবি‘আহ্ আত্বওয়ালু ইয়াদান আলাইহাস সালাম উনার নিকট উপস্থিত হন। তিনি যেয়ে দেখেন যে, উম্মুল মু’মিনীন সাইয়্যিদাতুনা হযরত আস সাবি‘আহ্ আত্বওয়ালু ইয়াদান আলাইহাস সালাম তিনি ময়দা বা আটার খামির বানাচ্ছেন। হযরত আনাস রদ্বিয়াল্লাহু তা‘য়ালা আনহু তিনি বলেন, যখন আমি উনাকে দেখলাম, তখন উনাকে দেখার সাথে সাথে আমার অন্তরে উনার প্রতি এতো বড় ধরনের সম্মান বোধ সৃষ্টি হয় যে, আমি উনার দিকে তাকানোর বা উনার প্রতি দৃষ্টি দেয়ার হিম্মত হারিয়ে ফেলি। কারণ, (মহান আল্লাহ পাক উনার সম্মানিত নির্দেশ মুবারক অনুযায়ী) স্বয়ং নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি উনার নিকট মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র ‘আযীমুশ শান নিসবতে ‘আযীম শরীফ উনার প্রস্তাব মুবারক পাঠিয়েছেন। সুবহানাল্লাহ! তাই আমি উনার দিকে পিঠ দিয়ে পিছনের দিকে ফিরে এসে বলি, হে মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র উম্মুল মু’মিনীন সাইয়্যিদাতুনা হযরত আস সাবি‘আহ্ আত্বওয়ালু ইয়াদান আলাইহাস সালাম! আপনি সম্মানিত সুসংবাদ মুবারক গ্রহণ করুন! নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি আপনার নিকট মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র ‘আযীমুশ শান নিসবতে ‘আযীম শরীফ উনার পয়গাম পাঠিয়েছেন। সুবহানাল্লাহ! মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র উম্মুল মু’মিনীন সাইয়্যিদাতুনা হযরত আস সাবি‘আহ্ আত্বওয়ালু ইয়াদান আলাইহাস সালাম তিনি বলেন, আমি যিনি খ¦লিক্ব মালিক রব মহান আল্লাহ পাক উনার সাথে পরামর্শ না করে কোনো কাজ করি না। সুবহানাল্লাহ! এটা বলে তিনি সম্মানিত নামাযের স্থানের দিকে যাওয়ার উদ্দেশ্যে দাঁড়ালে সম্মানিত ও পবিত্র আয়াত শরীফ নাযিল হন।
এ সম্পর্কিত আরো সংবাদ
-
প্রসঙ্গ মহিলা জামাত নাজায়িজ
২১ নভেম্বর, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল খমীছ (বৃহস্পতিবার) -
পিতা-মাতার প্রতি সন্তানের দায়িত্ব-কর্তব্য
২১ নভেম্বর, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল খমীছ (বৃহস্পতিবার) -
শৈশবকাল থেকেই সন্তানকে দ্বীনদার হওয়ার শিক্ষা দান করতে হবে
২০ নভেম্বর, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল আরবিয়া (বুধবার) -
সম্মানিতা মহিলা আউলিয়া-ই কিরাম উনাদের পরিচিতি
১৯ নভেম্বর, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুছ ছুলাছা (মঙ্গলবার) -
স্বচক্ষে দেখা কিছু কথা
১৯ নভেম্বর, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুছ ছুলাছা (মঙ্গলবার) -
পারিবারিক তা’লীমের গুরুত্ব ও তারতীব
১৮ নভেম্বর, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল ইছনাইনিল আযীম (সোমবার) -
সুন্নতী খাবার সম্পর্কিত হাদীছ শরীফ : মেথি
১৮ নভেম্বর, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল ইছনাইনিল আযীম (সোমবার) -
খাবার বিষয়ে মহান আল্লাহ পাক তিনি ইরশাদ মুবারক করেন
১৮ নভেম্বর, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল ইছনাইনিল আযীম (সোমবার) -
জন্মের প্রথম মাস
১৭ নভেম্বর, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল আহাদ (রোববার) -
হযরত ছাহাবায়ে কিরাম রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহুম উনাদের অনুসরণে মু’মীনদের জীবন গড়ে তোলা দায়িত্ব-কর্তব্য
১৭ নভেম্বর, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল আহাদ (রোববার) -
হযরত উম্মাহাতুল মু’মিনীন আলাইহিন্নাস সালাম উনাদের বেমেছাল দানশীলতা মুবারক (৩)
১৬ নভেম্বর, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুছ সাবত (শনিবার) -
নারীবাদী বলে কথা........
১৫ নভেম্বর, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল জুমুয়াহ (শুক্রবার)