ঘটনা থেকে শিক্ষা
মহান আল্লাহ পাক উনার ওলী, হযরত আব্দুল্লাহ ইবনে আসলাম তূসী রহমতুল্লাহি আলাইহি উনার দানশীলতা ও বুযূর্গী
, ০৯ শাওওয়াল শরীফ, ১৪৪৬ হিজরী সন, ০৯ হাদি আশির, ১৩৯২ শামসী সন , ০৮ এপ্রিল, ২০২৫ খ্রি:, ২৫ চৈত্র, ১৪৩১ ফসলী সন, ইয়াওমুছ ছুলাছা (মঙ্গলবার) মহিলাদের পাতা
হযরত আব্দুল্লাহ ইবনে আসলাম তূসী রহমতুল্লাহি আলাইহি তিনি ছিলেন অত্যন্ত দানশীল। এমনকি তিনি ঋণ করেও দান করেছেন। একবার এক ইহুদী মহাজন এসে বিনয়ের সাথে বললো, “হুযূর আমি আপনার নিকট কিছু পাওনা ছিলাম। ” উত্তরে হযরত আসলাম তূসী রহমতুল্লাহি আলাইহি তিনি বললেন, “আপাততঃ আমার কাছে কিছুই নেই। ” এর কিছুক্ষণ পূর্বে তিনি একটি কলম কেটেছিলেন, সেটার কাটা টুকরাগুলো সেখানেই পড়েছিলো, তিনি ইহুদীকে বললেন, “এগুলি কুড়িয়ে লও। ” ইহুদী ব্যক্তিটি কাঠের টুকরাগুলো কুড়িয়ে নিতেই, সেগুলো খাঁটি স্বর্ণখন্ডে পরিণত হয়ে গেলো। ইহুদী এটা দেখে তাজ্জব হয়ে গেল এবং সম্মানিত দ্বীন ইসলাম কবুল করলো। সুবহানাল্লাহ!
মহান আল্লাহ পাক উনার এ মহান ওলী নিশাপুরে বিছাল শরীফ গ্রহণ করেন। উনার পরনের পুরনো খেরকা মুবারক দ্বারাই উনাকে কাফন দেয়া হয়েছিলো এবং যে চটের উপর তিনি বসতেন, সেটাই জানাযার খাটে বিছানারূপে দেয়া হয়েছিলো। উনার ইন্তেকালে লোকজন বলাবলি করতে লাগলো, “উনার যা কিছু সাথে ছিলো সেগুলিই তিনি সঙ্গে নিয়ে গেলেন; দুনিয়া উনাকে কখনো স্পর্শও করতে পারেনি। ” সুবহানাল্লাহ!
নসীহত:
১. “মহান আল্লাহ পাক উনার প্রকৃত বন্ধুর নিকট দুনিয়ার শাসকদের মর্যাদা নেহায়েতই সামান্য। ”
২. “সকল অন্তরের মধ্যে এমন অন্তরও আছে, যে অন্তর কেবল মহান আল্লাহ পাক উনার মা’রিফাত বিকিরণের নূরেই জিন্দা থাকে। ”
৩. “যে মহান আল্লাহ পাক উনার অনুগত হয়, সমস্ত মাখলুকাতই তার অনুগত হয়। ”
৪. “দুনিয়া হাতে নেয়া যাবে, পকেটে নেয়া যাবে, কিন্তু অন্তরে স্থান দেয়া যাবে না। ”
৫. “দুনিয়ার মুহব্বত সমস্ত গুণাহের মূল, আর দুনিয়াকে তরক করে দেয়া সমস্ত ইবাদতের মূল। ”
উল্লেখ্য যারা হক্ব ওলীআল্লাহ, উনারা উপরোক্ত গুণাবলীসহ বিবিধ গুণাবলী ও তাকওয়ার অধিকারী হয়ে থাকেন। অপরদিকে যারা নাহক্ব, তারা উপরোক্ত গুণাবলী শুন্য ও তাকওয়াবিহীন হয়ে থাকেন। যার দ্বারা তাদের হাক্বীক্বত উপলব্ধি করা যায়।
মহান আল্লাহ পাক তিনি আমাদের সকলকে হক্ব ওলীআল্লাহ উনার ছোহবত হাছিলের তাওফিক দান করুন এবং নাহক্ব বাতিল ফিরকা বা উলামায়ে ছূ অর্থাৎ নামধারী আলেম-উলামাদের গোমরাহীমূলক কার্যকলাপ থেকে হিফাজত করুন। আমীন!
-০-
এ সম্পর্কিত আরো সংবাদ
-
পিতা-মাতার প্রতি সন্তানের দায়িত্ব-কর্তব্য
১৮ ডিসেম্বর, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল খমীছ (বৃহস্পতিবার) -
তিন ধরনের লোক বেহেশতে প্রবেশ করবে না
১৮ ডিসেম্বর, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল খমীছ (বৃহস্পতিবার) -
হযরত উম্মে সুরাইকা দাওসিয়া রদ্বিয়াল্লাহু তা’য়ালা আনহা
১৬ ডিসেম্বর, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুছ ছুলাছা (মঙ্গলবার) -
মহাসম্মানিত মহাপবিত্র হযরত আহলু বাইত শরীফ আলাইহিমুস সালাম উনারা বেমেছাল ফযীলত মুবারকের অধিকারী
১৬ ডিসেম্বর, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুছ ছুলাছা (মঙ্গলবার) -
সর্বক্ষেত্রে নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনাকে প্রাধান্য দিতে হবে
১৫ ডিসেম্বর, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল ইছনাইনিল আযীম (সোমবার) -
নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি সৃষ্টির শুরুতেই মহান আল্লাহ পাক উনার কুদরত মুবারক উনার মধ্যে ছিলেন, আছেন এবং অনন্তকাল থাকবেন
১৫ ডিসেম্বর, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল ইছনাইনিল আযীম (সোমবার) -
মহান আল্লাহ পাক তিনি তওবাকারীকে পছন্দ করেন (৩)
১৪ ডিসেম্বর, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল আহাদ (রোববার) -
ক্বলবী যিকির জারী না থাকলে শয়তানের ওয়াসওয়াসা থেকে বেঁচে থাকা সম্ভব নয়
১৪ ডিসেম্বর, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল আহাদ (রোববার) -
দোযখে বেপর্দা হওয়া নারীদের শাস্তির বর্ণনা (১০)
১৩ ডিসেম্বর, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুছ সাবত (শনিবার) -
জামায়াতের জন্য মহিলাদের মসজিদে ও ঈদগাহে যাওয়া হারাম ও কুফরী (৪)
১৩ ডিসেম্বর, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুছ সাবত (শনিবার) -
নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনাকে সম্বোধন মুবারক করার ক্ষেত্রে সর্বোচ্চ আদব-শরাফত বজায় রাখতে হবে
১৩ ডিসেম্বর, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুছ সাবত (শনিবার) -
পিতা-মাতার প্রতি সন্তানের দায়িত্ব-কর্তব্য
১১ ডিসেম্বর, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল খমীছ (বৃহস্পতিবার)












