মধ্যস্বত্বভোগী, চাঁদাবাজি বন্ধ করে বাজারে সবজির মূল্য কমাতে হবে। পাশাপাশি কৃষক পর্যায়ে স্বার্থরক্ষার সমন্বিত পদক্ষেপ নিতে হবে। ইনশাল্লাহ!
, ০১ ফেব্রুয়ারী, ২০২৪ ১২:০০:০০ এএম ইয়াওমুল খমীছ (বৃহস্পতিবার) সম্পাদকীয়
আয়তনের দিক দিয়ে ছোট দেশ হলেও বাংলাদেশে সবজি উৎপাদনে বিপুল সাফল্য অর্জিত হয়েছে। বর্তমানে সবজি উৎপাদনে বাংলাদেশ তৃতীয় বৃহত্তম দেশ।
অন্যান্য ফসলের তুলনায় বর্তমানে সবজি উৎপাদন কৃষকের জন্য অত্যন্ত সুখকর, কারণ অন্যান্য ফসলের তুলনায় সবজিতে ফলন ও আয় দুইই বেশি। বাংলাদেশে গত ১০ বছরে সবজি উৎপাদন প্রায় ১০ গুণ বেড়েছে।
কৃষি সম্প্রসারণের অধিদপ্তরের সূত্র মতে, এ বছর বাংলাদেশে ৯ লাখ ৬৫ হাজার হেক্টর জমিতে সবজি চাষ হচ্ছে। উৎপাদন প্রায় ৩ কোটি টনের মত। শীত, গ্রীষ্ম, সারাবছর চাষ হয় এবং কিছু বিদেশি জাত মিলে বাংলাদেশে প্রায় ১৪২ ধরনের সবজি চাষ হয়।
তারপরেও এ মাসের চতুর্থ সপ্তাহে এসেও এবার সবজির দাম চড়া। শীতের ভরা মৌসুমে সাধারণত বাজারে নানা পদের সবজি দেখা যায়। দামও থাকে তুলনামূলক কম। কিন্তু এবার সবজির বাজারে উল্টো চিত্র দেখা যাচ্ছে। দাম না কমে বরং বাড়ছে। বাজারে প্রতি কেজি বেগুনের দাম ১০০ টাকা ছাড়িয়েছে।
শীতের সবজির দাম শুরুতে বেশি থাকে। পরে দ্রুত দাম নেমে আসে। এবার সেটা হলো না। বিষয়টা অবাক করার মতো। হয়তো আমরা বেশি দামে কিনতে অভ্যস্ত হয়ে গেছি। এ জন্য ব্যবসায়ীরা দাম কমাচ্ছেন না।
সরকারের কৃষি বিপণন অধিদপ্তর প্রতি মৌসুমেই বিভিন্ন সবজির উৎপাদন খরচের হিসাব রাখে। সংস্থাটির তথ্য অনুযায়ী এক কেজি বেগুন উৎপাদনে খরচ হয় ১০ টাকার কিছু বেশি। অথচ বিভিন্ন হাত ঘুরে রাজধানীর খুচরা বাজারে সেই সবজি ভোক্তাকে কিনতে হচ্ছে ১০ গুণেরও বেশি দামে। আকার ও মানভেদে লম্বা ও গোল বেগুন বর্তমানে বিক্রি হচ্ছে ৮০ থেকে ১৬০ টাকা কেজি পর্যন্ত। এর কারণ জানতে চাইলে ব্যবসায়ীরা সামনে আনেন নানা অজুহাত।
কৃষি বিপণন অধিদপ্তরের তথ্য অনুযায়ী, প্রতি কেজি কাঁচা পেঁপে উৎপাদনে ৯ টাকা খরচ হলেও বাজারে বিক্রি হচ্ছে ৪০ টাকায়। মিষ্টি কুমড়া প্রতি কেজির উৎপাদন খরচ ৭ টাকা ২২ পয়সা। রাজধানীর বাজারে এ সবজি এখন ৪০-৫০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। প্রতি কেজি করলা উৎপাদনে সাড়ে ৯ টাকা খরচ হলেও ঢাকায় বিক্রি হচ্ছে ১২০ টাকায়। ১০ টাকা ২৬ পয়সায় উৎপাদিত প্রতি কেজি লম্বা বেগুন ৮০-৯০ টাকা ও গোল বেগুন ১২০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। আবার লাল গোল বেগুনের দাম গিয়ে ১৫০-১৬০ টাকায় ঠেকেছে।
ব্যবসায়ীরা বলছেন, উৎপাদন খরচ বেড়ে যাওয়ায় কৃষকরা আগের চেয়ে বেশি দামে বিক্রি করছেন। পরিবহন খরচও বেশি। দাম বাড়ার জন্য সবচেয়ে বেশি দায়ী পথে পথে ও বাজারে সরকারদলীয় লোক ও পুলিশের চাঁদাবাজি। এই প্রক্রিয়া বন্ধ করা উচিত। তবে সরকারের সংশ্লিষ্টরা দায়ী করছেন মধ্যস্বত্বভোগীদের।
সম্প্রতি কৃষি সচিব এক সংবাদ সম্মেলনে বলেছে, “সবজির মূল্যবৃদ্ধির কারণ চিহ্নিত করতে আমরা একটা গবেষণা করছি।
গবেষণা শুরুর পর প্রাথমিকভাবে কয়েকটি কারণ তারা ইতোমধ্যে চিহ্নিত করেছেন। এর মধ্যে মধ্যস্বত্বভোগীদের দাপটের বিষয়টিই প্রধান বলে জানালেন কৃষি সচিব।
দাম বৃদ্ধির পেছনে মধ্যস্বত্বভোগীর ভূমিকা আবিষ্কার করলেও তাদের দমন করার কোনো উদ্যোগের কথা জানাতে পারেনি কৃষি সচিব।
মূলত ‘বাজারের অসঙ্গতি দূর করতে খাদ্য মূল্যস্ফীতি কমিয়ে আনা এবং শক্তিশালী বাজার ব্যবস্থাপনা নীতিমালা প্রণয়নে সরকারের নীতিনির্ধারণী পর্যায়ে দৃশ্যমান কোনো উদ্যোগ দেখছি না।’
একজন মধ্যস্বত্বভোগী তাজা পণ্যের দামে কতটা বেশি নিতে পারবে, সে বিষয়ে বিধানসহ একটি উন্নত সরবরাহ শৃঙ্খল প্রতিষ্ঠার পাশাপাশি কৃষকদের মধ্যে সচেতনতা তৈরির আহ্বান জানাই।
পাইকারি বাজারে পণ্য আছে কিন্তু ক্রেতা নেই, পণ্য পরিবহনে চলছে নানারকম বাঁধা-বিপত্তি। ফলে উৎপাদক কম দামে লোকসান দিয়ে তার পণ্য বিক্রয় করতে বাধ্য হচ্ছে। ৪ টাকা পিস ডিম, ৫০ টাকা লিটার দুধ, ৪৫ টাকা কেজি ফার্মের মুরগী আর ৩ টাকা কেজি বেগুন, ২ টাকা কেজি টমেটো, ২ টাকা কেজি শসা, ৩ টাকা কেজি ঢেঁড়স তার কয়েকটি উদাহরণ। অথচ উৎপাদন খরচ অনেক বেশি। শিল্প উৎপাদকরা বাজারে চাহিদা কমে গেলে প্রয়োজনে যেকোনো সময় উৎপাদন কমিয়ে দিতে বা বন্ধ করে দিতে পারে। কিন্তু কৃষি উৎপাদকরা চাইলেই সেটা অনেক সময় করতে পারে না। ফলে লোকসান হয় অবধারিত। এরকম চলতে থাকলে দেশের কৃষক সমাজ ও কৃষি উৎপাদকরা তো মারা পড়বেই, উপরন্তু দেশের খাদ্য নিরাপত্তাও হুমকির মুখে পড়বে। সেক্ষেত্রে কৃষির সঙ্গে সংশ্লিষ্ট শিল্পসমূহ, যেমন: কৃষি উপকরণ উৎপাদন ও সরবরাহকারী প্রতিষ্ঠানসমূহ ইত্যাদিও মহা সংকটে পড়বে। তাই দেশের কৃষক তথা সামগ্রিকভাবে কৃষিকে বাঁচাতে এখনই সরকারকে জরুরিভিত্তিতে কার্যকরী উদ্যোগ গ্রহণ করতেই হবে। যেমন: কৃষি পণ্যের ন্যায্যমূল্য নিশ্চিত করতে প্রণোদনা হিসাবে ভর্তুকির ব্যবস্থা করা, কৃষি ঋণ মাফ করা বা সুদ মওকুফ করা, বিনা সুদে বা স্বল্প সুদে নতুন ঋণের ব্যবস্থা করা, প্রয়োজনে মিনিমাম সাপোর্ট প্রাইজ ঘোষণা করে তা সরকারি উদ্যোগে নিশ্চিত করা, কৃষি পণ্যের বাজারজাতকরণ ও পরিবহণ বাধামুক্ত করা, স্বল্প, মধ্য ও দীর্ঘ মেয়াদে চাহিদা নিরূপণ করে এলাকাভিত্তিক উৎপাদন পরিকল্পনা তৈরি ও বাস্তবায়ন করা ইনশাল্লাহ।
মূলত, এমন চেতনা ও দায়বোধ আসে ইসলামী অনুভূতি ও মূল্যবোধ থেকে।
ছহিবে সাইয়্যিদি সাইয়্যিদিল আ’ইয়াদ শরীফ, রাজারবাগ শরীফ উনার মামদূহ মুর্র্শিদ ক্বিবলা সাইয়্যিদুনা হযরত সুলত্বানুন নাছীর আলাইহিস সালাম উনার নেক ছোহবত মুবারক-এ কেবলমাত্র তা লাভ করা সম্ভব। খালিক্ব মালিক রব মহান আল্লাহ পাক তিনি আমাদেরকে তা নছীব করুন। (আমীন)
এ সম্পর্কিত আরো সংবাদ
-
ব্যাংক গ্রাহকদের খালি হাতে বা নাম মাত্র অর্থে ফেরানো যাবে না কথিত অন্তর্বর্তী সরকারকেই নিশ্চয়তার পাশাপাশি যথাযথ ব্যবস্থা প্রদান করতে হবে ইনশাআল্লাহ
২৩ নভেম্বর, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুছ সাবত (শনিবার) -
বিশ্বে জ্বালানীর দাম এমনেই কমছে পাশাপাশি শুধুমাত্র কাঠামো সংস্কারই ১৫ টাকা কমানো সম্ভব হলেও সেদিকে নজর দিচ্ছে না কেন অন্তর্বর্তী সরকার? জ্বালানী তেলের দাম কমালে দ্রব্যমূল্যের দাম সহজেই কমবে
২৩ নভেম্বর, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুছ সাবত (শনিবার) -
বাংলাদেশে মিডিয়াগুলো ইহুদীদের অদৃশ্য ইশারায় দেশে পবিত্র দ্বীন ইসলাম উনার বিরূপ পরিস্থিতি সৃষ্টি করতে চাইছে। বাংলাদেশের মুসলমানদের উচিত- দেশের সব মিডিয়া বর্জন করে আলাদাভাবে সম্মানিত ইসলামী মিডিয়া গঠন করা।
২২ নভেম্বর, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল জুমুয়াহ (শুক্রবার) -
বাংলাদেশের জন্য মারাত্মক হুমকী স্বরূপ আরাকান আর্মিকে এক্ষুনি প্রতিহত করতে হবে ইনশাআল্লাহ
২২ নভেম্বর, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল জুমুয়াহ (শুক্রবার) -
দেশে সাড়ে ৩ কোটি শুধু শিশুই সিসার বিষক্রিয়ায় আক্রান্ত এবং সব প্রাপ্ত বয়স্করাও ক্ষতিগ্রস্থ সিসার ক্ষতি থেকে বাঁচতে সুন্নতী তৈজসপত্র ব্যবহার এবং আন্তর্জাতিক সুন্নত প্রচার কেন্দ্রের জিনিস ক্রয়ে নিবেদিত হতে হবে ইনশাআল্লাহ
২১ নভেম্বর, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল খমীছ (বৃহস্পতিবার) -
আইন-শৃঙ্খলা পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে মহাব্যার্থ অন্তর্বর্তীকালীন সরকার সশস্ত্র বাহিনীকে আরো ক্ষমতা দিয়ে প্রতিকার পাওয়া যেতে পারে
২১ নভেম্বর, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল খমীছ (বৃহস্পতিবার) -
জ্বালানী তেলের দাম এক্ষুনি কমাতে হবে ইনশাআল্লাহ
২০ নভেম্বর, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল আরবিয়া (বুধবার) -
অনেক কিছু করার প্রচারনা চালালেও জিডিপি এবং দেশের উন্নয়নের মূল ভিত্তি অর্থনীতির লাইফ লাইন এসএমই উদ্যোক্তাদের জন্য অন্তর্বর্তী সরকার কিছুই করছে না
২০ নভেম্বর, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল আরবিয়া (বুধবার) -
প্রসঙ্গ: রাষ্ট্রদ্বীন ইসলাম, মুসলমানের দ্বীনি অধিকার, পবিত্র দ্বীন ইসলাম উনাকে পালনের আবহ এবং রাষ্ট্রযন্ত্রের দায়।
১৯ নভেম্বর, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুছ ছুলাছা (মঙ্গলবার) -
সিঙ্গাপুর, রাশিয়াসহ বিশ্বের বিভিন্ন দেশে সন্ত্রাসী সংগঠন ইসকন নিষিদ্ধ বাংলাদেশেও বিভিন্ন মহলে ইসকন নিষিদ্ধের দাবী জোরদার হচ্ছে, সংস্কারের দাবীদার সরকার কী করে নির্বিকার থাকতে পারে?
১৯ নভেম্বর, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুছ ছুলাছা (মঙ্গলবার) -
ব্যাপকভাবে বাড়ছে সাইবার নিরাপত্তা ঝুঁকি ও হয়রানী জান-মাল এবং সম্মান হিফাজতে সরকারকে এক্ষুনি পর্যাপ্ত ব্যবস্থা নিতে হবে ইনশাআল্লাহ
১৮ নভেম্বর, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল ইছনাইনিল আযীম (সোমবার) -
পাচারকৃত ১৭ লাখ কোটি টাকা ফেরত আনতে শামুকের মত ধীর গতি বরদাশতের বাইরে
১৮ নভেম্বর, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল ইছনাইনিল আযীম (সোমবার)