ভূমি সম্পর্কিত প্রয়োজনীয় আইন-কানুন জানেনা দেশের সিংহভাগ মানুষ
পাঠ্যপুস্তকে ভূমি বিষয়ক আইন ও নিয়মকানুন এখন সময়ের দাবিতে পরিণত হয়েছে।
, ২০ যিলক্বদ শরীফ, ১৪৪৪ হিজরী সন, ১১ আউওয়াল, ১৩৯১ শামসী সন , ১০ জুন, ২০২৩ খ্রি:, ২৮ জ্যৈষ্ঠ, ১৪৩০ ফসলী সন, ইয়াওমুছ সাবত (শনিবার) সম্পাদকীয়
স্কুল, কলেজ, বিশ্ববিদ্যালয়ে অনেক কিছু শিখানো হয়, কিন্তু ভূমি সম্পর্কে আলাদা কোনো বিভাগ বা পাঠ্যসূচি নেই। কীভাবে জমির হিস্যা, জমির নামজারি, জমি-জমা ভাগ হয়- তা সাধারণ মানুষ জানে না। এ তথ্যগুলো কোনো পাঠ্যপুস্তকে উল্লেখ নেই। দেশের সিংহভাগ মানুষের জমি-জমা সম্বন্ধে কোনো ধারণাই নেই।
প্রত্যেক নাগরিকের নিজের স্বার্থেই ভূমিসংক্রান্ত প্রয়োজনীয় আইন-কানুন ও নিয়মাবলী সবার জানা জরুরী। এমন বাস্তবতা থেকে জনগুরুত্বপূর্ণ বিষয়টি নিয়ে আজো এ বিষয়ে কোনো উদ্যোগ নেয়া হয়নি। অথচ আমাদের যত সমস্যা তার বেশির ভাগই জমি নিয়ে। কোর্টে যত মামলা তার ৬০ ভাগই জমিজমা নিয়ে।
অনেকে লেখাপড়া শেষ করেছে। কিন্তু দেখা যায়, সে জমি সম্পর্কে কিছুই বলতে পারে না। তাই আমরা মনে করি, প্রত্যেক মানুষেরই ভূমিসংক্রান্ত আইন-কানুন সম্পর্কে বাস্তব জ্ঞান থাকা দরকার।
প্রতিটি উন্নয়ন পরিকল্পনায় ভূমির বিষয়টি অত্যাবশকীয় বিষয় হিসেবে অন্তর্ভুক্ত। প্রতিটি নাগরিক জন্ম থেকে মৃত্যু পর্যন্ত ভূমির সঙ্গে প্রত্যক্ষ বা পরোক্ষভাবে যুক্ত থাকে। ভূমি কেনা-বেচা, মালিকানা অর্জন, আদালতের মাধ্যমে অধিকার প্রতিষ্ঠা ও ভূমি রেকর্ডের বিষয়ে প্রতিনিয়ত প্রতিটি নাগরিকের ভূমিসংক্রান্ত অফিসের সঙ্গে যোগাযোগ করতে হয়। তাই এ বিষয়ে প্রত্যেকেরই প্রয়োজনীয় জ্ঞান থাকা জরুরী।
পাঠ্যপুস্তকে ভূমি আইন ও নিয়মকানুন অন্তর্ভুক্ত হলে বাংলাদেশে বিদ্যমান ও কার্যকরী আইন সম্পর্কে সাধারণ মানুষের পাশাপাশি শিক্ষিত জনগোষ্ঠীকে সচেতন করা সম্ভব হবে। এর মাধ্যমে ভূমি বিষয়ক হয়রানি থেকে দেশবাসীও রক্ষা পাবে।
দেশের সব মানুষই ভূমির উপর কম-বেশি নির্ভরশীল। বিশ্বের অন্যান্য দেশের তুলনায় বাংলাদেশের ভূমি ব্যবস্থাপনা অত্যন্ত জটিল। সম্পদের উপর ক্রমবর্ধমান চাপ, সম্পদের অপরিকল্পিত ব্যবহারের কারণে ভূমি ব্যবহার নীতিমালার সুষ্ঠু ব্যবহার নিশ্চিত হয়নি। ভূমি রেজিস্ট্রেশন, সংরক্ষণ ব্যবস্থাপনা এবং এ সম্পর্কিত গ্রহণযোগ্য রেকর্ড প্রণয়নে নিয়োজিত বিভাগসমূহের কার্যপদ্ধতি সম্পর্কে জনমনে পর্যাপ্ত ধারণার অভাব রয়েছে। ভূমি সম্পর্কিত বিরোধ নিষ্পত্তির দীর্ঘসূত্রতা ও অনিশ্চয়তা ইত্যাদি ভূমি ব্যবস্থাপনাকে দিনে দিনে জটিল করে তুলছে। অথচ ভূমির সঙ্গে দেশের অধিকাংশ মানুষ সম্পৃক্ত। আর এ সম্পর্কে প্রায় একশ’ ৪০টি আইন আছে। কিন্তু মানুষকে এগুলো সম্পর্কে সচেতন করে তুলতে কোনো প্রয়াস দেখা যায় না।
সারাদেশে সব মিলিয়ে ১১০টি বিশ্ববিদ্যালয় রয়েছে। এর মধ্যে ৩৭টি পাবলিক ও ৮৩টি প্রাইভেট বিশ্ববিদ্যালয়। এসব বিদ্যাপীঠে কলা অনুষদ, সমাজ-বিজ্ঞান অনুষদ, ব্যবসায়িক অনুষদ, আইন অনুষদ ও বিজ্ঞান অনুষদসহ অনেক অনুষদ রয়েছে। তবে ভূমির অপরিহার্যতা থাকলেও স্বাধীনতাপরবর্তী এ নিয়ে কোনো উদ্যোগ নেয়া হয়নি।
বিশ্ববিদ্যালয় থেকে উচ্চ শিক্ষা নিয়ে গুরুত্বপূর্ণ পদে চাকরি করছে এমন ব্যক্তিও খাজনা খারিজ, মিউটেশন, নামজারি ও জমি-জমাভাগের মধ্যে পার্থক্য খুঁজে বেড়ায়। অথচ বাস্তবে এ চারটি বিষয়ের মধ্যে কোনো ভিন্নতা নেই। একই বিষয় ঘুরিয়ে ভিন্ন নামে বলা হয়। তাই অনেক সময় ভূমি অফিসের কর্মকর্তারা একই বিষয়ে কাজ করে দেয়ার নামে তিন-চার দফায় উৎকোচও নিয়ে থাকে। কারো নামে জমি রেকর্ড থাকলে তার আর নামজারি করার প্রয়োজন নেই। অথচ অনেকে রেকর্ড থাকা সত্ত্বেও নামজারি করতে আসে। শুধু সাধারন বিষয় না জানার কারণে অহেতুক হয়রানি হয়ে থাকে। বহু উচ্চ শিক্ষিত লোকজন মৌজা, দাগ-খতিয়ান, মাঠ পর্চার বিষয়ে সুস্পষ্টভাবে কিছু জানে না। বলতে পারে না ভূমি জরিপ কিভাবে হয় এবং কখন কোন্ পর্যায়ে তা গেজেট আকারে প্রকাশ করা হয়। ৩০ ধারা, ৩১ ধারায় কী হয়, কোন্ পর্যায়ে কোথায় আপিল করতে হয় প্রভৃতি। বহু ফৌজদারি মামলার পেছনে ভূমিসংক্রান্ত বিরোধ জড়িত। এছাড়া জমাজমির মামলাও বছরের পর বছর ধরে ঝুলে থাকে। তাই ভূমিসংক্রান্ত জটিলতা এড়াতে প্রতিটি নাগরিকের শিক্ষাজীবনে এ বিষয়ে প্রয়োজন জ্ঞান আহরণ করা জরুরি।
জমি নিয়ে লাখো লাখো মামলার এদেশে ভূমির গুরুত্ব ও সর্বোত্তম ব্যবহার নিশ্চিত করতে প্রতিটি নাগরিকের ভূমি বিষয়ক মৌলিক জ্ঞান থাকা জরুরী। প্রাথমিক এবং মাধ্যমিক থেকে উচ্চশিক্ষার বিভিন্ন শ্রেণীর পাঠ্যবইয়ে ভূমি সংক্রান্ত মৌলিক জ্ঞান অন্তর্ভুক্ত করা হলে জনসচেতনতা বাড়বে। পাশাপাশি ভূমি সংক্রান্ত জটিলতা ও মামলা-মোকদ্দমাও কমে যাবে।
ছহিবে সাইয়্যিদি সাইয়্যিদিল আ’ইয়াদ শরীফ, রাজারবাগ শরীফ উনার মামদূহ মুর্র্শিদ ক্বিবলা সাইয়্যিদুনা হযরত সুলত্বানুন নাছীর আলাইহিস সালাম উনার নেক ছোহবত মুবারক-এ কেবলমাত্র তা লাভ করা সম্ভব। খালিক্ব মালিক রব মহান আল্লাহ পাক তিনি আমাদেরকে তা নছীব করুন। (আমীন)
এ সম্পর্কিত আরো সংবাদ
-
দ্রব্যমূল্যের আগুনে ঝলসে যাচ্ছে মানুষ। মূল্যস্ফীতির চাপে পিষ্ট হচ্ছে জনসাধারণ। সরকারের কর্তাব্যক্তিদের রকমফের চটকদার কথার পরিবর্তে এক্ষনি মূল্যস্ফীতিকে সংকুচিত করে দেশবাসীকে বাঁচাতে হবে ইনশাআল্লাহ।
০৫ নভেম্বর, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুছ ছুলাছা (মঙ্গলবার) -
৭ হাজার ৮০০ মিলিয়ন টন কয়লা মজুদের দেশে কয়লার ঘাটতিতে বিদ্যুৎ উৎপাদন কেন্দ্র বন্ধ কেন? বিগত মাফিয়া সরকারের পথ থেকে সরে এসে কয়লা উত্তোলন শুরু করুন।
০৫ নভেম্বর, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুছ ছুলাছা (মঙ্গলবার) -
প্রসঙ্গঃ মোবাইল ফোনের ব্যবহার ও অপব্যবহার।
০৪ নভেম্বর, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল ইছনাইনিল আযীম (সোমবার) -
হোল্ডিং ট্যাক্স ছাড়, তাপ মুক্তি নিরাপদ ফল-সবজি প্রাপ্তি, পরিবেশ উন্নয়ন প্রক্রিয়ায় শহরের প্রতিটি বাড়ির ছাদ হোক একটুকরো বাগান
০৪ নভেম্বর, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল ইছনাইনিল আযীম (সোমবার) -
৪০ শতাংশের বেশি ক্ষুদ্র ও কুটির শিল্প বন্ধ হয়েছে যথাযথ পৃষ্ঠপোষকতা করলে ইনশাআল্লাহ ঘুরে দাঁড়াবে ক্ষুদ্র ও কুটির শিল্প
০৩ নভেম্বর, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল আহাদ (রোববার) -
মুদি দোকান, স্টেশনারি দোকান, শপিং মল, পার্লার, সুপার শপ সবখানেই ভেজাল কসমেটিক্স। মারাত্মক ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে ব্যবহারকারীরা। সরকারের কঠোর নজরদারী ও নিয়ন্ত্রণ প্রয়োজন।
০২ নভেম্বর, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুছ সাবত (শনিবার) -
দেশের ৪ কোটি মানুষ না খেয়ে থাকে। অথচ দেশে মাথাপিছু খাদ্য অপচয় হয় প্রায় ৯০ কেজি। বছরে ক্ষতির পরিমাণ প্রায় ৩৫ হাজার কোটি টাকা।
০২ নভেম্বর, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুছ সাবত (শনিবার) -
আজ মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র ২৮শে রবীউছ ছানী শরীফ! সাইয়্যিদাতুনা উম্মুর রদ্বাআহ আল ঊলা আলাইহাস সালাম উনার সম্মানিত আওলাদ, আখু রসূলিল্লাহ মিনার রদ্বাআহ সাইয়্যিদুনা হযরত মাসরূহ্ আলাইহিস সালাম উনার বিছালী শান মুবারক প্রকাশ দিবস। সুবহানাল্লাহ!
০১ নভেম্বর, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল জুমুয়াহ (শুক্রবার) -
শিক্ষা খাতে পতিত সরকারের বাজেটে নিম্নবিত্ত-মধ্যবিত্তদের স্বার্থ সংরক্ষিত হয়নি শিক্ষার্থীরা যাতে ঝরে না পড়ে- শিক্ষা উপকরণের দাম কমিয়ে বর্তমান সরকারকে তা নিশ্চিত করতে হবে ইনশাআল্লাহ
৩১ অক্টোবর, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল খমীছ (বৃহস্পতিবার) -
শব্দ দূষণ এখন শব্দ সন্ত্রাস ও নীরব ঘাতকে পরিণত হয়েছে। নারিকেল দ্বীপ নয় শব্দ দূষণে বিপর্যস্থ ঢাকাকে উপযোগী করার জন্য ঢাকার জনযট সারাদেশে ছড়িয়ে দিতে হবে।
৩১ অক্টোবর, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল খমীছ (বৃহস্পতিবার) -
‘২০৪১ সালে মাছ উৎপাদনের লক্ষ্যমাত্রা ৮৫ লাখ মেট্রিক টন’ ৩৯ বছরের ব্যবধানে মাছের উৎপাদন বেড়েছে ৬ গুণ উৎপাদন বাড়ছে মাছের, তবুও নাগালে নেই দাম
৩০ অক্টোবর, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল আরবিয়া (বুধবার) -
নাটক-সিনেমার মাধ্যমে মুসলিম প্রজন্মকে দ্বীন ইসলাম থেকে দূরে সরিয়ে দেয়া হচ্ছে। পরকালের কথা স্বরণ করে মুসলিম উম্মাহকে বিধর্মীদের এসব ষড়যন্ত্র থেকে বের হয়ে আসতে হবে।
৩০ অক্টোবর, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল আরবিয়া (বুধবার)