সম্পাদকীয় (২)
ভারতকে বিদ্যুৎ করিডোর দেয়ার আওয়ামী ও আত্মঘাতী সিদ্ধান্ত অবিলম্বে প্রত্যাহার করতে হবে ইনশাআল্লাহ
, ১৬ রবীউল আউওয়াল শরীফ, ১৪৪৬ হিজরী সন, ২৩ রবি , ১৩৯২ শামসী সন , ২০ সেপ্টেম্বর, ২০২৪ খ্রি:, ০৫ আশ্বিন, ১৪৩১ ফসলী সন, ইয়াওমুল জুমুয়াহ (শুক্রবার) সম্পাদকীয়
সব প্রশংসা মুবারক খালিক্ব মালিক রব মহান আল্লাহ পাক উনার জন্য; যিনি সকল সার্বভৌম ক্ষমতার মালিক। সাইয়্যিদুল মুরসালীন, ইমামুল মুরসালীন, নবী আলাইহিমুস সালাম উনাদের নবী, রসূল আলাইহিমুস সালাম উনাদের রসূল, নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার প্রতি অফুরন্ত দুরূদ শরীফ ও সালাম মুবারক।
২০১৪ সাল থেকে ভারত বিদ্যুৎ করিডোরের নেয়ার বিষয়ে বাংলাদেশের ওপর চাপ সৃষ্টি করছিল।
এই মুহূর্তে বরনগর-পার্বতীপূর-কাতিহার ৭৬৫ কেভি সঞ্চালন লাইন নামক এই করিডোর লাইন নির্মাণের নকশা প্রণয়নের জন্য পাওয়ার গ্রিড বাংলাদেশ পিএলসি পরামর্শক নিয়োগ করেছে বলে জানা গেছে। এছাড়া লাইনটির পরিবেশগত ছাড়পত্র প্রণয়নের জন্য পাওয়ার সেলে আরেকটি পরামর্শক নিয়োগের কার্যক্রম চলমান আছে।
ভারতের উত্তর-পূর্বাঞ্চলের রাজ্য থেকে বাংলাদেশের ভেতর দিয়ে ভারতের অন্য অংশে বিদ্যুৎ নিতে ৭৬৫ কেভি বিদ্যুৎ সঞ্চালন লাইন নির্মাণ করতে চায় নয়াদিল্লি। আর এ সঞ্চালন লাইন নির্মাণে কারিগরি এ আর্থিক বিবেচনায় বাংলাদেশের সঞ্চালন প্রতিষ্ঠান পাওয়ার গ্রিডের কোনো প্রয়োজন না হলেও ভারতের স্বার্থ রক্ষায় একতরফাভাবে পাওয়ার গ্রিডের মাধ্যমে কাজ করার সিদ্ধান্ত দেয়া হয়েছে বলে অভিযোগ উঠেছে। ভারতের প্রয়োজনে বাংলাদেশ অংশে সঞ্চালন লাইন স্থাপনে বাংলাদেশের ওপর ছয় হাজার থেকে সাত হাজার কোটি টাকার ঋণের বোঝা চাপবে। এ বিষয়ে শেখ হাসিনা সরকারের শেষ সময়ে ১৮ থেকে ২১ জুলাই ভারতে অনুষ্ঠিত এ-সংক্রান্ত যৌথ স্টিয়ারিং কমিটির সভায় এককভাবে সম্মতি দিয়ে এসেছে খোদ বিদ্যুৎ বিভাগের তৎকালিন অতিরিক্ত সচিব।
প্রসঙ্গত আমরা মনে করি, বিদ্যুৎ বিভাগের কিছু কর্মকর্তা ভারতের স্বার্থ রক্ষার জন্য বরাবরই মরিয়া ছিলেন। বিদ্যুৎ সিস্টেমকে ধ্বংস করার এজেন্ডা বাস্তবায়নের সব সময়ই সোচ্চার ছিলো।
ভুটানের পূর্ব দিকে ভারতের অরুণাচল প্রদেশ। যমুনা (ব্রহ্মপুত্র) নদীর শতকরা ৬০ ভাগ পানি অরুণাচল প্রদেশ থেকে আসে। ২০১৪ সালের বাংলাদেশ-ভারত যৌথ কারিগরি টিম প্রতিবেদন অনুযায়ী, অরুণাচল প্রদেশে ভারত সরকারের ১৫৪টি পানিবিদ্যুৎ প্রকল্প নির্মাণের পরিকল্পনা এগিয়ে যাচ্ছে। এগুলোর সক্ষমতা প্রায় ৫৭ গিগাওয়াট। এসব প্রকল্প থেকে ভারতের মূল ভূখ-ে বিদ্যুৎ পরিবহন করে নেওয়ার জন্য একাধিক উচ্চক্ষমতার বিদ্যুতের সঞ্চালন লাইন নির্মাণ করতে হবে। এখানেই ভারতের বাংলাদেশকে দরকার।
চিকেন নেক (শিলিগুড়ি করিডোর) শিলিগুড়ি শহর বিভিন্ন সড়ক, পানির খাল এবং অনেকগুলো বৈদ্যুতিক লাইনের কারণে ইতিমধ্যে ঘিঞ্জি হয়ে গেছে। সেখানে নতুন করে উচ্চক্ষমতার বৈদ্যুতিক লাইন নির্মাণ করতে গেলে সমস্যা। দোকলাম ভ্যালিতে আছে চীনা সেনাবাহিনীর ঘাঁটি। সে বিবেচনায় বৈদ্যুতিক গ্রিডের গুরুত্বপূর্ণ সঞ্চালন লাইন শিলিগুড়ি করিডোর দিয়ে বানানো ভারতের জন্য অত্যন্ত ঝুঁকিপূর্ণ। বাংলাদেশের ভেতর দিয়ে এই ব্যাকবোন লাইন বানালে ঝুঁকি অনেক কমে যায়।
সারা পৃথিবীতে প্রায় ১৫০টি আন্তসীমান্ত নদীর ৫৪টিই বাংলাদেশ-ভারতের সীমান্ত অতিক্রম করে প্রবাহিত। আন্তর্জাতিক আইনের তোয়াক্কা না করে নদীগুলোর ওপর ভারত একের পর এক বাঁধ নির্মাণ করে একতরফাভাবে পানি আটকে বা ছেড়ে দেওয়ার মতো কাজ করছে। বাংলাদেশের উজানে যত বাঁধ ভারত তৈরি করবে, এমন কাজ আরও বাড়তে থাকবে। ভারতকে বৈদ্যুতিক করিডোর দিলে বাংলাদেশের উজানে পরিকল্পনাধীন অনেক বাঁধ নির্মাণের জন্য ভারতের বিভিন্ন সংস্থা বিনিয়োগ জোগাড় করতে পারবে। এমতাবস্থায় ভারতকে বৈদ্যুতিক করিডোর নির্মাণ করতে সাহায্য করা বাংলাদেশের জন্য আত্মঘাতী একটা সিদ্ধান্ত।
ভারতের একতরফা বাঁধ নির্মাণ ঠেকানোর জন্য বাংলাদেশের কূটনৈতিক, আন্তর্জাতিক ইত্যাদি অঙ্গনে জোর প্রচেষ্টা চালানোর প্রয়োজন ছিল। তার বদলে ভারত, ভুটান ও নেপাল থেকে বিদ্যুৎ আমদানির নামে ভারতকে বিদ্যুৎ করিডোর দেওয়ার বিভিন্ন উদ্যোগ চলেছে। বিদ্যুৎ বিভাগের কিছু কর্মকর্তা করিডোর লাইনের ডিজাইন ঝুঁকি এবং ফিজিবিলিটি স্টাডি সামনে আনলে তারা বদলি এবং হয়রানির শিকার হয়েছে বলেও অভিযোগ পাওয়া গেছে। ফলে আওয়ামী লীগ সরকারের আমলের এই ভারতকেন্দ্রিক রাজনৈতিক সিদ্ধান্ত অবিলম্বে প্রত্যাহার করতে হবে ইনশাআল্লাহ।
ছহিবে সাইয়্যিদি সাইয়্যিদিল আ’ইয়াদ শরীফ, রাজারবাগ শরীফ উনার মামদূহ মুর্র্শিদ ক্বিবলা সাইয়্যিদুনা হযরত সুলত্বানুন নাছীর আলাইহিস সালাম উনার নেক ছোহবত মুবারক-এ কেবলমাত্র তা লাভ করা সম্ভব। খালিক্ব মালিক রব মহান আল্লাহ পাক তিনি আমাদেরকে তা নছীব করুন। আমীন!
এ সম্পর্কিত আরো সংবাদ
-
দেশবাসীর প্রধান খাদ্য ভাত তাই চালের দাম বৃদ্ধি কোনোভাবেই বরদাশতযোগ্য নয়
২০ সেপ্টেম্বর, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল জুমুয়াহ (শুক্রবার) -
খলীফাতুল্লাহ, খলীফাতু রসূলিল্লাহ, ছাহিবু সাইয়্যিদি সাইয়্যিদিল আ’ইয়াদ শরীফ, আহলু বাইতি রসূলিল্লাহ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম, ক্বায়িম-মাক্বামে হাবীবুল্লাহ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম, সাইয়্যিদুনা হযরত সুলত্বানুন নাছীর আলাইহিস সালাম উনার ছোহবত মুবারক এবং আখিরী যামানায় মুর্দা দিলের পূনরুজ্জীবন।
১৯ সেপ্টেম্বর, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল খমীছ (বৃহস্পতিবার) -
পবিত্র দ্বীন ইসলাম উনার প্রতি যত্মশীল না হলে পবিত্র দ্বীন ইসলাম বিপন্ন বলে আওয়াজ উঠবে। ৯৮ ভাগ মুসলমান অধ্যুষিত দেশে পবিত্র দ্বীন ইসলাম উনার বিরোধিতা করে কোনো মঞ্চ বা রাষ্ট্রযন্ত্র টিকে থাকতে পারবে না।
১৯ সেপ্টেম্বর, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল খমীছ (বৃহস্পতিবার) -
আজ সাইয়্যিদু সাইয়্যিদিশ শুহূরিল আ’যম শরীফ, মহাসম্মানিত মহাপবিত্র রবীউল আউওয়াল শরীফ উনার ১৪ তারিখ। সাইয়্যিদাতুনা হযরত উম্মুল মু’মিনীন আল ঊলা কুবরা আলাইহাস সালাম উনার মহাসম্মানিত মহাপবিত্র বিলাদতী শান মুবারক প্রকাশ দিবস। সুবহানাল্লাহ! পালিত হলো মহাসম্মানিত মহাপবিত্র ১৩ই রবীউল আউওয়াল শরীফ।
১৮ সেপ্টেম্বর, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল আরবিয়া (বুধবার) -
মুবারক হো- সাইয়্যিদু সাইয়্যিদিশ শুহূরিল আ’যম শরীফ, মহাসম্মানিত মহাপবিত্র ১২ রবীউল আউওয়াল শরীফ পবিত্র সাইয়্যিদে ঈদে আ’যম শরীফ, পবিত্র সাইয়্যিদে ঈদে আকবর শরীফ, পবিত্র ঈদে বিলাদতে রসূলিল্লাহ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উদযাপনের ঘনঘটা- উম্মত হিসেবে নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার প্রতি আমাদের মুহব্বতের মাপকাঠির সূচক নির্দেশ করে।
১৬ সেপ্টেম্বর, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল ইছনাইনিল আযীম (সোমবার) -
আজ সাইয়্যিদু সাইয়্যিদিশ শুহূরিল আ’যম শরীফ, মহাসম্মানিত মহাপবিত্র রবীউল আউওয়াল শরীফ উনার ১২ তারিখ। সাইয়্যিদু সাইয়্যিদিল আ’ইয়াদ শরীফ, সাইয়্যিদে ঈদে আ’যম শরীফ, সাইয়্যিদে ঈদে আকবর শরীফ, পবিত্র ঈদে বিলাদতে সাইয়্যিদুনা হযরত সুলত্বানুন নাছীর আলাইহিস সালাম ।
১৬ সেপ্টেম্বর, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল ইছনাইনিল আযীম (সোমবার) -
আজ সাইয়্যিদু সাইয়্যিদিশ শুহূরিল আ’যম শরীফ, মহাসম্মানিত মহাপবিত্র রবীউল আউওয়াল শরীফ উনার ১১ তারিখ। ইমামুন নাহু ওয়াছ ছরফ, উস্তাদুল উলামা, আওলাদে রসূল সাইয়্যিদুনা হযরত আবূ উম্মিল উমাম আলাইহিস সালাম উনার পবিত্র বিছালী শান মুবারক প্রকাশ দিবস। সুবহানাল্লাহ!
১৫ সেপ্টেম্বর, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল আহাদ (রোববার) -
আজ সাইয়্যিদু সাইয়্যিদিশ শুহূরিল আ’যম শরীফ, মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র রবীউল আউওয়াল শরীফ উনার ১০ তারিখ। সাইয়্যিদাতু নিসায়িল আলামীন, সাইয়্যিদাতু নিসায়ি আহলিল জান্নাহ, সাইয়্যিদাতুনা হযরত উম্মু রসূলিনা ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার ও ইবনু রসূলিল্লাহ সাইয়্যিদুনা হযরত আন নূরুর রবি’ আলাইহিস সালাম উনার পবিত্র বিছালী শান মুবারক প্রকাশ দিবস মুবারক।
১৪ সেপ্টেম্বর, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুছ সাবত (শনিবার) -
সাইয়্যিদু সাইয়্যিদিশ শুহূরিল আ’যম শরীফ, মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র রবীউল আউওয়াল শরীফ উনার ৯ তারিখ। সাইয়্যিদুনা হযরত সিবতু রসূলিল্লাহ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম আস সাদিস আলাইহিস সালাম উনার মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র বিলাদতী শান মুবারক প্রকাশ দিবস। সুবহানাল্লাহ!
১৩ সেপ্টেম্বর, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল জুমুয়াহ (শুক্রবার) -
সাইয়্যিদু সাইয়্যিদিশ শুহূরিল আ’যম শরীফ, মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র রবীউল আউওয়াল শরীফ উনার ৮ তারিখ। খইরু আবনায়ি রসূলিল্লাহ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম, ক্বইয়িদুল খলায়িক, সাইয়্যিদুল খলায়িক, সাইয়্যিদুনা হযরত আন নূরুছ ছানী আলাইহিস সালাম উনার এবং সাইয়্যিদুল মুজতাহিদীন, ইমামুল আউলিয়া, আওলাদে রসূল, সাইয়্যিদুনা হযরত ইমামুল হাদী আশার মিন আহলি বাইতি রসূলিল্লাহ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনাদের সুমহান বিছালী শান মুবারক প্রকাশ উনার দিবস মুবারক।
১২ সেপ্টেম্বর, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল খমীছ (বৃহস্পতিবার) -
আজ সাইয়্যিদু সাইয়্যিদিল আসইয়াদ, সাইয়্যিদু সাইয়্যিদিশ শুহূরিল আ’যম শরীফ, মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র রবীউল আউওয়াল শরীফ উনার ৭ তারিখ। যা সাইয়্যিদাতুন নিসা, উম্মুল উম্মাহাত, আফদ্বালুন নিসা বা’দা হযরত উম্মাহাতিল মু’মিনীন আলাইহিন্নাস সালাম, আহলু বাইতে রসূল, সাইয়্যিদাতুনা হযরত উম্মুল উমাম আলাইহাস সালাম উনার মহাপবিত্র বিলাদতী শান মুবারক প্রকাশ দিবস।
১১ সেপ্টেম্বর, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল আরবিয়া (বুধবার) -
কৃষকদেরকে ঋণ দেয়া হয় সবচেয়ে কম। পৃথিবীতে বাংলাদেশেই কৃষকদের ধান উৎপাদন খরচ সবচেয়ে বেশি। আবার সরকারের ক্রয় সীমাও কম। কৃষকদের বাঁচাতে সমূহ ব্যবস্থা সত্ত্বর গ্রহণ করতে হবে।
১০ সেপ্টেম্বর, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুছ ছুলাছা (মঙ্গলবার)