ব্যাংক ঋণে ‘ভোগান্তি’, এনজিওতে ঝুঁকছেন কৃষক
, ১২ই রজবুল হারাম শরীফ, ১৪৪৪ হিজরী সন, ০৬ তাসি, ১৩৯০ শামসী সন, ৪ঠা ফেব্রুয়ারি, ২০২৩ খ্রি:, ২১ই মাঘ, ১৪২৯ ফসলী সন, ইয়াওমুছ সাবত (শনিবার) দেশের খবর
ঋণ নিতে নানা ভোগান্তি এড়াতে ব্যাংকবিমুখ হচ্ছেন কৃষকরা। অপেক্ষাকৃত সহজ শর্তে ঋণ পাওয়ায় বেসরকারি সংস্থামুখী (এনজিও) হচ্ছেন তারা।
খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, চলতি বোরো মৌসুমে দুই হাজার কৃষককে ২৯ কোটি ৮১ লাখ টাকা ব্যাংক ঋণ দেওয়া হয়েছে। তবে এনজিও থেকে নেওয়া এ ঋণের পরিমাণ প্রায় দ্বিগুণ। কৃষকরা বলছেন, মূলত ভোগান্তি এড়াতেই এনজিওর দিকে ঝুঁকছেন তারা।
বোরো মৌসুমে সুনামগঞ্জে ধানের চাষাবাদ শুরু হয়েছে। গতবছরের বন্যায় ঘরবাড়ি ও গোলার ধান ভেসে যাওয়ায় এবছর ধান রোপণের পাশাপাশি ঘরবাড়িও মেরামত করতে হচ্ছে কৃষকদের। এ অবস্থা থেকে পরিত্রাণ পেতে ঋণ নেওয়ার চেষ্টা করছেন তারা।
সরকারি পর্যায়ে ব্যাংকগুলোতে ঋণ সহায়তাসহ নানা প্রণোদনা প্যাকেজ রয়েছে কৃষকদের জন্য। কিন্তু অতিরিক্ত হয়রানি ও অধিক পরিমাণের নিয়মকানুন থাকায় ব্যাংকের ঋণ না নিয়ে জরুরিভিত্তিতে অর্থের জন্য তারা ছুটছেন এনজিওর দুয়ারে। পরে উৎপাদিত ধানের লাভের টাকা দিয়ে চড়া সুদে সেই ঋণ পরিশোধ করেন কৃষকরা।
হাওরে গিয়ে দেখা যায়, প্রচ- শীতে ঠান্ডা কাদাপানিতে খালি পায়ে লাঙল দিয়ে হালচাষ করছেন কৃষকরা। সেখানে কথা হয় সুনামগঞ্জের সদর উপজেলার কৃষক আব্দুল খালেক ও চালেক মিয়ার সঙ্গে। তারা জানান, টাকার অভাবে পাওয়ার টিলার কিনতে পারছেন না। তাই ১২ কেয়ার (একর) জমিতে লাঙল দিয়ে হালচাষ করছেন দুই ভাই।
আরেক কৃষক আব্দুল মতিন। এবছর সাত একর জমিতে বোরো ধান করছেন। তিনি বলেন, ‘বোরো ধান উৎপাদনে অনেক টাকার প্রয়োজন হয়। আমাদের মতো কৃষকদের জন্য সরকারি কোনো সুযোগ-সুবিধা আছে কি না জানা নেই।’
সুনামগঞ্জের হাওর এলাকার কৃষকদের মধ্যে লেখাপড়া জানা ব্যক্তির সংখ্যা কম। জমির কাগজপত্র সম্পর্কে তেমন ধারণা নেই। ফলে সরকারি ব্যাংকগুলোর সঙ্গে হাওরপাড়ের কৃষকরা যোগাযোগ করলে তারা কোনো সহযোগিতা পান না বলে অভিযোগ। কখনো কখনো দালালদের খপ্পরে পড়ে চরম বেকায়দায় পড়তে হয় তাদের।
বাধ্য হয়ে চড়া সুদে গ্রামের মহাজন ও এনজিওগুলোর কাছ থেকে ঋণ নেন কৃষকরা। যা পরিশোধ করতে উৎপাদিত ফসলের বড় একটা অংশ চলে যায়। ফলে সরকারিভাবে কৃষি ঋণ না পাওয়ায় হতাশায় আছেন সুনামগঞ্জের ১২ উপজেলার কৃষকরা।
হাওরের কৃষক রাজু মিয়া বলেন, ‘ব্যাংকে যাওয়ার চেয়ে না যাওয়া ভালো। কারণ ব্যাংকে গেলে টাকা তো পাই-ই না বরং আমাদের হয়রানির শিকার হতে হয়। বিভিন্ন কাগজপত্র চাওয়া হয়।’
কৃষক তৈয়বুর মিয়া বলেন, ‘ঋণ নিতে গেলে ব্যাংক আমাদের হয়রানি করে। সেজন্য আমরা মহাজন কিংবা এনজিওগুলোর কাছ থেকে চড়া সুদে টাকা নিয়ে বোরো ধান করি।’
কৃষকরা বলছেন, ব্যাংকের তুলনায় এনজিও থেকে ঋণ পাওয়া সহজ। তবে তাদের সুদের হার বেশি। তারপরও বিভিন্ন ঝামেলা এড়াতে এসব এনজিও থেকেই ঋণ নেন তারা।
সুনামগঞ্জ জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপ-পরিচালক বিমল চন্দ্র সোম বলেছে, কৃষকরা যাতে হয়রানি মুক্ত হয়ে কৃষিঋণ পেতে পারেন সেজন্য আমরা মাঠ পর্যায়ে সভা, সেমিনার করে তাদের পরামর্শ দিয়ে যাচ্ছি। কোনো কৃষক যদি ব্যাংকে গিয়ে হয়রানির শিকার হন তাহলে অবশ্যই কৃষি অফিস তাদের সহযোগিতা করবে।
এ সম্পর্কিত আরো সংবাদ
-
এবার ইউক্রেনের সঙ্গে ‘কৌশলগত সম্পর্ক’ গড়তে চায় সিরিয়া
০১ জানুয়ারি, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল আরবিয়া (বুধবার) -
রএ মাসেই কয়েক দফা শৈত্যপ্রবাহ
০১ জানুয়ারি, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল আরবিয়া (বুধবার) -
চাঁদপুরে ৭ মণ কচ্ছপ উদ্ধার
০১ জানুয়ারি, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল আরবিয়া (বুধবার) -
পদ্মা সেতু দুর্নীতির মামলা পুনরায় তদন্তের সিদ্ধান্ত
০১ জানুয়ারি, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল আরবিয়া (বুধবার) -
‘মার্চ ফর ইউনিটি’র গাড়িবহরে হামলা, সংঘর্ষ, রণক্ষেত্র
০১ জানুয়ারি, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল আরবিয়া (বুধবার) -
আ.লীগের সুবিধাভোগীরা এসে কেঁদে দিয়ে বলে তারাও বঞ্চিত -আসিফ নজরুল
০১ জানুয়ারি, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল আরবিয়া (বুধবার) -
জাতি একবারই স্বাধীন হয়, একাত্তরের সঙ্গে ২৪’র তুলনা চলে না -নুর
০১ জানুয়ারি, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল আরবিয়া (বুধবার) -
কর্মকর্তা-কর্মচারীরা আচরণবিধি লঙ্ঘন করলে কঠোর ব্যবস্থা
০১ জানুয়ারি, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল আরবিয়া (বুধবার) -
আজ পবিত্র রজবুল আছম্ম মাসের চাঁদ তালাশ বিষয়ে ‘মাজলিসু রুইয়াতিল হিলাল’ উনার সভা
০১ জানুয়ারি, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল আরবিয়া (বুধবার) -
ঢেলে সাজানোর আগে সাইবার সুরক্ষা অধ্যাদেশ অনুমোদন গ্রহণযোগ্য নয় -টিআইবি
০১ জানুয়ারি, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল আরবিয়া (বুধবার) -
শিবিরের সম্মেলনে সারজিস, ঐক্যবদ্ধভাবে কাজের অঙ্গীকার
০১ জানুয়ারি, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল আরবিয়া (বুধবার) -
সামনে বড় যুদ্ধ অপেক্ষা করছে আমাদের জন্য -তারেক রহমান
০১ জানুয়ারি, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল আরবিয়া (বুধবার)