সম্পাদকীয়-১
বীজ আইন সংস্কার করে শস্যের বীজে কৃষকের আসার নিশ্চিত করতে হবে।
, ১৩ ই জুমাদাল ঊলা শরীফ, ১৪৪৬ হিজরী সন, ১৯ সাদিস, ১৩৯২ শামসী সন , ১৬ নভেম্বর, ২০২৪ খ্রি:, ৩১ কার্তিক, ১৪৩১ ফসলী সন, ইয়াওমুছ সাবত (শনিবার) সম্পাদকীয়
সব প্রশংসা মুবারক খালিক্ব মালিক রব মহান আল্লাহ পাক উনার জন্য; যিনি সকল সার্বভৌম ক্ষমতার মালিক। সাইয়্যিদুল মুরসালীন, ইমামুল মুরসালীন, নবী আলাইহিমুস সালাম উনাদের নবী, রসূল আলাইহিমুস সালাম উনাদের রসূল, নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার প্রতি অফুরন্ত দুরূদ শরীফ ও সালাম মুবারক।
বীজ উদ্ভাবন ও বীজ আবিষ্কার করেছেন মূলত কৃষকরা। বাংলাদেশে এই আবিষ্কারের সংখ্যা কমপক্ষে ১৫ হাজার। কৃষকের আবিষ্কারের এ ঐতিহ্যগত প্রণোদনা, বীজের ওপর কৃষকের অধিকার ও যতœশীল তত্ত্বাবধানের ক্ষয় ঘটেছে মারাত্মকভাবে। আজকাল বিজ্ঞানী বা করপোরেট কোম্পানি যে বীজ তাদের আবিষ্কার বলে দাবি করে তাদের মূল উৎস কিন্তু কৃষকেরই বীজ। তারা সেই সত্য লুকোতে চায় বলে ধানের নাম হয় সংখ্যা দিয়ে। যেমন ব্রি ২৯, ব্রি ২৮ ইত্যাদি। এতে কৃষকের বীজকে একটু বদলিয়ে তাকে নিজেদের আবিষ্কার বলে দাবি করার সুবিধা তৈরি হয় এবং আধুনিক বলে দেখানো যায়। তাই বলা হয়, নম্বরি বীজ আদতে কৃষকের বীজ চুরি করার একটা পদ্ধতি হয়ে উঠেছে, এতে বীজের উৎস গোপন রাখা সম্ভব হয় এবং এখন বীজ কোম্পানিগুলো অনায়াসে কৃষকের বীজ ডাকাতি করতে পারে। বীজ ডাকাতিকে বলা হয় ‘বায়োপাইরেসি’। এ বিষয়গুলো দীর্ঘকাল ধরেই আন্তর্জাতিক মহলে আলোচিত হচ্ছে; নতুন কিছু নয়।
কৃষকের বীজ ব্যবস্থা মানে তাহলে বিজ্ঞানী কিংবা সরকারি উদ্যোগে প্রাতিষ্ঠানিক বীজ ব্যবস্থার বিপরীতে বাংলাদেশের কৃষকদের উদ্ভাবিত স্থানীয় জাতের বীজ। ল্যাবরেটরিতে ‘বিজ্ঞানীদের’ উদ্ভাবিত বীজের মধ্যে সংখ্যা এবং বিভিন্ন ব্যবহারের দিক থেকে বিচার করলে বাংলাদেশে এখনো কৃষকদের বীজের গুরুত্বই বেশি। এ কথা অস্বীকার করার কোনো উপায় নেই। কৃষকের বৈচিত্র্যপূর্ণ ধান যদি না থাকত তাহলে আমাদের মুড়ি, চিড়া, খৈ, পোলাও, খিচুড়ি, পিঠা, পায়েস ইত্যাদির নানা সামাজিক-সাংস্কৃতিক চাহিদা মেটানো অসম্ভব হতো। ঈদ বা বিভিন্ন ধর্মীয় অনুষ্ঠানের প্রয়োজনীয় খাদ্য তৈরি করা যেত না। পুষ্টিকর খাদ্য উৎপাদন করাও সম্ভব হতো না।
কৃষকরা হাজার বছর ধরে নানা নামের এবং নানা ধরনের ধানের বীজ, সবজি, ডাল তেল নিজ নিজ এলাকার ভৌগোলিক ও আবহাওয়ার সঙ্গে খাপ খাইয়ে চাষ করে আসছেন। এটাই আমাদের ঐতিহ্য। অথচ মাত্র ৫০-৬০ বছর আগে বিদেশের কিছু প্রতিষ্ঠানের সহায়তায় যে ধানের বীজ উদ্ভাবন করা হয়েছে এবং এক কথায় ব্র্যান্ডিং করা হচ্ছে ‘আধুনিক জাত’ বলে, সেসবই এখন বাংলাদেশে কৃষিজমির অধিকাংশ অংশজুড়ে আছে এবং এ সম্প্রসারণের দায়িত্বে আছে কৃষি মন্ত্রণালয়। কৃষি সম্প্রসারণ বিভাগ গ্রামে কৃষকদের নিজেদের রাখা স্থানীয় জাতের ধানের চাষ না করে ‘আধুনিক’ জাত উৎপাদন সম্প্রসারণ করছেন। বিজ্ঞানীরা নতুন জাত আবিষ্কার করবেন, সেটা ভিন্ন তর্ক। প্রশ্ন হচ্ছে, আমরা যখন আধুনিক জাত জবরদস্তি সম্প্রসারণ করছি তখন কৃষকের মাঠে দেশী জাত সংরক্ষণের ব্যবস্থা গ্রহণ করা হলো না কেন? কৃষকের বীজ গেল কোথায়?
অথচ বীজ জমা করে রাখার ব্যাপারে বীজ আইন কৃষকদের নিরুৎসাহিত করে। ফলে বীজ উৎপাদকরা নতুন, আধুনিক জাতের বীজ উৎপাদন করার ব্যাপারে যেসব বীজের ওপর নির্ভর করেন, সেগুলো সংরক্ষণ করা কঠিনতর হয়ে পড়ছে।
বাংলাদেশে একটি বীজ আইন, ২০১৮ আছে যা সিড অর্ডিন্যান্স, ১৯৭৭ (ঙৎফরহধহপব ঘড়. ঢঢঢওওও ড়ভ ১৯৭৭) রহিত করে প্রণীত হয়েছে। এ আইন দিয়ে সম্পূর্ণ আমলানির্ভর (বিভিন্ন মন্ত্রণালয় ও বিভাগের সচিব, মহাপরিচালক, চেয়ারম্যান ইত্যাদি) নিয়ে একটি বিশাল জাতীয় বীজ বোর্ড গঠন করা হয়েছে। এদের সঙ্গে কৃষি বা কৃষকের কোনো সম্পর্ক নেই। তাদের কাজ হচ্ছে ‘সরকার কৃষি ক্ষেত্রে ব্যবহার্য এবং বিক্রয়যোগ্য যেকোনো ফসল বা জাতের বীজের গুণগত মান নির্ণয় করিবে’। এ কাজ করার যোগ্যতা তাদের আছে কিনা সেটার কোনো মানদ- ঠিক হয়নি।
আইনে বীজ প্রত্যয়ন এজেন্সির মাধ্যমে বীজের সনদ দেয়ার বিধান আছে; কিন্তু সেটা বীজ বিক্রয় ইত্যাদির জন্য বেশি প্রযোজ্য, কৃষকের উদ্ভাবনের কোনো স্থান এ আইনে নেই। বলা বাহুল্য, এ বীজ আইন কৃষকের বীজের জন্য নয়, এ আইন বীজ বাণিজ্যের জন্য।
সঙ্গতকারণেই আমরা মনে করি, দ্রুত করপোরেট স্বার্থে প্রণীত বীজ আইন ও বীজের বিধিবিধান বদলাতে হবে। কৃষকের স্বার্থ, বিশেষত বাংলাদেশের প্রাণ, প্রকৃতি ও পরিবেশ সংরক্ষণের প্রতি কঠোর নজর রেখে নতুনভাবে আমাদের বীজ ও খাদ্য সার্বভৌমত্ব নিয়ে ভাবতে হবে।
ছহিবে সাইয়্যিদি সাইয়্যিদিল আ’ইয়াদ শরীফ, রাজারবাগ শরীফ উনার মামদূহ মুর্র্শিদ ক্বিবলা সাইয়্যিদুনা হযরত সুলত্বানুন নাছীর আলাইহিস সালাম উনার নেক ছোহবত মুবারক-এ কেবলমাত্র তা লাভ করা সম্ভব। খালিক্ব মালিক রব মহান আল্লাহ পাক তিনি আমাদেরকে তা নছীব করুন। আমীন।
এ সম্পর্কিত আরো সংবাদ
-
সরকারের নির্দেশ আর হাইকোর্টের নিষেধাজ্ঞা সত্ত্বেও কমানো হচ্ছে না শিশুর কাধে ১২ কেজির বইয়ের বোঝা সংস্কারের দাবীদার- নতুন সরকার কী নতুন বছরে শিশুর কাধে বইয়ের বোঝা কমাবে?
১৬ নভেম্বর, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুছ সাবত (শনিবার) -
সাইয়্যিদু সাইয়্যিদিল আসইয়াদ, সাইয়্যিদু সাইয়্যিদিশ শুহূরিল আ’যম, মহাসম্মানিত রবীউল আউওয়াল শরীফ মাস উনার মহিমান্বিত, মহাপবিত্র ১২ তারিখ উনার সাথে সম্পর্কযুক্ত মহাসম্মানিত ১২ই জুমাদাল ঊলা শরীফ আজ।
১৫ নভেম্বর, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল জুমুয়াহ (শুক্রবার) -
আজ সুমহান মহাপবিত্র ১১ই জুমাদাল উলা শরীফ। যা সাইয়্যিদাতু নিসায়িল আলামীন, সাইয়্যিদাতু নিসায়ি ইয়াওমিল ক্বিয়ামাহ, সাইয়্যিদাতু নিসায়ি আহলিল জান্নাহ, আহাব্বুন নাসি ইলান নাবিয়্যি, সাইয়্যিদাহ, ত্বহিরাহ, ত্বইয়িবাহ, যাকিয়্যাহ, রদ্বিয়্যাহ, মারদ্বিয়্যাহ, উম্মু আবীহা সাইয়্যিদাতুনা হযরত আন নূরুছ ছালিছাহ আলাইহাস সালাম উনার সুমহান পবিত্র বিলাদতী শান মুবারক প্রকাশ করার সুমহান দিবস।
১৪ নভেম্বর, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল খমীছ (বৃহস্পতিবার) -
প্রসঙ্গঃ স্বদেশের প্রতি মুহব্বত দাবিদার মুসলমান এবং স্বদেশের প্রতি আঘাত।
১৩ নভেম্বর, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল আরবিয়া (বুধবার) -
তরুণদের বিদেশমুখিতার হার দেশের জন্য আশঙ্কাজনক শিক্ষার মান উচ্চ, গবেষণার পরিবেশ সমুন্নত এবং কর্মসংস্থান প্রসারিত করে মেধা পাচার রোধ করতে হবে
১৩ নভেম্বর, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল আরবিয়া (বুধবার) -
দেশে মজুদ খনিজ সম্পদের অর্থমূল্য প্রায় ৫০ ট্রিলিয়ন ডলারেরও বেশি কিন্তু উত্তোলনে বিনিয়োগ নাই বললেই চলে অথচ দেশ থেকে অর্থ পাচারের পরিমাণ ২০ লাখ কোটি টাকা সরকারের ঋণের পরিমাণ প্রায় ২০ লাখ কোটি টাকা
১২ নভেম্বর, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুছ ছুলাছা (মঙ্গলবার) -
মুবারক হো- মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র ৯ই জুমাদাল ঊলা শরীফ! বাবুল ইলম, কুতুবুল আলম, জামিউল আলক্বাব, আওলাদে রসূল, সাইয়্যিদুনা হযরত হাদিউল উমাম আলাইহিস সালাম উনার মহাসম্মানিত বিলাদতী শান মুবারক প্রকাশ দিবস।
১২ নভেম্বর, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুছ ছুলাছা (মঙ্গলবার) -
প্রসঙ্গ: রাষ্ট্রদ্বীন ইসলাম মুসলমানের দ্বীনি অধিকার, পবিত্র দ্বীন ইসলাম পালনে আবহ এবং রাষ্ট্রযন্ত্রের দায়
১১ নভেম্বর, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল ইছনাইনিল আযীম (সোমবার) -
আদানির সাথে এবং স্বার্থে জালেম সরকারের ‘একতরফা’ এবং চুক্তি এক্ষুনি পরিহার করুন
১১ নভেম্বর, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল ইছনাইনিল আযীম (সোমবার) -
সাইয়্যিদু সাইয়্যিদিশ শুহূরিল আ’যম শরীফ, মহাসম্মানিত রবীউল আউওয়াল শরীফ মাস উনার মহিমান্বিত, মহাপবিত্র ৭ তারিখ উনার সাথে সম্পর্কযুক্ত পবিত্র ৭ই জুমাদাল উলা শরীফ আজ।
১০ নভেম্বর, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল আহাদ (রোববার) -
দেশে মারাত্মকভাবে বাড়ছে বিষন্নতা তথা আত্মহত্যার প্রবণতা প্রতিরোধে ইসলামী মূল্যবোধের বিস্তারে বিকল্প নেই
০৯ নভেম্বর, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুছ সাবত (শনিবার) -
পবিত্র দ্বীন ইসলাম উনার প্রতি যত্নশীল না হলে পবিত্র দ্বীন ইসলাম বিপন্ন বলে আওয়াজ উঠবে। ৯৮ ভাগ মুসলমান অধ্যুষিত দেশে পবিত্র দ্বীন ইসলাম উনার বিরোধিতা করে কোনো মঞ্চ বা রাষ্ট্রযন্ত্র টিকে থাকতে পারবে না।
০৯ নভেম্বর, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুছ সাবত (শনিবার)