সম্পাদকীয় (২)
বিশ্বের বিভিন্ন দেশ বর্জ্য সম্ভাবনাকে কাজে লাগালেও বাংলাদেশ এখনো বহু পিছিয়ে। অথচ বাংলাদেশে বর্জ্য থেকে হাজার হাজার মেগাওয়াট পর্যন্ত বিদ্যুৎ উৎপাদন করা সম্ভব; রয়েছে বায়োফুয়েল উৎপাদনের সম্ভাবনা। সরকারের উচিত- দেশের বর্জ্য ব্যবস্থাপনাকে সমৃদ্ধির উৎসে পরিণত করা।
, ১৫ রবীউছ ছানী শরীফ, ১৪৪৬ হিজরী সন, ২১ খ্বমিস , ১৩৯২ শামসী সন , ১৯ অক্টোবর , ২০২৪ খ্রি:, ০৩ কার্তিক, ১৪৩১ ফসলী সন, ইয়াওমুছ সাবত (শনিবার) সম্পাদকীয়
সব প্রশংসা মুবারক খালিক্ব মালিক রব মহান আল্লাহ পাক উনার জন্য; যিনি সকল সার্বভৌম ক্ষমতার মালিক। সাইয়্যিদুল মুরসালীন, ইমামুল মুরসালীন, নবী আলাইহিমুস সালাম উনাদের নবী, রসূল আলাইহিমুস সালাম উনাদের রসূল, নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার প্রতি অফুরন্ত দুরূদ শরীফ ও সালাম মুবারক।
চাহিদার সাথে তাল মিলিয়ে বিদ্যুৎ উৎপাদনে মহাপরিকল্পনা করছে পতিত সরকার। কিন্তু বিদ্যুতের মহাপরিকল্পনা নিয়ে প্রশ্ন তুলছেন বিশেষজ্ঞরা। এ মহাপরিকল্পনা নিয়ে বস্তাবায়ন হলে বিপাকে পড়বে দেশের বিদ্যুৎ খাত। কারণ এতে দেখা গেছে, ২০৪০ সাল নাগাদ শতভাগ আমদানি নির্ভর হয়ে উঠবে দেশের জ্বালানি খাত। ২০৩০ সাল নাগাদ দেশের জ্বালানিতে বিদেশি নির্ভরতা থাকবে প্রায় ৯২ শতাংশ। যা ২০৪০-এ গিয়ে দাঁড়াবে শতভাগে। অথচ সেই বছর থেকে বিদ্যুৎ উৎপাদনের পরিকল্পনা ৬০ হাজার মেগাওয়াট। যার আবার ৮৪ শতাংশই আসবে প্রধান তিন জ্বালানি গ্যাস, কয়লা এবং তেল থেকে। বিদেশ থেকে জ্বালানি কিনে বিদ্যুৎ তৈরি করতে গেলে বড় চাপ পড়বে অর্থনীতিতে।
বাংলাদেশের আভ্যন্তুরিন বহু উৎস্য রয়েছে যেগুলো থেকে জ্বালানি উৎপাদন করে দেশের চাহিদা মেটানো সম্ভব। আর এসব সম্ভাবনাময় উৎসের মধ্যে সৌরবিদ্যুৎ, বায়োবিদ্যুৎ, পানিবিদ্যুৎ ছাড়াও বর্জ্য থেকে উৎপাদিত বিদ্যুৎ এবং বায়োফুয়েল অন্যতম।
ঢাকায় প্রতিদিন হাজার হাজার টন বর্জ্য উৎপাদিত হয়। এই বিপুল পরিমাণ আবর্জনা রাজধানীর আমিনবাজার ও মাতুয়াইল ল্যান্ডফিল্ডে ফেলা হয়। দিন গড়ানোর সঙ্গে পাল্লা দিয়ে বাড়ছে এই বর্জ্যের পরিমাণ। জাপানি বিশেষজ্ঞ দলের ধারণা আর ১ বছর পর এই ল্যান্ডফিল্ডগুলোতে আর বর্জ্য ফেলা যাবে না। তখন অন্যত্র জায়গা খুঁজতে হবে। কিন্তু ঢাকার আশপাশে এত খালি জায়গা কোথায়? অর্থাৎ বর্জ্য প্রক্রিয়াজাতকরণের ব্যবস্থা না করা হলে, মহাবিপাকে যে পড়তে হবে তা বলার অপেক্ষা রাখে না।
দুঃখজনক হলেও সত্য যে, ঢাকার বিপুল পরিমাণ বর্জ্য দিয়ে বিদ্যুৎ উৎপাদনের জন্য কয়েকবার উদ্যোগ নেয়া হলেও এসব উদ্যোগ গতি পাচ্ছে না। সরকারের বিভিন্ন দপ্তরের মধ্যে নানা জটিলতায় মূলত থমকে আছে এ উদ্যোগ।
অন্যদিকে, বাংলাদেশ বর্জ্য সম্ভাবনাকে অবহেলা করলেও বিশ্বের বিভিন্ন দেশ এই উৎসকে কাজে লাগিয়ে জ্বালানিতে আত্মনির্ভরশীল হচ্ছে। গ্রিসের পেত্রা শহরে পরিত্যক্ত তরল বর্জ্য থেকে প্রতিদিন ২৫ কিলোওয়াট বিদ্যুৎ উৎপাদন হচ্ছে। আর বর্জ্যরে বিপুল সম্ভাবনাকে ১০০ শতাংশ কাজে লাগায় জার্মানি। জার্মানিসহ ইউরোপের প্রায় দুই মিলিয়ন লোক চাকরি করে এই বর্জ্যভিত্তিক শিল্প-কারখানায়। এ থেকে যে আয় হয় প্রায় ১৪৫ থেকে ১৫০ বিলিয়ন ইউরো বা ১৯০ থেকে ২০০ বিলিয়ন মার্কিন ডলার। নাইরোবিতে রয়েছে এই বর্জ্য রিসাইক্লিং করে বিদ্যুৎ উৎপাদন ও জৈব সার উৎপাদনের বিশাল শিল্প। সেইসাথে নাইজেরিয়া, দক্ষিণ আফ্রিকা, ইতালিও তাদের বর্জ্যের সম্ভাবনাকে কাজে লাগিয়েছে।
প্রসঙ্গত, বর্জ্য বা আবর্জনাকে সম্পদে রূপান্তর করাই সাম্প্রতিককালের ভাবনা। কিন্তু বাংলাদেশ সরকার সে বিষয়ে উদাসীনতার পরিচয় দিচ্ছে। অথচ আক্বল খাটানো এবং পরিচ্ছন্ন থাকা দুটোই পবিত্র দ্বীন ইসলাম উনার শিক্ষা। ৯৮ ভাগ মুসলমান অধ্যুষিত দেশ বাংলাদেশেই এ শিক্ষা কাজে লাগানোর সর্বাধিক দাবিদার। বাংলাদেশেও বর্জ্য ব্যবস্থাপনায় বিদ্যুৎ উৎপাদনের বিষয়টি আলোচিত হচ্ছে। কিন্তু নানা আমলাতান্ত্রিক জটিলতায় এ প্রকল্প আলোর মুখ দেখছে না। তাই ফাইলবন্দি না থেকে সত্বর বাস্তবায়নের জন্য আমরা আশু হস্তক্ষেপ কামনা করছি। আমাদের প্রত্যাশা- বিদ্যুৎবান্ধব প্রধান উপদেষ্টা অবশ্যই বর্জ্য বিদ্যুৎ ব্যবস্থাপনাকেও বিশেষ গুরুত্বের সাথে দেখবে।
মূলত, এসব অনুভূতি ও দায়িত্ববোধ আসে পবিত্র সাইয়্যিদু সাইয়্যিদিল আ’ইয়াদ শরীফ অনন্তকালব্যাপী পালন করার ইলম ও জজবা থেকে। আর তার জন্য চাই নেক ছোহবত মুবারক তথা মুবারক ফয়েয-তাওয়াজ্জুহ।
ছহিবে সাইয়্যিদি সাইয়্যিদিল আ’ইয়াদ শরীফ, রাজারবাগ শরীফ উনার মামদূহ মুর্র্শিদ ক্বিবলা সাইয়্যিদুনা হযরত সুলত্বানুন নাছীর আলাইহিস সালাম উনার নেক ছোহবত মুবারক-এ কেবলমাত্র তা লাভ করা সম্ভব। খালিক্ব মালিক রব মহান আল্লাহ পাক তিনি আমাদেরকে তা নছীব করুন। আমীন!
এ সম্পর্কিত আরো সংবাদ
-
উৎপাদনে বিশ্বের তৃতীয় হলেও পেয়াজ উৎপাদনে স্বয়ংসম্পূর্ণতা অর্জনে ব্যর্থতার দায়ভার শুধুই সরকারের।
১৯ অক্টোবর, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুছ সাবত (শনিবার) -
শিল্প-কলকারখানায় এক্ষুনি নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে হবে ইনশাআল্লাহ!
১৮ অক্টোবর, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল জুমুয়াহ (শুক্রবার) -
৮২ ভাগ এলাকা কংক্রিটে ঢাকা- তপ্তনগরী ‘ঢাকার’ উত্তাপ কমাতে হলে ঢাকার সুযোগ-সুবিধা সারাদেশে ছড়িয়ে দিতে হবে। যথাযথ বিকেন্দ্রীকরণ করতে হবে ইনশাআল্লাহ
১৮ অক্টোবর, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল জুমুয়াহ (শুক্রবার) -
দ্রব্যমূল্যের আগুনে ঝলসে যাচ্ছে মানুষ। মূল্যস্ফীতির চাপে পিষ্ট হচ্ছে জনসাধারণ।
১৭ অক্টোবর, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল খমীছ (বৃহস্পতিবার) -
প্রসঙ্গ: ভাসমান সৌরবিদ্যুৎ প্রকল্প শুধুমাত্র ভাসমান সৌরবিদ্যুৎ দিয়েই পূরণ হবে বিদ্যুতের চাহিদা রয়েছে রফতানির সম্ভাবনাও সৌর-সম্ভাবনাকে বিকশিত করলে বাংলাদেশ হবে নবায়নযোগ্য জ্বালানিসমৃদ্ধ দেশ।
১৭ অক্টোবর, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল খমীছ (বৃহস্পতিবার) -
সাইয়্যিদু সাইয়্যিদিশ শুহূরিল আ’যম, মহাসম্মানিত রবীউল আউওয়াল শরীফ মাস উনার মহিমান্বিত, মহাপবিত্র ১২ তারিখ উনার সাথে সম্পর্কযুক্ত পবিত্র ১২ই রবীউছ ছানী শরীফ আজ। সাইয়্যিদুনা হযরত সুলত্বানুন নাছীর আলাইহিস সালাম উনার শান মান মুবারক অনুভব করা, মর্যাদা-মর্তবা মুবারক জানা, দয়া-ইহসান মুবারক উপলব্ধি করা সর্বোপরি নেক ছায়াতলে উপনীত হওয়া বর্তমান যামানায় সবার জন্য ফরয।
১৬ অক্টোবর, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল আরবিয়া (বুধবার) -
বন্যা পরবর্তী পূণর্বাসন বন্যায় দুর্ভোগের চেয়েও কঠিন বন্যা দুর্গতদের এ কঠিন লড়াইয়ে সর্বাত্মক সহযোগিতা করতে হবে ইনশাআল্লাহ
১৫ অক্টোবর, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুছ ছুলাছা (মঙ্গলবার) -
আসন্ন অর্থনৈতিক মহা বিপর্যয় ঠেকাতে গার্মেন্টস অস্থিরতা এক্ষনই বন্ধ করতে হবে ইনশাআল্লাহ
১৫ অক্টোবর, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুছ ছুলাছা (মঙ্গলবার) -
খাবারে ঢুকছে প্লাস্টিক কণা, বিপর্যয়ের মুখে জনস্বাস্থ্য। স্থায়ী বিকলাঙ্গতা ও স্বাস্থ্যহানির শঙ্কায় দেশের জনগণ। বিষয়টি ভয়াবহ- সত্বর গুরুত্বের সাথে নজর দিন।
১৪ অক্টোবর, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল ইছনাইনিল আযীম (সোমবার) -
খাবারে ঢুকছে প্লাস্টিক কণা, বিপর্যয়ের মুখে জনস্বাস্থ্য। স্থায়ী বিকলাঙ্গতা ও স্বাস্থ্যহানির শঙ্কায় দেশের জনগণ। বিষয়টি ভয়াবহ- সত্বর গুরুত্বের সাথে নজর দিন।
১৪ অক্টোবর, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল ইছনাইনিল আযীম (সোমবার) -
খাবারে ঢুকছে প্লাস্টিক কণা, বিপর্যয়ের মুখে জনস্বাস্থ্য। স্থায়ী বিকলাঙ্গতা ও স্বাস্থ্যহানির শঙ্কায় দেশের জনগণ। বিষয়টি ভয়াবহ- সত্বর গুরুত্বের সাথে নজর দিন।
১৪ অক্টোবর, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল ইছনাইনিল আযীম (সোমবার) -
বাংলাদেশে মিডিয়াগুলো ইহুদীদের অদৃশ্য ইশারায় দেশে পবিত্র দ্বীন ইসলাম উনার বিরূপ পরিস্থিতি সৃষ্টি করতে চাইছে। বাংলাদেশের মুসলমানদের উচিত- দেশের সব মিডিয়া বর্জন করে আলাদাভাবে সম্মানিত ইসলামী মিডিয়া গঠন করা।
১৪ অক্টোবর, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল ইছনাইনিল আযীম (সোমবার)