বিশ্ববাজারে দ্রব্যমূল্যের দাম ধারাবাহিক কমলেও বৈশ্বিক মন্দার ধোয়া দিয়ে দেশের জনগণকে ধোকা দেয়া হচ্ছে।
আমদানী পণ্যের সবই আমদানী করতে হয় না এবং সবটুকুই আমদানী করতে হয় না। সিন্ডিকেট নিয়ন্ত্রণ ও নির্মূল করলেই দ্রব্যমূল্যের লেলিহান শিখা ঠান্ডা শীতল বরফ হবে ইনশাআল্লাহ।
, ২৭ শা’বান শরীফ, ১৪৪৪ হিজরী সন, ২০ ‘আশির, ১৩৯০ শামসী সন , ২০ মার্চ, ২০২৩ খ্রি:, ০৬ চৈত্র, ১৪২৯ ফসলী সন, ইয়াওমুল ইছনাইনিল আযীম (সোমবার) সম্পাদকীয়

গত তিন মাস ধরে বিশ্ববাজারে পণ্যমূল্য কমেছে ধারাবাহিকভাবে। কমতে কমতে যুদ্ধপূর্ববর্তী দাম চলেছে পণ্যের। এই হ্রাসকৃত বাজারমূল্যের সময়ই মূলত দেশের আমদানিকারকরা ভোগ্যপণ্যের এলসি খোলেন ও পণ্য আমদানি করেন। গত তিন মাসে দেশে ভোগ্যপণ্য আমদানিও হয়েছে পর্যাপ্ত। তার প্রমাণ বাজারে গেলেও দেখা যায়। বাজারে কোনো ব্যবসায়ীর দোকানে কোনো পণ্যের কমতি নেই। অথচ ক্রেতা যখন বাজারে পণ্য কিনতে যাচ্ছেন দাম শুনেই ঘাম ছোটে। বিশ^বাজারে দাম কমার কারণে দেশের বাজারে না কমে উল্টো বেড়েই চলেছে।
চট্টগ্রাম বন্দর ও কাস্টমস সূত্রে জানা গেছে, চলতি বছরের গত তিন মাসে ছোলা আমদানি হয়েছে ১ লাখ ৫৭ হাজার টন। মোটর ডাল আমদানি হয় ৭৬ হাজার টন। আবার মসুর ডালের আমদানি হয়েছে ১ লাখ ২১ হাজার টন। সয়াবিন তেল আমদানি হয় ১ লাখ ২১ হাজার টন এবং পাম অয়েল আমদানি হয় ২ লাখ ৩৩ হাজার টন। এ ছাড়া চিনি আমদানি হয়েছে ৪ লাখ ৪১ হাজার টন। বাজারে আটার দাম অনেক দিন ধরেই বাড়তি। তিন মাসে গম আমদানি হয়েছে ৯ লাখ ২৩ হাজার টন। খেজুর আমদানি হয়েছে ৩৫ হাজার টন।
অন্যদিকে এনবিআরের তথ্যানুযায়ী, চলতি ২০২২-২৩ অর্থবছরের আট মাসে (জুলাই-ফেব্রুয়ারি) পণ্য আমদানি হয়েছে ৫ হাজার ৩৮৩ কোটি ডলারের। গত অর্থবছরের একই সময়ে ছিল ৫ হাজার ৭৩২ কোটি ডলার। অর্থাৎ ৩৪৯ কোটি ডলারের আমদানি ব্যয় কম হয়েছে। আমদানির এ চিত্র বলছে- রোজার মাসে পণ্যের যে চাহিদা তার চেয়েও বেশি আমদানি করা হয়েছে। সে অনুযায়ী রোজাকে ঘিরে পণ্যমূল্য বৃদ্ধি পাওয়ার কোনো কথা না কিন্তু বাজারে গেলে মিলছে উল্টো চিত্র।
উল্লেখ্য দ্রব্যমূল্য কমানো প্রসঙ্গে বাণিজ্যমন্ত্রী, কৃষিমন্ত্রী, খাদ্যমন্ত্রী থেকে খোদ প্রধানমন্ত্রী পর্যন্ত নানা বিবৃতি আশ্বাস দিয়ে যাচ্ছেন। কিন্তু কাজের কাজটি কিছুই হচ্ছে না। বলা যায় সরকারই সক্রিয়পন্থা গ্রহণ করছে না। শক্ত ব্যবস্থা নিচ্ছে না। বাজারের অগ্নিমূল্যের কারণ যে ৪/৫টি বৃহৎ শিল্প গ্রুপের কারসাজি তা সরকারের অজানা নয়। নজরদারি ও নিয়ন্ত্রণ ক্ষমতার বাইরে নয়। কিন্তু সেদিক থেকে সরকার পুরোই নিষ্ক্রিয় ও নীরব।
দৈনিক আল ইহসানের তথ্যানুসন্ধানে জানা গেছে- একটি বৃহৎ শিল্প গ্রুপই যে পরিমাণে পণ্য আমদানি করেছে তা দিয়েই রোজার মাসের অর্ধেক চাহিদা পূরণ করা সম্ভব। দেশের ভোগ্যপণ্যের আমদানিকারক অন্যতম বৃহৎ প্রতিষ্ঠানটির পক্ষ থেকেই জানানো হয়েছে রোজাকে ঘিরে তারা কী পরিমাণে পণ্য আমদানি করেছে। প্রতিষ্ঠানটির দেওয়া তথ্য বিশ্লেষণে দেখ যায়, দেশে বছরে ভোজ্য তেলের চাহিদা প্রায় ২২ লাখ মেট্রিকটন। আর রমজানে সারা দেশে ভোজ্য তেলের চাহিদা প্রায় ৩ লাখ মেট্রিকটনের মতো। এ চাহিদার প্রায় ৬৫ শতাংশই হচ্ছে পাম অয়েল এবং বাকি ৩৫ শতাংশ সয়াবিন তেল। গ্রুপটি পবিত্র রামাদ্বান শরীফ উপলক্ষে ফেব্রুয়ারি, মার্চ ও এপ্রিল এই তিন মাসে ১ লাখ ২০ হাজার মেট্রিকটন অপরিশোধিত পাম অয়েল আমদানি করবে। এ ছাড়া চাহিদার কথা মাথায় রেখে প্রতিষ্ঠানটি ফেব্রুয়ারি ও মার্চ মাসে আমদানি করছে অতিরিক্ত আরও ১৫ হাজার ৮৬ মেট্রিকটন অপরিশোধিত সয়াবিন তেল। প্রতিষ্ঠানটির আমদানি করা মোট সয়াবিন তেল রোজার মাসে দেশের চাহিদার প্রায় ৫০ শতাংশ।
এ ছাড়া দেশের বাজারে বছরে প্রায় ৬৩ লাখ মেট্রিকটন (দেশীয় উৎপাদন ব্যতীত) গমের চাহিদা রয়েছে। প্রতি মাসে ভোক্তাদের প্রয়োজন পড়ে প্রায় ৫ লাখ ২৮ হাজার মেট্রিকটন গম। আর বড় গ্রুপটি পবিত্র রামাদ্বান শরীফ উপলক্ষে ৩ লাখ ৬২ হাজার মেট্রিকটন গম আমদানি করছে, যা মোট চাহিদার প্রায় ৬৮ শতাংশ। এ ছাড়া ২০ মার্চের মধ্যে দুটি জাহাজের মাধ্যমে ১ লাখ ১৫ হাজার মেট্রিকটন গম দেশে প্রবেশ করবে।
দেশে চিনির বার্ষিক চাহিদা ২৪ লাখ মেট্রিকটন প্রায়, এর মধ্যে রমজানে চাহিদা থাকে প্রায় ২ লাখ ৭২ হাজার মেট্রিকটনের মতো। বড় গ্রুপটি পবিত্র রামাদ্বান শরীফে বাজার স্থিতিশীল রাখতে আমদানি করছে প্রায় ৩ লাখ ৩০ হাজার মেট্রিকটন চিনি অর্থাৎ চাহিদার প্রায় সম্পূর্ণ অংশ। বর্তমানে ৫০ হাজার মেট্রিকটন চিনি নিয়ে ডেনসা টাইগার নামে একটি জাহাজ চট্টগ্রাম বন্দরে খালাসরত অবস্থায় আছে এবং আমিরা মিরো নামে আরও একটি জাহাজ বড় গ্রুপটির চট্টগ্রাম বন্দরের অভিমুখে আছে। যা শিগগিরই বন্দরে পৌঁছাবে।
একইভাবে বছরে ভোক্তাদের ছোলার প্রয়োজন আছে ১ লাখ ৩৬ হাজার মেট্রিকটন। এর মধ্যে পবিত্র রামাদ্বান শরীফেই ছোলার চাহিদা থাকে প্রায় ৯১ হাজার মেট্রিকটনের মতো। গ্রুপটি পবিত্র রামাদ্বান শরীফে ৪৫ হাজার মেট্রিকটন ছোলা আমদানি করছে, যা মোট চাহিদার ৫০ শতাংশ।
উল্লেখ্য দৈনিক আল ইহসানে বহু পূর্ব থেকে বহুবার বলা হয়েছে ভোগ্যপণ্য আমদানী, উৎপাদন মাত্র ৪/৫টি বৃহৎ শিল্প পরিবারের কারসাজি নিয়ন্ত্রণ করলেই বাজারের লেলিহান অগ্নিমূল্য ঠান্ডা বরফ শীতল হবে ইনশাআল্লাহ।
উল্লেখ্য সব পণ্যই যে আমদানী করা হয় আর পুরোটুকুই যে আমদানী করা হয় বিষয়টি তা নয়।
অপরদিকে বিশ্ববাজারে দাম বেশী বলে দাম বাড়ানো হয় কিন্তু বিশ্ববাজারে দাম কমলে দাম কমানো হয় না এই জুলুম-শোষণের দায় কীভাবে এড়ানো যায়?
সরকারের কর্তাব্যক্তিরা যতই শাক দিয়ে মাছ ঢাকার চেষ্টা করে না কেন জনগণ ঠিকই বুঝে। কিন্তু জনগণ অসহায়। জমিদারের লাঠিয়াল, আর নীলফলের জুলুম বাজির মতই সিন্ডিকেট আর সরকারের কর্তাব্যক্তিদের যোগসাজসের কাছে জনগণ নিরুপায়। দ্রব্যমূল্যের আষ্টেপৃষ্ঠে জর্জরিত জনগণ এক্ষুনি এর থেকে পরিত্রাণ চায়।
ছহিবে সাইয়্যিদি সাইয়্যিদিল আ’ইয়াদ শরীফ, রাজারবাগ শরীফ উনার মামদূহ মুর্র্শিদ ক্বিবলা সাইয়্যিদুনা হযরত সুলত্বানুন নাছীর আলাইহিস সালাম উনার নেক ছোহবত মুবারক-এ কেবলমাত্র তা লাভ করা সম্ভব। খালিক্ব মালিক রব মহান আল্লাহ পাক তিনি আমাদেরকে তা নছীব করুন। (আমীন)
এ সম্পর্কিত আরো সংবাদ
-
বছরে ৪ লাখ টন ধানের অপচয় হচ্ছে শুধু সঠিক পদ্ধতিতে বীজ বপন ও উৎপাদন না করার ফলে বিষয়টির প্রতি গুরুত্ব দিন
০৭ এপ্রিল, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল ইছনাইনিল আযীম (সোমবার) -
শিশু কিশোরদের মাঝে ডায়াবেটিসের প্রকোপ ভয়াবহ এবং মারাত্মক ঝুকিপূর্ণভাবে বাড়ছে শিশু-কিশোরদের ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণে ও প্রতিরোধে জরুরীভাবে নজর দেয়া উচিত ইনশাআল্লাহ
০৭ এপ্রিল, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল ইছনাইনিল আযীম (সোমবার) -
সাইয়্যিদু সাইয়্যিদিশ শুহূরিল আ’যম শরীফ, মহাসম্মানিত রবীউল আউওয়াল শরীফ মাস উনার মহিমান্বিত, মহাপবিত্র ০৭ তারিখ উনার সাথে সম্পর্কযুক্ত আজ পবিত্র ৭ই শাওওয়াল শরীফ।
০৬ এপ্রিল, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল আহাদ (রোববার) -
প্রসঙ্গ: পারিবারিক বন্ধন ধ্বংস, পর্নোগ্রাফির রাজত্ব এবং ইসলামী মূল্যবোধের গুরুত্ব।
০৫ এপ্রিল, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুছ সাবত (শনিবার) -
দেশের ৪ কোটি মানুষ না খেয়ে থাকে। অথচ দেশে মাথাপিছু খাদ্য অপচয় হয় প্রায় ৯০ কেজি। বছরে ক্ষতির পরিমাণ প্রায় ৩৫ হাজার কোটি টাকা। খাদ্য অপচয় রোধ করতে ‘নিশ্চয়ই অপব্যয়কারীরা শয়তানের ভাই’- পবিত্র কুরআন শরীফ উনার এই নির্দেশ সমাজের সর্বাত্মক প্রতিফলন ব্যতীত কোনো বিকল্প নেই।
০৫ এপ্রিল, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুছ সাবত (শনিবার) -
প্রসঙ্গঃ ভেষজ উদ্ভিদ ও রফতানী
০৪ এপ্রিল, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল জুমুয়াহ (শুক্রবার) -
দেশের বাজারে দেখা গেলো বিদেশী পণ্যের আধিপত্য। সরকারের উচিত বাজারে শতভাগ দেশীয় পণ্যের নিয়ন্ত্রণ নিশ্চিত করা।
০৪ এপ্রিল, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল জুমুয়াহ (শুক্রবার) -
আহলান-সাহলান সুমহান পহেলা শাওওয়াল শরীফ। মুবারক হো ঈদে বিলাদতে- ত্বাহিরাহ, তাইয়্যিবাহ, মাহবুবাহ, ফাক্বীহা, মাশুক্বাহ, তাওশিয়াহ, নূরে হাবীবা, লখতে জিগারে ইমামুল উমাম, উম্মু আবিহা, ক্বায়িম-মাক্বামে হযরত যাহরা আলাইহাস সালাম, সাইয়্যিদাতুন নিসা, আহলু বাইতি রসূলিল্লাহ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম, হযরত নাক্বীবাতুল উমাম আলাইহাস সালাম
৩০ মার্চ, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল আহাদ (রোববার) -
প্রসঙ্গ: রাষ্ট্রদ্বীন ইসলাম মুসলমানের দ্বীনি অধিকার, পবিত্র দ্বীন ইসলাম পালনে আবহ এবং রাষ্ট্রযন্ত্রের দায়
২৯ মার্চ, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুছ সাবত (শনিবার) -
বাংলাদেশে মিডিয়াগুলো ইহুদীদের অদৃশ্য ইশারায় দেশে পবিত্র দ্বীন ইসলাম উনার বিরূপ পরিস্থিতি সৃষ্টি করতে চাইছে। বাংলাদেশের মুসলমানদের উচিত- দেশের সব মিডিয়া বর্জন করে রাজারবাগ শরীফের প্রকাশনার প্রচার-প্রসার করা।
২৯ মার্চ, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুছ সাবত (শনিবার) -
মুবারক হো ২৫শে রমাদ্বান শরীফ! সাইয়্যিদাতু নিসায়ি আহলিল জান্নাহ, আল মুত্বহহারাহ, আল মুত্বহহিরাহ, মালিকাতুল জান্নাহ, মালিকাতুল কায়িনাত সাইয়্যিদাতুনা হযরত উম্মুল মু’মিনীন আল আশিরাহ আলাইহাস সালাম উনার পবিত্র বিলাদতী শান মুবারক প্রকাশ দিবস। সুবহানাল্লাহ! অতএব, প্রত্যেকের উচিত- ব্যাপক যওক-শওকের মাধ্যমে এ মহিমান্বিত দিনখানি যথাযথ মর্যাদায় পালনের ব্যবস্থা করা।
২৬ মার্চ, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল আরবিয়া (বুধবার) -
ব্যাপকভাবে বাড়ছে সাইবার নিরাপত্তা ঝুঁকি ও হয়রানী জান-মাল এবং সম্মান হিফাজতে সরকারকে এখনি পর্যাপ্ত ব্যবস্থা নিতে হবে। ইনশাআল্লাহ!
২৫ মার্চ, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুছ ছুলাছা (মঙ্গলবার)