বিএনপির পর্যবেক্ষণ: ভোটে সরকারের কৌশল কোনো কাজে আসেনি
, ০৩ যিলক্বদ শরীফ, ১৪৪৫ হিজরী সন, ১৩ ছানী আশার, ১৩৯১ শামসী সন , ১২, মে, ২০২৪ খ্রি:, ২৯ বৈশাখ, ১৪৩১ ফসলী সন, ইয়াওমুল আহাদ (রোববার) দেশের খবর
সংসদ নির্বাচনের মতো উপজেলার ভোট অংশগ্রহণমূলক ও ভোটার উপস্থিতি বাড়াতে সরকারের কৌশল কাজে আসেনি বলে মনে করছে বিএনপি। দলের নীতিনির্ধারকরা মনে করেন, বিরোধী দলবিহীন নির্বাচনে আওয়ামী লীগ নেতারা স্বতন্ত্র প্রার্থী হয়েও কেন্দ্রে ভোটার টানতে পারেননি। ভোটের প্রথম ধাপেই জনগণ ‘অনাস্থা’ দেখিয়েছে।
নির্বাচন নিয়ে বিএনপি নেতাদের তাৎক্ষণিক মূল্যায়ন হচ্ছে, নির্বাচনে জাল ভোট দেওয়া, পেশিশক্তির ব্যবহার, ভোট কিনতে টাকা বিলানো ও মন্ত্রী-সংসদ সদস্যদের প্রভাব বিস্তার ছিল।
গত সংসদ নির্বাচনের মতো স্থানীয় পর্যায়ের এই নির্বাচনেও ভোটার উপস্থিতি ছিল একেবারেই কম। ফলে দিন শেষে ভোটের হার বাড়াতে সংসদ নির্বাচনের মতোই ‘কারচুপি ও অপকৌশলের’ আশ্রয় নিয়েছে ক্ষমতাসীনরা।
গত বুধবার রাতে বিএনপির স্থায়ী কমিটির বৈঠকে উপজেলা নির্বাচন নিয়ে বিস্তর আলোচনা হয়নি। তবে স্বাভাবিকভাবেই কয়েকজন সদস্য বিষয়টি আলোচনায় তুলেছেন।
স্থায়ী কমিটির সদস্যরা মনে করেন, এই ভোটে ৭ জানুয়ারির সংসদ নির্বাচনের ছায়া দেখা গেছে। স্বতন্ত্র প্রার্থী দেওয়ার কৌশল এবং ভোটের হার বাড়াতে নির্বাচন কমিশনের তোড়জোড় একই রকম ছিল।
স্থায়ী কমিটির বৈঠক সূত্র জানায়, উপজেলা নির্বাচন নিয়ে পরের বৈঠকে বিস্তারিত আলোচনা হতে পারে। কমিটির নেতারা নির্বাচনের অনিয়ম ও জালিয়াতির চিত্র সংগ্রহ করার পরামর্শ দেন।
গণমাধ্যমের খবরে ভোটারশূন্য কেন্দ্রের বিষয়টি উল্লেখ করে বিএনপির একাধিক নেতা বলেন, সকাল থেকে ভোটারের জন্য অপেক্ষায় ছিলেন প্রার্থীরা। কেন্দ্রগুলো দিনভর প্রায় ফাঁকা ছিল। তার পরও কিভাবে ৩৬.১৮ শতাংশ ভোট পড়তে পারে?
স্থায়ী কমিটির সদস্য ইকবাল হাসান মাহমুদ টুকু বলেন, ‘নির্বাচন অংশগ্রহণমূলক ও ভোটার উপস্থিতি বাড়াতে সরকার যে কৌশল নিয়েছে তা ব্যর্থ হয়েছে। জনগণ আবারও বিএনপির ডাকে ভোট বর্জন করেছে।’
আগের উপজেলা নির্বাচনগুলো বিশ্লেষণে দেখা যায়, বিএনপিবিহীন নির্বাচনে ২০১৯ সালে ভোট পড়েছে ৪০.২২ শতাংশ। এবার তা আরো কমেছে। এবার বিএনপি, জামায়াত, বাংলাদেশের কমিউনিস্ট পার্টি (সিপিবি), ইসলামী আন্দোলনসহ গুরুত্বপূর্ণ দলগুলো ভোট বর্জন করেছে। সব দলের অংশগ্রহণে ২০১৪ সালের উপজেলা পরিষদের নির্বাচনে ভোট পড়েছিল ৬১ শতাংশের মতো। সে বছর ছয় ধাপে উপজেলা নির্বাচন হয়।
দেড় দশক আগে আওয়ামী লীগের নেতৃত্বাধীন মহাজোট সরকার দায়িত্ব নেওয়ার পর ২০০৯ সালের ২২ জানুয়ারি তৃতীয় উপজেলা পরিষদের নির্বাচনে ভোট পড়েছিল ৬৮.৩২ শতাংশ। অর্থাৎ গত দুই নির্বাচনে ভোটারের উপস্থিতি ব্যাপকভাবে কমেছে। এই তথ্যগুলো উল্লেখ করে বিএনপি নেতারা বলেন, দলীয় সরকারের অধীনে ভোটের প্রতি মানুষের অনাস্থা তৈরি হয়েছে।
এ সম্পর্কিত আরো সংবাদ
-
৯ দিনেও মুক্তি মেলেনি অপহৃত ৪ জেলের
২৩ নভেম্বর, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুছ সাবত (শনিবার) -
অফিস করেন না ৮১ মাস, নিচ্ছেন নিয়মিত বেতন ভাতা
২৩ নভেম্বর, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুছ সাবত (শনিবার) -
১৬ হাজার টাকার জন্য খুন হলেন মুদি দোকানি
২৩ নভেম্বর, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুছ সাবত (শনিবার) -
কুকুরের কামড়ে আহত শিশুসহ ৩২ জন
২৩ নভেম্বর, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুছ সাবত (শনিবার) -
ডেইলি স্টারের সামনে কর্মসূচি, বিপুল পুলিশ মোতায়েন
২৩ নভেম্বর, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুছ সাবত (শনিবার) -
জীবিত স্বামীকে মৃত দেখিয়ে শেখ হাসিনার বিরুদ্ধে হত্যা মামলা করা বাদী গ্রেফতার
২৩ নভেম্বর, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুছ সাবত (শনিবার) -
পাসপোর্ট কর্মকর্তার ‘বহুরূপী’ পাসপোর্ট
২৩ নভেম্বর, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুছ সাবত (শনিবার) -
ফ্রিজ করা অ্যাকাউন্টে ১৪ হাজার ৫০০ কোটি টাকা
২৩ নভেম্বর, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুছ সাবত (শনিবার) -
‘জাতির কাছে ক্ষমা চাইতে প্রস্তুত আ.লীগ’
২৩ নভেম্বর, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুছ সাবত (শনিবার) -
ফ্যাসিবাদ বারবার ফিরে আসবে, প্রতিহত করতে হবে -উপদেষ্টা আদিলুর
২৩ নভেম্বর, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুছ সাবত (শনিবার) -
ফ্যাসিবাদ বারবার ফিরে আসবে, প্রতিহত করতে হবে -উপদেষ্টা আদিলুর
২৩ নভেম্বর, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুছ সাবত (শনিবার) -
কোনো রাজনৈতিক দল নিষিদ্ধ চায় না জাতীয় পার্টি
২৩ নভেম্বর, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুছ সাবত (শনিবার)