বাড়তি দামে বিক্রি হচ্ছে ডিম-আলু-পেঁয়াজ, সরকারকে দুষছেন ক্রেতারা
-১০ টাকায় উৎপাদিত সবজির বাজারমূল্য ১২০ টাকা।
, ১২ রবীউছ ছানী শরীফ, ১৪৪৫ হিজরী সন, ২৯ খ্বমীছ ১৩৯১ শামসী সন , ২৮ অক্টোবর, ২০২৩ খ্রি:, ১২ কার্তিক, ১৪৩০ ফসলী সন, ইয়াওমুছ সাবত (শনিবার) তাজা খবর
ভোক্তাপর্যায়ে ডিম-আলু-পেঁয়াজ, সয়াবিন ও চিনির দাম সহনীয় রাখতে নির্ধারিত দাম বেঁধে দেয় সরকার। গত ১৪ সেপ্টেম্বর বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের এক নির্দেশনায় প্রতি পিস ডিমের দাম ১২ টাকা, প্রতি কেজি আলু ৩৫ থেকে ৩৬ টাকা এবং ৬৫ টাকা দরে প্রতি কেজি পেঁয়াজ বিক্রির নির্দেশনা দেওয়া হয়। কিন্তু সরকারের এ নির্দেশনা কেউই মানছে না। উল্টো দাম বাড়িয়ে বিক্রি করা হচ্ছে এ পণ্যগুলো।
জুমুয়াবার (২৭ অক্টোবর) রাজধানীর বাসাবো, মাদারটেক কাঁচাবাজার ঘুরে দেখা গেছে, প্রতি কেজি দেশি পেঁয়াজ ১১০ টাকা এবং ভারতীয় পেঁয়াজ ১০০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। প্রতি পিস ডিমের দাম রাখা হচ্ছে ১৫ টাকা। ডিমের মান ও সাইজভেদে প্রতি হালি ডিম কিনতে গুনতে হচ্ছে ৫৫ থেকে ৬০ টাকা।
এদিকে খুচরাপর্যায়ে ৩৫ টাকা কেজি দরে আলু বিক্রির নির্দেশনা থাকলেও তা উপেক্ষা করে ৬০ টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে প্রতি কেজি আলু। পরিশোধিত খোলা চিনি কেজিপ্রতি ১৫ টাকা বাড়িয়ে বিক্রি করা হচ্ছে ১৪৫ টাকায়। প্যাকেটজাত চিনি ১৩৫ টাকা কেজিতে বিক্রির কথা থাকলেও কেজিপ্রতি ২৫ টাকা বাড়িয়ে ১৬০ টাকায় বিক্রি করা হচ্ছে।
বাজার ঘুরে আরও দেখা গেছে, সরকারি নির্ধারণকৃত দামের থেকেও কেজি প্রতি ২৬ টাকা বাড়িয়ে সয়াবিন বিক্রি হচ্ছে ১৮০ টাকায়।
বাজারে সব কিছুর লাগামহীন দামের কারণে ক্ষোভ প্রকাশ করছেন ক্রেতারা। তাদের অনেকেই বাজারের এই অবস্থার জন্য সরকারকে দুষছেন।
বাজার করতে আসা একটি বেসরকারি প্রতিষ্ঠানের কর্মকর্তা কবির আহমেদ বলেন, কি বলব, আমাদের কিছুই বলার নেই। আমাদের মরা ছাড়া উপায় নেই। সরকার কি দাম বেঁধে দিল আর দিল না সে অপেক্ষায় কি ব্যবসায়ীরা থাকেন? দাম বাড়ালে এরা মুহূর্তেই দাম বাড়িয়ে বিক্রি করেন, কিন্তু দাম কমালে এরা কমায় না। সরকার যেন কিছুই করতে পারছে না। কিছুতেই যেন সিন্ডিকেটের ভূত পিছু ছাড়ছে না। সবকিছুতেই শুনি সিন্ডিকেট।
আরেক ক্রেতা বলেন, এখন আর লিস্ট নিয়ে বাজারে আসি না। সারা মাসের কিছুই কিনে রাখি না। সবকিছুর যে দাম তাতে খাওয়া বন্ধ করতে পারলেই বাঁচতাম। সেটিও পারছি না।
তিনি আরও বলেন, আমরা চাই সরকার একটি কার্যকর ভূমিকা পালন করুক। যেভাবে বিচ্ছিন্ন মনিটরিং এবং অভিযান পরিচালনা করেন এতে কিছুই হচ্ছে না। সিন্ডিকেটের হোতাদের ধরতে হবে। তাহলেই সাধারণ মানুষ খেয়ে বাঁচতে পারবে।
এদিকে ব্যবসায়ীরা বলছেন, তারা কোনো কিছুই কম দামে কিনতে পারছেন না। সব কিছুই আড়ত থেকে উচ্চমূল্য দিয়ে কিনতে হচ্ছে। তাই খুচরা বিক্রি করতে গেলে একটু বেশি দামে বিক্রি করতে হচ্ছে। আড়ত থেকে দাম না কমালে ভোক্তাপর্যায়ে দাম কমানো সম্ভব না।
১০ টাকায় উৎপাদিত সবজির বাজারমূল্য ১২০ টাকা:
সরকারের কৃষি বিপণন অধিদপ্তর প্রতি মৌসুমেই বিভিন্ন সবজির উৎপাদন খরচের হিসাব রাখে। সংস্থাটির তথ্য অনুযায়ী এক কেজি বেগুন উৎপাদনে খরচ হয় ১০ টাকার কিছু বেশি। অথচ বিভিন্ন হাত ঘুরে খুচরা বাজারে সেই সবজি ভোক্তাকে কিনতে হচ্ছে ১০ গুণেরও বেশি দামে। আকার ও মানভেদে লম্বা ও গোল বেগুন বর্তমানে বিক্রি হচ্ছে ৮০ থেকে ১৬০ টাকা কেজি পর্যন্ত। এর কারণ জানতে চাইলে ব্যবসায়ীরা বিভিন্ন অজুহাত দেখিয়ে থাকে।
কৃষি বিপণন অধিদপ্তরের তথ্য অনুযায়ী, প্রতি কেজি কাঁচা পেঁপে উৎপাদনে ৯ টাকা খরচ হলেও বাজারে বিক্রি হচ্ছে ৪০ টাকায়। মিষ্টি কুমড়া প্রতি কেজির উৎপাদন খরচ ৭ টাকা ২২ পয়সা। বাজারে এ সবজি এখন ৪০-৫০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। প্রতি কেজি করলা উৎপাদনে সাড়ে ৯ টাকা খরচ হলেও ঢাকায় বিক্রি হচ্ছে ১২০ টাকায়। ১০ টাকা ২৬ পয়সায় উৎপাদিত প্রতি কেজি লম্বা বেগুন ৮০-৯০ টাকা ও গোল বেগুন ১২০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। আবার লাল গোল বেগুনের দাম গিয়ে ১৫০-১৬০ টাকায় ঠেকেছে।
বাজারে খুচরা বিক্রিতে প্রতি কেজি ঢেঁড়স ৮০-৯০ টাকা, শসা ৫০-৮০ টাকা, চিচিঙ্গা ও ধুন্দল ৮০, কাঁকরোল ৯০, কাঁচামরিচ ১৬০-২২০, শিম ১৮০-২০০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। আর প্রতি পিস লাউ ৭০-৮০ টাকা, জালি ৫০-৭০, ফুলকপি ৫০ ও বাঁধাকপি বিক্রি হচ্ছে ৫০-৬০ টাকায়। যদিও কৃষি বিপণনের হিসাবে, প্রতি কেজি পটোল উৎপাদনে খরচ হয় ৯ টাকা ৬৯ পয়সা, ঢেঁড়স ১২ টাকা ৪০ পয়সা, শসা ১০ টাকা ৮৪ পয়সা, চিচিঙ্গা ১১ টাকা ৪৭ পয়সা, কাঁচামরিচ ৪০ টাকা ১৭ পয়সা। আর প্রতি পিস লাউ ১৩ টাকা ২০ পয়সা ও জালি উৎপাদনের পেছনে ৯ টাকা ১৯ পয়সা খরচ হয়।
উৎপাদন খরচের সঙ্গে খুচরা বাজারের দামে অনেক বেশি তফাত থাকলেও কৃষকরা এর অংশীদার হতে পারছেন না। বাজারে প্রতি কেজি শিম ১৮০ টাকায় বিক্রি হলেও কৃষক পাচ্ছেন কেবল ৮০ টাকা। ঠিক একইভাবে খুচরা বাজারে ৮০ টাকায় বিক্রি হওয়া পটোল ৩০ টাকা, ৪০ টাকার পেঁপে ৭-৮ টাকা, ৬০ টাকার লাউ ৩০ টাকা ও ১২০ টাকার বেগুন কৃষক বিক্রি করছেন ৭০ টাকায়।
এ সম্পর্কিত আরো সংবাদ
-
গাজার মত পশ্চিম তীরের মুজাহিদ বাহিনীও দখলদারদের বিরুদ্ধে লড়ছেন
২৪ নভেম্বর, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল আহাদ (রোববার) -
লেবাননে এ পর্যন্ত ২২৬ স্বাস্থ্যকর্মী নিহত
২৪ নভেম্বর, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল আহাদ (রোববার) -
“গরীবের পেটে লাত্থি মারার আইন-কানুন বন্ধ করুন”
২৪ নভেম্বর, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল আহাদ (রোববার) -
দখলদারদের বিরুদ্ধে একাধিক শক্তিশালী অভিযান পরিচালনা করেছেন মুজাহিদ বাহিনী
২৩ নভেম্বর, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুছ সাবত (শনিবার) -
গাজায় শহীদের সংখ্যা ছাড়াল ৪৪ হাজার
২৩ নভেম্বর, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুছ সাবত (শনিবার) -
‘বাজারেই দর বেশি, কষ্ট করে গুদামে নেব কেন’
২৩ নভেম্বর, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুছ সাবত (শনিবার) -
‘বাজারেই দর বেশি, কষ্ট করে গুদামে নেব কেন’
২৩ নভেম্বর, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুছ সাবত (শনিবার) -
বাজারে কোন কিছুর দামেই নেই স্বস্তি
২৩ নভেম্বর, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুছ সাবত (শনিবার) -
অটোরিকশা বন্ধে বেকার হবে ২৫ লক্ষ মানুষ
২৩ নভেম্বর, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুছ সাবত (শনিবার) -
বরেন্দ্র অঞ্চলে আমনের বাম্পার ফলন
২২ নভেম্বর, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল জুমুয়াহ (শুক্রবার) -
ব্যাটারিচালিত রিকশা নিষিদ্ধের প্রতিবাদে রাজধানীর বিভিন্নস্থানে বিক্ষোভ -্‘এই খাতে জড়িত কমপক্ষে ১০ লাখ লোকের কি হবে?’
২২ নভেম্বর, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল জুমুয়াহ (শুক্রবার) -
মুজাহিদ বাহিনী যৌথভাবে দখলদারদের একাধিক স্থানে মর্টার শেলিং করেছে
২১ নভেম্বর, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল খমীছ (বৃহস্পতিবার)