বাজারে ভয়ংকর ঘন চিনি মিথ্যা ঘোষণায় আসছে আমদানি নিষিদ্ধ ঘন চিনি
পুরুষত্বহানি, মূত্রাশয়ে ক্যান্সারের তথা জনস্বাস্থ্যের জন্য চরম ক্ষতিকর এই ঘন চিনি বন্ধে সরকারকে এখনি জিহাদ ঘোষণা করতে হবে
, ০৬ শাবান শরীফ, ১৪৪৫ হিজরী সন, ১৯ তাসি’, ১৩৯১ শামসী সন , ১৭ ফেব্রুয়ারি, ২০২৪ খ্রি:, ০৪ ফাল্গুন, ১৪৩০ ফসলী সন, ইয়াওমুছ সাবত (শনিবার) সম্পাদকীয়
খুশির যে কোন সংবাদে অথবা ঘরে আসা অতিথিকে মিষ্টি দ্রব্য না দিলে যেন বিষয়টি পূর্ণতা পায় না। মিষ্টি যেন থাকতেই হয়। আর সেই মিষ্টি যদি হয় বিষাক্ত! তাহলে মিষ্টির বিষাক্ততায় দেশের মানুষ আক্রান্ত হতে পারে মরণঘাতি ক্যান্সারসহ অনেক জটিল রোগে। একটি অসাধু চক্র অল্প খরচে অতি লাভের আশায় রসগোল্লা, সন্দেশ, আইসক্রিম, দই, কেক, বেভারেজ, জুস, চকোলেট বেকারি বিস্কিটসহ মিষ্টি জাতীয় নানা উপকরণে স্বাদ আনার জন্য তাতে ঘন চিনি মেশাচ্ছে বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে।
অভিযোগে প্রকাশ, এই ঘন চিনিই হচ্ছে ভয়ঙ্কর বিষাক্ত যৌগ সোডিয়াম সাইক্লামেট। মিষ্টি জাতীয় খাবারে এ ঘন চিনি মিশালে ভোক্তার শরীরে মরণঘাতি ক্যান্সারসহ হতে পারে কিডনি বিকল, হজম শক্তি হ্রাস, হৃদরোগ, প্রেসারসহ নানা জটিল রোগ। বাংলাদেশ সরকার এই ঘন চিনি (সোডিয়াম সাইক্লামেট) আমদানিও বন্ধ করে দিয়েছে। কিন্তু তাতে থেমে নেই সোডিয়াম সাইক্লামেট বা ঘন চিনির আমদানি। এখন নাম পরিবর্তন করে আমদানি করা হচ্ছে এই মরন যৌগ।
জানা গেছে, সম্প্রতি বাংলাদেশে এই বিষাক্ত ঘন চিনি (সোডিয়াম সাইক্লামেট) ব্যবহারের প্রবণতা ভয়ঙ্কর আকার ধারন করেছে। ভয়ঙ্কর বিষাক্ত ঘন চিনি (সোডিয়াম সাইক্লামেটের) সাধারন চিনির চেয়ে ৫০ গুণ বেশি মিষ্টি। অর্থাৎ, যেখানে ৫০ কেজি চিনি যতটা মিষ্টি স্বাদ আনতে পারে, সেখানে মাত্র ১ কেজি ঘন চিনি (সোডিয়াম সাইক্লামেটের) পক্ষেই খাবারকে ততটা মিষ্টি করে তোলা সম্ভব। এই মারাত্মক বিষাক্ত সোডিয়াম সাইক্লামেট শরীরে ঢুকেই তা নানা বিষক্রিয়া শুরু করে।
ফলে কিডনি, লিভার-সহ নানা অঙ্গ বিকল হতে থাকে। এমনকি ক্যানসারে আক্রান্ত হওয়ার সম্ভাবনাও থাকে। তাই সোডিয়াম সাইক্লামেট বা ‘ঘন চিনি’ খাবারে মেশানো নিষিদ্ধ। সাইট্রিক এসিড আর সোডিয়াম সাইক্লামেট (ঘন চিনি) দেখতে অনেকটা একই রকম। তাই এখন সাইট্রিক এসিড নামে আমদানি করা হচ্ছে সোডিয়াম সাইক্লামেট বা ঘন চিনি। বোতলের গায়ে সাইট্রিক এসিড লেখা থাকছে। কোডও থাকছে সাইট্রিক এসিডেরই। কিন্তু আসলে আমদানি করা হচ্ছে বিষাক্ত ঘন চিনি (সোডিয়াম সাইক্লামেট)। তাছাড়া চোরা পথেও বাংলাদেশ ঢুকছে হাজার হাজার টন ঘন চিনি। অসাধু মিষ্টি ব্যবসায়ী, বেকারি মালিকরা চিনির বদলে এই সোডিয়াম সাইক্লামেট বা ঘন চিনিই ব্যবহার করছে। চট্টগ্রাম বন্দর-সহ বিভিন্ন এলাকায় অভিযান চালিয়ে বিভিন্ন সময় প্রচুর পরিমাণে ঘন চিনি বাজেয়াপ্ত করেছে প্রশাসন। কিন্তু চোরাচালান তাতেও নিয়ন্ত্রণে আসেনি।
অন্যদিকে আবার চলছে ‘‘চোরের উপর বাটপারী’’। সোডিয়াম সাইক্লামেট বা ঘন চিনির অসাধু ব্যবসায়ীরা এই বিষের সঙ্গেও মেশাচ্ছে ভেজাল। ঘন চিনির মিষ্টতা এত বেশি যে তাতে ভেজাল মিশিয়ে তার ওজন বাড়িয়ে দেওয়া গেলেও স্বাদের হেরফের সহজে বোঝা যায় না। কিন্তু যা মেশানো হবে, তাকেও ঘন চিনির মতোই দেখতে হতে হবে। না হলে বাটপারী ধরা পড়ে যাবে। তাই ঘন চিনিতে মেশানো হচ্ছে স্বচ্ছ চিনির দানার মতো দেখতে ম্যাগনেসিয়াম সালফেট সার।
এই সার স্বাদহীন দাম মাত্র ১৫ থেকে ২০ টাকা প্রতি কেজি। তাই ঘন চিনিতে মিশে গিয়েও স্বাদের কোনও বদল ঘটায় না। ২৫০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে ঘন চিনি। আর ম্যাগনেসিয়াম সালফেট মেশানো ভেজাল ঘন চিনি ১৫০ টাকা কেজি। তাই অনেক মিষ্টি এবং বেকারি ব্যবসায়ী অজান্তে ঝুঁকেছেন ভেজাল ঘন চিনির দিকে। ফলে মিষ্টি, পাউরুটি, কেক, কনডেন্সড, মিল্ক, আইসক্রিমের সঙ্গে শরীরে ঢুকে পড়ছে মারাত্মক বিষ।
কাস্টম সূত্র জানায়, দেশে সাইট্রিক অ্যাসিডের আমদানি হঠাৎ বেড়ে গেছে। চট্টগ্রাম বন্দর দিয়ে ২০১৩-১৪ অর্থবছরের প্রথম ১০ মাসে সাইট্রিক অ্যাসিড আমদানি হয় ২ হাজার ৪৭২ টন। চলতি অর্থবছরের একই সময়ে আমদানি হয় ৪ হাজার ৫৫ টন।
এক ব্যবসায়ী জানায়, দেশের শীর্ষস্থানীয় একটি ওষুধ কম্পানিতে এক বছরে সাইট্রিক এসিড প্রয়োজন হয় চার টনের মতো। আর শুধু দুই মাসে এই পরিমাণ সাইট্রিক এসিড আমদানির ঘটনা রহস্যজনক। এর বাইরে সোডিয়াম সাইক্লামেট ও ম্যাগনেসিয়াম সালফেট কী পরিমাণ আমদানি হচ্ছে তাও খতিয়ে দেখা উচিত।
দৈনিক আল ইহসানের অনুসন্ধানে জানা যায়, ২০২২ সালে রাজধানীর মিটফোর্ডের একটি বাণিজ্যিক আমদানিকারক প্রতিষ্ঠান চীন থেকে ২০ হাজার ১৬০ কেজি ক্যালসিয়াম কার্বোনেট পাউডার (চুনাপাথর) আমদানি করে। গোপন সংবাদের ভিত্তিতে কাস্টমসের এআইআর (গোয়েন্দা) শাখা পণ্যের রাসায়নিক পরীক্ষা করে দেখতে পায়, চালানে ১৪ হাজার কেজি ঘনচিনি এবং ৬ হাজার কেজি ক্যালসিয়াম কার্বোনেট পাউডার রয়েছে। এ ঘটনায় আমদানিকারক, সিঅ্যান্ডএফ এজেন্ট ও জেটি সরকারের বিরুদ্ধে ফৌজদারি আইনে মামলার সুপারিশ করা হয়। কিন্তু উদ্বেগের বিষয় হলো, সেই পণ্য পরে খালাস হয়ে যায়। বস্তুত এভাবেই বাজারে ছড়িয়ে পড়ছে ঘনচিনিসহ আমদানি নিষিদ্ধ পণ্য।
বিশেষজ্ঞদের মতে, ঘনচিনি ব্যবহারে ক্যানসারের ঝুঁকি বাড়ে, মানব হৃৎপি-ের মাংসপেশি শক্ত হয়ে যায়; এছাড়া পুরুষত্ব হানিও ঘটতে পারে। বিভিন্ন স্বাস্থ্যঝুঁকির কারণে দেশে ২০০৬ সালে ঘনচিনির আমদানি ও ব্যবহার নিষিদ্ধ করা হয়েছে। উল্লেখ্য, যুক্তরাজ্য ১৯৬০ সালে এবং যুক্তরাষ্ট্র ১৯৬৯ সালে ঘনচিনির ব্যবহার সম্পূর্ণভাবে নিষিদ্ধ করেছে। আমাদের দেশে এই ক্ষতিকর পণ্য যারা আমদানি করছে, তাদের শাস্তি হওয়া যেমন জরুরি, তেমনই জরুরি শনাক্ত হওয়ার পরও যাদের কারণে তা খালাস হয়ে দেশের বাজারে ঢুকছে, তাদেরও শাস্তি হওয়া। তবে তদন্ত কমিটি আলোচ্য জালিয়াতির ঘটনায় কাস্টমস কর্মকর্তাদের সম্পৃক্ততা পায়নি। পুরো ঘটনাকে অ্যাসাইকুডা সিস্টেমের দুর্বলতা এবং ‘মস্তিষ্কের সীমাবদ্ধতা’ বলে উল্লেখ করা হয়েছে। আমাদের কথা হলো, ঘনচিনি খালাস হওয়ার পেছনে যদি সিস্টেমের কোনো দুর্বলতা কাজ করে থাকে, তাহলে সেই দুর্বলতা কাটিয়ে ওঠার ব্যবস্থা নিতে হবে যে কোনো উপায়ে এবং অবিলম্বে। তা না হলে এভাবে আরও অনেক ক্ষতিকর পণ্য দেশের বাজারে ছড়িয়ে পড়বে।
ছহিবে সাইয়্যিদি সাইয়্যিদিল আ’ইয়াদ শরীফ, রাজারবাগ শরীফ উনার মামদূহ মুর্র্শিদ ক্বিবলা সাইয়্যিদুনা হযরত সুলত্বানুন নাছীর আলাইহিস সালাম উনার নেক ছোহবত মুবারক-এ কেবলমাত্র তা লাভ করা সম্ভব। খালিক্ব মালিক রব মহান আল্লাহ পাক তিনি আমাদেরকে তা নছীব করুন। (আমীন)
এ সম্পর্কিত আরো সংবাদ
-
ব্যাংক গ্রাহকদের খালি হাতে বা নাম মাত্র অর্থে ফেরানো যাবে না কথিত অন্তর্বর্তী সরকারকেই নিশ্চয়তার পাশাপাশি যথাযথ ব্যবস্থা প্রদান করতে হবে ইনশাআল্লাহ
২৩ নভেম্বর, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুছ সাবত (শনিবার) -
বিশ্বে জ্বালানীর দাম এমনেই কমছে পাশাপাশি শুধুমাত্র কাঠামো সংস্কারই ১৫ টাকা কমানো সম্ভব হলেও সেদিকে নজর দিচ্ছে না কেন অন্তর্বর্তী সরকার? জ্বালানী তেলের দাম কমালে দ্রব্যমূল্যের দাম সহজেই কমবে
২৩ নভেম্বর, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুছ সাবত (শনিবার) -
বাংলাদেশে মিডিয়াগুলো ইহুদীদের অদৃশ্য ইশারায় দেশে পবিত্র দ্বীন ইসলাম উনার বিরূপ পরিস্থিতি সৃষ্টি করতে চাইছে। বাংলাদেশের মুসলমানদের উচিত- দেশের সব মিডিয়া বর্জন করে আলাদাভাবে সম্মানিত ইসলামী মিডিয়া গঠন করা।
২২ নভেম্বর, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল জুমুয়াহ (শুক্রবার) -
বাংলাদেশের জন্য মারাত্মক হুমকী স্বরূপ আরাকান আর্মিকে এক্ষুনি প্রতিহত করতে হবে ইনশাআল্লাহ
২২ নভেম্বর, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল জুমুয়াহ (শুক্রবার) -
দেশে সাড়ে ৩ কোটি শুধু শিশুই সিসার বিষক্রিয়ায় আক্রান্ত এবং সব প্রাপ্ত বয়স্করাও ক্ষতিগ্রস্থ সিসার ক্ষতি থেকে বাঁচতে সুন্নতী তৈজসপত্র ব্যবহার এবং আন্তর্জাতিক সুন্নত প্রচার কেন্দ্রের জিনিস ক্রয়ে নিবেদিত হতে হবে ইনশাআল্লাহ
২১ নভেম্বর, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল খমীছ (বৃহস্পতিবার) -
আইন-শৃঙ্খলা পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে মহাব্যার্থ অন্তর্বর্তীকালীন সরকার সশস্ত্র বাহিনীকে আরো ক্ষমতা দিয়ে প্রতিকার পাওয়া যেতে পারে
২১ নভেম্বর, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল খমীছ (বৃহস্পতিবার) -
জ্বালানী তেলের দাম এক্ষুনি কমাতে হবে ইনশাআল্লাহ
২০ নভেম্বর, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল আরবিয়া (বুধবার) -
অনেক কিছু করার প্রচারনা চালালেও জিডিপি এবং দেশের উন্নয়নের মূল ভিত্তি অর্থনীতির লাইফ লাইন এসএমই উদ্যোক্তাদের জন্য অন্তর্বর্তী সরকার কিছুই করছে না
২০ নভেম্বর, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল আরবিয়া (বুধবার) -
প্রসঙ্গ: রাষ্ট্রদ্বীন ইসলাম, মুসলমানের দ্বীনি অধিকার, পবিত্র দ্বীন ইসলাম উনাকে পালনের আবহ এবং রাষ্ট্রযন্ত্রের দায়।
১৯ নভেম্বর, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুছ ছুলাছা (মঙ্গলবার) -
সিঙ্গাপুর, রাশিয়াসহ বিশ্বের বিভিন্ন দেশে সন্ত্রাসী সংগঠন ইসকন নিষিদ্ধ বাংলাদেশেও বিভিন্ন মহলে ইসকন নিষিদ্ধের দাবী জোরদার হচ্ছে, সংস্কারের দাবীদার সরকার কী করে নির্বিকার থাকতে পারে?
১৯ নভেম্বর, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুছ ছুলাছা (মঙ্গলবার) -
ব্যাপকভাবে বাড়ছে সাইবার নিরাপত্তা ঝুঁকি ও হয়রানী জান-মাল এবং সম্মান হিফাজতে সরকারকে এক্ষুনি পর্যাপ্ত ব্যবস্থা নিতে হবে ইনশাআল্লাহ
১৮ নভেম্বর, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল ইছনাইনিল আযীম (সোমবার) -
পাচারকৃত ১৭ লাখ কোটি টাকা ফেরত আনতে শামুকের মত ধীর গতি বরদাশতের বাইরে
১৮ নভেম্বর, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল ইছনাইনিল আযীম (সোমবার)