সম্পাদকীয় (২)
বাজারে বিদেশী পণ্যের আধিপত্য। সরকারের উচিত বাজারে শত ভাগ দেশীয় পণ্যের নিয়ন্ত্রণ নিশ্চিত করা।
, ০২ রবীউছ ছানী শরীফ, ১৪৪৬ হিজরী সন, ০৮ খ্বমিস , ১৩৯২ শামসী সন , ০৬ অক্টোবর , ২০২৪ খ্রি:, ২১ আশ্বিন, ১৪৩১ ফসলী সন, ইয়াওমুল আহাদ (রোববার) সম্পাদকীয়
সব প্রশংসা মুবারক খালিক্ব মালিক রব মহান আল্লাহ পাক উনার জন্য; যিনি সকল সার্বভৌম ক্ষমতার মালিক। সাইয়্যিদুল মুরসালীন, ইমামুল মুরসালীন, নবী আলাইহিমুস সালাম উনাদের নবী, রসূল আলাইহিমুস সালাম উনাদের রসূল, নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার প্রতি অফুরন্ত দুরূদ শরীফ ও সালাম মুবারক।
বাংলাদেশের জনগণের মধ্যে একটা বদ্ধমূল ধারণা আছে ‘দেশী পণ্যের মান ভালো না, বিদেশী পণ্য উন্নত মানের’। কিন্তু এই ধারণাটি একেবারেই ভুল। অন্যদিকে, দেশীয় পণ্যের মান যদি খারাপ হয়েও থাকে তাহলে তার জন্য দায়ী দেশের জনগণ, সংশ্লিষ্ট মহল ও বিশেষ করে সরকার।
কারণ, আমাদের দেশে দীর্ঘদিন ধরে বিভিন্ন উন্নতমানের পণ্য উৎপাদন করা হলেও অনেক মানুষ বিশেষ করে দেশের কথিত উচ্চবিত্তরা বিদেশী পণ্যই শুরু থেকে ক্রয় করে আসছে। এতে করে দেশীয় প্রতিষ্ঠানগুলো উৎপাদন দক্ষতা ও ব্যয় কুশলতা অর্জন করতে পারছে না। শিল্পজাত পণ্য উৎপাদনের ক্ষেত্রে কলকারখানার যন্ত্রপাতি ক্রয় ও ভবন নির্মাণ বাবদ প্রথমেই বড় ধরনের বিনিয়োগ করতে হয়। ফলে প্রথম পর্যায়ে পণ্যের গড় উৎপাদন খরচ বেশি থাকে, যা উৎপাদন বৃদ্ধির সঙ্গে সঙ্গে কমতে থাকে। এদিকে বড় বড় বিদেশি কোম্পানি দীর্ঘদিন ধরে ওই পণ্যের ব্যবসা করায় তাদের গড় উৎপাদন ব্যয় অনেক কমে আসে। ফলে তারা কম দামে ভালো পণ্য বিক্রি করতে পারে। এখন পণ্যের মানের দোহাই দিয়ে যদি সরকার কিংবা জনগণ দেশীয় পণ্যের বিস্তার না ঘটায় তাহলে কখনোই দেশীয় পণ্যের মান ভালো হবেনা। শিল্প কখনোই শক্তিশালী অবস্থানে যেতে পারবে না।
দেশীয় বাজার বিশ্লেষণে দেখা যায়, পোশাক রফতানিতে বাংলাদেশ বিশ্বে দ্বিতীয়। বিশ্ববাজার প্রায় দখল করে রেখেছে বাংলাদেশীয় পোশাক। কিন্তু দেশের বাজার দখল করে আছে ভারতসহ বিভিন্ন দেশের পোশাক। ঈদসহ বিভিন্ন উৎসব মৌসুমে বিদেশী পোশাকের আধিপত্যে দেশীয় পোশাক উৎপাদকরা পথে বসে যায়। বাংলাদেশে সারা বছরই হাজার হাজার জাতের ফলের বাম্পার ফলন হয়। কিন্তু এরপরও গত কয়েক বছরে বিদেশ থেকে ৩০ হাজার কোটি টাকার ফল আমদানি করা হয়েছে, গত ৭০ বছর ধরে দেশের ডেইরি খাতে কৃত্রিম প্রজননের মাধ্যমে স্বয়ংসম্পূর্ণ করে তোলা হয়েছে। কিন্তু এরপরও বিদেশ থেকে হাজার হাজার কোটি টাকার দুগ্ধজাত সামগ্রী আমদানি করে দেশের বাজার সয়লাব করে ফেলা হয়। প্রতি বছর ১০ কোটি কেজি উন্নতমানের চা উৎপাদন হয় বাংলাদেশে। কিন্তু এরপরও বিদেশ থেকে গত কয়েক বছরে ৮০ লাখ কেজি চা আমদানি হয়েছে। পাদুকাশিল্পে বাংলাদেশ বিশ্বে ৭ম হলেও বাংলাদেশের জুতার বাজার দখল করে রেখেছে বিদেশী কোম্পানিগুলো। পুরান ঢাকার জিঞ্জিরা সবার পরিচিত। ইলেক্ট্রনিক পণ্য তৈরিতে জিঞ্জিরার কারিগরেরা বেশ পারদর্শী। কিন্তু অর্থনৈতিক সংকট, বাজারজাতকরণ ও সঠিক প্রশিক্ষণের অভাবে এগুতে পারছে না তারা। তেমনি টাঙ্গাইলের তাত শিল্পের কথা বলা যায়। বলা যায়, কুমিল্লার খাদির কথা। এছাড়া দেশে অসংখ্য ক্ষুদ্র ও মাঝারি শিল্প কারখানা আছে, যেগুলোতে ভালো মানের পণ্য তৈরি হচ্ছে। কিন্তু পারিপার্শ্বিক সামান্য সহযোগিতা ও প্রচারের অভাবে উঠে দাঁড়াতে পারছে না তারা। যার ফলে এখন বাজার চলে যাচ্ছে বিদেশি কোম্পানিগুলোর হাতে। আর দেশি জনগণ হচ্ছে বিদেশমুখী।
বলাবাহুল্য, বাংলাদেশের এমন কোনো খাত নেই যাতে প্রাচুর্যতা নেই। সব খাতই পৃষ্ঠপোষকতার মাধ্যমে সর্বসেরা হয়ে ওঠার সক্ষমতা রয়েছে। তাই ক্ষমতাসীন সরকারের উচিত হবে শুধু বিদেশী বিনিয়োগ আর বিদেশী পণ্য আমদানির একক চিন্তা বাদ দিয়ে দেশীয় পণ্যের সম্প্রসারণ এবং প্রচারের ব্যবস্থা করা। দেশীয় পণ্যের মান উন্নয়নের জন্য বাজেটে বরাদ্দের ব্যবস্থা করা। দেশীয় পণ্য উৎপাদনকারী কারখানাগুলোতে আধুনিক যন্ত্রাংশ, শ্রমিকদের প্রশিক্ষনের ব্যবস্থা করা। পাশাপাশি জিঞ্জিরার মতো যেসব শিল্প আপন সম্ভাবনাতেই গড়ে উঠেছে সেগুলোতে রাষ্ট্রীয় পৃষ্ঠপোষকতার ব্যবস্থা করা। আর এতে করেই দেশীয় পণ্যের বাজারকে আর পেছনে ফিরে তাকাতে হবেনা। বাংলাদেশী পণ্য আপন সক্ষমতাতেই বিশ্ববাজারে দাপট দেখাতে সক্ষম হবে।
ছহিবে সাইয়্যিদি সাইয়্যিদিল আ’ইয়াদ শরীফ, রাজারবাগ শরীফ উনার মামদূহ মুর্র্শিদ ক্বিবলা সাইয়্যিদুনা হযরত সুলত্বানুন নাছীর আলাইহিস সালাম উনার নেক ছোহবত মুবারক-এ কেবলমাত্র তা লাভ করা সম্ভব। খালিক্ব মালিক রব মহান আল্লাহ পাক তিনি আমাদেরকে তা নছীব করুন। আমীন!
এ সম্পর্কিত আরো সংবাদ
-
আজ যিকরুল্লাহ, খইরু খলক্বিল্লাহ, আস সিরাজুম মুনীর, সাইয়্যিদুল আরব, মালিকুল জান্নাহ, যাবীহুল্লাহ, সাইয়্যিদুনা হযরত আবূ রসূলিল্লাহ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার সাথে সাইয়্যিদাতুল উম্মাহাত, সাইয়্যিদাতু নিসায়িল আলামীন, সাইয়্যিদাতু নিসায়ি আহলিল জান্নাহ, হাবীবাতুল্লাহ সাইয়্যিদাতুনা হযরত উম্মু রসূলিল্লাহ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার সুমহান বরকতময় আযীমুশ শান নিসবাতুল আযীম শরীফ দিবস এবং লাইলাতুর রগাইব শরীফ।
০২ জানুয়ারি, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল খমীছ (বৃহস্পতিবার) -
আজ সুমহান ও বরকতময় পবিত্র ২৯ জুমাদাল উখরা শরীফ! সাইয়্যিদাতুনা হযরত সিবত্বতু রসূলিল্লাহ আছ ছালিছাহ আলাইহাস সালাম উনার পবিত্র বিছালী শান মুবারক দিবস এবং সাইয়্যিদুনা হযরত ইমামুল আশির মিন আহলি বাইতি রসূলিল্লাহ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার পবিত্র বিছালী শান মুবারক প্রকাশ দিবস। সুবহানাল্লাহ!
৩১ ডিসেম্বর, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুছ ছুলাছা (মঙ্গলবার) -
শুধুই সমালোচনা? পতিত সরকারের সমালোচিত পন্থা দ্বৈত নাগরিকত্ব বাতিলে কোন উদ্যোগ ও তৎপরতা নেই কেন? দ্বৈত নাগরিকত্বের সুবিধা নিয়ে যে অবাধ অর্থপাচার হয়েছে অবিলম্বে তা ফিরিয়ে আনা হোক ইনশাআল্লাহ
৩১ ডিসেম্বর, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুছ ছুলাছা (মঙ্গলবার) -
বাজারের ৯৮ ভাগ শাকসবজি ও ৭০ ভাগ খাবারে কীটনাশক ডিজিটাল বা স্মার্ট বাংলাদেশ গড়তে চাইলে আগে স্মার্ট খাবারের ব্যবস্থা করতে হবে
৩১ ডিসেম্বর, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুছ ছুলাছা (মঙ্গলবার) -
প্রসঙ্গঃ স্বদেশের প্রতি মুহব্বত দাবিদার মুসলমান এবং স্বদেশের প্রতি আঘাত।
৩০ ডিসেম্বর, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল ইছনাইনিল আযীম (সোমবার) -
দেশে মারাত্মকভাবে বাড়ছে বিষন্নতা তথা আত্মহত্যার প্রবণতা প্রতিরোধে ইসলামী মূল্যবোধের বিস্তারে বিকল্প নেই
৩০ ডিসেম্বর, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল ইছনাইনিল আযীম (সোমবার) -
দেশের ৪ কোটি মানুষ না খেয়ে থাকে। অথচ দেশে মাথাপিছু খাদ্য অপচয় হয় প্রায় ৯০ কেজি। বছরে ক্ষতির পরিমাণ প্রায় ৩৫ হাজার কোটি টাকা। খাদ্য অপচয় রোধ করতে ‘নিশ্চয়ই অপব্যয়কারীরা শয়তানের ভাই’- পবিত্র কুরআন শরীফ উনার এই নির্দেশ সমাজের সর্বাত্মক প্রতিফলন ব্যতীত কোনো বিকল্প নেই।
২৯ ডিসেম্বর, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল আহাদ (রোববার) -
‘কবর’ ‘জাহান্নাম’ ‘জান্নাত’ ইত্যাদি ইসলামী শব্দের কথা বললেই শুধু হবেনা। শুধুমাত্র প্রসঙ্গ টানলেই হবেনা। এখন দেশে ইসলামী আবহের বাস্তবায়ন ঘটিয়ে বিশেষত মহাসমারোহে সাইয়্যিদু সাইয়্যিদিল আ’ইয়াদ শরীফ পালন করে মুসলমানদের জান্নাতে ভালো জায়গায় থাকার ব্যবস্থা করতে হবে। ইনশাআল্লাহ!
২৯ ডিসেম্বর, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল আহাদ (রোববার) -
প্রসঙ্গঃ ভেষজ উদ্ভিদ ও রফতানী
২৮ ডিসেম্বর, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুছ সাবত (শনিবার) -
বাংলাদেশী শিশু-কিশোরদের মধ্যে প্রায় ৭৭ শতাংশ পর্নো আসক্ত। পর্নো দেখতে তারা ব্যয় করছে শত শত কোটি টাকা। এখনই সরকার সতর্ক না হলে পর্ণোগ্রাফিতে পশ্বাধম জাতিতে পরিণত হবে পরবর্তী প্রজন্ম। +
২৮ ডিসেম্বর, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুছ সাবত (শনিবার) -
হাড় কাঁপানো শীতে বাড়ছে আগুনে দগ্ধদের সংখ্যা দগ্ধ রোগীর চাপ সামাল দিতে পারছে না জাতীয় বার্ন ও প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউট জেলা পর্যায়ের হাসপাতালগুলোয় দগ্ধ রোগীদের সুচিকিৎসা নিশ্চিত করতে হবে। ইনশাআল্লাহ!
২৭ ডিসেম্বর, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল জুমুয়াহ (শুক্রবার) -
দশ বর্গকিলোমিটার নারিকেল দ্বীপ রক্ষায় মিথ্যার বেসাতির বিপরীতে ৩ লাখ একর বেদখল বনভূমির প্রতি নিস্ক্রীয় দর্শকের ভূমিকা বৈষম্য বিরোধী আন্দোলনের সাথে সাংঘর্ষিক।
২৭ ডিসেম্বর, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল জুমুয়াহ (শুক্রবার)