বাজারে বিদেশী পণ্যের আধিপত্য। সরকারের উচিত বাজারে শত ভাগ দেশীয় পণ্যের নিয়ন্ত্রণ নিশ্চিত করা।
, ১৩ ছফর শরীফ, ১৪৪৬ হিজরী সন, ২১ ছালিছ, ১৩৯২ শামসী সন , ১৯ আগষ্ট, ২০২৪ খ্রি:, ০৪ ভাদ্র , ১৪৩১ ফসলী সন, ইয়াওমুল ইছনাইনিল আযীম (সোমবার) সম্পাদকীয়
বাংলাদেশের জনগণের মধ্যে একটা বদ্ধমূল ধারণা আছে ‘দেশী পণ্যের মান ভালো না, বিদেশী পণ্য উন্নত মানের’। কিন্তু এই ধারণাটি একেবারেই ভুল। অন্যদিকে, দেশীয় পণ্যের মান যদি খারাপ হয়েও থাকে তাহলে তার জন্য দায়ী দেশের জনগণ, সংশ্লিষ্ট মহল ও বিশেষ করে সরকার।
কারণ, আমাদের দেশে দীর্ঘদিন ধরে বিভিন্ন উন্নতমানের পণ্য উৎপাদন করা হলেও অনেক মানুষ বিশেষ করে দেশের কথিত উচ্চবিত্তরা বিদেশী পণ্যই শুরু থেকে ক্রয় করে আসছে। এতে করে দেশীয় প্রতিষ্ঠানগুলো উৎপাদন দক্ষতা ও ব্যয় কুশলতা অর্জন করতে পারছে না। শিল্পজাত পণ্য উৎপাদনের ক্ষেত্রে কলকারখানার যন্ত্রপাতি ক্রয় ও ভবন নির্মাণ বাবদ প্রথমেই বড় ধরনের বিনিয়োগ করতে হয়। ফলে প্রথম পর্যায়ে পণ্যের গড় উৎপাদন খরচ বেশি থাকে, যা উৎপাদন বৃদ্ধির সঙ্গে সঙ্গে কমতে থাকে। এদিকে বড় বড় বিদেশি কোম্পানি দীর্ঘদিন ধরে ওই পণ্যের ব্যবসা করায় তাদের গড় উৎপাদন ব্যয় অনেক কমে আসে। ফলে তারা কম দামে ভালো পণ্য বিক্রি করতে পারে। এখন পণ্যের মানের দোহাই দিয়ে যদি সরকার কিংবা জনগণ দেশীয় পণ্যের বিস্তার না ঘটায় তাহলে কখনোই দেশীয় পণ্যের মান ভালো হবেনা। শিল্প কখনোই শক্তিশালী অবস্থানে যেতে পারবে না।
দেশীয় বাজার বিশ্লেষণে দেখা যায়, পোশাক রফতানিতে বাংলাদেশ বিশ্বে দ্বিতীয়। বিশ্ববাজার প্রায় দখল করে রেখেছে বাংলাদেশীয় পোশাক। কিন্তু দেশের বাজার দখল করে আছে ভারতসহ বিভিন্ন দেশের পোশাক। ঈদসহ বিভিন্ন উৎসব মৌসুমে বিদেশী পোশাকের আধিপত্যে দেশীয় পোশাক উৎপাদকরা পথে বসে যায়। বাংলাদেশে সারা বছরই হাজার হাজার জাতের ফলের বাম্পার ফলন হয়। কিন্তু এরপরও গত কয়েক বছরে বিদেশ থেকে ৩০ হাজার কোটি টাকার ফল আমদানি করা হয়েছে, গত ৭০ বছর ধরে দেশের ডেইরি খাতে কৃত্রিম প্রজননের মাধ্যমে স্বয়ংসম্পূর্ণ করে তোলা হয়েছে। কিন্তু এরপরও বিদেশ থেকে হাজার হাজার কোটি টাকার দুগ্ধজাত সামগ্রী আমদানি করে দেশের বাজার সয়লাব করে ফেলা হয়। প্রতি বছর ১০ কোটি কেজি উন্নতমানের চা উৎপাদন হয় বাংলাদেশে। কিন্তু এরপরও বিদেশ থেকে গত কয়েক বছরে ৮০ লাখ কেজি চা আমদানি হয়েছে। পাদুকাশিল্পে বাংলাদেশ বিশ্বে ৭ম হলেও বাংলাদেশের জুতার বাজার দখল করে রেখেছে বিদেশী কোম্পানিগুলো। পুরান ঢাকার জিঞ্জিরা সবার পরিচিত। ইলেক্ট্রনিক পণ্য তৈরিতে জিঞ্জিরার কারিগরেরা বেশ পারদর্শী। কিন্তু অর্থনৈতিক সংকট, বাজারজাতকরণ ও সঠিক প্রশিক্ষণের অভাবে এগুতে পারছে না তারা। তেমনি টাঙ্গাইলের তাত শিল্পের কথা বলা যায়। বলা যায়, কুমিল্লার খাদির কথা। এছাড়া দেশে অসংখ্য ক্ষুদ্র ও মাঝারি শিল্প কারখানা আছে, যেগুলোতে ভালো মানের পণ্য তৈরি হচ্ছে। কিন্তু পারিপার্শ্বিক সামান্য সহযোগিতা ও প্রচারের অভাবে উঠে দাঁড়াতে পারছে না তারা। যার ফলে এখন বাজার চলে যাচ্ছে বিদেশি কোম্পানিগুলোর হাতে। আর দেশি জনগণ হচ্ছে বিদেশমুখী।
বলাবাহুল্য, বাংলাদেশের এমন কোনো খাত নেই যাতে প্রাচুর্যতা নেই। সব খাতই পৃষ্ঠপোষকতার মাধ্যমে সর্বসেরা হয়ে ওঠার সক্ষমতা রয়েছে। তাই ক্ষমতাসীন সরকারের উচিত হবে শুধু বিদেশী বিনিয়োগ আর বিদেশী পণ্য আমদানির একক চিন্তা বাদ দিয়ে দেশীয় পণ্যের সম্প্রসারণ এবং প্রচারের ব্যবস্থা করা। দেশীয় পণ্যের মান উন্নয়নের জন্য বাজেটে বরাদ্দের ব্যবস্থা করা। দেশীয় পণ্য উৎপাদনকারী কারখানাগুলোতে আধুনিক যন্ত্রাংশ, শ্রমিকদের প্রশিক্ষনের ব্যবস্থা করা। পাশাপাশি জিঞ্জিরার মতো যেসব শিল্প আপন সম্ভাবনাতেই গড়ে উঠেছে সেগুলোতে রাষ্ট্রীয় পৃষ্ঠপোষকতার ব্যবস্থা করা। আর এতে করেই দেশীয় পণ্যের বাজারকে আর পেছনে ফিরে তাকাতে হবেনা। বাংলাদেশী পণ্য আপন সক্ষমতাতেই বিশ্ববাজারে দাপট দেখাতে সক্ষম হবে।
ছহিবে সাইয়্যিদি সাইয়্যিদিল আ’ইয়াদ শরীফ, রাজারবাগ শরীফ উনার মামদূহ মুর্র্শিদ ক্বিবলা সাইয়্যিদুনা হযরত সুলত্বানুন নাছীর আলাইহিস সালাম উনার নেক ছোহবত মুবারক-এ কেবলমাত্র তা লাভ করা সম্ভব। খালিক্ব মালিক রব মহান আল্লাহ পাক তিনি আমাদেরকে তা নছীব করুন। আমীন!
এ সম্পর্কিত আরো সংবাদ
-
৪০ শতাংশের বেশি ক্ষুদ্র ও কুটির শিল্প বন্ধ হয়েছে যথাযথ পৃষ্ঠপোষকতা করলে ইনশাআল্লাহ ঘুরে দাঁড়াবে ক্ষুদ্র ও কুটির শিল্প
০৩ নভেম্বর, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল আহাদ (রোববার) -
মুদি দোকান, স্টেশনারি দোকান, শপিং মল, পার্লার, সুপার শপ সবখানেই ভেজাল কসমেটিক্স। মারাত্মক ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে ব্যবহারকারীরা। সরকারের কঠোর নজরদারী ও নিয়ন্ত্রণ প্রয়োজন।
০২ নভেম্বর, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুছ সাবত (শনিবার) -
দেশের ৪ কোটি মানুষ না খেয়ে থাকে। অথচ দেশে মাথাপিছু খাদ্য অপচয় হয় প্রায় ৯০ কেজি। বছরে ক্ষতির পরিমাণ প্রায় ৩৫ হাজার কোটি টাকা।
০২ নভেম্বর, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুছ সাবত (শনিবার) -
আজ মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র ২৮শে রবীউছ ছানী শরীফ! সাইয়্যিদাতুনা উম্মুর রদ্বাআহ আল ঊলা আলাইহাস সালাম উনার সম্মানিত আওলাদ, আখু রসূলিল্লাহ মিনার রদ্বাআহ সাইয়্যিদুনা হযরত মাসরূহ্ আলাইহিস সালাম উনার বিছালী শান মুবারক প্রকাশ দিবস। সুবহানাল্লাহ!
০১ নভেম্বর, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল জুমুয়াহ (শুক্রবার) -
শিক্ষা খাতে পতিত সরকারের বাজেটে নিম্নবিত্ত-মধ্যবিত্তদের স্বার্থ সংরক্ষিত হয়নি শিক্ষার্থীরা যাতে ঝরে না পড়ে- শিক্ষা উপকরণের দাম কমিয়ে বর্তমান সরকারকে তা নিশ্চিত করতে হবে ইনশাআল্লাহ
৩১ অক্টোবর, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল খমীছ (বৃহস্পতিবার) -
শব্দ দূষণ এখন শব্দ সন্ত্রাস ও নীরব ঘাতকে পরিণত হয়েছে। নারিকেল দ্বীপ নয় শব্দ দূষণে বিপর্যস্থ ঢাকাকে উপযোগী করার জন্য ঢাকার জনযট সারাদেশে ছড়িয়ে দিতে হবে।
৩১ অক্টোবর, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল খমীছ (বৃহস্পতিবার) -
‘২০৪১ সালে মাছ উৎপাদনের লক্ষ্যমাত্রা ৮৫ লাখ মেট্রিক টন’ ৩৯ বছরের ব্যবধানে মাছের উৎপাদন বেড়েছে ৬ গুণ উৎপাদন বাড়ছে মাছের, তবুও নাগালে নেই দাম
৩০ অক্টোবর, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল আরবিয়া (বুধবার) -
নাটক-সিনেমার মাধ্যমে মুসলিম প্রজন্মকে দ্বীন ইসলাম থেকে দূরে সরিয়ে দেয়া হচ্ছে। পরকালের কথা স্বরণ করে মুসলিম উম্মাহকে বিধর্মীদের এসব ষড়যন্ত্র থেকে বের হয়ে আসতে হবে।
৩০ অক্টোবর, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল আরবিয়া (বুধবার) -
সাম্প্রতিক প্রাকৃতিক দুর্যোগে বর্তমান উপদেষ্টা সরকারের সহযোগীতার অভাব সমালোচনার ঝড় তুলছে প্রবল বৃষ্টি, খড়া, ঘূর্ণিঝড় এবং বন্যায় ক্ষতিগ্রস্ত কৃষক ও খামারিদের পুনর্বাসনে সত্ত্বর মনোযোগী হউন
২৯ অক্টোবর, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুছ ছুলাছা (মঙ্গলবার) -
মাথাপিছু আয় বৃদ্ধির প্রচারণা দেশের উন্নয়নের চিত্র নয়। বর্তমানে আয়বৈষম্য স্বাধীনতার চেতনার মূলে কুঠারাঘাত।
২৯ অক্টোবর, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুছ ছুলাছা (মঙ্গলবার) -
নিত্য নৈমত্তিক সড়ক দুর্ঘটনা রাষ্ট্রের জন্য নাগরিক হত্যার অপরাধ ইসলামী অনুভূতির উজ্জীবনই সরকারকে হত্যার দায় থেকে রক্ষা করতে পারে
২৮ অক্টোবর, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল ইছনাইনিল আযীম (সোমবার) -
শিশু কিশোরদের মাঝে ডায়াবেটিসের প্রকোপ ভয়াবহ এবং মারাত্মক ঝুকিপূর্ণভাবে বাড়ছে শিশু-কিশোরদের ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণে ও প্রতিরোধে জরুরীভাবে নজর দেয়া উচিত ইনশাআল্লাহ
২৮ অক্টোবর, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল ইছনাইনিল আযীম (সোমবার)