সম্পাদকীয় (১)
বাজারের ৯৮ ভাগ শাকসবজি ও ৭০ ভাগ খাবারে কীটনাশক ডিজিটাল বা স্মার্ট বাংলাদেশ গড়তে চাইলে আগে স্মার্ট খাবারের ব্যবস্থা করতে হবে
, ২৪ মুহররমুল হারাম শরীফ, ১৪৪৬ হিজরী সন, ০২ ছালিছ, ১৩৯২ শামসী সন , ৩১ জুলাই, ২০২৪ খ্রি:, ১৬ শ্রাবণ, ১৪৩১ ফসলী সন, ইয়াওমুল আরবিয়া (বুধবার) সম্পাদকীয়
সব প্রশংসা মুবারক খালিক্ব মালিক রব মহান আল্লাহ পাক উনার জন্য; যিনি সকল সার্বভৌম ক্ষমতার মালিক। সাইয়্যিদুল মুরসালীন, ইমামুল মুরসালীন, নবী আলাইহিমুস সালাম উনাদের নবী, রসূল আলাইহিমুস সালাম উনাদের রসূল, নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার প্রতি অফুরন্ত দুরূদ শরীফ ও সালাম মুবারক।
সার আর কীটনাশক দেয়া ফলমূল, সবজিতে এখন বাংলাদেশের বাজার সয়লাব। সেগুলো দেখতে সুন্দর, সহজে পচে না, আকার, আকৃতি একেবারে ক্রেতার মন মতো হয়। ফলে ক্রেতা সেটা কেনেন এবং খুশি মনে খান।
মানবদেহের সহ্য ক্ষমতা অনেক বেশি। তাই কীটনাশক আর মাত্রাতিরিক্ত সার ব্যবহার করে উৎপাদিত সবজি বা ফলমূল খাওয়ার সঙ্গে সঙ্গে তার প্রভাবটা তেমন একটা বোঝা যায় না। তবে দীর্ঘমেয়াদে ক্যানসার থেকে শুরু করে নানা মারাত্মক রোগ হতে পারে কীটনাশকযুক্ত খাবার খাওয়ায়। তাই সময় এসেছে দ্বিতীয়বার ভাবার।
প্রাপ্ত তথ্যে জানা গেছে, বর্তমানে বাজারের ৭০ শতাংশ খাবারেই ক্ষতিকর কীটনাশক ব্যবহার করা হচ্ছে। কীটনাশক ব্যবহারে প্রাণঘাতী হয়ে উঠছে কৃষিপণ্য। এর মাধ্যমে ঘরে-বাইরে ডেকে আনা হচ্ছে সর্বনাশ। বিশেষজ্ঞরা বলছেন, সবজি, ফলসহ কৃষিপণ্যগুলোতে কীটনাশক ব্যবহার বায়ু, পানি, মাটি, সব ক্ষেত্রেই দূষণ বাড়াচ্ছে। এর ভয়াবহ প্রভাব পড়ছে পরিবেশ ও মানুষের দেহে। অপর দিকে কীটনাশক জমিতে দেয়ার ফলে শস্যের উপকারী পোকা-মাকড় শেষ হওয়ার পথে। এর ফলে তা কৃষিমাঠ থেকে ঘর পর্যন্ত মানুষের সর্বনাশ ডেকে আনছে।
গবেষণায় দেখা গেছে, উচ্চবিষযুক্ত ১২টি কীটনাশকের প্রভাবে গত ৫০ বছরে পুরুষ ও মহিলার সন্তান উৎপাদনক্ষমতা শতকরা ৪২ ভাগ কমে গেছে। মানুষের রক্ত, গোশতপেশি ও মায়ের দুধে কীটনাশক পাওয়া গেছে। কীটনাশকের প্রভাবে বিকলাঙ্গ শিশু জন্ম নিচ্ছে। কিডনি, হৃদরোগ, ডায়াবেটিস, লিভার, পিত্ত, পাকস্থলীর রোগের অন্যতম প্রধান কারণও অতিমাত্রায় কীটনাশকের ব্যবহার।
প্রায় ৯৮ ভাগ শাকসবজিতেই বালাইনাশক প্রয়োগ করা হয়। বলা যায়, কৃষিপণ্যে উৎপাদন থেকে শুরু করে বাজারজাত পর্যন্ত প্রত্যেক পর্যায়ে বিষ মেশানো হচ্ছে। ফলে কৃষি খাদ্যপণ্যে ব্যাপক হারে বিষাক্ত রাসায়নিকের অস্তিত্ব পাওয়া যাচ্ছে। কীটনাশক প্রয়োগে ১৫ থেকে ২১ দিন পর্যন্ত সবজিতে বিষাক্ততা থাকে; যা রান্নার তাপেও নষ্ট হয় না। কিন্তু দেখা যায় বালাইনাশক প্রয়োগের ২-৩ দিন পরই শাকসবজি সংগ্রহ করে বাজারজাত করা হয়। ফলে বিষাক্ত শাকসবজি নিয়মিত খেতে বাধ্য হচ্ছে সাধারণ মানুষ।
প্রাপ্ত তথ্যানুযায়ী, বর্তমানে দেশে ৪৫ হাজার ১৭২ টন রাসায়নিক দ্রব্য ফসলে ব্যবহার হচ্ছে। এ পরিমাণ গত ১০ বছরের চার গুণ।
জনস্বাস্থ্যের দিক বিবেচনা করে এবং জমির উর্বরতা ও পরিবেশ রক্ষায় রাসায়নিক কীটনাশকের ব্যবহার সম্পূর্ণ নিষিদ্ধ করা উচিত। কারণ স্মার্ট জনস্বাস্থ্য তৈরী করতে না পারলে স্মার্ট বাংলাদেশ গড়া কখনও সম্ভব নয়। একথা সরকারকে স্মার্টলি বুঝাতে ও হ্যান্ডেলিং করতে হবে ইনশাআল্লাহ।
এসব কীটনাশক ব্যবহারের ক্ষতিকর দিক সম্পর্কে কৃষকদের অবহিত করতে হবে এবং সচেতনতা বাড়াতে হবে। কৃষককে প্রাকৃতিক উপায়ে বালাইনাশক তৈরি করে কৃষিজমিতে ব্যবহারে উদ্বুদ্ধ করতে হবে। প্রয়োজনে প্রাকৃতিকভাবে বালাইনাশক কীভাবে তৈরি করতে হয় তার প্রশিক্ষণ দিতে হবে। কৃষকের ফসল উৎপাদনে কৃষি কর্মকর্তাদের মাধ্যমে বিভিন্ন ধরনের সহযোগিতা প্রদান করতে হবে, যাতে কৃষক প্রাকৃতিকভাবে পুষ্টিসমৃদ্ধ ফসল উৎপাদন করতে পারে। পরিশেষে, সব ধরনের কীটনাশকের উৎপাদন, বিপণন ও বিক্রিতে তদারকি বাড়াতে হবে এবং এসবের যততত্র বিক্রি বন্ধ করতে হবে। কৃষককে বোঝাতে হবে মানবদেহ ও জীববৈচিত্রের জন্য এসব কীটনাশক কতটা ক্ষতিকর। এসব কীটনাশক ছাড়াও যে সুন্দর ও পুষ্টিকর ফসল উৎপাদন সম্ভব তা প্রচার করতে হবে ইনশাআল্লাহ।
ছহিবে সাইয়্যিদি সাইয়্যিদিল আ’ইয়াদ শরীফ, রাজারবাগ শরীফ উনার মামদূহ মুর্র্শিদ ক্বিবলা সাইয়্যিদুনা হযরত সুলত্বানুন নাছীর আলাইহিস সালাম উনার নেক ছোহবত মুবারক-এ কেবলমাত্র তা লাভ করা সম্ভব। খালিক্ব মালিক রব মহান আল্লাহ পাক তিনি আমাদেরকে তা নছীব করুন। আমীন!
এ সম্পর্কিত আরো সংবাদ
-
৪০ শতাংশের বেশি ক্ষুদ্র ও কুটির শিল্প বন্ধ হয়েছে যথাযথ পৃষ্ঠপোষকতা করলে ইনশাআল্লাহ ঘুরে দাঁড়াবে ক্ষুদ্র ও কুটির শিল্প
০৩ নভেম্বর, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল আহাদ (রোববার) -
মুদি দোকান, স্টেশনারি দোকান, শপিং মল, পার্লার, সুপার শপ সবখানেই ভেজাল কসমেটিক্স। মারাত্মক ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে ব্যবহারকারীরা। সরকারের কঠোর নজরদারী ও নিয়ন্ত্রণ প্রয়োজন।
০২ নভেম্বর, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুছ সাবত (শনিবার) -
দেশের ৪ কোটি মানুষ না খেয়ে থাকে। অথচ দেশে মাথাপিছু খাদ্য অপচয় হয় প্রায় ৯০ কেজি। বছরে ক্ষতির পরিমাণ প্রায় ৩৫ হাজার কোটি টাকা।
০২ নভেম্বর, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুছ সাবত (শনিবার) -
আজ মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র ২৮শে রবীউছ ছানী শরীফ! সাইয়্যিদাতুনা উম্মুর রদ্বাআহ আল ঊলা আলাইহাস সালাম উনার সম্মানিত আওলাদ, আখু রসূলিল্লাহ মিনার রদ্বাআহ সাইয়্যিদুনা হযরত মাসরূহ্ আলাইহিস সালাম উনার বিছালী শান মুবারক প্রকাশ দিবস। সুবহানাল্লাহ!
০১ নভেম্বর, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল জুমুয়াহ (শুক্রবার) -
শিক্ষা খাতে পতিত সরকারের বাজেটে নিম্নবিত্ত-মধ্যবিত্তদের স্বার্থ সংরক্ষিত হয়নি শিক্ষার্থীরা যাতে ঝরে না পড়ে- শিক্ষা উপকরণের দাম কমিয়ে বর্তমান সরকারকে তা নিশ্চিত করতে হবে ইনশাআল্লাহ
৩১ অক্টোবর, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল খমীছ (বৃহস্পতিবার) -
শব্দ দূষণ এখন শব্দ সন্ত্রাস ও নীরব ঘাতকে পরিণত হয়েছে। নারিকেল দ্বীপ নয় শব্দ দূষণে বিপর্যস্থ ঢাকাকে উপযোগী করার জন্য ঢাকার জনযট সারাদেশে ছড়িয়ে দিতে হবে।
৩১ অক্টোবর, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল খমীছ (বৃহস্পতিবার) -
‘২০৪১ সালে মাছ উৎপাদনের লক্ষ্যমাত্রা ৮৫ লাখ মেট্রিক টন’ ৩৯ বছরের ব্যবধানে মাছের উৎপাদন বেড়েছে ৬ গুণ উৎপাদন বাড়ছে মাছের, তবুও নাগালে নেই দাম
৩০ অক্টোবর, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল আরবিয়া (বুধবার) -
নাটক-সিনেমার মাধ্যমে মুসলিম প্রজন্মকে দ্বীন ইসলাম থেকে দূরে সরিয়ে দেয়া হচ্ছে। পরকালের কথা স্বরণ করে মুসলিম উম্মাহকে বিধর্মীদের এসব ষড়যন্ত্র থেকে বের হয়ে আসতে হবে।
৩০ অক্টোবর, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল আরবিয়া (বুধবার) -
সাম্প্রতিক প্রাকৃতিক দুর্যোগে বর্তমান উপদেষ্টা সরকারের সহযোগীতার অভাব সমালোচনার ঝড় তুলছে প্রবল বৃষ্টি, খড়া, ঘূর্ণিঝড় এবং বন্যায় ক্ষতিগ্রস্ত কৃষক ও খামারিদের পুনর্বাসনে সত্ত্বর মনোযোগী হউন
২৯ অক্টোবর, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুছ ছুলাছা (মঙ্গলবার) -
মাথাপিছু আয় বৃদ্ধির প্রচারণা দেশের উন্নয়নের চিত্র নয়। বর্তমানে আয়বৈষম্য স্বাধীনতার চেতনার মূলে কুঠারাঘাত।
২৯ অক্টোবর, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুছ ছুলাছা (মঙ্গলবার) -
নিত্য নৈমত্তিক সড়ক দুর্ঘটনা রাষ্ট্রের জন্য নাগরিক হত্যার অপরাধ ইসলামী অনুভূতির উজ্জীবনই সরকারকে হত্যার দায় থেকে রক্ষা করতে পারে
২৮ অক্টোবর, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল ইছনাইনিল আযীম (সোমবার) -
শিশু কিশোরদের মাঝে ডায়াবেটিসের প্রকোপ ভয়াবহ এবং মারাত্মক ঝুকিপূর্ণভাবে বাড়ছে শিশু-কিশোরদের ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণে ও প্রতিরোধে জরুরীভাবে নজর দেয়া উচিত ইনশাআল্লাহ
২৮ অক্টোবর, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল ইছনাইনিল আযীম (সোমবার)