সম্পাদকীয়-১
বাংলাদেশের জন্য মারাত্মক হুমকী স্বরূপ আরাকান আর্মিকে এক্ষুনি প্রতিহত করতে হবে ইনশাআল্লাহ
, ১৯ ই জুমাদাল ঊলা শরীফ, ১৪৪৬ হিজরী সন, ২৫ সাদিস, ১৩৯২ শামসী সন , ২২নভেম্বর, ২০২৪ খ্রি:, ০৭ অগ্রহায়ণ, ১৪৩১ ফসলী সন, ইয়াওমুল জুমুয়াহ (শুক্রবার) সম্পাদকীয়
সব প্রশংসা মুবারক খালিক্ব মালিক রব মহান আল্লাহ পাক উনার জন্য; যিনি সকল সার্বভৌম ক্ষমতার মালিক। সাইয়্যিদুল মুরসালীন, ইমামুল মুরসালীন, নবী আলাইহিমুস সালাম উনাদের নবী, রসূল আলাইহিমুস সালাম উনাদের রসূল, নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার প্রতি অফুরন্ত দুরূদ শরীফ ও সালাম মুবারক।
আরাকান আর্মি রাখাইন রাজ্যভিত্তিক একটি বিদ্রোহী গোষ্ঠী যেটি ২০০৯ সালের ১০ এপ্রিল প্রতিষ্ঠিত ইউনাইটেড লিগ অব আরাকান (ইউএলএ) এর সামরিক শাখা। আরাকানিদের আত্মনিয়ন্ত্রণের অধিকারের দাবি তুলে এক যুগ আগে এর সাংগঠনিক উদ্যোগ শুরু হয়।
কক্সবাজারের টেকনাফ উপজেলার নাফ নদী ও বঙ্গোপসাগরের মোহনার নাইক্ষ্যংদিয়া এলাকা থেকে ১২ নভেম্বর দুপুরে অস্ত্রের মুখে দুটি ট্রলারসহ ছয় জন বাংলাদেশি মাঝিমাল্লাকে ধরে নিয়ে যায় মিয়ানমারের সশস্ত্র গোষ্ঠী আরাকান আর্মি।
এর এক সপ্তাহ আগে গত ৫ নভেম্বর একই এলাকা থেকে আরাকান আর্মি ২০ জন বাংলাদেশি জেলেকে ধরে নিয়ে যায় এবং দুদিন পরে বিজিবির মাধ্যমে তাদের ফেরত পাঠায়।
যখনই আরাকান আর্মির খাদ্য ও রসদ ফুরিয়ে যায় এবং কোনো কারণে খাদ্য ও রসদ জোগাড় করতে পারে না অথবা ব্যাহত হয়, তখনই তারা অস্ত্রের মুখে বাংলাদেশি জেলেদের ধরে নিয়ে যায় এবং মোবাইল ফোনে সংশ্লিষ্টদের সঙ্গে যোগাযাগ করে আরেকটি ট্রলারে তাদের চাহিদামতো রসদ পাঠাতে বলে।
প্রশ্ন হলো, আরাকান আর্মি কী চায়, তারা কেন বাংলাদেশি জেলেদের ধরে নিয়ে যায় এবং তাদেরকে কেন আবার ফেরতও দিয়ে দেয়?
আরাকান আর্মি বর্তমানে বাংলাদেশ সংলগ্ন মিয়ানমারের অনেক সীমান্ত চৌকি নিয়ন্ত্রণ করছে, যা মিয়ানমারের সামরিক বাহিনী কোনো যুদ্ধ ছাড়াই তাদের কাছে ছেড়ে দেয়। মিয়ানমার বাহিনী বাংলাদেশকে চাপ দিতে আরাকান আর্মিকে বেছে নিয়েছে বলে অনেক পর্যবেক্ষক মনে করেন। এই গ্রুপটি বাংলাদেশের বিরুদ্ধে দীর্ঘদিন ধরে তিনটি জিনিস করছে। প্রথমত, বিভিন্ন কৌশল অবলম্বন করে রাখাইনে থাকা অবশিষ্ট রোহিঙ্গাদের বিতাড়ন করা। আর বাংলাদেশ-মিয়ানমার সীমান্তে ইয়াবা ও অন্যান্য মাদক সরবরাহ এবং চোরাচালান নিয়ন্ত্রণ করে অর্থ কামাই করা। এ ছাড়া আরাকান আর্মি পার্বত্য চট্টগ্রামের কিছু উপজাতীয় যুবকদের প্রশিক্ষণ দেয় এবং তাদের সাথে যোগাযোগ বজায় রাখে। একই সাথে জেএসএস ও ইউপিডিএফ-এর মতো বিচ্ছিন্নতাবাদী গোষ্ঠীকে আরাকান আর্মি গোপনে সাহায্য করে যাতে তারা রোহিঙ্গাদের শরণার্থী করে রাখতে এবং বাংলাদেশের পার্বত্য অঞ্চলে অস্থিতিশীলতা তৈরি করে রাখতে পারে।
আরাকান আর্মি তাদের মাফিয়া কার্টেল এবং মানব পাচারকারী ছোট ছোট দল ব্যবহার করছে যাতে বাকি রোহিঙ্গাদের আরাকানের মাটি থেকে নির্বাসিত করা যায়। তারা রোহিঙ্গাদের কাছ থেকে কর আদায় করে এবং ভেতরে ভেতরে রোহিঙ্গাদের ওপর নির্যাতন ও ধর্ষণ করে রাখাইনজুড়ে আইডিপি ক্যাম্পের বাইরে তাদের রাখাইন ত্যাগ করতে বাধ্য করে। তারা মংডুতে রোহিঙ্গা জনগণের একজন বিশিষ্ট ধর্মীয় নেতাকেও হত্যা করেছে। ঘনিষ্ঠভাবে পরিস্থিতি পর্যবেক্ষণ করলে দেখা যায়, আরাকান আর্মি তাদের নিজেদের রাখাইন জনগোষ্ঠীর এলাকার চেয়ে রোহিঙ্গা অধ্যুষিত এলাকায় বেশি সক্রিয়, যা সরাসরি বার্মার জান্তার সাথে তাদের সম্পর্কের ইঙ্গিত দেয়।
অভিযোগ রয়েছে, আরাকান আর্মি একটি ড্রাগ মাফিয়া পরিচালনা করছে, বিচ্ছিন্নতাবাদীদের প্রশিক্ষণ ও রসদ সরবরাহ করছে বাংলাদেশী পার্বত্য অঞ্চলের অভ্যন্তরে। তারা বাংলাদেশে প্রতি মাসে কমপক্ষে ৫০ লাখ পিস ইয়াবা সরবরাহ এবং বিক্রি করে। আর নিজেদের উৎপাদিত আফিম বিক্রি করতে বাংলাদেশ ভূখ-কে ব্যবহার করে। যেহেতু তারা আফিম চাষ করে তাদের জমিতে তাই এটা অসম্ভব নয় যে, তারা বাংলাদেশ-মিয়ানমার সীমান্তে, সিগারেট, ইয়াবা থেকে আফিম পর্যন্ত সব চোরাচালান নিয়ন্ত্রণ করে। এমনকি তারা গরু চোরাচালানের টাকাও সংগ্রহ করে। প্রতি মাসে তারা কমপক্ষে ২৫ থেকে ৩০ কোটি টাকা উপার্জন করে বাংলাদেশ সীমান্ত থেকে। বিস্ময়কর তথ্য হলো যে, মিয়ানমার জান্তা সামরিক বাহিনীর মেডিক্যাল কোর ল্যাব-এ ইয়াবা উৎপাদন করা হয় আর আরাকান আর্মির সাথে যৌথভাবে তা বিক্রির নেটওয়ার্ক নিয়ন্ত্রণ করা হয়।
বাংলাদেশের জন্য কঠিন হুমকি হলো, আরাকান আর্মি পার্বত্য চট্টগ্রামের কিছু উপজাতি যুবককে প্রশিক্ষণ দেয়ার খবর পাওয়া যাচ্ছে আর একই সাথে তারা অস্ত্র নিয়ে বাংলাদেশের পাহাড়ি এলাকায় অবাধে বিচরণ করছে। আরাকান আর্মির সদস্যদের অনেক আত্মীয়স্বজন রয়েছে বাংলাদেশের মাটিতে। এক তথ্য অনুসারে, বাংলাদেশের পার্বত্য অঞ্চলের প্রায় ছয় হাজার যুবক সক্রিয়ভাবে কাজ করছে যারা আরাকান আর্মির কাছ থেকে সামরিক প্রশিক্ষণ ও অস্ত্রশস্ত্র পেয়েছে। আরাকান আর্মি চাইলে তাদের দিয়ে সর্বাত্মক গেরিলা যুদ্ধ শুরু করতে পারে। বান্দরবানের গহিন জঙ্গলের অনেক স্থানেই রয়েছে আরাকান আর্মির সদস্যরা। রাঙ্গামাটি এমনকি খাগড়াছড়িতেও তাদের অবস্থানের খবর পাওয়া যায়। এটি বাংলাদেশের সার্বভৌমত্বের জন্য সত্যিই ভীতিকর। বিশেষত তাদের সাথে একটি বৃহৎ শক্তির সংবেদনশীল সম্পর্ক থাকায় বাংলাদেশের জন্য নিরাপত্তা উদ্বেগ বাড়ছে। সঙ্গতকারণেই এ বিষয়ে এক্ষুনি জরুরী প্রতিহতকরণ ব্যবস্থা গ্রহণ জরুরী।
ছহিবে সাইয়্যিদি সাইয়্যিদিল আ’ইয়াদ শরীফ, রাজারবাগ শরীফ উনার মামদূহ মুর্র্শিদ ক্বিবলা সাইয়্যিদুনা হযরত সুলত্বানুন নাছীর আলাইহিস সালাম উনার নেক ছোহবত মুবারক-এ কেবলমাত্র তা লাভ করা সম্ভব। খালিক্ব মালিক রব মহান আল্লাহ পাক তিনি আমাদেরকে তা নছীব করুন। আমীন।
এ সম্পর্কিত আরো সংবাদ
-
অতীতের সব সরকারের মত অন্তবর্তী সরকারও চালের দাম বৃদ্ধিতে নড়েচড়ে বসছে না। কার্যকর ভূমিকা নিচ্ছে না একমাত্র খিলাফত আলা মিনহাজিন নুবুওওয়াহ্র প্রজ্ঞাতেই চালের দাম সর্বোচ্চ সস্তা হওয়া সম্ভব ইনশাআল্লাহ
০৬ জানুয়ারি, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল ইছনাইনিল আযীম (সোমবার) -
শহরের প্রতিটি বাড়ির ছাদ হোক এক টুকরো বাগান ও ছদকায়ে জারিয়ার খামার। সিটি কর্পোরেশন ও সংশ্লিষ্ট মন্ত্রনালয়ের তৎপরতা দরকার। খিলাফত আলা মিনহাজিন নুবুওওয়াহ্র চেতনায় এ নিয়ামত লাভ সম্ভব ইনশাআল্লাহ
০৬ জানুয়ারি, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল ইছনাইনিল আযীম (সোমবার) -
আজ সুমহান বেমেছাল বরকতময় ৩রা রজবুল হারাম শরীফ! সাইয়্যিদাতুন নিসা সাইয়্যিদাতুনা হযরত উম্মুল মু’মিনীন আছ ছালিছাহ আশার আলাইহাস সালাম উনার পবিত্র বিলাদতী শান মুবারক প্রকাশ দিবস এবং আহলু বাইতি রসূলিল্লাহ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম সাইয়্যিদাতুনা হযরত সাইয়্যিদাতুল উমাম আর রবিআহ আলাইহাস সালাম এবং আহলু বাইতি রসূলিল্লাহ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম সাইয়্যিদাতুনা হযরত সাইয়্যিদাতুল উমাম আল খ্বমিসাহ আলাইহাস সালাম উনাদের মহিমান্বিত পবিত্র বিলাদতী শান মুবারক প্রকাশ দিবস। সুবহানাল্লাহ!
০৪ জানুয়ারি, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুছ সাবত (শনিবার) -
আজ যিকরুল্লাহ, খইরু খলক্বিল্লাহ, আস সিরাজুম মুনীর, সাইয়্যিদুল আরব, মালিকুল জান্নাহ, যাবীহুল্লাহ, সাইয়্যিদুনা হযরত আবূ রসূলিল্লাহ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার সাথে সাইয়্যিদাতুল উম্মাহাত, সাইয়্যিদাতু নিসায়িল আলামীন, সাইয়্যিদাতু নিসায়ি আহলিল জান্নাহ, হাবীবাতুল্লাহ সাইয়্যিদাতুনা হযরত উম্মু রসূলিল্লাহ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার সুমহান বরকতময় আযীমুশ শান নিসবাতুল আযীম শরীফ দিবস এবং লাইলাতুর রগাইব শরীফ।
০২ জানুয়ারি, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল খমীছ (বৃহস্পতিবার) -
আজ সুমহান ও বরকতময় পবিত্র ২৯ জুমাদাল উখরা শরীফ! সাইয়্যিদাতুনা হযরত সিবত্বতু রসূলিল্লাহ আছ ছালিছাহ আলাইহাস সালাম উনার পবিত্র বিছালী শান মুবারক দিবস এবং সাইয়্যিদুনা হযরত ইমামুল আশির মিন আহলি বাইতি রসূলিল্লাহ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার পবিত্র বিছালী শান মুবারক প্রকাশ দিবস। সুবহানাল্লাহ!
৩১ ডিসেম্বর, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুছ ছুলাছা (মঙ্গলবার) -
শুধুই সমালোচনা? পতিত সরকারের সমালোচিত পন্থা দ্বৈত নাগরিকত্ব বাতিলে কোন উদ্যোগ ও তৎপরতা নেই কেন? দ্বৈত নাগরিকত্বের সুবিধা নিয়ে যে অবাধ অর্থপাচার হয়েছে অবিলম্বে তা ফিরিয়ে আনা হোক ইনশাআল্লাহ
৩১ ডিসেম্বর, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুছ ছুলাছা (মঙ্গলবার) -
বাজারের ৯৮ ভাগ শাকসবজি ও ৭০ ভাগ খাবারে কীটনাশক ডিজিটাল বা স্মার্ট বাংলাদেশ গড়তে চাইলে আগে স্মার্ট খাবারের ব্যবস্থা করতে হবে
৩১ ডিসেম্বর, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুছ ছুলাছা (মঙ্গলবার) -
প্রসঙ্গঃ স্বদেশের প্রতি মুহব্বত দাবিদার মুসলমান এবং স্বদেশের প্রতি আঘাত।
৩০ ডিসেম্বর, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল ইছনাইনিল আযীম (সোমবার) -
দেশে মারাত্মকভাবে বাড়ছে বিষন্নতা তথা আত্মহত্যার প্রবণতা প্রতিরোধে ইসলামী মূল্যবোধের বিস্তারে বিকল্প নেই
৩০ ডিসেম্বর, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল ইছনাইনিল আযীম (সোমবার) -
দেশের ৪ কোটি মানুষ না খেয়ে থাকে। অথচ দেশে মাথাপিছু খাদ্য অপচয় হয় প্রায় ৯০ কেজি। বছরে ক্ষতির পরিমাণ প্রায় ৩৫ হাজার কোটি টাকা। খাদ্য অপচয় রোধ করতে ‘নিশ্চয়ই অপব্যয়কারীরা শয়তানের ভাই’- পবিত্র কুরআন শরীফ উনার এই নির্দেশ সমাজের সর্বাত্মক প্রতিফলন ব্যতীত কোনো বিকল্প নেই।
২৯ ডিসেম্বর, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল আহাদ (রোববার) -
‘কবর’ ‘জাহান্নাম’ ‘জান্নাত’ ইত্যাদি ইসলামী শব্দের কথা বললেই শুধু হবেনা। শুধুমাত্র প্রসঙ্গ টানলেই হবেনা। এখন দেশে ইসলামী আবহের বাস্তবায়ন ঘটিয়ে বিশেষত মহাসমারোহে সাইয়্যিদু সাইয়্যিদিল আ’ইয়াদ শরীফ পালন করে মুসলমানদের জান্নাতে ভালো জায়গায় থাকার ব্যবস্থা করতে হবে। ইনশাআল্লাহ!
২৯ ডিসেম্বর, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল আহাদ (রোববার) -
প্রসঙ্গঃ ভেষজ উদ্ভিদ ও রফতানী
২৮ ডিসেম্বর, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুছ সাবত (শনিবার)