বাংলাদেশের অর্থনৈতিক প্রেক্ষাপটে পাতাল রেল উচ্চাভিলাষী ও অপরিণামদর্শী।
পাতাল রেলের সম্ভাব্য খরচই হতে পারে চলতি বাজেটের দেড়গুণ। পাতাল রেলে যাত্রীদের গুনতে হবে মাসপ্রতি ২০-২৫ হাজার টাকা। পাতাল রেল নয় বরং জেলাপর্যায়ের উন্নয়ন তথা বিকেন্দ্রীকরণই রাজধানীর যানজট নিরসনের একমাত্র বৈজ্ঞানিক পন্থা।
, ০৫ শাওওয়াল শরীফ, ১৪৪৪ হিজরী সন, ২৬ হাদি ‘আশির, ১৩৯০ শামসী সন , ২৬ এপ্রিল, ২০২৩ খ্রি:, ১৩ বৈশাখ, ১৪৩০ ফসলী সন, ইয়াওমুল আরবিয়া (বুধবার) সম্পাদকীয়
রাজধানীর যোগাযোগ ব্যবস্থার উন্নয়ন এবং যানজট নিরসনের উদ্দেশ্য নিয়ে সরকার বিভিন্ন প্রকল্প হাতে নিয়েছে। এর মধ্যে ঢাকা মহানগরে পাতাল রেল (সাবওয়ে) নির্মাণের পরিকল্পনা করছে সরকার। এই পরিকল্পনা বাস্তবায়িত হলে ২০৫০ সালে ঢাকায় মাটির নিচ দিয়ে রেল চলাচল করবে। এতে মোট ১১টি রুট থাকবে। পুরো ঢাকাকে পাতাল রেলের আওতায় আনতে আপাতত খরচ ধরা হয়েছে ৮ লাখ ৮২ হাজার ৩৮০ কোটি টাকা, যা বাংলাদেশের চলতি অর্থবছরের জাতীয় বাজেটের প্রায় দেড় গুণ। ইতোমধ্যে শুধু চলতি বছরের জুনে সম্ভাব্যতা যাচাই ও প্রাথমিক নকশার কাজেই ব্যয় ধরা হয়েছে ৩২১ কোটি টাকা। এর মধ্যে ৩১৭ কোটি টাকা খরচ হচ্ছে শুধু পরামর্শক খাতে।
নগরবিদ এবং বিশেষজ্ঞ মহলের মতে, সমগ্র দেশের উন্নয়ন বাজেটের তুলনায় অতি ব্যয়বহুল এই প্রকল্প দেশের জন্য বোঝা হয়ে দাঁড়াতে পারে। ঢাকার পরিবহন পরিকল্পনা ও নগর পরিকল্পনার মূল দলিলগুলোতে পাতাল রেলের প্রস্তাবনা না থাকবার পরেও কিভাবে এই প্রকল্প এর সম্ভাব্যতা যাচাই এ বিশাল পরিমাণ ব্যয় করা হয় তা নিয়েও প্রশ্ন উঠেছে।
পাতাল রেল বিদ্যুৎনির্ভর এবং ঢাকা নগরীর আর্থসামাজিক ও পরিকল্পনাগত বিবেচনায় ব্যয়বহুল, উচ্চাভিলাষী ও অপরিণামদর্শী। সাবওয়ের মতো গণপরিবহন ব্যবস্থা টেকসই হওয়ার জন্য দেশের নগর ও আঞ্চলিক এলাকাগুলোয় পর্যাপ্ত জনসংখ্যা বিদ্যমান থাকলেও মাথাপিছু আয় ও অর্থনৈতিক সক্ষমতা বিবেচনায় এ প্রকল্পের অতি উচ্চ বিনিয়োগ ব্যয় এবং পরিচালন ব্যয়ের কারণে এ প্রকল্প ঢাকা শহরের জন্য বাস্তবসম্মত নয়।
রাজধানী ঢাকায় প্রস্তাবিত পাতাল রেল (সাবওয়ে) নির্মাণ করতে প্রতি কিলোমিটারে গড়ে ২ হাজার ৩৬২ কোটি টাকা খরচ পড়বে বলে জানিয়েছে নগর বিশেষজ্ঞরা। তারা বলছে, নির্মাণের পর পাতাল রেলের এক মাথা থেকে আরেক মাথায় যেতে নিয়মিত যাত্রীদের প্রতি মাসে ভাড়া হিসেবে ব্যয় হবে ২০ থেকে ২৫ হাজার টাকা। এমন ব্যয়বহুল যোগাযোগব্যবস্থা রাজধানী ও রাজধানীবাসীর জন্য সহনীয় নয়।
বিশ্বের বিভিন্ন দেশের নগর পরিকল্পনা বিশ্লেষণ করলে দেখা যায়, উচ্চ আয়ের দেশগুলোর সীমিত সংখ্যক কিছু শহরে নির্মিত হলেও সাবওয়ে নির্মাণ অতি ব্যয়বহুল প্রকল্প। ফলে বিশ্বের ধনী দেশগুলোও এখন নতুন করে নগরের বিস্তৃত নেটওয়ার্কজুড়ে সাবওয়ে নির্মাণের মত উচ্চাভিলাষী প্রকল্প নেওয়ার পরিকল্পনা নিচ্ছে না। সাধারণত এক কিলোমিটার সাবওয়ে লাইন নির্মাণে অন্তত ৩০০ মিলিয়ন ডলার খরচ হয়। তবে সাম্প্রতিক সময়ের মধ্যে নির্মিত সিঙ্গাপুর, হংকংয়ের মতো দেশ ও প্রশাসনিক অঞ্চলগুলোতে পাতাল রেলের নির্মাণ ব্যয় আরো বেশি। সিঙ্গাপুরের ডাউনটাউন এমআরটি লাইন (পুরোটাই পাতালপথে) নির্মাণে কিলোমিটারপ্রতি খরচ হয়েছে ৪৯৩ মিলিয়ন ডলার। আর হংকংয়ের সেন্ট্রাল লিংক নির্মাণে কিলোমিটার প্রতি খরচ হয়েছে ৫৮৬ মিলিয়ন ডলার। ঢাকার সাবওয়ের প্রাথমিকভাবে প্রতি কিলোমিটার খরচ ধরা হয়েছে ২৭৫ মিলিয়ন ডলার।
অথচ পাতাল রেলের মতো উচ্চাভিলাষী প্রকল্প গ্রহণ না করে এই প্রকল্পের সম্ভাব্য মোট ব্যয়ের কয়েক শতাংশও যদি দেশের জেলা শহরগুলোর উন্নয়নে ব্যয় করা হয় তাহলে ঢাকার যোগাযোগ ব্যবস্থার ওপর চাপ নিমিষেই কমে যাবে।
কারণ রাজধানীতে যানজটের মূল কারণই হচ্ছে জনচাপ। মাত্র ৩০২ বর্গকিলোমিটারের এই শহরে ৩ কোটিরও বেশি মানুষ বসবাস করছে। নীতি-নির্ধারকদের দূরদর্শিতার অভাব আর আমলাতান্ত্রিক কেন্দ্রিকতার কারণে বাংলাদেশের সবকিছুই যেন ঢাকা কেন্দ্রিক হয়ে গড়ে উঠেছে। দেশের সরকারি-বেসরকারি মিলিয়ে ১৪৮টি বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রায় ১০০টি-ই এই ঢাকা শহরে অবস্থিত। চিকিৎসকরা প্রায় সবই ঢাকায়, রোগ নির্ণয়ের বড় বড় যন্ত্রপাতি সব ঢাকায়। কাজ, শিক্ষা, বাণিজ্য, চিকিৎসার জন্যসহ নানা প্রয়োজনে মানুষ ঢাকায় আসছে। গ্রামীণ অর্থনীতিতে বলতে গেলে শিল্পায়ন ও কর্মসংস্থান তেমন কিছুই হচ্ছে না। এতে করে দেশের দ্বিতীয় কোনো শহর ঢাকার সমকক্ষ হয়ে গড়ে উঠতে পারেনি। ফলে ঢাকামুখী জনসংখ্যার চাপ কোনোভাবেই রোধ করা যাচ্ছে না। ঢাকা আর বাংলাদেশ যেন দুই দেশ হয়ে গেছে। ঢাকায় যেন সবকিছুর কেন্দ্রবিন্দু, পুরো দেশ যেন ঢাকার ওপর নির্ভরশীল।
অথচ এর বিপরীতে যদি সবকিছু সারাদেশে ভাগ করে দেয় সরকার, জেলাপর্যায়ে কর্মসংস্থানের সৃষ্টি করে দেয়, সেবাকেন্দ্রগুলোর বিকেন্দ্রীকরণ করা হয় তাহলে রাজধানীমুখে এককভাবে জনচাপ সৃষ্টি না হয়ে তা সারাদেশে ভাগ হয়ে যাবে। এতে করে রাজধানীর শুধু যানজটই নয় বরং মেগাসিটি ঢাকার সবরকম সঙ্কট-সমস্যাই দুরীকরণ হবে। ইনশাআল্লাহ!
খলীফাতুল্লাহ, খলীফাতু রসূলিল্লাহ, ছাহিবু সাইয়্যিদিল আ’ইয়াদ শরীফ, আস সাফফাহ, আল জাব্বারিউল আউওয়াল, আল ক্বউইউল আউওয়াল, হাবীবুল্লাহ, মুত্বহ্হার, মুত্বহ্হির, আছ ছমাদ, আহলু বাইতি রসূলিল্লাহ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম, ক্বায়িম মাক্বামে হাবীবুল্লাহ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম, মাওলানা মামদূহ মুর্শিদ ক্বিবলা সাইয়্যিদুনা হযরত সুলত্বানুন নাছীর ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার নেক ছোহবত মুবারক-এ কেবলমাত্র তা লাভ করা সম্ভব। খালিক্ব মালিক রব মহান আল্লাহ পাক তিনি আমাদেরকে তা নছীব করুন। (আমীন)
এ সম্পর্কিত আরো সংবাদ
-
খাবারে ঢুকছে প্লাস্টিক কণা, বিপর্যয়ের মুখে জনস্বাস্থ্য। স্থায়ী বিকলাঙ্গতা ও স্বাস্থ্যহানির শঙ্কায় দেশের জনগণ। বিষয়টি ভয়াবহ- সত্বর গুরুত্বের সাথে নজর দিন।
২২ ডিসেম্বর, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল আহাদ (রোববার) -
নাটক-সিনেমার মাধ্যমে মুসলিম প্রজন্মকে দ্বীন ইসলাম থেকে দূরে সরিয়ে দেয়া হচ্ছে। পরকালের কথা স্বরণ করে মুসলিম উম্মাহকে বিধর্মীদের এসব ষড়যন্ত্র থেকে বের হয়ে আসতে হবে।
২২ ডিসেম্বর, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল আহাদ (রোববার) -
গৎবাঁধা আবহে আবদ্ধ থাকার কারণে অতীতের মত বর্তমান সরকারও রপ্তানী বহুমুখীকরণের উদ্যোগ নিচ্ছে না। কেবলমাত্র খিলাফত আলা মিনহাজিন নুবুওওয়াহ্র পরিক্রমায় রপ্তানী বহুমূখীকরণের প্রজ্ঞা নেয়া সম্ভব ইনশাআল্লাহ।
২১ ডিসেম্বর, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুছ সাবত (শনিবার) -
বর্তমান সরকারের অরাজাকতায় মধ্যবিত্তরাও এখন পুষ্টি সঙ্কটে ভূগছে মহান আল্লাহ পাক উনার রহমতমূখী প্রবণতার অভাবই এর মূল কারণ কেবলমাত্র খিলাফত আলা মিনহাজিন নুবুওওয়াহ্র পরিক্রমায় খোদায়ী রহমতে সব কিছুতে সচ্ছলতা হাছিল সম্ভব ইনশাআল্লাহ
২১ ডিসেম্বর, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুছ সাবত (শনিবার) -
দেশের ১০ কোটিরও বেশী শীতার্ত দরিদ্র জনসাধারণের জন্য মাত্র ১৫ কোটি টাকার কম্বল বরাদ্দ করা চরম বৈষম্য এবং মানবাধিকার লঙ্ঘন পাশাপাশি বৈষম্য বিরোধী ছাত্র জনতার আন্দোলনের চেতনার সাথে চরম সাংঘর্ষিক খিলাফত আলা মিনহাজিন নুবুওওয়াহ্র চেতনা ও জজবা ধারণ করে এর অবসান ঘটাতে হবে ইনশাআল্লাহ
২০ ডিসেম্বর, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল জুমুয়াহ (শুক্রবার) -
ঢাকা শহরে ২ কোটি ভাড়াটিয়া বাড়ি ভাড়া বৃদ্ধির জুলুমে জর্জরিত তন্ত্র-মন্ত্রের সরকারের পর অন্তর্বর্তী সরকারও নীরব দর্শক কেবলমাত্র খিলাফত আলা মিনহাজিন নুবুওওয়াহ্র পরিক্রমায়ই বাড়ি ভাড়া বৃদ্ধির জুলুমবাজি বন্ধ হওয়া সম্ভব ইনশাআল্লাহ
২০ ডিসেম্বর, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল জুমুয়াহ (শুক্রবার) -
মহা ভুল পরিকল্পনার এবং মহা বিড়ম্বনার উড়াল সেতু বা ফ্লাইওভার নির্মাণেরও বিচার করতে হবে এবং শাস্তি দিতে হবে। কেবলমাত্র খিলাফত আলা মিনহাজিন নুবুওওয়াহ্র চেতনায়ই সঠিক পরিকল্পনা সম্ভব। সে পথেই চলতে হবে ইনশাআল্লাহ
১৯ ডিসেম্বর, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল খমীছ (বৃহস্পতিবার) -
নিজেদের ক্যাশিয়ারদের সুযোগ করে দেয়ার জন্য পতিত সরকার দেশের চিনি শিল্পকে ধ্বংস করেছিল। (নাউযুবিল্লাহ) যথাযথ পৃষ্ঠপোষকতা করলে অতীতের মত চিনি রফতানী করা যাবে ইনশাআল্লাহ খিলাফত আলা মিনহাজিন নুবুওওয়াহ্র পরিক্রমায় চললেই সে প্রজ্ঞা পাওয়া সম্ভব ইনশাআল্লাহ
১৯ ডিসেম্বর, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল খমীছ (বৃহস্পতিবার) -
বাজারে বিদেশী পণ্যের আধিপত্য। সরকারের উচিত বাজারে শতভাগ দেশীয় পণ্যের নিয়ন্ত্রণ নিশ্চিত করা।
১৮ ডিসেম্বর, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল আরবিয়া (বুধবার) -
শিক্ষার্থীদের মাঝে ব্যাপক আত্মহত্যা প্রবণতারোধে সরকারকে কার্যকরী পদক্ষেপ নিতে হবে
১৮ ডিসেম্বর, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল আরবিয়া (বুধবার) -
মহান বিজয় দিবসে মুক্তিযুদ্ধের চেতনার সত্যিকার উপলব্ধি জাগ্রত হোক সবার অন্তরে। সংস্কারের দাবীদার সরকারকে উপলব্ধিতে সক্ষমতা আনতেই হবে- যে, সত্যিকার ইসলামী অনুপ্রেরণাই মুক্তিযুদ্ধের চেতনা এবং সংস্কারের পরিক্রমা
১৬ ডিসেম্বর, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল ইছনাইনিল আযীম (সোমবার) -
সাইয়্যিদু সাইয়্যিদিশ শুহূরিল আ’যম, মহাসম্মানিত রবীউল আউওয়াল শরীফ মাস উনার মহিমান্বিত, মহাপবিত্র ১২ তারিখ উনার সাথে সম্পর্কযুক্ত মহাসম্মানিত ১২ই জুমাদাল উখরা শরীফ আজ। সাইয়্যিদুনা হযরত সুলত্বানুন নাছীর আলাইহিস সালাম উনার শান মান মুবারক অনুভব করা, মর্যাদা-মর্তবা মুবারক জানা, দয়া-ইহসান মুবারক উপলব্ধি করা সর্বোপরি নেক ছায়াতলে উপনীত হওয়া বর্তমান যামানায় সবার জন্যই ফরজ।
১৫ ডিসেম্বর, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল আহাদ (রোববার)