সম্পাদকীয়-২
বর্তমান সরকারের অরাজকতায় মধ্যবিত্তরাও এখন পুষ্টি সঙ্কটে ভুগছে মহান আল্লাহ পাক উনার রহমতমূখী প্রবণতার অভাবই এর মূল কারণ কেবলমাত্র খিলাফত আলা মিনহাজিন নুবুওওয়াহ্র পরিক্রমায় খোদায়ী রহমতে সব কিছুতে সচ্ছলতা হাছিল সম্ভব। ইনশাআল্লাহ!
, ২৫ শা’বান শরীফ, ১৪৪৬ হিজরী সন, ২৮ তাসি’, ১৩৯২ শামসী সন , ২৫ ফেব্রুয়ারি, ২০২৫ খ্রি:, ১১ ফালগুন, ১৪৩১ ফসলী সন, ইয়াওমুছ ছুলাছা (মঙ্গলবার) সম্পাদকীয়

সব প্রশংসা মুবারক খালিক্ব মালিক রব মহান আল্লাহ পাক উনার জন্য; যিনি সকল সার্বভৌম ক্ষমতার মালিক। সাইয়্যিদুল মুরসালীন, ইমামুল মুরসালীন, নবী আলাইহিমুস সালাম উনাদের নবী, রসূল আলাইহিমুস সালাম উনাদের রসূল, নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার প্রতি অফুরন্ত দুরূদ শরীফ ও সালাম মুবারক।
অর্থনীতির স্বাভাবিক হিসাবে দেশের গড় মূল্যস্ফীতির চেয়ে গড় মজুরি বেশি হলে মানুষের ক্রয়ক্ষমতা ইতিবাচক থাকে।
মূল্যস্ফীতির তুলনায় মজুরি বৃদ্ধির হার কম হওয়ার তথ্য দিচ্ছে বিবিএস। সবশেষ নভেম্বর মাসে দেশে সার্বিক মূল্যস্ফীতি হয়েছে ১১ দশমিক ৩৮ শতাংশ। আর জাতীয় মজুরি হার ছিল ৮ দশমিক ১০ শতাংশ। এরমানে মূল্যস্ফীতি যে হারে বেড়েছে, মজুরি সেই হারে বাড়েনি।
আর আয় বাড়লেও খরচ যখন তার তুলনায় বেশি বাড়ে, তখন আসলে প্রকৃত আয় কমে যায়। বাংলাদেশে এখন ঠিক তা-ই ঘটছে।
বাংলাদেশ পরিসংখ্যান ব্যুরোর (বিবিএস) সর্বশেষ হিসাবে, গত নভেম্বর মাসে খাদ্য মূল্যস্ফীতি বেড়ে দাঁড়িয়েছে ১৩ দশমিক ৮০ শতাংশ। এটি গত সাড়ে ১৩ বছরের মধ্যে খাদ্য মূল্যস্ফীতির দ্বিতীয় সর্বোচ্চ হার।
দারিদ্রতার সময় মানুষ যা খায় তাকে স্ট্রেস ফুড বলা হয়। বর্তমানে তা যে অবস্থাই চলছে, তাছাড়া দীর্ঘদিন থেকেই আমাদের দেশে আয় বৈষম্য ব্যাপক আকারে রয়েছে। সে অবস্থায় নিম্ন ও মধ্যম আয়ের মানুষ বাজারে ব্যয়ের সঙ্গে তাল মেলাতে না পেরে পর্যাপ্ত পুষ্টিসমৃদ্ধ খাবার গ্রহণ করতে পারছেন না। যা মাত্রাতিরিক্ত চলতে থাকলে মানুষ তাদের কর্মক্ষমতা হারানোর জোর সম্ভাবনা রয়েছে। মানুষের (খাবারের চাহিদা) যদি যথাযথ পূরণ না হয়, তাহলে শরীর কিন্তু অন্যান্য (পুষ্টি) কোনো কাজে ব্যবহার করতে দেয় না। সুতরাং বৈচিত্র্যময় অন্যান্য যাই খাক, প্রত্যেকের মূল ক্যালরি চাহিদা রয়েছে। সেটির ঘাটতি থাকলে অন্যান্য খাবার কোনো কাজে আসবে না। বিশেষ করে আমাদের শিশুরা যদি এই পুষ্টি শঙ্কার মধ্য দিয়ে বড় হয়, তাহলে তাদের রোগপ্রতিরোধ ক্ষমতার পাশাপাশি মস্তিষ্কের কার্যক্ষমতা দুর্বল হয়ে পড়বে।
ব্যয়ের তুলনায় আয় না বাড়ায় মানুষ খাদ্যাভ্যাসে এনেছেন নানা পরিবর্তন। নিম্ন আয়ের মানুষ বহু আগেই পাত থেকে মাছ গোশত ছেটে ফেলে শাকসবজিতে নির্ভরতা বাড়িয়েছেন। তবে যারা এখনো শাক-সবজিতে হাত দিতে পারছে না তারা পুষ্টিহীনতায় ভুগছেন।
এদিকে নতুন করে খাদ্য মূল্যস্ফীতি বেড়ে ১৪ শতাংশের কাছাকাছি পৌঁছেছে। টানা আট মাস ধরে খাদ্য মূল্যস্ফীতি দুই অঙ্কের ঘরে আছে। বাজারে জিনিসপত্রের ঊর্ধ্বমুখী দামের কারণে গরিব ও সীমিত আয়ের মানুষের পাশাপশি বড় ধরনের ভোগান্তিতে পড়েছেন মধ্যম আয়ের মানুষও। ফলে অনেকে এখন চাহিদামতো খাবার যোগান দিতে হিমশিম খাচ্ছেন।
বিশ্বব্যাংকের এক প্রতিবেদনে উঠে এসেছে, স্বাস্থ্যসম্মত খাবার কিনতে পারেন না, এমন মানুষ যেসব দেশে বেশি, সেসব দেশের মধ্যে বাংলাদেশের অবস্থান ষষ্ঠ। বাংলাদেশে এখন ১২ কোটি ১০ লাখ মানুষ স্বাস্থ্যসম্মত খাবার খেতে পারেন না। স্বাস্থ্যসম্মত খাবার কেনার সামর্থ্য তাদের নেই।
একজন মানুষের স্বাস্থ্যসম্মত জীবনযাপনের জন্য পুষ্টিমানসম্পন্ন সুষম খাবার খেতে হবে, যাতে ওই ব্যক্তি পর্যাপ্ত ক্যালরি পায়। কিন্তু দেশের বহু মানুষ দৈনন্দিন জীবনের প্রয়োজনীয় পুষ্টির চাহিদা মেটাতে পর্যাপ্ত খাবার কিনতে পারেন না। কম খাবার গ্রহণ ও সুষম খাবার না পেয়ে শিশুরা অপুষ্টিতে ভুগছে। খর্বকায় হয়ে যাচ্ছে।
প্রসঙ্গত বিগত তন্ত্র-মন্ত্রের সরকারের পর বর্তমান অন্তর্বর্তী সরকারও দেশের নাগরিকদের প্রথম মৌলিক অধিকার খাদ্যের সংস্থান করতে এবং পুষ্টির যোগান দিতে চরম ব্যর্থ হচ্ছে। এর কারণ হচ্ছে তাদের উপর খোদায়ী রহমত নেই। আর তারা খোদায়ী রহমত প্রত্যাশিও নয়।
অথচ কেবলমাত্র খোদায়ী রহমতেই নাগরিকদের খাদ্য ও পুষ্টির পরিপূর্ণ যোগান সম্ভব ইনশাআল্লাহ।
মূলত, এসব বিষয় বাস্তবায়নের অনুভূতি ও দায়িত্ববোধ আসে পবিত্র ঈমান ও পবিত্র দ্বীন ইসলাম উনাদের খিলাফত আলা মিনহাজিন নুবুওওয়াহ্র চেতনা ও জজবা এবং পরিক্রমা থেকে ইনশাআল্লাহ।
ছহিবে সাইয়্যিদি সাইয়্যিদিল আ’ইয়াদ শরীফ, রাজারবাগ শরীফ উনার মামদূহ মুর্র্শিদ ক্বিবলা সাইয়্যিদুনা হযরত সুলত্বানুন নাছীর আলাইহিস সালাম উনার নেক ছোহবত মুবারক-এ কেবলমাত্র তা লাভ করা সম্ভব। খালিক্ব মালিক রব মহান আল্লাহ পাক তিনি আমাদেরকে তা নছীব করুন। আমীন।
এ সম্পর্কিত আরো সংবাদ
-
সাইয়্যিদু সাইয়্যিদিশ শুহূরিল আ’যম, মহাসম্মানিত রবীউল আউওয়াল শরীফ মাস উনার মহিমান্বিত, মহাপবিত্র ১২ তারিখ উনার সাথে সম্পর্কযুক্ত পবিত্র ১২ই শাওওয়াল শরীফ আজ। সাইয়্যিদুনা হযরত সুলত্বানুন নাছীর আলাইহিস সালাম উনার শান মান মুবারক অনুভব করা, মর্যাদা-মর্তবা মুবারক জানা, দয়া-ইহসান মুবারক উপলব্ধি করা সর্বোপরি নেক ছায়াতলে উপনীত হওয়া বর্তমান যামানায় সবার জন্য ফরয।
১১ এপ্রিল, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল জুমুয়াহ (শুক্রবার) -
সামাজিক সুরক্ষা কর্মসূচিতে ব্যয় বাড়লেও সুবিধার বাইরে ৭১ ভাগ দরিদ্র জনগোষ্ঠী। দারিদ্রের যাঁতাকল থেকে জনগণকে বের করে না আনলে দেশ অবিলম্বে ব্যর্থ রাষ্ট্রে পরিণত হবে। বাঁচতে হলে খিলাফত আলা মিনহাজিন নুবুওওয়াহ্র চেতনায়ই পাওয়া যাবে প্রকৃত নিরাপত্তা ও সফলতা ইনশাআল্লাহ
১০ এপ্রিল, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল খমীছ (বৃহস্পতিবার) -
নগরের সুবিধা বিকেন্দ্রীকরণ করতে পারলেই কেবল নগরমুখী জনস্রোত ঠেকানো যাবে
১০ এপ্রিল, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল খমীছ (বৃহস্পতিবার) -
দেশে বছরে গ্যাষ্ট্রিকের ঔষধ বিক্রী হচ্ছে ৭ হাজার কোটি টাকার উপরে দ্বীনি অভিজ্ঞ চিকিৎসক মন্তব্য করেছেন- গ্যাষ্ট্রিকের ঔষধের বিরুদ্ধে বলা ছদকায়ে জারিয়া একটু সচেতনতা আর হাতের কাছের পথ্যেই গ্যাষ্ট্রিক নির্মূল সম্ভব
০৮ এপ্রিল, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুছ ছুলাছা (মঙ্গলবার) -
উন্নয়নের জোয়ারের প্রচারনার বিপরীতে অল্প বয়সী বিধবা, স্বামী পরিত্যক্তা, তালাক্বপ্রাপ্তা লাখো-কোটি মহিলা মানবেতর জীবন-যাপন করছে। দেশের অসহায় মহিলাদের প্রতি সরকারের বিশেষ হস্তক্ষেপ একান্ত জরুরী।
০৮ এপ্রিল, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুছ ছুলাছা (মঙ্গলবার) -
বছরে ৪ লাখ টন ধানের অপচয় হচ্ছে শুধু সঠিক পদ্ধতিতে বীজ বপন ও উৎপাদন না করার ফলে বিষয়টির প্রতি গুরুত্ব দিন
০৭ এপ্রিল, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল ইছনাইনিল আযীম (সোমবার) -
শিশু কিশোরদের মাঝে ডায়াবেটিসের প্রকোপ ভয়াবহ এবং মারাত্মক ঝুকিপূর্ণভাবে বাড়ছে শিশু-কিশোরদের ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণে ও প্রতিরোধে জরুরীভাবে নজর দেয়া উচিত ইনশাআল্লাহ
০৭ এপ্রিল, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল ইছনাইনিল আযীম (সোমবার) -
সাইয়্যিদু সাইয়্যিদিশ শুহূরিল আ’যম শরীফ, মহাসম্মানিত রবীউল আউওয়াল শরীফ মাস উনার মহিমান্বিত, মহাপবিত্র ০৭ তারিখ উনার সাথে সম্পর্কযুক্ত আজ পবিত্র ৭ই শাওওয়াল শরীফ।
০৬ এপ্রিল, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল আহাদ (রোববার) -
প্রসঙ্গ: পারিবারিক বন্ধন ধ্বংস, পর্নোগ্রাফির রাজত্ব এবং ইসলামী মূল্যবোধের গুরুত্ব।
০৫ এপ্রিল, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুছ সাবত (শনিবার) -
দেশের ৪ কোটি মানুষ না খেয়ে থাকে। অথচ দেশে মাথাপিছু খাদ্য অপচয় হয় প্রায় ৯০ কেজি। বছরে ক্ষতির পরিমাণ প্রায় ৩৫ হাজার কোটি টাকা। খাদ্য অপচয় রোধ করতে ‘নিশ্চয়ই অপব্যয়কারীরা শয়তানের ভাই’- পবিত্র কুরআন শরীফ উনার এই নির্দেশ সমাজের সর্বাত্মক প্রতিফলন ব্যতীত কোনো বিকল্প নেই।
০৫ এপ্রিল, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুছ সাবত (শনিবার) -
প্রসঙ্গঃ ভেষজ উদ্ভিদ ও রফতানী
০৪ এপ্রিল, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল জুমুয়াহ (শুক্রবার) -
দেশের বাজারে দেখা গেলো বিদেশী পণ্যের আধিপত্য। সরকারের উচিত বাজারে শতভাগ দেশীয় পণ্যের নিয়ন্ত্রণ নিশ্চিত করা।
০৪ এপ্রিল, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল জুমুয়াহ (শুক্রবার)